সত্তরের দশকের শেষ দিকেও আফ্রিকার বনে ঘুরে বেড়াত ১৩ লাখের বেশি হাতি। আজ টিকে আছে মাত্র প্রায় সাড়ে চার লাখ। আফ্রিকায় দাঁতের জন্য প্রতিবছর অবৈধভাবে হত্যা করা হচ্ছে কমপক্ষে ২০ হাজার হাতি। ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক কনভেনশন বিপন্ন প্রজাতির হাতির দাঁতের বাণিজ্য নিষিদ্ধ করে।
বন্য প্রাণী সংরক্ষণ
হাতি বাঁচাতে নকল দাঁত
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

এই দুঃসংবাদের স্রোতের মধ্যে একটি সুখবর হচ্ছে, ল্যাবে তৈরি কৃত্রিম দাঁতের পাশাপাশি গাছপালা থেকে হাতির দাঁতের অনুরূপ উপকরণের একটি নতুন বাজার গড়ে উঠছে। এ থেকে কমতে পারে হাতির চোরা শিকার।
মানব ইতিহাসের সবচেয়ে মূল্যবান এবং কাঙ্ক্ষিত বৈশ্বিক পণ্যগুলোর একটি হাতির দাঁত। এ জন্য বিলাসদ্রব্যটিকে অনেক সময় ‘সাদা সোনা’ও বলা হয়। হাতির দাঁতের তৈরি জিনিসের মধ্যে রয়েছে গয়না, অস্ত্র, বাদ্যযন্ত্র আর মূর্তি। এ জিনিসটির রয়েছে কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য।
হাতির দাঁতের প্রতি শৌখিন মানুষের আগ্রহের বিষয়টি মাথায় রেখেই বিপন্ন প্রাণীটির ক্ষতি না করে এর দাঁতের চাহিদা মেটাতে কাজ করছেন অনেকে। থাড্ডা রাথ নামের এক অস্ট্রিয়ান গবেষক তাঁদেরই একজন। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল সহকর্মীকে নিয়ে তিনি ‘ডিগোরি’ (আইভরির সঙ্গে মিলিয়েই এ নাম) নামে একটি বিকল্প সামগ্রী তৈরি করেছেন, যা দেখতে একেবারেই খাঁটি জিনিসের মতো।
ডিগোরির রাসায়নিক গঠন কিন্তু মোটেও সত্যিকারের জিনিসটির মতো নয়। ২০১৯ সালে প্রায় আসল জিনিস তৈরির কাজটি করেছিলেন জার্মানির ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউটের তিন বিজ্ঞানী। তাঁরা নানা রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে এতটাই ভালোভাবে হাতির নকল দাঁত বানিয়েছিলেন যে আসল-নকলের মধ্যে পার্থক্য ধরা ছিল অতি কঠিন।
হাতির দাঁতের বিকল্প তৈরির চেষ্টায় কেউ আবার প্রকৃতির কাছাকাছি উপাদান খুঁজছেন। ইংল্যান্ডের সেন্ট অ্যালবান্সের এক বাজারে ‘দ্য হ্যাপি এলিফ্যান্ট’ নামে গয়নার দোকান রয়েছে অ্যালিসন উইলিয়ামের। এখানকার গয়নাগুলো তৈরি করা হয় তাগুয়া নামের ‘ভেষজ হাতির দাঁত’ দিয়ে। দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পাহাড়ের গাছ
তাগুয়া প্রথম পশ্চিমা বিশ্বের মানুষের নজরে আসে সেই ১৭০০-এর দশকের শেষের দিকে। মজার ব্যাপার, গাছটির বৈজ্ঞানিক নামের অর্থই ‘হাতিগাছ’। সূত্র : বিবিসি
সম্পর্কিত খবর

রাজপথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান


‘৩৬ জুলাই উদযাপন অনুষ্ঠানমালা’ উপলক্ষে মঞ্চ তৈরি


শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক
সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জামায়াতের
বিশেষ প্রতিনিধি

জামায়াতে ইসলামী দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরারের সঙ্গে এক বৈঠকে এ দাবি তুলে ধরে দলটি। জামায়াতের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে পড়েছিল।
তিনি আরো বলেন, ‘জাতি গঠনের মূল ভিত্তি যদি শিক্ষা হয়, তবে শিক্ষকই হলেন শিক্ষার মেরুদণ্ড। তাই আমাদের প্রথম দাবি সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের দ্রুত জাতীয়করণ করতে হবে।
এ ছাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা এবং সিলেবাস প্রণয়ন কমিটিতে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-প্রতিনিধি রাখার দাবি জানানো হয়।
প্রতিনিধিদলে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং জামায়াত-সমর্থিত আদর্শ শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

মালয়েশিয়ায় সন্ত্রাসবাদ
সজীবের দায় স্বীকার রিমান্ডে আকরাম
নিজস্ব প্রতিবেদক

মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমানবন্দর থানায় করা মামলায় প্রবাসী সজীব মিয়া আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। একই সঙ্গে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব রহমানের আদালত অপর আসামি ওয়াসিম আকরামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৫ জুলাই অ্যান্টি-টেররিজম ইউনিটের ইনটেলিজেন্স শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় ৩৫ প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। তাঁরা মলয়েশিয়ায় অবস্থান করে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার ও পলাতক আসামিদের মালয়েশিয়ান পুলিশ পর্যায়ক্রমে নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গোয়েন্দা তথ্য ও অপরাপর তথ্যের আলোকে জানা গেছে, আসামিরা পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে এসে সন্ত্রাসবাদে জড়িত হয়ে উগ্রবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশের অখণ্ডতা, সংহতি, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, জননিরাপত্তা, জনসাধারণের কোনো অংশে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে যেকোনো সময় বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার শঙ্কা রয়েছে।