ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

‘রাস্তা আটকে উন্নয়ন আর কত দিন’

  • সরেজমিন তেজকুনিপাড়া ও পশ্চিম তেজতুরী বাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘রাস্তা আটকে উন্নয়ন আর কত দিন’
তেজতুরী বাজার : রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে চলছে পয়োনিষ্কাশন পাইপ বসানোর কাজ। কিন্তু কাজে ধীরগতি থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। গতকাল রাজধানীর গ্রিন রোডের পশ্চিম তেজতুরী বাজার এলাকা থেকে তোলা। ছবি : লুৎফর রহমান

পাঁচ মাস ধরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন অংশে চলছে সড়ক ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ। রাস্তা আটকে করা এসব নির্মাণকাজে বিলম্ব হওয়ার ফলে ভুগছে ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। কালের কণ্ঠের সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে এসব।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তেজকুনিপাড়া পোস্ট অফিস মোড় থেকে বিজয় সরণির উড়ালসেতুর নিচ পর্যন্ত রাস্তা আটকে চলছে সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের কাজ।

এ রাস্তা দিয়ে ফার্মগেট হয়ে মহাখালী, উত্তরা ও এয়ারপোর্টের দিকে যাতায়াত করা যায়। রাস্তা বন্ধ থাকায় বাড়ছে ভোগান্তি ও যানজট।

এলাকাবাসী জানায়, রোজার ঈদের আগে কাজ শুরু হলেও কয়েক দিনের মধ্যে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আরো কয়েকবার কাজ শুরু ও বন্ধ হয়।

এলাকার বাসিন্দা আব্দুল খালেক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যেভাবে কাজ চলছে তাতে দুই মাসেও শেষ হবে না। রাস্তা আটকে উন্নয়ন করা হবে কত দিন? এরা শুধু আমাদের ভোগান্তিতে ফেলতে পছন্দ করে। সব কয়টি রাস্তা এই কাজের জন্য বন্ধ হয়ে আছে।’

একই অভিযোগ করেন রাজধানীর হলি ক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী হাবিবা আলম।

তিনি বলেন, ‘রাস্তা খোঁড়ার পর থেকেই চলাচলে খুব অসবিধা হচ্ছে। বৃষ্টি হলে তো আরো বেশি অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। পুরো রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। স্লিপ খাওয়ারও আশঙ্কা থাকে।’

একই চিত্র ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম তেজতুরী বাজার এলাকার আব্দুল হালিম কমিউনিটি সেন্টারের সামনের সড়কে।

সেখানে এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে রাস্তা ভেঙে বসানো হচ্ছে পয়োনিষ্কাশন পাইপ। সরু রাস্তাটির অক্ষত অংশে ফেলে রাখা হয়েছে পয়োনিষ্কাশনের পাইপ। ভাঙা অংশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বাসিন্দারা।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিন সপ্তাহ ধরে ঢিমে তালে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে। মহল্লার বাসিন্দাদের হেঁটে চলাচলের জায়গায়ও অবশিষ্ট নেই। রাস্তায় রাখা গোল পাইপের ভেতর দিয়ে হেঁটে, কমিউনিটি সেন্টারের গ্যারেজ পেরিয়ে স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

দুপুরে কমিউনিটি সেন্টারের সামনে কলেজ শিক্ষার্থী সিয়াম বলেন, ‘এক মাস ধরে এই রাস্তায় হাঁটার কোনো উপায় নেই। আমরা প্রতিদিন এভাবেই কলেজে যাচ্ছি। কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকার উপায় নেই। কাজ আর শেষ হচ্ছেই না।’

কাউন্সিলর ও ডিএনসিসি কর্মকর্তার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

উন্নয়নে দীর্ঘসূত্রতার জন্য একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীম হাসান এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা।

ডিএনসিসির বরাতে জানা যায়, প্রকল্প দুটিতে মোট দুই কোটি ৮৩ লাখ পাঁচ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তেজকুনিপাড়া পোস্ট অফিস মোড় থেকে বিজয় সরণির উড়ালসেতু পর্যন্ত প্রকল্পের আড়াই কিলোমিটার সড়কের জন্য এক কোটি ছয় লাখ ৩৮ হাজার এবং পশ্চিম তেজতুরী বাজার এলাকার আব্দুল হালিম কমিউনিটি সেন্টারের সামনের সড়কের জন্য এক কোটি ৭৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রকল্প দুটির মেয়াদ যথাক্রমে পাঁচ ও ছয় মাস হলেও বিলম্বে কাজ শুরু করেন ঠিকাদাররা।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএনসিসি অঞ্চল-৫-এর এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কাজটি সময়মতো শুরু হয়নি। কাজটি শুরু করতে গেলে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাধা দেন। তিনি কাজটি রমজানের ঈদের পর শুরু করতে বলেন। ঈদের পর আমরা আবার কাজ শুরু করলে কিছুদিন পর তিনি আবার কাজ বন্ধ করে দিতে বলেন। যার কারণে আমরা কোরবানির ঈদের পর পুরোপুরি কাজ ধরতে পেরেছি।’

আর প্রকল্পের বিষয়ে কিছুই জানেন না দাবি করে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামিম হাসান বলেন, ‘এই কাজের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ঠিকাদাররা আমাদের সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনাই করে না। তারা সিটি করপোরেশন থেকে অনুমোদন নিয়ে কাজ করতে থাকে। কতটুকু কাজ হয়েছে, কবে শেষ হবে—কিছুই আমাদের জানায় না।’ ডিএনসিসির বাধা দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা কাজ শুরু করতেই এসেছিল রোজার ঈদের দু-তিন দিন আগে। সে জন্য ওই সময় কাজ করতে মানা করেছি।’

রাস্তার উন্নয়নকাজ কবে নাগাদ শেষ হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তেজকুনিপাড়া অংশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জীবন কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘সম্পূর্ণ কাজ শেষ হতে এক মাস সময় লাগবে।’

পশ্চিম তেজতুরী বাজার অংশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ট্রিমস করপোরেশনের প্রতিনিধি মো. মাহমুদও জানান, রাস্তা পুরোপুরি ঠিক হতে আরো মাসখানেক সময় লাগব।

তেজকুনিপাড়া : দেখে মনে হতে পারে ডোবা বা নালা, আসলে এটি তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়ার একটি সড়ক। পয়োনিষ্কাশনের পাইপ বসানোর জন্য রাস্তা খুঁড়ে ফেলে রাখায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।     ছবি : কালের কণ্ঠ  

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ