দেশ-বিদেশের খেলার মাঠে অনেক কিছু অর্জন করেছেন তিনি। তাঁর হাতের জাদুতে অনেকবার আনন্দে ভেসেছে বাংলাদেশ। তাঁর কান্নায় কেঁদেছেও অনেকে। তিনি হলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
গ্র্যাজুয়েট হলেন সাকিব
সৎভাবে কাজ করার আহ্বান
নিজস্ব প্রতিবেদক

অনেক অর্জনের মধ্যেও সাকিবের একটি আক্ষেপ ছিল। অবশেষে সেই আক্ষেপ দূর হয়েছে, পূরণ হয়েছে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এখন গ্র্যাজুয়েট। বেসরকারি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) থেকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে স্নাতক বিবিএ সম্পন্ন করেছেন তিনি।
এআইইউবির ২১তম সমাবর্তনে গতকাল রবিবার তাঁর হাতে সনদ তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। একই সঙ্গে পাঠ্যবহির্ভূত কার্যক্রমের জন্য তাঁর গলায় ড. আনোয়ারুল আবেদীন লিডারশিপ পদক তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এই সমাবর্তনে চার হাজার ৭২২ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়। সাকিব ছাড়াও এবারের সমাবর্তনে জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় মো. মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ, মো. এনামুল হক বিজয় ও কামরুল ইসলাম রাব্বী এবং অভিনেত্রী সাবিলা নূর ডিগ্রি অর্জন করেন।
সনদ নেওয়ার পর সমাবর্তন মঞ্চে বক্তব্য দেন সাকিব। স্বপ্নপূরণে সত্ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘সবাইকে দেখে খুব ভালো লাগছে। আমি শিউর আপনাদের লাইফ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। শুধু একটা কথাই বলতে চাই, যখন আপনারা স্বপ্ন দেখবেন, স্বপ্নটা বড় দেখবেন এবং স্বপ্নকে একটা টার্গেট করে অনেস্টলি কাজ করবেন।
স্নাতক ডিগ্রি পেয়ে সাকিব তাঁর স্বপ্ন পূরণ হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, “আমার মনে হচ্ছে টেস্ট ম্যাচে যখন ডেব্যু (অভিষেক) হয়েছিল, ক্যাপটা যখন পেয়েছিলাম, ঠিক সেই ফিলিংস আমার। সত্যি কথা বলতে আমি যখন ২০০৯ সালে, তখন আমার ন্যাশনাল টিমে খেলার তিন বছর হয়ে গেছে, তখন আম্মা যখন ফোন করত, ফার্স্ট কথাই জিজ্ঞেস করত, ‘পড়াশোনার কী অবস্থা?’ আজকে আমি খুবই খুশি, খুবই আনন্দিত এবং প্রাউড যে ফাইনালি আমার এই স্বপ্নটা পূরণ হলো। খেলার মাঠে হয়তো বেশ কিছু অ্যাচিভমেন্ট আছে আমার। বাট, এটা সব সময় আমার স্বপ্ন ছিল।”
এ জন্য এআইইউবির শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানান সাকিব। বলেন, ‘আমি নাদিয়া আপুকে ধন্যবাদ জানাব স্পেশালি। কারণ সারাক্ষণ তাঁর পুশের কারণে আমি এটা কমপ্লিট করতে পেরেছি। থ্যাংক ইউ নাদিয়া আপু। আমার সকল কোর্স টিচারকে আমি থ্যাংকস জানাতে চাই। তাঁদের সাপোর্ট ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। এআইইউবিকে ধন্যবাদ দিতে চাই, তারা যেভাবে সাপোর্ট করেছে, শুধু আমি নই, আমাদের ক্রিকেট টিমের অনেকেই এখানে পড়াশোনা করেছে। তাদের যেভাবে সাপোর্ট করেছে, তার জন্য এআইইউবিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’
গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এখন পৃথিবী আলোর গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। সেই গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের ক্রমাগত নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালগুলোকে মডিউলার এডুকেশনে যেতে হবে। বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি কোর্স (শর্ট কোর্স) করাতে হবে। একই সঙ্গে সত্যিকারের সফল মানুষ হতে নিজেদের ইতিহাস, জাতি ও পরিচয় সম্পর্কে জানতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী শিক্ষার্থীদের ভাষা শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘আমরা আমাদের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইংরেজি ভাষায় পড়াশোনা করছি। কিন্তু ইংরেজি, বাংলা বা অন্য যেকোনো ভাষায় যোগাযোগ করার দক্ষতায় বৈশ্বিক মানদণ্ডে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। তাই যে বিষয়েই আমরা পড়ি না কেন, ভাষার ওপর বিশেষভাবে মনোযোগী হতে হবে। যদি মনে করি চ্যাটজিপিটি এসে গেছে, আর কিছু শিখতে হবে না, তাহলে বড় ভুল করব।’
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এআইটি) প্রেসিডেন্ট প্রফেসর কাজুও ইয়ামামোতো। গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তোমাদের পরিশ্রম, শিক্ষা ও অঙ্গীকার তোমাদেরকে আজকের এই দিনে নিয়ে এসেছে। নিজেদের অর্জন নিয়ে তোমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। কিন্তু তোমাদের চলা (জার্নি) এখানেই শেষ নয়। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং সেভাবে নিজেদের বিকশিত করতে তোমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সম্পর্কিত খবর

বিজিবি মোতায়েন


পালিয়েছেন ঠিকাদাররা ইতিহাসের সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন
এম আর মাসফি

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন নেমে এসেছে ইতিহাসের সবচেয়ে নিচে। সদ্য শেষ হওয়া এই অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার হয়েছে মাত্র ৬৭.৮৫ শতাংশ, যা গত দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এই চিত্র।
অর্থবছরের শুরু থেকেই এডিপি বাস্তবায়নে গতি ছিল মন্থর।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অযাচিত ব্যয় বন্ধে কঠোরতা আরোপ প্রকল্প যাচাই-বাছাই ও অপ্রয়োজনীয় খাতগুলোতে অর্থছাড় বন্ধ বা সীমিত করে দেওয়া হয়। এর ফলে একদিকে উন্নয়ন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে এলেও অন্যদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন মারাত্মকভাবে শ্লথ হয়ে পড়ে।
আইএমইডির তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে এক হাজার ৪৬৮টি প্রকল্প ছিল এডিপির আওতায়।
অর্থবছরের শেষ মাস জুনেও দেখা গেছে ব্যয় কমে যাওয়ার প্রবণতা। এ মাসে খরচ হয়েছে ৪২ হাজার ৪৪৫ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা সংশোধিত বরাদ্দের মাত্র ১৮.৭৭ শতাংশ।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে সবচেয়ে বড় ধস দেখা গেছে বিদেশি সহায়তানির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে। সংশোধিত এডিপিতে বিদেশি ঋণ ছিল ৮১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৫৩ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ৬৫.৫৩ শতাংশ। এই হারও ইতিহাসে সর্বনিম্ন। এমনকি কভিড মহামারির মধ্যেও এই খাতে ব্যয় হয়েছিল ৯২ শতাংশের বেশি।
আইএমইডির ওয়েবসাইট বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৪-০৫ অর্থবছর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত কোনো অর্থবছরেই এডিপি বাস্তবায়নের হার ৮০ শতাংশের নিচে নামেনি। করোনাকালে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাস্তবায়নের হার ছিল ৮০.৩৯ শতাংশ, যা এবারকার তুলনায় ১২.৫৪ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৯৪.৬৬ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছিল। এ ছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ৯৪.০২ শতাংশ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৯২.৭২ শতাংশ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯২.৭৪ শতাংশ এবং ২০১১-১২, ২০১৩-১৪ অর্থবছরেও ৯৩ শতাংশের ওপরে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল। এককথায়, কোনো অর্থবছরেই বর্তমান অর্থবছরের মতো এত খারাপ হয়নি।
এডিপি বাস্তবায়নে খাতভিত্তিক চিত্রেও ব্যাপক বৈষম্য লক্ষ করা গেছে। কিছু কিছু মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বরাদ্দের অর্ধেকও বাস্তবায়ন করতে পারেনি। সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে স্বাস্থ্য খাত। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের বাস্তবায়ন হার ছিল মাত্র ১৫.৩৬ শতাংশ। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খরচ করেছে ২১.৭৪ শতাংশ। এ ছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয় ৩৭.৪৬ শতাংশ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ৩২.০২ শতাংশ, জননিরাপত্তা বিভাগ ৩৯.৫৫ শতাংশ এবং সরকারি কর্ম কমিশন ৩৭.৪৬ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে।
অন্যদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৯৯.৫৪ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগ ৯৮.১০ শতাংশ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ৯৮ শতাংশ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৯৪.৭৭ শতাংশ, কৃষি মন্ত্রণালয় ৯১.০৭ শতাংশ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ৯১.৫৮ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে। সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ, তারা তাদের বরাদ্দকৃত ৩৬ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় করেছে ৩০ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা, যা ৮৪.৫০ শতাংশ।
এ বিষয়ে আইএমইডির সাবেক সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অন্য অর্থবছরগুলোর তুলনায় এবারের এডিপি বাস্তবায়ন কম হয়েছে, এটা ঠিক। তবে সরাসরি তুলনা সঠিক হবে না, কারণ গত অর্থবছরের প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। মূলত রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রভাবে এমনটি হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পরে অন্তর্বর্তী সরকার অযাচিত অর্থ খরচে কঠোর হয়। এ কারণে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সেই সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দেওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’
বিশ্লেষকদের মতে, শুধু বাজেট বরাদ্দ দিলেই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। পরিকল্পনা, দক্ষতা ও প্রশাসনিক সক্ষমতা—এই তিনের সমন্বয় না হলে এডিপি বার্ষিক টার্গেটের নিচেই থেকে যাবে। প্রতিবছর এডিপি বাস্তবায়নে গতিশীলতা আনতে সরকারের তরফ থেকে চাপ দেওয়া হলেও বাস্তব ফলাফল দৃশ্যমান নয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের দক্ষতা বাড়ানো, দীর্ঘসূত্রতা কমানো এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে কার্যকর জবাবদিহির আওতায় আনাই হতে পারে ভবিষ্যতের বাস্তবায়ন সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির
কোনো মাস্তানতন্ত্র, কালো টাকার খেলা মানব না
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

নির্বাচন বিলম্বিত হলে জটিলতা সৃষ্টি হবে জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘তবে আমরা কোনো প্রি-ম্যাচিউর ডেলিভারি চাচ্ছি না। যে বাচ্চা ছয় মাসের মাথায় জন্ম নেয় তাকে ইনকিউবেটরে রাখতে হয়। ওই বাচ্চা সারা জীবন দুর্বল থাকে। আমরা এ রকম কোনো দুর্বল ও ইমম্যাচিউর গণতন্ত্র ও নির্বাচন চাচ্ছি না।
গতকাল বুধবার বিকেলে সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জামায়াতে ইসলামীর জনশক্তি ও সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘অবশ্যই দেশকে সুশৃঙ্খল অবস্থানে আনতে আমাদের একটি কার্যকর নির্বাচন লাগবে। আমরা আশা করছি, আগামী বছরের প্রথম অংশে এ নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্বাচন কেমন চাই? আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য—অতীতের বস্তাপচা ধারার কোনো নির্বাচন আমরা চাই না এবং মেনে নেব না।
স্থানীয় নির্বাচন আগে দেওয়ার বিষয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলেছি দুর্ভোগ কমানোর জন্য। বহু জায়গায় জনপ্রতিনিধি নেই—জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
প্রবাসীদের ভোটাধিকারের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই গণ-অভ্যুত্থান আমরা একা করিনি। আমাদের প্রবাসীরাও এতে সমান কৃতিত্বের দাবিদার। তাঁদের ভোটাধিকার কেন থাকবে না? প্রবাসীদের ভোটাধিকার নেই বলে সরকারও তাঁদের গুরুত্ব দেয় না। তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হয় কেবল এক জায়গায়—রেমিট্যান্স পাঠাতে বলে।’ আল্লাহর ইচ্ছায় আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘জমিনের দায়িত্ব ও কৃতিত্ব বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের।
তরুণদের কাজে লাগানোর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক দেশে ৪২ শতাংশের বেশি জনশক্তি রয়েছে, যাদের বয়স ৭০ বছরের বেশি। আমাদের দেশে ৩৫ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের সংখ্যা বেশি। এরাই একটি সমাজকে গড়ে দিতে পারে। এটি বিশাল একটি শক্তি আমাদের দেশের। আমাদের মাটির নিচে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন। মাটির ওপরেও দিয়েছেন, সমুদ্রের তলেও দিয়েছেন। কিন্তু এত সম্পদ দেওয়ার পরও কেন আমরা দেশটা গড়তে পারলাম না? উত্তর একটিই—চারিত্রিক সম্পদের অভাব।’ দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘যাঁরাই যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বে গেছেন তাঁরা প্রথমে চিন্তা করেছেন—আমার সুবিধাটা কোথায়? এরপর চিন্তা করেছেন—আমার দলের সুবিধা কোথায়? এই দুই সুবিধা নিতে গিয়ে তারা হাঁপিয়ে উঠেছেন। এরপর জনগণের দিকে ভালোভাবে ফিরে তাকানোর সময় তারা পাননি।’ তিনি দুঃখ করে বলেন, ‘এরা দুদককে ভয় পায়, আল্লাহকে ভয় পায় না। যদি তারা আল্লাহকে ভয় পেত, তাহলে জনগণের সম্পদে হাত দিত না।’

মমতাময়ী শিক্ষিকা মেহরিনের প্রশংসা করে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শোক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত ও হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। পাশাপাশি প্রশংসা করেছেন ২০ শিশুকে বাঁচানো শিক্ষিকা মেহরিন চৌধুরীর।
গতকাল বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ঢাকার স্কুলে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা শোনার পর বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমার খারাপ লাগছে।