‘বেশ কয়েকজন ছেলে-মেয়ে এভারেস্ট অভিযানের জন্য প্রস্তুত। তাঁরা এই অভিযানের জন্য কয়েক বছর ধরে তৈরি করেছেন নিজেদের। কিন্তু স্পন্সরের অভাবে থমকে আছে তাঁদের পর্বতাভিযান। রাষ্ট্রীয়ভাবে যেমন পর্বতারোহণকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে না, তেমনি করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতাও খুব বেশি মিলছে না।
সংকটে ধুঁকছে পর্বতাভিযান
- প্রথম বাংলাদেশি নারী নিশাত মজুমদারের এভারেস্ট জয়ের ৯ বছর
তৈমুর ফারুক তুষার

২০১২ সালের ১৯ মে নিশাত মজুমদার এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন।
২০১২ সালে তিন বাংলাদেশি পর্বতারোহী এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন।
পর্বতারোহীদের পৃষ্ঠপোষকতার সংকট প্রসঙ্গে নিশাত মজুমদার বলেন, ‘আমাদের দেশে পর্বতারোহণকে এখনো সেভাবে স্পোর্টস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এটাকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে নিতে হবে। রাষ্ট্রকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আরো বেশি এগিয়ে আসতে হবে। নতুন একটি স্পোর্টস কোনো দিনও এসব পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া দাঁড়াতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘পর্বতারোহণ বেশ ব্যয়বহুল একটি স্পোর্টস। ফলে ব্যক্তিগতভাবে এর ব্যয় বহন করা কষ্টসাধ্য। আর স্পোর্টসে তো মানুষ নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করার কথা নয়। আমাদের খুব কাছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও কিন্তু পর্বতারোহণে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাজেট রাখা হয়। প্রতিবছর অনেকে অভিযানে যান। কিন্তু আমাদের এখানে তা নেই। আমাদের এখানে করপোরেট স্পন্সর জোগাড় করাও কঠিন। প্রক্রিয়াটাও সম্মানজনক নয়। আমি নিজে একটি প্রতিষ্ঠানে স্পন্সর চাইতে গিয়ে শুনতে হয়েছে, আপনাকে টাকা দিয়ে লাভ কী। মোটকথা পর্বতারোহণ নিয়ে রাষ্ট্রের ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে।’
পর্বতারোহণের গুরুত্ব প্রসঙ্গে নিশাত মজুমদার বলেন, ‘যত বেশি তরুণ পর্বতারোহণে যুক্ত হবে, দেশের জন্য তা কল্যাণকরই হবে। স্পোর্টসে যুক্ত ছেলে-মেয়েরা কিন্তু মাদকে আসক্ত হয় না। তরুণদের মধ্যে কিন্তু রোমাঞ্চকর নানা অনুভূতি কাজ করে। তারা স্পোর্টসে যুক্ত হয়ে নানা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা পেয়ে যায়। ফলে তাদের বিপথগামী হওয়ার আশঙ্কা কমে।’
নিজের পর্বতারোহণে যুক্ত হওয়া ও এভারেস্ট অভিযান প্রসঙ্গে নিশাত বলেন, ‘আমার অ্যাডভেঞ্চার ভালো লাগে। ২০০৩ সালে পর্বতারোহণের সঙ্গে যুক্ত হই। বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এভারেস্ট অভিযানের আগে দীর্ঘ ১০ বছর প্রস্তুতি নিই। এর মধ্যে ট্রেনিং, ছয় হাজার, সাত হাজার মিটার পর্বত অভিযান সম্পন্ন করি।’
এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছানোর অনুভূতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এভারেস্ট নিয়ে আমার সবচেয়ে ভালো লাগার অনুভূতি হলো দেশে ফেরার পর। যখন দেখলাম এ দেশের অনেক নারীর মধ্যে নতুন এক ধরনের চিন্তার সাহস তৈরি হচ্ছে, তারা ভাবতে পারছে নারীরাও দুর্গম পর্বতে চড়তে পারে। তাদের চিন্তার এই পরিবর্তনটা আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে।’
নিশাত মজুমদার জানান, বর্তমানে তিনি ওয়াসার প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে কর্মরত। অভিযাত্রী নামের একটি সংগঠন করছেন। এই সংগঠন থেকে ছেলে-মেয়েদের ক্রীড়াজগতের দিকে আগ্রহী হতে উদ্বুদ্ধ করছেন। পর্বতারোহণ, ট্র্যাকিং, সাইক্লিং, সাঁতারসহ নানা অ্যাডভেঞ্চারে ছেলে-মেয়েদের উৎসাহিত করছেন।
সংসার, চাকরি, পর্বতারোহণ—এসবের সমন্বয় করেন কিভাবে জানতে চাইলে নিশাত মজুমদার বলেন, ‘আসলে আমি কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী, সংসারে পরিবারের সদস্যদের খুবই সহযোগিতা পাই। এ জন্যই সব কিছু চালিয়ে যেতে পারছি।’
সম্পর্কিত খবর

স্বস্তির জয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ
সাইদুজ্জামান, ডাম্বুলা থেকে

ক্রিকেট ম্যাচ, তার ওপর রবিবার। গতকাল তাই উদ্দাম পার্টির প্রস্তুতি ছিল রনগিরি ডাম্বুলা স্টেডিয়ামের উপড়ে পড়া গ্যালারির। ম্যাচ শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকে ডিজের মিউজিক, দর্শকদের ড্রাম পেটানো আর ট্রাম্পেটের চড়া সুরে কান পাতা দায়। সেই পার্টিই মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে যায় দারুণ ক্ষিপ্রতায় কুশল মেন্ডিসকে শামীম হোসেন রান আউট করতেই।
বিশ ওভারের ক্রিকেটে ছন্দ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুতলয়ের ক্রিকেটে ছন্দের সেই গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে পেয়ে আর পেছনে তাকায়নি বাংলাদেশ দল।
অবশ্য ম্যাচজুড়েই শামীমের প্রতিপত্তি দেখা গেছে।
কিন্তু সে ধারণা ভুল প্রমাণ করেছেন লিটন ও শামীম। অধিনায়কের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়ে তাওহিদ ফেরেন, একই ওভারে তাঁর সঙ্গে ড্রেসিংরুমে যোগ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই ধাক্কায় অবশ্য কাবু হওয়ার অবস্থায় নেই শামীম। আগের ম্যাচে ৫ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকা এই বাঁহাতি শুরু থেকে চড়াও হন লঙ্কান বোলারদের ওপর। ওদিকে অধিনায়কও থিতু হয়ে গেছেন উইকেটে। তাঁরা জুটি বেঁধে ছোটান রানের গতি। পঞ্চম উইকেট জুটিতে লিটন ও শামীম মিলে তোলেন ৭৭ রান, তা-ও মাত্র ২১ বলে! ১৩ ম্যাচ পর ফিফটির দেখা পান লিটন, যা তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বাদশ পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংস। এক বাউন্ডারি আর পাঁচ ছক্কায় ৫০ বলে ৭৬ রান করে যখন আউট হন অধিনায়ক, ততক্ষণে লড়াইয়ের জন্য আশাব্যঞ্জক পূঁজি এক রকম হয়ে গেছে বাংলাদেশের। শেষ ওভারে স্ট্রাইক পেতে মরণপণ দৌড়েও ক্রিজে পৌঁছাতে পারেননি শামীম। তাতে ২৭ বলে তাঁর ৪৮ রানের ইনিংস পঞ্চাশ ছুঁতে না পারার আক্ষেপে শেষ হয়েছে। অবশ্য তাঁর মনে কোনো আক্ষেপ নেই, ‘দল জিতেছে। তাতে অবদান রাখতে পেরেছি। এতেই আমি খুশি।’ শামীম আরো খুশি ১৬ জুলাই কলম্বোয় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা নয়, জয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
ম্যাচ শুরুর আগের রনগিরি ডাম্বুলা স্টেডিয়ামের চালচিত্র না বললেই নয়। হাজার তিরিশেক দর্শকের ঠাঁই হয় এ মাঠে। তবে দুই দিন ধরে টিকিটের জন্য আহাজারি শোনা যাচ্ছিল, তাতে বোঝাই যাচ্ছিল যে পর্যাপ্ত আসন নেই। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় খেলা শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে গ্যালারি ভরে গেছে। বরাবরের মতো গ্যালারি লাগোয়া গাছেও চড়ে বসেন বিনা টিকিটের দর্শক। তাই বলে সিঁধ কেটে বিনা টিকিটের দর্শক ঢোকে ডাম্বুলায়, সেটি অজানা ছিল। গতকাল সেটিও দেখা হলো, বাংলাদেশ ইনিংসের ব্যাটিং পাওয়ার প্লে চলাকালে ভিআইপি স্ট্যান্ডের দিককার কাঁটাতারের বেড়ার নিচের মাটি সরিয়ে অন্তত শ খানেক টিকিটহীন দর্শক ঢুকে পড়লেন স্টেডিয়াম চত্বরে। বিনা বাধায় যোগ দিলেন গ্যালারির উৎসবে। নিজ দলের ব্যাটিং ভরাডুবিতে ক্ষণে ক্ষণে লাউড স্পিকার থেমেছিল বটে। তবে পুরোপুরি থামেনি। পুরস্কার বিতরণীর পরও কিছু দর্শককে দেখা গেছে হাসিমুখে সেলফি তোলায় ব্যস্ত। কয়েকজন তো বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বলেও গেলেন, ‘ওয়েল প্লেইড বাংলাদেশ!’

অবৈধ ব্যাটারির রিকশা জব্দে অভিযান শুরু

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবৈধ ব্যাটারির রিকশার দাপট বেড়েছে। সেগুলো জব্দে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গতকাল মালিবাগে অবৈধ ব্যাটারির রিকশা জব্দ করে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি : ফোকাস বাংলা
।
মানবতাবিরোধী অপরাধ
বেরোবির সাবেক ভিসিসহ ২৪ আসামির আত্মসমর্পণে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য মো. হাসিবুর রশীদসহ পলাতক ২৪ আসামিকে আত্মসমর্পণের জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারকে বাংলা-ইংরেজি দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিতে বলা হয়েছে। আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গতকাল রবিবার এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই বিচারক হলেন মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘এর আগে ১০ জুলাই এই মামলার ২৬ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
পরে ট্রাইব্যুনাল আগামী ২২ জুলাই পরবর্তী শুনানির তারিখ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন। যে দুজন আসামি অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন তাঁরা হলেন রাফিউল হাসান রাসেল ও মো. আনোয়ার পারভেজ।
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় মোট ৩০ জন আসামি। এর মধ্যে চারজনকে এদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ১৬ জুলাই ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল-২। এই মামলার শুনানি করেন প্রসিকিউটর মো. সাইমুম রেজা তালুকদার। শুনানিতে তিনি বলেন, পলাতক আট আসামির গ্রেপ্তার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় প্রয়োজন। তখন ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৬ জুলাই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। আদেশের সময় মামলার ১৬ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার আটজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

হত্যা মামলায় জামিন
আমি রাজনীতি বুঝি না : অপু বিশ্বাস
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর ভাটারা থানার এনামুল হক নামের এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণ করে অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস জামিন পেয়েছেন। গতকাল রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। শুনানি চলাকালে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন অভিনয়শিল্পী। এটাই আমার পেশা।
এদিন অপু বিশ্বাস আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি মুখে কালো মাস্ক, মাথায় সাদা ওড়না ও বোরকা পরেছিলেন। তাঁর আইনজীবী আব্দুল মান্নান খান জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
এরপর অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন অভিনেত্রী। অভিনয় করার জন্য অনেক কিছু করতে হয়েছে। আমি রাজনীতি বুঝি না। রাজনীতি করিও না। করতেও চাই না।’ এ সময় আইনজীবীরা আহা আহা সাধু বলতে থাকেন। অনেক আইনজীবী উত্তেজিত হয়ে বলেন, অপু বিশ্বাস এমপি হতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনার দোসর তিনি। এ সময় অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি অভিনেত্রী। আমাকে যে পোশাক দেওয়া হয়, সে পোশাক পরে অভিনয় করতে হয়। অভিনয় এমনই। ওই সময় আমি খারাপ অবস্থায় ছিলাম। পারিবারিক ঝামেলা চলছিল। আমার একটা বাচ্চা আছে।’ এ সময় অপু বিশ্বাসের চোখ ছলছল করতে দেখা যায়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে অপু বিশ্বাস গত ২ জুন হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান। পরে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মো. ওয়াহিদুজ্জামানের আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিননামা দাখিল করেন তিনি।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই ভাটারা থানার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের ওপর গুলি চালানো হয়। এনামুল হকের পায়ে গুলি লাগে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার শ’ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি করেন তিনি। মামলায় অপু বিশ্বাস, আশ্না হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন তারকাকেও আসামি করা হয়। মামলায় এসব অভিনেতা-অভিনেত্রীকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে এই মামলায় গত ১৮ মে গ্রেপ্তার হন আরেক চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। পরদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২০ মে জামিন পান তিনি।