ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঘরে ঘরে অভাব দিশাহারা মানুষ

  • ► করোনায় এক থেকে দেড় কোটি পরিবার ‘গরিব’ হয়ে গেছে
    ► টিকতে না পেরে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ মানুষ শহর ছেড়েছে
ফারজানা লাবনী
ফারজানা লাবনী
শেয়ার
ঘরে ঘরে অভাব দিশাহারা মানুষ

করোনাকালের এই মহাসংকটে মানুষের আয়-রোজগার কমলেও কমেনি সংসারের খরচ। বরং অনেক ক্ষেত্রে বেড়েছে। মাস গেলে বাড়িভাড়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন, চিকিৎসা ব্যয়, পানি ও বিদ্যুতের খরচ সবই কড়ায়-গণ্ডায় পরিশোধ করতে হচ্ছে। করোনার মধ্যেও কমবেশি বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম।

ব্যবসায়ে লোকসান হলেও মাফ নেই কর-ভ্যাট বা শুল্ক পরিশোধে। কিছু কিনতে গেলে পণ্যমূল্যের সঙ্গে নিজের অজান্তেই একজন ভিক্ষুককেও হিসাব কষে বাধ্যতামূলকভাবে ভ্যাট জমা দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যাতায়াতের খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বাধ্য হয়েই অনেকে এখন স্যানিটাইজার, মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিভিন্ন উপকরণ কিনছে।

সংসার চালাতে গত কয়েক মাসে অনেকে শেষ সঞ্চয়টুকুও খরচ করে নিঃস্ব হয়ে এখন ধারদেনা করছে। পুরনো দেনা শোধ করতে না পারায় পাড়া-মহল্লার দোকানে এখন বাকি চাইলেও দিচ্ছে না। আর্থিক সংকটে টিকতে না পেরে শহর ছেড়ে গ্রামে ছুটেছে বহু মানুষ। সেখানেও কাজ নেই।

দিশাহারা হয়ে কী করবে তার পথ খুঁজে পাচ্ছে না তারা।

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার কারণে অনেক মানুষ নতুনভাবে দারিদ্র্যসীমায় নেমেছে। করোনা সংকট দীর্ঘ হলে এই সংখ্যা বাড়বে। কবে এসব মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে তা অনিশ্চিত।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম কালের কণ্ঠকে বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু করোনার কারণে ১৫ শতাংশ মানুষ নতুনভাবে দারিদ্র্যসীমায় চলে গেছে।

যার যা সঞ্চয় ছিল তা দিয়ে গত দু-তিন মাস চলতে পারলেও এখন দিশাহারা। করোনার শুরুতে সরকার কিছুটা সহায়তা দিলেও এখন আর তাতে আগের মতো গতি নেই। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মী ছাঁটাই চলছে। বাড়িবাড়ার মতো বড় ব্যয় অনেকের জন্য কষ্টকর। আবার স্বাস্থ্যজনিত ও খাদ্য ব্যয় এখন বেড়েছে। সব মিলিয়ে  সাধারণ মানুষের জন্য সীমিত আয় বা সঞ্চয়ের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকা কষ্টকর। গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে সরকার ঘোষিত সাধারণ মানুষের জন্য এক হাজার ২০০ কোটি টাকার প্যাকেজ, কৃষকদের জন্য ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ, গ্রামীণ এলাকাকে অকৃষি খাতে জড়িত করতে ও বিদেশফেরত মানুুষদের কর্মমুখী করতে তিন হাজার কোটি টাকা, এসএমই খাতে ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের সবটা এখনো পুরোপুরি দেওয়া হয়নি। এসব অর্থ দিতে ব্যাংকের অনাগ্রহ রয়েছে। বড় বড় প্রতিষ্ঠান ঋণ নিয়ে কর্মীদের বেতন দিতে আগ্রহী হচ্ছে না।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর কালের কণ্ঠকে বলেন, গবেষণায় দেখেছি, করোনার কারণে আয় কমে যাওয়ায় বা বন্ধ হওয়ায় নতুনভাবে এক থেকে দেড় কোটি পরিবারকে এখন গরিব হিসেবে ধরে নেওয়া যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পাওয়ার পর বলা যায়, অনেকে সংসার চালাতে সঞ্চয় ভেঙেছে। কারণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছরের গত কয়েক মাসে সঞ্চয়পত্র কেনার হার বাড়েনি, বরং ভাঙানোর হার প্রতি মাসেই বাড়ছে। করোনার কারণে আর্থিক সংকটে টিকতে না পেরে গড়ে বিভিন্ন শহরের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ মানুষ গ্রামে চলে গেছে।

করোনার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বেশির ভাগ ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নেমেছে। লোকসানে পড়ে অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। করোনায় খরচ কমাতে বাধ্য হয়েই অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই করেছে। অনেকের বেতন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

লিসা ফুটওয়্যার লিমিটেডের বিপণন কর্মকর্তা পদে চাকরি করতেন হাফিজুর রহমান। তিনি জানান, করোনার কারণে লোকসানে পড়ায় খরচ কমাতে তাঁকেসহ ৯ জনকে ছাঁটাই করেছে কর্তৃপক্ষ। হাফিজুর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চাকরি না থাকলেও বাড়িভাড়া, ইংলিশ মিডিয়ামে (ইংরেজি মাধ্যমে) পড়া আমার দুই মেয়ের স্কুলের বেতন দিতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিল, পানির খরচ, বাসার সার্ভিস চার্জ এক পয়সাও কমেনি। করোনার কারণে পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার জন্য সাবান, স্যানিটাইজার, মাস্কসহ অনেক কিছু নতুন করে কিনতে হচ্ছে। এসবের সঙ্গে আমার বৃদ্ধা মায়ের সপ্তাহে দুবার ডায়ালিসিসের খরচ তো আছেই।’

করোনার কারণে বিক্রি কমে যাওয়ায় শাড়ির দোকানের বিপণনকর্মী মো. সুমনকে লোকসানে থেকেও মালিক এক মাসের বেতন দিয়েছেন। এরপর মে মাসে তাঁকে ছাঁটাই করা হয়েছে। সুমন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পুঁজি নেই। নতুন চাকরি নেই। ব্যবসা করার জন্য একটি এনজিও থেকে ঋণ নিতে আবেদন করি। করোনার কারণে ঋণ আদায় হচ্ছে না বলে নতুন ঋণ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে না তিন বেলা খাবার জোটাতে হিমশিম খাচ্ছি।’

অনেকের অভিযোগ, করোনার মধ্যে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অনেকে পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। রাজধানীর মিরপুর এলাকার শফিক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক মো. শফিক কালের কণ্ঠকে বলেন, করোনার মধ্যে সরবরাহ কম হওয়ায় এবং অনেকে পণ্য মজুদ করায় দাম বেড়েছে। করোনার মধ্যে বাকি নেওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে বলে জানান তিনি। 

স্কুলের বেতন : সরকারের নির্দেশে গত মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এখন অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলাচ্ছে। দুই-চারটি ছাড়া সব প্রতিষ্ঠানে ফি আগের মতোই আছে। বেশির ভাগ অভিভাবক ফি কমানোর বা মওকুফের আবেদন করেছেন। রাজধানীর নর্থ ব্রিজ কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছায়েরা রউফ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় এক হাজার ২০০। গতকাল পর্যন্ত করোনার কারণে আর্থিক সংকটে পড়ে বেতন কমানোর বা মওকুফ চেয়ে আবেদন করেছেন ৫২৩ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবক।’

পরিবহন ব্যয় : করোনার কারণে অনেক পরিবহনে দুই সিট নিয়ে বসে যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবার বিমানেও যাত্রী কমানোর অজুহাতে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এভাবে অনেক ক্ষেত্রে পরিবহন খরচ বেড়েছে।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শেয়ার
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাই সড়ক থেকে তোলা। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

    চার জেলায় ৪ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগসহ পাঁচ জেলায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব ঘটনা ঘটেছে।

কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভূন্দুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া (৫৫) ও ফুলবাবু (৫০)। তাঁরা সবাই জমি নিয়ে বিরোধে থাকা শাহাজাহান মিয়ার পক্ষের লোক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরে ওই এলাকার শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়ার মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে।

এ ছাড়া দেশের অন্য কয়েকটি জেলায়ও পৃথক ঘটনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সোহাগ সরদার (২৭) নামের যুবদলের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যাময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের মাত্র ছয় দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রূপা (১৮) তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী দাবি করেছেন, রূপা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানকিদাহ এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে টাঙ্গন নদী থেকে। মৃত ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য

বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ২৮৭ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে

দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের পরপরই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ১৪৮ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। এটি ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বিমানটি বিমানবন্দরের বে নম্বর-৮-এ অবস্থান করছে। ফ্লাইটের সব যাত্রীর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অন্য একটি ফ্লাইট বিজি ১২২-এ অনবোর্ড সম্পন্ন হয়। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুবাই থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর ২৮৭ জন যাত্রী নিয়ে ৮টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি পুনরায় ফিরে এসে ৮টা ৫৮ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, বিমানের ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

 

মন্তব্য

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ৫০ আরোহীর সবাই নিহত

রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে একটি অ্যান-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানানো হয়েছে, কেউই বেঁচে নেই। সিভিল ডিফেন্স, জরুরি ও দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, অ্যান-২৪ বিমানটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক বিমান সংস্থা আঙ্গারা। প্রথমে বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

এরপর তা খুঁজে বের করতে জরুরি তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে জানান আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ। কিন্তু পরে জানানো হয়, এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা বিমানের ফিউজলেজের সন্ধান পেয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি বলেছে, চীনের কাছাকাছি আমুর অঞ্চলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানটির ফিউজলেজ দেখতে পেয়েছে। এই হেলিকপ্টারটি পরিচালনা করে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া।

বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মতো দৃষ্টিসীমা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে। এ কারণে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে থাকতে পারেন ক্রু।

এটা হতে এটা হতে পারে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি কারণ। সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইনস পরিচালিত বিমানটি চীনের সীমানা লাগোয়া আমুর অঞ্চলের তিন্দা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এমন সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

স্থানীয় জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে হঠাৎ করে রাডারের বাইরে চলে যায়। গভর্নর অরলোভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

তার মধ্যে পাঁচজন শিশু। তাদের সঙ্গে ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিলেন। তিনি বলেন, বিমান অনুসন্ধানে সব প্রয়োজনীয় বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়।

উড়োজাহাজটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ যাত্রী ও ছয় ক্রু ছিলেন বলে আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ আগেই জানিয়েছিলেন। যেখানে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়, সেটি রাশিয়ার তাইগা বনভূমি অঞ্চলে পড়েছে।

১৯৫০-এর দশকে নির্মিত আন্তোনভ আন-২৪ উড়োজাহাজ সাধারণত যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এখন পর্যন্ত এই মডেলের হাজারের বেশি উড়োজাহাজ তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় এখন সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে আরটি।

সরকারি বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ দৃশ্যমানতা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ