ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা জাতিসংঘের

  • ‘সামরিক বাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ যুদ্ধাপরাধ করছে’
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
শেয়ার
মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা জাতিসংঘের

মিয়ানমারে জান্তার বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের পরিধি বিস্তৃত হওয়ায় গৃহযুদ্ধের বড় ধরনের আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। গতকাল বৃহস্পতিবার জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৪৮তম অধিবেশনে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট। প্রতিবেদনে মিয়ানমারের জনগণের ওপর সামরিক বাহিনীর চলমান নির্যাতন-নিপীড়নকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ ও ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মানবাধিকার পরিষদকে জানান, সম্ভাব্য আরো বড় সংঘাত-সহিংসতা প্রতিরোধ ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা জোরদারের সময় ফুরিয়ে এসেছে।

উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উত্খাত করে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এর পর থেকে দেশটিতে ব্যাপক সংঘাত-রক্তপাত চলছে। এদিকে মিয়ানমারের নির্বাচিত সব দলের জনপ্রতিনিধিরা মিলে জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করেছে।

ওই সরকার জান্তার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতা বাড়ছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট বলেছেন, সংঘাত ক্রমেই বড় হয়ে ওঠার আগেই তা ঠেকাতে জরুরি উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারির বড় ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়ছে মিয়ানমারে।

অর্থনীতিতে ধস নামছে। এর পরও মানবিক বিপর্যয় থামার কোনো লক্ষণ নেই।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থান ঘটানোর পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গণগ্রেপ্তার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করছে। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার, স্বাধীনতা, ব্যক্তি নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার ব্যাপক লঙ্ঘন ঘটছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা ও সশস্ত্র প্রতিরোধ দুটিই বেড়েছে।

মিশেল ব্যাশেলেট বলেন, ‘সামরিক খাত সংস্কার ও দায়মুক্তি মোকাবেলায় আগের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন বা মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে সামরিক কর্তৃপক্ষের কোনো প্রচেষ্টা গ্রহণের লক্ষণ নেই। এটি জোরালোভাবে জবাবদিহির গুরুত্বকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে।’

জাতিসংঘ জানায়, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ৭০ জনেরও বেশি ব্যক্তি ও সাক্ষী, দূর থেকে পর্যবেক্ষণ, উন্মুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-উপাত্ত এবং অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠকের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। সামরিক বাহিনী আট হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা, বিক্ষোভকারী ও সাংবাদিকরাও আছেন। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক মাসে নিরাপত্তা হেফাজতে অন্তত ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী বেসামরিক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে অব্যাহতভাবে দুর্ব্যবহার ও নির্যাতন করছে। তাদের খাবার, পানি ও ঘুমাতে দেওয়া হয় না। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের ফলে অনেক আন্দোলনকারীও হাতে অস্ত্র তুলে নিতে উৎসাহিত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে এই সংকটের প্রভাব হবে মর্মান্তিক ও ভয়ংকর। আঞ্চলিক প্রভাবও ব্যাপক হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘খুব বেশি দেরি হওয়ার আগেই সংঘাত প্রতিরোধ ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা অবশ্যই জোরদার করা উচিত।’

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুত্ফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাত্ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাত্ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহূত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহূত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ