ঢাকা, রবিবার ২৭ জুলাই ২০২৫
১১ শ্রাবণ ১৪৩২, ০১ সফর ১৪৪৭

ঢাকা, রবিবার ২৭ জুলাই ২০২৫
১১ শ্রাবণ ১৪৩২, ০১ সফর ১৪৪৭

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে আগামী ৩০ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ মহাসমাবেশসহ মার্চ মাসে ১৯ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ বলেন, ‘বিএনপি ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে আমরা দল-মত-নির্বিশেষে দেশের জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন নিজ নিজ অবস্থান থেকে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও গুরুত্বের সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেন।’

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সদ্যঃপ্রয়াত সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

এ সময় জাতীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান ও সদস্যসচিব আবদুস সালাম উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ড. মোশাররফ বলেন, ‘সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে বিএনপি সারা বছরের কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে। আজ বুধবার (গতকাল) মার্চ মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।

প্রতিটি মাস শেষ হওয়ার আগে পরবর্তী মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আশা করি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে এসব অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠুভাবে যাতে করতে পারি সে জন্য সহযোগিতা পাব। সরকারের কাছেও সহযোগিতা চাই, যাতে করে আমরা এই পঞ্চাশ বছর পূর্তির যে আবেগ-উচ্ছ্বাস, তা বির্বিঘ্নে সুন্দরভাবে পালন করতে পারি।’

মার্চের কর্মসূচিগুলো হলো ১ মার্চ কর্মসূচি উদ্বোধন, ২ মার্চ ‘ছাত্রসমাজ কর্তৃক স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন’ শীর্ষক আলোচনা, ৩ মার্চ ‘ছাত্রসমাজ কর্তৃক স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ’ শীর্ষক আলোচনা, ৭ মার্চ আলোচনাসভা, ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস পালন, ৯ মার্চ সেমিনার, ১০ মার্চ রচনা প্রতিযোগিতা, ১৩ মার্চ বছরব্যাপী রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন, ১৫ মার্চ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ২০ মার্চ আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিষয়ক সেমিনার, ২২ মার্চ ‘স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধ, জেড ফোর্স ও বীর-উত্তম জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক সেমিনার, ২৩ মার্চ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মেলা, ২৪ মার্চ ‘নির্বাচিত বিএনপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে স্বৈরাচারী এরশাদের জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল’ শীর্ষক সেমিনার, ২৫ মার্চ ‘কালো রাত্রি’ শীর্ষক আলোচনাসভা, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শেরেবাংলানগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, রক্তদান কর্মসূচি, সারা দেশে শোভাযাত্রা, ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে গমন ও বগুড়ায় বাগবাড়ি গমন এবং দুইখানে আলোচনাসভা, ২৮ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, ৩০ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুবর্ণ জয়ন্তী মহাসমাবেশ ও ৩১ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনীর উদ্বোধন।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত

শেয়ার
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও আক্রান্ত হচ্ছে। রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন নানা বয়সী রোগীর ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। গতকাল মহাখালীর ডিএনসিসি হাসপাতালে ছোট্ট এই শিশুকে হাতে ক্যানুলা পরা অবস্থায় ঘুমাতে দেখা যায়। ছবি : লুৎফর রহমান
মন্তব্য
সুজনের সংলাপে রাজনৈতিক ও নাগরিক নেতারা

জাতীয় সনদ প্রণয়নে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বদল নিশ্চিত করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জাতীয় সনদ প্রণয়নে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বদল নিশ্চিত করুন

জাতীয় সনদ প্রণয়নে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা বদলের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, শেখ হাসিনা যে পথে চলে স্বৈরাচার হয়েছিলেন, সেই পথে চললে স্বৈরাচার হবেন, এটা নিশ্চিত। প্রয়োজন ওই পথ বন্ধ করা, অর্থাৎ স্বৈরাচারীব্যবস্থার পরিবর্তন। তাই নির্বাচনীব্যবস্থা পরিবর্তন ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে জাতীয় সনদ প্রণয়ন করতে হবে।

 

গতকাল শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) আয়োজিত রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে প্রস্তাবিত জাতীয় সনদ সম্পর্কে নাগরিক ভাবনা শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন তাঁরা। সুজন সভাপতি বিচারপতি এম এ মতিনের সভাপতিত্বে ও সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সংলাপে বক্তৃতা করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, স্থানীয় সরকার কমিশনের সভাপতি ড. তোফায়েল আহমেদ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনুভা জাবিন, বাংলাদেশ জাসদের ডা. মুশতাক হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, সাবেক সচিব আব্দুল আওয়াল মজুমদার, প্রফেসর গাজী জাহিদ হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি, সুজনের কেন্দ্রীয় সদস্য একরাম হোসেন প্রমুখ।

সংলাপে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের জন্য সুজনের দেওয়া ২১ দফা প্রস্তাব হালনাগাদ করা হয়েছে। সেখানে দ্বিকক্ষ সংসদ, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার, ক্ষমতার ভারসাম্য, সংসদ সদস্য প্রত্যাহার, মৌলিক অধিকারের পরিধি বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।

এর আগে রাষ্ট্র সংস্কারে ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করার লক্ষ্যে কাঙ্ক্ষিত জাতীয় সনদের একটি খসড়া তৈরি করে জনমত যাচাইয়ের লক্ষ্যে অনেক নাগরিক সংলাপের আয়োজন করা হয়। ওই সব সংলাপ থেকে প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পেশ করা হবে। জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই একটি গণতান্ত্রিক, মানবিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, তৃণমূলে জনপ্রতিনিধি না থাকায় জনগণ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

সরকার চাইলে ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে পারে। এ জন্য স্থানীয় সরকারের একটি একীভূত আইন দরকার।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, বিএনপিকে পরিকল্পিতভাবে সংস্কারবিরোধী বলে প্রচার করা হচ্ছে। অথচ সর্বপ্রথম আমরাই সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। সে অনুযায়ী চলমান সংস্কারকাজে আমরা সহযোগিতা করেছি।

বিচার ও সংস্কারের পাশাপাশি আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের আহবান জানান সাইফুল হক। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গণ-অভ্যুত্থানের প্রকৃত আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে পারেনি। ফলে বৈষম্য, দারিদ্র্য ও বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে মেরুদণ্ডহীন ও সবচেয়ে দুর্বল আখ্যা দিয়ে নুরুল হক নুর বলেন, স্বাধীনতার পর কোনো সরকার এত বড় সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। বিএনপি ও জামায়াতের মতো বড় রাজনৈতিক শক্তিগুলো এ সরকারকে সহযোগিতা করছে। সিভিল সোসাইটিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলেরও সমর্থন রয়েছে। তবু সরকার নিজে কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।

বিদ্যমান সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জনগণ শেখ হাসিনার সরকারকে ফেলে দিয়েছে উল্লেখ করে ডা. তাসনুভা জাবিন বলেন, এনসিপি নির্বাচন ভয় পায় না। তবে নির্বাচনব্যবস্থায় গলদ আগে পরিবর্তন করতে চায়। এ জন্য মৌলিক সংস্কার হতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, বৈপ্লবিক পরিবর্তন না এলেও যেগুলোতে ঐকমত্য এসেছে, সেগুলো বাস্তবায়ন হলেও রাষ্ট্রব্যবস্থায় সত্যিকার অর্থে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আসবে। চলতি মাসেই জাতীয় সনদ প্রণয়নের কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মন্তব্য
জামায়াত আমির

শহীদ পরিবার ভিক্ষা নয়, সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শহীদ পরিবার ভিক্ষা নয়, সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চায়
শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা কারো করুণা বা ভিক্ষা চান না, তাঁরা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চান। গতকাল শনিবার জুলাই শহীদদের স্মরণে ঢাকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য চাকরি বা সুযোগ-সুবিধা দেওয়াকে অনেকে কোটা বলছেন। কিন্তু এটাকে কোটা বলা যায় না।

কোটা হচ্ছে যুগের পর যুগ একেক শ্রেণির কপালে জুড়ে দেওয়া একটা সুবিধা। শহীদ পরিবারের লোকজন সেটা চাননি। এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, সম্মানের সঙ্গে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো।

শফিকুর রহমান জানান, শহীদদের অন্তত ৭০ শতাংশ ছিলেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

কিন্তু দেশের   স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য তাঁরা বিনা দ্বিধায় প্রাণ দিয়েছেন। এখন তাঁদের পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে পুরো জাতিকে, বিশেষ করে সরকারকে।

জামায়াত আমির বলেন, শহীদ পরিবারগুলো এখন জুলাই সনদ-এর দাবি তুলেছে। এটি কেবল তাদের দাবি নয়, এটি ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির সনদ।

অথচ এই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোতে কোনো আন্তরিকতা নেই। ঐকমত্য কমিশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা হলেও জুলাই সনদ পেছনে পড়ে আছে।

তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের উদ্দেশে বলেন, জুলাইয়ের শহীদরা জীবন না দিলে আজ আপনাদের কেরানীগঞ্জ বা কাশিমপুর কারাগারে থাকতে হতো। তাই আগে জুলাই সনদ প্রণয়ন করুন, অন্য সব কাজ পরে হবে।

অনুষ্ঠানটি স্থানীয় সরকার বিভাগের সহযোগিতায় যৌথভাবে আয়োজন করে জুলাই-২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি এবং ন্যাশনাল ইয়ুথ অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ।

মন্তব্য
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচনের আগে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
নির্বাচনের আগে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া অস্ত্রসহ সারা দেশে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে তৎপর রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। নির্বাচনের আগে এসব অবৈধ অস্ত্র দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করা হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এখনো সব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি, তবে নির্বাচনের আগে এগুলো উদ্ধার করা হবে।

এই কাজে রাজনৈতিক দলগুলোকে মূল ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি বলেন, সাংবাদিকরা যদি সত্য তুলে ধরেন, বিভ্রান্তি দূর হবে। আমরা চাই নিরপেক্ষভাবে সব   তথ্য আসুক। রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের জন্য মাঠে থাকবে, আর আমাদের দায়িত্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মামলার অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক মামলার তদন্ত এগিয়েছে। তবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনেককে আসামি করায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হচ্ছে।

এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এলাকায় র‌্যাব-১১-এর সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন।

ওই সময় তিনি বলেন, ভারত থেকে গত এক মাসে এক হাজার ৫০০ বাংলাদেশিকে পুশ ইন করা হয়েছে, এ তথ্য সঠিক। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পুশ ইনের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভারত সরকার নিয়ম মেনে নাগরিক পাঠানোর পরিবর্তে অনেক সময় নদীর পারে ও জঙ্গলে ফেলে যাচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং তাতে কিছুটা ফলও মিলছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে থাকলে তাদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করা হবে।

তবে দেশটিতে থাকা কোনো রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করা হবে না। ভারত যেভাবে পুশ ইন করছে তা নিন্দনীয়।

ঢাকার মোহাম্মদপুরে আলোচিত ছিনতাইয়ের ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তিনজনকে গ্রেপ্তার ও ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তদল কাজ করছে। ওই সময় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশ ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তাসমিন আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ইসরাত জাহানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ