ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭
স্মরণসভায় ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

নুরুল ইসলাম ছিলেন পূর্ণাঙ্গ অর্থনীতিবিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নুরুল ইসলাম ছিলেন পূর্ণাঙ্গ অর্থনীতিবিদ
অধ্যাপক নুরুল ইসলাম

অধ্যাপক নুরুল ইসলাম ছিলেন একজন পূর্ণাঙ্গ অর্থনীতিবিদ। উন্নয়ন অর্থনীতিতে তাঁর গবেষণা আছে। উন্নয়ন অর্থনীতিতে তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

তিনি আরো বলেন, শুধু অর্থনীতিতে নয়, এর পাশাপাশি আর্টিফিকেশনের ওপর নুরুল ইসলামের ধারণা অনেক ওপরের দিকে।

বাস্তব অর্থনীতির সঙ্গে যেটার কোনো মিল ছিল না, সেটা নিয়েও তিনি ভাবতেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে তিনি পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে দেশের জন্য নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন, যার সুফল পরবর্তী সময়ে স্বাধীন দেশের মানুষ পেয়েছে।

গতকাল রবিবার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত অধ্যাপক নুরুল ইসলাম : নানা প্রজন্মের দৃষ্টিতে দেখা শিরোনামের এই সভায় ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ অধ্যাপক নুরুল ইসলামের সহকর্মী, ছাত্র, অর্থনীতিবিদ, বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালকসহ বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক নুরুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রে গত ৮ মে ৯৪ বছর বয়সে মারা যান।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অর্থনীতিতে অমর্ত্য সেন অনেক কাজ করলেও ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিংয়ে তাঁর কোনো কাজ ছিল না। কিন্তু নুরুল ইসলাম তা নিয়েও কাজ করেছেন। নুরুল ইসলাম ছিলেন একজন সর্বাঙ্গীণ পূর্ণাঙ্গ অর্থনীতিবিদ।

যেটা অন্য কারো মধ্যে দেখা যায়নি।

সংবিধানের প্রবক্তা কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমিই অধ্যাপক নুরুল ইসলামকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাঁদের মধ্যে আরো সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করে তুলি। তাঁর (নুরুল ইসলাম) সঙ্গে আমার একাধিক কাজ করা হয়েছিল। তার মধ্যে একটি ১৯৬৯ সালের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করা। দেশের অর্থনীতির পেছনে নুরুল ইসলামের অবদান ছিল অসামান্য।

নুরুলকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়া অনুদারতা : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার তৈরি এবং বাংলাদেশের শাসনতন্ত্রের রূপরেখা তৈরি ও নীতি প্রণয়নে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন অধ্যাপক নুরুল ইসলাম। তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কারের মতো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়া অনুদারতার পরিচায়ক বলে মনে করেন দেশের অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা।

অনুষ্ঠানে বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন বলেন, বাংলাদেশে অনেককে মৃত্যুর পর স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক নুরুল ইসলামকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেওয়া হলে মন্দ হয় না।

একুশে পদক না পাওয়া নিয়ে অধ্যাপক নুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বিনায়ক সেন বলেন, তিনি (নুরুল ইসলাম) উত্তরে বলেছিলেন, একুশে কেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য অনেক কিছু করেছেন। সেই স্বীকৃতিও তো পাননি।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, একজন মানুষের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিই মাপকাঠি হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। স্বীকৃতি না পাওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন। সেটি হলো, দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকা এবং প্রাসঙ্গিকতা না থাকা। 

নুরুল ইসলামের সরাসরি ছাত্র মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, নুরুল ইসলাম ছিলেন কল্যাণ অর্থনীতিবিদ। তাঁর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর চিন্তার মিল ছিল। এ জন্যই বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু তাঁকে খুব শ্রদ্ধা করতেন। আপনি করে বলতেন। অনেক খাতির করতেন।

তিনি আরো বলেন, নুরুল ইসলাম দেশে এলে খুব ভালো থাকতেন। তবে নিজের চিকিৎসা ও পরিবারের দেখাশোনার জন্য তিনি মনে করতেন তাঁর ফিরে যাওয়া উচিত। নুরুল ইসলামকে স্বাধীনতা পদক, একুশে পদকের মতো স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। দিলে ভালো হতো। আমরা তাঁকে সম্মানের বেদিতে বসাই। এটাই তাঁর বড় পুরস্কার।

তাঁর ছাত্র রাশেদ খান মেনন বলেন, রাজনীতি করার কারণে প্রায়ই জেলে যেতে হতো। একবার জেল থেকে বের হওয়ার পর অধ্যাপক নুরুল ইসলাম আমাকে বলেন, তুমি পরীক্ষা দেবে। যা পারো লিখবে। খাতা আমরা দেখব।

সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, পরিকল্পনা কমিশনে যেসব বাধা নুরুল ইসলামকে ব্যথিত করেছিল, তা এখনো আছে। স্বীকার করতেই হবে, পরিকল্পনা কমিশন সেই মর্যাদায় নেই। নুরুল ইসলামের প্রতি আমার শ্রদ্ধা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে পাট চাষ

শেয়ার
তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে  পাট চাষ

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে করা হয়েছে পাট চাষ। সেই পাট কেটে মহিষের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পানিতে জাগ দেওয়ার জন্য। গতকাল রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্নেয়া ইউনিয়নের চর বাঘমারা থেকে তোলা। ছবি : মো. আসাদুজ্জামান

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী মুগদা হাসপাতালে

শেয়ার
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী মুগদা হাসপাতালে

খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকার আড়াই বছর বয়সী নূরজাহান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল তোলা। ছবি : মঞ্জুরুল করিম

মন্তব্য

২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২৩টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির আমির মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দলটি আগামী জাতীয় সংসদে নিম্নকক্ষে আংশিক আনুপাতিক ও উচ্চকক্ষে পূর্ণ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক দ্বিকক্ষীয় সাংবিধানিক কাঠামোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলের নেতারা বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ।

আনুপাতিক পদ্ধতির মাধ্যমেই সব শ্রেণি ও মতধারার সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়া আত্মঘাতী। এতে ফ্যাসিবাদের দোসররা আরো উৎসাহী হচ্ছে। আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, তবে ফ্যাসিবাদ ফের মাথা চাড়া দেবে।

গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী শৈথিল্য দেখালেও পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে দুষ্কৃতকারীরা দ্রুত প্রতিহত হয়েছে, যা প্রশংসনীয়। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনদলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন ও মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা ফয়সাল আহমদ। এ ছাড়া ছিলেন মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা হারুনুর রশীদ, মাওলানা রুহুল আমীন খান, মাওলানা হাসান জুনাইদ, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, মাওলানা জয়নুল আবেদীন ও মাওলানা মুহসিন বেলালী।

মন্তব্য

রামেকে ইন্টার্ননির্ভর চিকিৎসায় ঝুঁকিতে মুমূর্ষু রোগীরা

রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী
রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী
শেয়ার
রামেকে ইন্টার্ননির্ভর চিকিৎসায় ঝুঁকিতে মুমূর্ষু রোগীরা

পাবনার ঈশ্বরদী এলাকার ওয়াহেদুজ্জামান (৭১) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে পরিবারের সদস্যরা গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে পাঠানো হয় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে (মেডিসিন ওয়ার্ড)। ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাঁকে ভর্তি করে নেন।

সেখানে বারান্দায় একটি শয্যায় রেখে চলতে থাকে রোগীর চিকিৎসা। পরের দিন ১৪ জুলাই সকালে ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বরত স্থায়ী অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা গিয়ে রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন।

পরের দিন ১৫ জুলাই সকালের দিকে রোগী কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তাঁকে ছুটি দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু দুপুর গড়াতে না গড়াতেই রোগী আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তখন কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীকে প্রথমে অক্সিজেন এবং পরবর্তীতে স্যালাইন দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত একটা অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর বাকির মোড়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে।
সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে দ্রুত তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ধরা পড়ে তাঁর শরীরে ডেঙ্গুসহ নানা জটিলতা। তবে তাৎক্ষণিক সঠিক চিকিৎসা পাওয়ায় রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকেন।

এটি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিদিনের চিত্র। চিকিৎসকসংকটে দিনের প্রায় ১৮ ঘণ্টাই ইন্টার্ন চিকিৎসকনির্ভরতার মাধ্যমে চলছে এই হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা।

খুব জরুরি প্রয়োজনে ফোনে পরামর্শ নেওয়া হয় অভিজ্ঞ ডাক্তারদের। এর বাইরে এফসিপিএস ডিগ্রিধারী বা এফসিপিএস করছেন এমন মধ্যম মানের চিকিৎসকরা থাকেন ভর্তির দিন ধার্য থাকা ওয়ার্ডগুলোতে। এ ছাড়া দিনের ২৪ ঘণ্টা প্রতিটি ওয়ার্ডেই চার থেকে ছয়জন করে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করতে হয় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই ইন্টার্নদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। 

পাবনার ঈশ্বদীর রোগী ওয়াহেদুজ্জামানের ছেলে হামিম আবেদীন বলেন, রামেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিনে একবার করে আসার কারণে আমার বাবার সমস্যাগুলো জটিল হয়ে গিয়েছিল, যা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বুঝে উঠতে পারেননি।

ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি রোগীর সেবা দেওয়ার। কিন্তু যে পরিমাণ রোগীকে চিকিৎসা দিতে হয়, সে পরিমাণ ইন্টার্ন চিকিৎসকও নেই।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত আনসার সদস্যও নেই। অন্যদিকে যেসংখ্যক রোগী ভর্তি হচ্ছে, সেসংখ্যক অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসাসামগ্রী ও ওষুধপথ্যও আমরা দিতে পারছি না। কারণ সব কিছু বরাদ্দ হচ্ছে ৫০০ শয্যার বিপরীতে। কিন্তু এখানে শয্যাই আছে এক হাজার ২০০টি। এর বাইরেও অতিরিক্ত আরো দুই থেকে আড়াই হাজার রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমাদের নানাভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।    

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ