ঢাকা সফরে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি মনে করেন, বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলোর ক্ষমতার প্রভাব বলয়ের ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশ ব্যবহৃত হতে চলেছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। শোভাযাত্রা নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁ মোড় ঘুরে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আশঙ্কার কথা হচ্ছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসার পরে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেখানে একটা কথা খুব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে আজকে বাংলাদেশ বৃহৎ শক্তিগুলোর মর্যাদার লড়াইয়ে ক্ষমতার প্রভাব বলয়ের একটা ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে চলেছে। এটার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী বর্তমান সরকার। তারা (সরকার) অবিবেচকের মতো দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কথাবার্তা বলে তাদের কূটনীতিকে পরিচালিত করে আজকে বাংলাদেশকে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আপনাদের শপথ নিতে হবে, আমরা যেকোনো মূল্যে এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের একটা সরকার করতে চাই এবং একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাই।
আমাদের কথা খুব পরিষ্কার। আমরা কোনো সংঘাত চাই না, আমরা কোনো গোলযোগ চাই না। আমরা দেশে একটা সুষ্ঠু, অবাধ গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
সরকারের পতন অনিবার্য বলে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, মা-বোনদের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। জিনিসপত্রের দাম এত বেড়েছে যে সংসার চালাতে তাঁরা হিমশিম খাচ্ছেন। ডেঙ্গু মহামারি পর্যায়ে চলে গেছে। কিন্তু ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। কারণ, তারা জনগণের সেবা করতে নয়, লুটপাট করতে এসেছে।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, রাশেদা বেগম হীরা, নেওয়াজ হালিমা আরলী, ইয়াসমীন আরা হক, শাম্মী আখতার, সাবিনা ইয়াসমিন, নায়েবা ইউসুফ, রুমা আখতার প্রমুখ বক্তব্য দেন।