আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ছয়জন প্রার্থী। যাচাই-বাছাইয়ে এই ছয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী। রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামার কপি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পাওয়া গেছে। ছয় মেয়র পদপ্রার্থীর হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, কুসিকের সদ্য সাবেক মেয়র ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (গতকাল রাতে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত) মনিরুল হক সাক্কু গত পাঁচ বছরে নগদ টাকাসহ বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
সাক্কুর সম্পদ বেড়েছে, নগদ টাকা নেই রিফাতের
আবদুর রহমান, কুমিল্লা

হলফনামায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আরফানুল হক রিফাত উল্লেখ করেছেন, ব্যাংকে টাকা ও সম্পদ থাকলেও তাঁর হাতে নগদ টাকা নেই। কুসিক প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত দুটি নির্বাচনে জয়ী হয়ে মেয়র ছিলেন সাক্কু।
২০১৭ সালের ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত কুসিকের দ্বিতীয় নির্বাচনে সাক্কুর হাতে নগদ টাকা ছিল ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩০৬ টাকা।
স্থাবর সম্পদের তালিকায় গত নির্বাচনের সময় দেওয়া হলফনামার তথ্যানুযায়ী বসুন্ধরায় সাক্কুর তিন কাঠা, মধুমতীতে পাঁচ কাঠা, স্বদেশে পাঁচ কাঠা করে দুটি প্লট এবং ০.০১৬ একর, ০.৪১৯৯ একর ও ০.০৯২৩ একর অকৃষি জমি ছিল। এ ছাড়া চার হাজার ৬৯০ বর্গফুটের দোকান ও ফ্ল্যাট ছিল। এবারের হলফনামায় সাক্কু উল্লেখ করেছেন, যৌথ মালিকানাধীন ২০ একর কৃষিজমি (নিজ অংশ ১৭ ভাগের ২ ভাগ), লালমাইয়ে ২৫০ শতক কৃষি জমি, বসুন্ধরায় তিন কাঠা, মধুমতীতে পাঁচ কাঠা, স্বদেশে পাঁচ কাঠা করে দুটি প্লট, কুমিল্লা সদরের বজ পুরে যৌথ মালিকানাধীন ৬ এবং ১৭ শতকের দুটি জমি (নিজ অংশ ১৭ ভাগের ২ ভাগ) রয়েছে তাঁর। এ ছাড়া কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় এলাকার ফাতেমা জাহানারা টাওয়ারে এক হাজার ৯৫০ বর্গফুট, ২৫৮ বর্গফুট, ১৯০ বর্গফুট ও এক হাজার ৮৪০ বর্গফুটের চারটি দোকান এবং এক হাজার ৬৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। একই এলাকার সাত্তার খান কমপ্লেক্সে রয়েছে একটি দোকান।
স্থাবর সম্পদের তালিকায় গত নির্বাচনের সময় হলফনামায় সাক্কুর স্ত্রীর নামে কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকার সেল নিশা টাওয়ারের দোতলায় ১২টি দোকান, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় সাত হাজার ২৫৬ বর্গফুটের রেডরোফ ইন হোটেল, ষষ্ঠ ও সপ্তম তলায় দুটি ফ্ল্যাট, ফাতেমা জাহানারা টাওয়ারে তিন হাজার ২২৯ বর্গফুটের স্পেস রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এবারের হলফনামায় উল্লেখ করা হয়, সাক্কুর স্ত্রীর নামে গাইবান্ধায় ১.২৩ একর কৃষিজমি, বসুন্ধরায় তিন কাঠা জমি, কুমিল্লা নগরীর সেল নিশা টাওয়ারের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় সাত হাজার ২৫৬ বর্গফুটের রেডরোফ ইন হোটেল, একই ভবনে দুটি ফ্ল্যাট, ঢাকার ধানমণ্ডিতে দুটি দোকান, কুমিল্লা সদরের বজ পুরে ০.৫ একর ভিটি, একই এলাকায় নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে ১৭টি ফ্ল্যাট, ঢাকার গুলশানে তিন হাজার ৮২৭ বর্গফুট, তিন হাজার ৩৭৩ বর্গফুট, তিন হাজার ৩১৭ বর্গফুট ও তিন হাজার ৩৯০ বর্গফুটের চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
গত নির্বাচনে হলফনামায় সঞ্চয়পত্র বাবদ সাক্কুর ছিল দুই লাখ টাকা। এবার তা দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখ টাকায়। তাঁর স্ত্রীর ছিল ২৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। এবার হয়েছে ৩৯ লাখ ৫৯ হাজার ৩৬৪ টাকা। বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে সাক্কুর বার্ষিক আয় চার লাখ আট হাজার টাকা, তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের আয় ৬৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩৬ টাকা। মেয়র পদে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। সাক্কুর স্ত্রী ব্যবসায় পুঁজি খাটিয়েছেন ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এ ছাড়া সাক্কুর ব্যাংকে জমা আছে দুই লাখ ৯৪ হাজার ২৭ টাকা আর তাঁর স্ত্রীর জমা আছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৭৫৭ টাকা। দুজনের গাড়ি আছে দুটি। দুজনের স্বর্ণ আছে ১০ তোলা করে। পুঁজিবাজারে সাক্কুর দুই লাখ টাকাসহ আরো বেশ কিছু সম্পদের উল্লেখ আছে হলফনামায়।
সাক্কুর বিরুদ্ধে ঢাকার রমনা থানায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে একটি এবং আয়কর অধ্যাদেশ আইনে কুমিল্লায় একটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরো ১০টি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি।
এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের নামে একটি হত্যা মামলা থাকলেও সেটি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই। রিফাতের হাতে নগদ কোনো টাকা নেই। তবে ব্যাংকে তাঁর নামে ছয় লাখ ১২ হাজার ৪৯৫ টাকা রয়েছে। তাঁর স্ত্রীর নামে আছে ৩৩ হাজার ২০০ টাকা। রিফাতের বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয় আছে ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৪ টাকা। তাঁর গাড়ি আছে দুটি। রিফাতের ২০ ভরি স্বর্ণ ও তাঁর স্ত্রীর ৩০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রিফাতের নামে কুমিল্লার সালমানপুরে ১৭ শতক ও স্ত্রীর নামে ছয় শতক সম্পত্তি রয়েছে। রিফাতের ঢাকা ও কুমিল্লায় দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এ ছাড়া রিফাতের যৌথ মালিকানাধীন আরো কিছু সম্পদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে হলফনামায়।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরানের হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে তিনি বিএসএস পাস। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দুটি মামলা বিচারাধীন। অস্ত্র আইনে ১০ বছরের সাজা পাওয়া একটি মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া একটি হত্যা ও একটি হত্যাচেষ্টা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। ইমরানের হাতে নগদ দুই লাখ ৪২ হাজার ৭৪২ টাকা আছে। ব্যাংকে জমা আছে তিন লাখ ১৭ হাজার ২৫৮ টাকা। তাঁর স্ত্রীর নামে ব্যাংকে আছে সাত লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইমরান ও তাঁর স্ত্রীর গাড়ি আছে দুটি। স্বামী-স্ত্রীর স্বর্ণ আছে ৭৫ তোলা। কৃষি খাত থেকে ইমরানের বার্ষিক আয় ২০ হাজার টাকা আর ব্যবসা থেকে আয় ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। নিজের নামে কৃষিজমি আছে ৭৭.৬৬ শতক। ঢাকায় ফ্ল্যাট আছে একটি। এ ছাড়া লালমাই পাহাড়ে জমি আছে ১.১২ একর।
বিএনপিপন্থী আরেক প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার বি কম পাস করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে আটটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন। এ ছাড়া আরো ছয়টি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। কায়সারের চাকরি থেকে বার্ষিক আয় আট লাখ ৪০ হাজার টাকা।
ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম কামিল পাস। শিক্ষকতা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় তিন লাখ ১৮ হাজার টাকা। হাতে নগদ টাকা আছে ৫০ হাজার। স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল এইচএসসি পাস। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা নিষ্পত্তির পর্যায়ে রয়েছে। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা।
সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা


কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
- চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।
ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।
বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।
স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।
উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি ‘রাডার থেকে হারিয়ে যায়’, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।
১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।
সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স