কামাল হোসেন। পরিচয় দিতেন এম কে হোসেন নামে। এমবিবিএস চিকিৎসক হিসেবে। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় চলত তাঁর কারবার। লাইসেন্স ছাড়াই পপুলার হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ল্যাব গড়ে তুলে তিনি রোগী দেখতেন। গত বছরের ৮ জুলাই র্যাব-১১-এর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাঁকে ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে গ্রেপ্তার করে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়। রিমান্ড, কারাবাস শেষে কিছুদিন পর জামিনে বের হন তিনি। বহু চেষ্টা-তদবির করে আগের প্রতিষ্ঠান চালু করতে না পেরে নতুন নামে হাসপাতাল খুলেছেন তিনি। ‘দি পপুলার হসপিটাল’ নামের এই হাসপাতাল গতকাল উদ্বোধন করা হয়েছে। এই হাসপাতালও চালু করা হয়েছে অনুমোদন ছাড়া। গতকাল বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে পাইনাদী এলাকায় একটি ভবনের দ্বিতীয় ও পঞ্চম তলায় হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘অনুমোদন আছে কি না তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়। আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে তাই উপস্থিত হয়েছি।’
অনুমোদনহীন এই হাসপাতাল গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলেও কার্যক্রম শুরু হয়েছে সপ্তাহখানেক আগে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের নামিদামি এমবিবিএস চিকিৎসকদের সেবা এখানে মিলবে বলে সাইনবোর্ডে উল্লেখ করা হয়েছে। বিলি করা হয়েছে হ্যান্ডবিল।
ভুয়া চিকিৎসক কামাল হোসেন মিজমিজি পূর্বপাড়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে। অনুমোদন ছাড়া কিভাবে হাসপাতাল চালু করলেন—এ প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে বাধ্য নন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেডিক্যাল অফিসার (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং প্রগ্রাম অফিসার) ডা. শেখ মোস্তফা আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই হাসপাতালের বিষয়ে আমি অবগত নই। লাইসেন্স শাখার মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি। মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তারা আবেদন করেছে। এখনো লাইসেন্স হয়নি। যাচাই-বাছাই চলছে।
মন্তব্য