ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭
করোনার প্রভাব নিয়ে জরিপ

চাকরি নিয়ে হতাশ ৬৩ শতাংশ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চাকরি নিয়ে হতাশ ৬৩ শতাংশ মানুষ

করোনার কারণে ভবিষ্যৎ কর্ম নিয়ে ৬৩ শতাংশ মানুষ হতাশ। শহরের ৫৩ শতাংশ তরুণ-তরুণী এই হতাশায় ভুগছে। গ্রামে এই সংখ্যা ৬৭ শতাংশ।

গতকাল রবিবার সকালে ‘কভিড-১৯ ও বাংলাদেশ : আর্থ-সামাজিক পুনরুজ্জীবনে যুব এজেন্ডা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে এ তথ্য তুলে ধরে বেসরকারি সংগঠন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ।

সংগঠনটি ১৮ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত এক হাজার ১৬৩ জনের ওপর অনলাইনে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে এই জরিপ চালায়। ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮৬৩ জন পুরুষ, ২৯৯ জন নারী এবং একজন তৃতীয় লিঙ্গের।

করোনায় যুবসমাজের জন্য তৈরি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলো কী এবং কিভাবে তা মোকাবেলা করা যায় এ বিষয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল সংলাপে করোনার কারণে পিছিয়ে পড়া যুবসমাজকে ভবিষ্যতে তৈরি হওয়া শ্রমবাজারে জায়গা করে নিতে হবে বলে জানান বক্তারা। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাতে তৈরি হওয়া শ্রমবাজারটাই গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাস্থ্য খাতের আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার ধরতে হলে প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকতে হবে। এ জন্য আমাদের যুবক ও যুব মহিলাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনার তাগিদ দেন তাঁরা। প্রয়োজনে প্রণোদনার টাকা থেকে বরাদ্দ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

জরিপে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ৩৫ শতাংশ মানুষ কাজ করছে।

৩৩ শতাংশ মানুষ কাজে ঢুকতে পারেনি। তারা কাজ খুঁজছে। এ ছাড়া ১৫ শতাংশ শিক্ষা ও কাজ একসঙ্গে করছে। ৩ শতাংশ মানুষ কোনো কাজ, প্রশিক্ষণ কিংবা শিক্ষা কিছুই করছে না।

করোনার কারণে প্রযুক্তিগত বৈষম্য, শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে বলা হয়, জরিপে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশই জানিয়েছে করোনা পরিস্থিতিতে তাদের আয় কমে গেছে।

৬৯ শতাংশ মানুষ জানিয়েছে তাদের আয় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। তবে মাত্র ১ শতাংশ মানুষ অর্থাৎ এক হাজার ১৬৮ জনের মধ্যে ১২ জন বলেছে তাদের আয় বেড়েছে।

করোনার কারণে ২৮ শতাংশ মানুষ শিক্ষা ছেড়ে কাজে নেমেছে তাদের পরিবারকে সহায়তা করতে। শিক্ষা থেকে ফিরে আসা এই সংখ্যার মধ্যে ৭ শতাংশ শহর বা নগরের। ২৫ শতাংশ রয়েছে গ্রামের। এ ছাড়া আরো ৮ শতাংশ মেয়ে শিক্ষাজীবন ছেড়েছে বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে।

করোনার কারণে ৬৩ শতাংশ মানুষ হতাশা বা দুশ্চিন্তায় রয়েছে ভবিষ্যৎ আয়-রোজগার বা কাজের সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে। শহরের ৫৩ শতাংশ তরুণ-তরুণী এই একই দুশ্চিন্তায় রয়েছে। গ্রামে এই সংখ্যা ৬৭ শতাংশ।

জরিপে অংশ নেওয়া ৯৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছে, করোনার মধ্যে তারা বিভিন্ন ধরনের মানসিক অবসাদে ভুগছে। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশ মানুষের অবসাদ গুরুতরভাবে বেড়েছে।

করোনায় অনলাইন শিক্ষা বিষয়ে জরিপে বলা হয়, ৫৮ শতাংশ মানুষ কোনো ডিজিটাল সুবিধার আওতায় আসতে পারেনি। তারা কোনো অনলাইন শিক্ষা বা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই জানিয়েছে তারা কোনো অনলাইন শিক্ষা বা প্রশিক্ষণে নেই। ৩৬ শতাংশ জানিয়েছে তারা অনলাইনে শিক্ষা নিচ্ছে।

জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৮০ শতাংশই জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে তারা সরকারি কোনো সহযোগিতা পায়নি।

জরিপ বলছে, ৭০ শতাংশ মানুষই চায় দেশে বেকার ভাতা চালু হোক। প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক। ২৩ শতাংশ বলছে এটি তিন হাজার টাকা হলেও চলে।

অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক ছিল জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ, একশনএইড বাংলাদেশ, ফ্রেডরিক ইবার্ট স্টিফটুং বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, ওয়াটার এইড বাংলাদেশ এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। জরিপ প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সিপিডির কর্মসূচি সহযোগী তামারা-ই-তাবাসসুম।

বিশেষ অতিথির ভাষণে সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ধারণা করা যাচ্ছে করোনার সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পলিটেকনিক, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ১০-১৫ শতাংশের পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাঁর মতে, দক্ষ কর্মশক্তি তৈরির জন্য কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারে নিয়ে আসতে হবে। সংকটকালে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দিতে তরুণ-যুবকদের শর্ত সাপেক্ষে আগামী ছয় মাস বেকার ভাতা দেওয়া যেতে পারে।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক ও সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যুবসমাজের একটি অংশ শিক্ষা, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন তৎপরতায় সক্রিয়। অন্য একটি অংশ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। কেউ মাদকে যুক্ত, কেউ অবসাদে ভুগছে। তাই অখণ্ড নয়, বিভাজিতভাবেই যুবাদের দেখতে হবে এবং তাদের কিভাবে সক্রিয়ভাবে কর্মসংস্থানে যুক্ত করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে পাট চাষ

শেয়ার
তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে  পাট চাষ

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে করা হয়েছে পাট চাষ। সেই পাট কেটে মহিষের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পানিতে জাগ দেওয়ার জন্য। গতকাল রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্নেয়া ইউনিয়নের চর বাঘমারা থেকে তোলা। ছবি : মো. আসাদুজ্জামান

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী মুগদা হাসপাতালে

শেয়ার
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী মুগদা হাসপাতালে

খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকার আড়াই বছর বয়সী নূরজাহান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল তোলা। ছবি : মঞ্জুরুল করিম

মন্তব্য

২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২৩টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির আমির মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দলটি আগামী জাতীয় সংসদে নিম্নকক্ষে আংশিক আনুপাতিক ও উচ্চকক্ষে পূর্ণ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক দ্বিকক্ষীয় সাংবিধানিক কাঠামোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলের নেতারা বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ।

আনুপাতিক পদ্ধতির মাধ্যমেই সব শ্রেণি ও মতধারার সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়া আত্মঘাতী। এতে ফ্যাসিবাদের দোসররা আরো উৎসাহী হচ্ছে। আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, তবে ফ্যাসিবাদ ফের মাথা চাড়া দেবে।

গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী শৈথিল্য দেখালেও পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে দুষ্কৃতকারীরা দ্রুত প্রতিহত হয়েছে, যা প্রশংসনীয়। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনদলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন ও মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা ফয়সাল আহমদ। এ ছাড়া ছিলেন মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা হারুনুর রশীদ, মাওলানা রুহুল আমীন খান, মাওলানা হাসান জুনাইদ, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, মাওলানা জয়নুল আবেদীন ও মাওলানা মুহসিন বেলালী।

মন্তব্য

রামেকে ইন্টার্ননির্ভর চিকিৎসায় ঝুঁকিতে মুমূর্ষু রোগীরা

রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী
রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী
শেয়ার
রামেকে ইন্টার্ননির্ভর চিকিৎসায় ঝুঁকিতে মুমূর্ষু রোগীরা

পাবনার ঈশ্বরদী এলাকার ওয়াহেদুজ্জামান (৭১) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে পরিবারের সদস্যরা গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে পাঠানো হয় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে (মেডিসিন ওয়ার্ড)। ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাঁকে ভর্তি করে নেন।

সেখানে বারান্দায় একটি শয্যায় রেখে চলতে থাকে রোগীর চিকিৎসা। পরের দিন ১৪ জুলাই সকালে ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বরত স্থায়ী অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা গিয়ে রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন।

পরের দিন ১৫ জুলাই সকালের দিকে রোগী কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তাঁকে ছুটি দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু দুপুর গড়াতে না গড়াতেই রোগী আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তখন কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীকে প্রথমে অক্সিজেন এবং পরবর্তীতে স্যালাইন দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত একটা অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর বাকির মোড়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে।
সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে দ্রুত তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ধরা পড়ে তাঁর শরীরে ডেঙ্গুসহ নানা জটিলতা। তবে তাৎক্ষণিক সঠিক চিকিৎসা পাওয়ায় রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকেন।

এটি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিদিনের চিত্র। চিকিৎসকসংকটে দিনের প্রায় ১৮ ঘণ্টাই ইন্টার্ন চিকিৎসকনির্ভরতার মাধ্যমে চলছে এই হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা।

খুব জরুরি প্রয়োজনে ফোনে পরামর্শ নেওয়া হয় অভিজ্ঞ ডাক্তারদের। এর বাইরে এফসিপিএস ডিগ্রিধারী বা এফসিপিএস করছেন এমন মধ্যম মানের চিকিৎসকরা থাকেন ভর্তির দিন ধার্য থাকা ওয়ার্ডগুলোতে। এ ছাড়া দিনের ২৪ ঘণ্টা প্রতিটি ওয়ার্ডেই চার থেকে ছয়জন করে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করতে হয় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই ইন্টার্নদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। 

পাবনার ঈশ্বদীর রোগী ওয়াহেদুজ্জামানের ছেলে হামিম আবেদীন বলেন, রামেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিনে একবার করে আসার কারণে আমার বাবার সমস্যাগুলো জটিল হয়ে গিয়েছিল, যা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বুঝে উঠতে পারেননি।

ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি রোগীর সেবা দেওয়ার। কিন্তু যে পরিমাণ রোগীকে চিকিৎসা দিতে হয়, সে পরিমাণ ইন্টার্ন চিকিৎসকও নেই।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত আনসার সদস্যও নেই। অন্যদিকে যেসংখ্যক রোগী ভর্তি হচ্ছে, সেসংখ্যক অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসাসামগ্রী ও ওষুধপথ্যও আমরা দিতে পারছি না। কারণ সব কিছু বরাদ্দ হচ্ছে ৫০০ শয্যার বিপরীতে। কিন্তু এখানে শয্যাই আছে এক হাজার ২০০টি। এর বাইরেও অতিরিক্ত আরো দুই থেকে আড়াই হাজার রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমাদের নানাভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।    

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ