শিশুদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে মানসম্মত লেখক ও প্রকাশকদের কাছ থেকে বই সংগ্রহ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এই প্রক্রিয়া থেকে অনেক ভালো লেখক ও স্বনামধন্য প্রকাশনীর বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের বিষয়ে প্রতিকার না পেয়ে উচ্চ আদালতে রিটও হয়েছে। আদালত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন।
শিশুদের পাঠাভ্যাস গড়ার প্রকল্পে স্বাধীনতাবিরোধীদের বই
শরীফ শাওন

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনে ‘স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস’ স্কিম বা পদ্ধতির আওতায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বই কেনা হচ্ছে।
বই নির্বাচনে এসব অনিয়ম জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও তৎকালীন শিক্ষাসচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। এ ছাড়া ১০৩ জন প্রকাশকের স্বাক্ষরসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ জানানো হয়েছিল। প্রতিকার না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তাঁরা।
রুলে বলা হয়, বই সংগ্রহ নীতিমালার ১৬ অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করে বই সংগ্রহ, যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তালিকাভুক্তি হয়েছে কি না এবং পুনরায় তালিকা কেন তৈরি করা হয়নি তা জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ‘কর্মসূচি বই’ ও ‘পুরস্কারের বই’—এই দুই পর্যায়ে প্রথমে ১৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বই কেনায় বরাদ্দ ছিল ৮৪ কোটি টাকা।
প্রথম পর্যায়ে কর্মসূচির বই কেনার লক্ষ্যে ৯৩টি বই নির্বাচিত হয়েছে। সে তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন কোনো কোনো স্বনামধন্য ও একুশে পদক পাওয়া লেখক।
প্রকাশকদের দাবি, একটি বইয়ের অনুমোদন হলে প্রায় এক কোটি টাকার কাজ পাওয়া যাবে। এ কারণে বাংলাবাজারের একটি প্রকাশনী সিন্ডিকেট ঘুষের মাধ্যমে বাড়তি বই বাগিয়ে নিয়েছে। কোনো কোনো প্রকাশনী নামে-বেনামে চার থেকে পাঁচটি বইয়ের কাজ পেয়েছে।
প্রকাশনার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরাসরি স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান করা কয়েকজন লেখকের বই শিশুদের পাঠ্য হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। এঁদের কেউ কেউ একসময় রবীন্দ্রসংগীত পাকিস্তানের আদর্শের বিরোধী বলে বক্তব্য উপস্থাপন করেছিলেন। পাকিস্তান সরকার রেডিও ও টেলিভিশন থেকে রবীন্দ্রসংগীত প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলে সে সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। মুক্তিযুুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন। বাংলা একাডেমির চরিতাভিধানে এঁদের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে পাঠানো পুস্তক সংগ্রহের নীতিমালার ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কোনো লেখকের গ্রন্থ নির্বাচন করা যাবে না। তালিকায় তিনটি ইংরেজি বইয়ের নাম থাকলেও এগুলোর প্রকাশক বা লেখকের নাম পাওয়া যায়নি। নাম দাখিলের বাধ্যবাধকতা দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে স্কিম উপপরিচালক আছিছুল আহসান কবীর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী লেখকের একাধিক বই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি আমরা শুনেছি। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ এলে আমরা তা মন্ত্রণালয়ে জানাব। বই অনুমোদনের প্রধান কাজ মন্ত্রণালয় দেখে। বই নির্বাচনে অর্থ লেনদেনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার জানা নেই। নির্দেশনা অনুযায়ী আমি প্রকাশকদের সঙ্গে বইয়ের দর-কষাকষির কাজ করি।’
সম্প্রতি গিয়ে স্কিম উপপরিচালকের কার্যালয়ের গেটের বাইরে কয়েকটি প্রকাশনীর লোকজনকে ভিড় করতে দেখা যায়। অপেক্ষমাণ প্রকাশনী মালিকদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা প্রকাশনী ও নিজেদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, ‘আমরা ছোট প্রকাশনী থেকে এসেছি। যাঁরা বড় বড় প্রকাশনী থেকে এসেছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন।’
বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের নিয়ে বই বাছাই কমিটি গঠন করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির কয়েকজন সদস্য জানান, দু-একটি বৈঠকের পর তাঁদের আর বৈঠকে ডাকা হয়নি। বই বাছাই কর্মকাণ্ড থেকে দূরে আছেন স্বয়ং কমিটির আহ্বায়ক।
কমিটির আহ্বায়ক মো. বেলায়েত হোসেন তালুকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া কমিটিতে অনেকে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের নিয়ে দু-একটি সভা হয়েছিল। এরপর স্কিম থেকে আমাদের ডাকা হয়নি, আমাদেরও যাওয়া হয়নি। এখন শুনছি বই বাছাইয়ে দর-কষাকষি কমিটি করেছে। এসব কাজে না যাওয়াই ভালো।’
স্কিম পরিচালক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন দাবি করেন, কমিটির আহ্বায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. বেলায়েত হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বে বই বাছাইয়ের কাজ চলমান আছে। কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে ‘বিশেষজ্ঞ প্যানেল’ তৈরি করা হয়েছে। প্যানেলের বাছাইকৃত বইয়ের তালিকা কমিটির অনুমোদনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বই বাছাই কমিটির উপদেষ্টা ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং স্কিমটির উপপরিচালক আছিছুল আহসান কবীরের নেতৃত্বে বই নির্বাচনের মূল কাজ করছেন কমিটির অধীনে থাকা ‘বিশেষজ্ঞ প্যানেল’। মুহম্মদ নূরুল হুদা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলার দরকার নেই। আমি এই স্কিমের সঙ্গে আর যুক্ত নেই, এক বছর আগে ছিলাম।’
রুলের বিষয়ে জানতে চাইলে স্কিম পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন কালের কণ্ঠকে বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো কাগজপত্র পাইনি। রুলের কাগজ পেলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পর্কিত খবর

বান্দরবানে সারজিস অবাঞ্ছিত ও এনসিপির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান ও রাঙামাটি প্রতিনিধি

পার্বত্য বান্দরবানের প্রতি ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে জেলার ছাত্রসমাজ। একই সঙ্গে বান্দরবানে এনসিপির সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা এসেছে ছাত্রনেতাদের পক্ষ থেকে।
গতকাল রবিবার দুপুরে বান্দরবান প্রেস ক্লাবে ছাত্রসমাজের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় ছাত্রনেতারা বলেন, গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রার এক সমাবেশে বান্দরবানকে ‘শাস্তিস্বরূপ চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বদলির জায়গা’ বলে মন্তব্য করেন সারজিস আলম।
ছাত্রনেতারা জানান, ওই মন্তব্যের পর তাঁরা এনসিপির স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সারজিস আলমকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ করেন। তাঁরা আশ্বাসও পান, ১৯ জুলাই বান্দরবানের পদযাত্রা কর্মসূচিতে সারজিস আলম ক্ষমা চাইবেন। কিন্তু ওই কর্মসূচিতে তিনি উপস্থিত ছিলেন না এবং এনসিপির কেন্দ্রীয় কোনো নেতা বিষয়টি নিয়ে মুখও খোলেননি।
বান্দরবান ছাত্রসমাজের নেতা আসিফ ইসলাম বলেন, ‘সারজিস আলম ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বান্দরবানে তাঁর উপস্থিতি এবং এনসিপির সব কার্যক্রম অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। পার্বত্যাঞ্চলকে শাস্তির জায়গা বলা মানে আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি আসিফ ইকবাল, সহসভাপতি মাহির ইফতেখার, আমিনুল ইসলাম, খালিদ বিন নজরুল, হাবিব আল মাহমুদ প্রমুখ।
রাঙামাটিতে এনসিপির পদযাত্রায় পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ
এদিকে গতকাল শনিবার রাঙামাটি শহরে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে নেওয়া নিরাপত্তাব্যবস্থায় শহরের একমাত্র গণপরিবহন অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু সাইয়েদ আহমেদ বলেন, ‘গাড়ি বন্ধ থাকায় সকালে প্রশ্নপত্র আনতেও সমস্যায় পড়ি। ৮৩৪ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা ছিল, অনেকে কেন্দ্রে পৌঁছতে দেরি করে।’
এনসিপির পদযাত্রা দুপুরে শিল্পকলা একাডেমি থেকে শুরু হয়ে বনরূপা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা যদি ভুল করি, সেটা সংশোধন করব। তবে কথার প্রতিবাদে সহিংসতা কিংবা ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হতে পারে না।’
তবে সমাবেশের কারণে পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগের ঘটনায় ছাত্রদল ও সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে। ছাত্রদলের জেলা সভাপতি ফারুক আহমেদ সাব্বির বলেন, ‘একটা রাজনৈতিক দল কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে পরীক্ষার দিন রাস্তায় সমাবেশ করে।’
ফেসবুক পোস্টে দুঃখ প্রকাশ সারজিসের
সমালোচনার মুখে গতকাল দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন সারজিস আলম। তিনি লেখেন, ‘সংগ্রাম, সৌন্দর্য ও সৌহার্দ্যের রাঙামাটি থেকে...
আমরা লড়াই করব সকল জাতিগোষ্ঠীর অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিয়ে; জুলাই পদযাত্রা থেকে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
বান্দরবান নিয়ে কিছুদিন আগে একটি বক্তব্যে যে অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দচয়ন হয়েছে, সেটার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস
এ বছর তিনটি যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্র এ বছর বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে তিনটি সামরিক মহড়া চালাবে এবং নতুন দক্ষতা সংযোজনের মাধ্যমে তাদের দীর্ঘদিনের অংশীদারি বজায় রাখবে। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস গতকাল রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
যৌথ সামরিক মহড়া ও নতুন দক্ষতা সংযোজন প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বলেছে, এগুলো আমাদের অভিন্ন নিরাপত্তা লক্ষ্যকে আরো দৃঢ় করবে। এই প্রচেষ্টাগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলকে আরো শক্তিশালী ও নিরাপদ করে তোলে।
টাইগার লাইটনিং মহড়া : টানা চতুর্থ বছরের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী প্যাসিফিক টাইগার লাইটনিং মহড়া পরিচালনা করবে। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, বাস্তবধর্মী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের সৈনিকরা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, শান্তিরক্ষা, জঙ্গলে অভিযান, আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত সরিয়ে নেওয়া এবং তাৎক্ষণিক বিস্ফোরক ডিভাইস (আইইডি) প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি অর্জন করবে।
টাইগার শার্ক ২০২৫ মহড়া : যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, টাইগার শার্ক (ফ্লাশ বেঙ্গল সিরিজের অংশ) একটি যৌথ প্রশিক্ষণ মহড়া যেখানে আমাদের দুই দেশের বিশেষ বাহিনী যুদ্ধকৌশল অনুশীলন করে। ২০০৯ সাল থেকে চলমান এই মহড়ায় প্যাট্রল বোট পরিচালনা এবং স্বল্পপাল্লার অস্ত্রের লক্ষ্যভেদে দক্ষতা অর্জনের অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা বাংলাদেশ স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ এবং প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডকে সংকট মোকাবেলায় আরো দক্ষ করে তুলবে।
প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল মহড়া : যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল। এই মহড়ায় আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, আমাদের সি-১৩০ বহরকে তুলে ধরা হবে। এটি দুর্যোগকালে আকাশপথে সরঞ্জাম সরবরাহ ও চলাচল সংক্রান্ত অভিযানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরকিউ-২১ কর্মসূচি চালু : যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সঙ্গে একত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি মানববিহীন আকাশযান ব্যবস্থা (ইউএএস) সক্ষমতা গড়ে তুলছে। বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি রেজিমেন্ট নতুন আরকিউ-২১ ব্ল্যাকজ্যাক সিস্টেম পরিচালনা করবে। এই সম্মিলিত উদ্যোগ বাংলাদেশকে সমুদ্রসীমা পর্যবেক্ষণ, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনায় সক্ষম করে তুলবে।

ডাকসু নির্বাচন ২০২৫
তফসিল ২৯ জুলাই ভোট সেপ্টেম্বরে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামী ২৯ জুলাই। এরপর নির্বাচন সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। গতকাল রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অংশীজনদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এসব তথ্য জানান ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা, সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর, প্রোক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, অনুষদের ডিন, শিক্ষকদের প্রতিনিধি, হল প্রভোস্ট, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।
স্বাগত বক্তব্য দেন ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী অংশীজনদের আগের পরামর্শের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সভায় জানানো হয়, নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে ছয়টি নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় আরো জানানো হয়, ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গত ৬ জুন থেকে এ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আরো ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত লাইট স্থাপন করা হয়েছে।

আবারও মালিকদের ধর্মঘটের হুমকি
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি পাঁচটি দাবি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-এর সংশোধন, বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ২০ ও ২৫ বছর থেকে বাড়ানোসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে সমিতি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই দাবিগুলো না মানা হলে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণাও দিয়েছে তারা। গতকাল দুপুরে সমিতির কার্যালয়ে মালিক ও শ্রমিকদের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. কফিল উদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাড. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনটি একটি প্রতিশোধপরায়ণ, নিপীড়নমূলক এবং ক্ষতিকর।