‘তপন, বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও। মনসুর’—১৯৭১ সালের সাদা-কালো ছবিটি কিছুটা বিবর্ণ হলেও ছবির পেছনের হাতের লেখা এখনো স্পষ্ট। আরেকটি ছবির পেছনে লেখা ঠিকানা—‘লে: মো: মনসুরুল আমিন (বাবলু), কোম্পানী কমান্ডার, ডেলটা কোম্পানী, ১৯তম বঙ্গ শার্দুল পল্টল, চট্টগ্রাম সেনানিবাস, চট্টগ্রাম’। মুক্তিযুদ্ধের প্রায় পাঁচ দশক পরও একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা বন্ধু মনসুরের স্মৃতি আগলে রাখা সাব্রুমের বাসিন্দা তপন লাল চক্রবর্তী যেন ফিরে গেলেন সেই পুরনো দিনগুলোতে।
ঘরে ঘরে স্মৃতি মুক্তিযুদ্ধের
মেহেদী হাসান, সাব্রুম (ত্রিপুরা) থেকে ফিরে

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন হায়ার সেকেন্ডারি (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষার্থী। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বাংলাদেশি শরণার্থীদের কার্ড লেখার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় ও সহযোগিতার অনেক কাজ করেছেন তিনি।
দুই মুক্তিযোদ্ধা বন্ধু মনসুর ও ডা. রেজার স্মৃতিচারণা করে তপন লাল চক্রবর্তী বলেন, ‘রেজা ও মনসুর আমার ঘরে এসে থাকত। আকরাম নামে মনসুরের এক বডিগার্ড ছিল।
তপন লাল চক্রবর্তী বলেন, ‘রাতে আমরা যেতাম এখান থেকে ১০ কিলোমিটার এগিয়ে ভোজপুর পুকুরের দিকে। মনসুরসহ অনেককে ওই পারে (বাংলাদেশে) পার করে দিতাম। তখন একটা চিন্তা হতো কখন আসবে কখন আসবে?’ তিনি বলেন, ‘সাব্রুমে যত লোক তার চেয়ে বেশি লোককে তারা আশ্রয় দিয়েছিল। আমার পরিবারের কথাই ধরুন।
তপন বলেন, একাত্তরে সাব্রুমে হাজার হাজার বাংলাদেশি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের বেশির ভাগই ছিল চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলের। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে তিনি কখনো এ দেশে আসেননি। তবু রাউজান, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি—এসব নাম তাঁর মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল কার্ড লিখতে লিখতে।
তপন লাল চক্রবর্তী বলেন, ফেনী নদীর ওপর অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করে শরণার্থীদের সাব্রুমে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে সাব্রুমে যাওয়ার পথে ব্যাপক নির্যাতন-নিপীড়নের খবরও আসছিল। একদিন খবর এলো পথে একজন শরণার্থী সন্তান প্রসব করেছে। তখন ট্রাক্টর পাঠানো হয়েছিল তাদের আনতে। পাকিস্তানি বাহিনীর ছোড়া মর্টারের গোলাও সাব্রুমে গিয়ে পড়েছিল। তখন সেখানে বাড়িঘর কম ছিল। কথা প্রসঙ্গে আসে জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের শিবিরগুলোতে তিনি যেতেন। জিয়াউর রহমানকেও চিনতেন। খালেদা জিয়াকে আনতে জিয়াউর রহমান লোক পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া আসেননি। এতে জিয়াউর রহমানের ভীষণ মন খারাপ হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় এক নম্বর সেক্টরের সদর দপ্তর স্থাপন করা হয়েছিল সাব্রুমের হরিণায়। শুরুর দিকে সেই সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন জিয়াউর রহমান।
মুক্তিযোদ্ধাদের শিবিরগুলোতে নিয়মিত যাতায়াতের কারণে গড়ে ওঠা সখ্যের কথা বলতে গিয়ে তপন লাল চক্রবর্তী জানালেন, হায়ার সেকেন্ডারির ফল প্রকাশ হওয়ার দিন মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর ফল জানতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ফল প্রকাশ হয়েছে শুনেছেন। কিন্তু তাঁর ফল তখনো পাননি। মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল তখন তপনকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে করে ফল দেখতে যায়। ওই কেন্দ্রে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় সেদিন ওই শিবিরে মুরগির মাংস রান্না করা হয়েছিল বলেও জানান তপন।
সাব্রুমের আরো কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে আলাপকালে তাঁরাও মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশি শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার কথা জানান।
দক্ষিণ ত্রিপুরার চোত্তাখলায় ২০ একরেরও বেশি জায়গার ওপর নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান’। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি হিসেবে ওখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের আবক্ষ মূর্তি রয়েছে।
সাব্রুমের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকেই অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে লোকজন সাব্রুম এলাকায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছিল। অন্য এলাকা দিয়েও এ দেশের লোকজন ত্রিপুরায় আশ্রয় নিচ্ছিল। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ সাপ্তাহিক সমাচারে প্রায় এক লাখ বাংলাদেশির ত্রিপুরায় আশ্রয় নেওয়ার খবর মূল শিরোনাম হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল।
তবে বড় পরিসরে আশ্রয় নেওয়া শুরু হয় একাত্তরের মার্চ মাসের শেষ দিকে। তখনকার জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সদস্য এবং পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা রামগড় থেকে সাব্রুমে ঢুকে আগরতলায় পৌঁছেছিলেন। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় তাঁরা সাব্রুমসহ ত্রিপুরায় বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্প চালু করেছিলেন।
সম্পর্কিত খবর

জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আবুল বারকাতের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা থাকায় ধানমণ্ডির ৩ নম্বর সড়কের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আবুল বারকাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন। পাশাপাশি তিনি হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অবৈতনিক প্রধান উপদেষ্টা।
অ্যাননটেক্স গ্রুপের নামে ২৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল বারকাত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক ইসমত আরা বেগম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম আজাদ, সাবেক পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দিপু, আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ, নিতাই চন্দ্র নাথ এবং অ্যাননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনূস বাদল।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আতিউর রহমান, আবুল বারকাত এবং তাঁর সহযোগীরা বিভিন্ন অনৈতিক উপায়ে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তবে ২০২২ সালে ঋণ অনিয়ম নিয়ে দুদকের তদন্তে পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় তখন মামলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয় আবুল বারকাতকে। ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি পাঁচ বছর এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।

বাঁশ শিল্পের প্রদর্শনী


যানজট


চট্টগ্রামে নারীকে ১১ টুকরা করে হত্যা স্বামী পলাতক
- দেশজুড়ে অপঘাতে মৃত্যু ৮
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

চট্টগ্রামে এক নারীকে ১১ টুকরো করে স্বামী পালিয়ে গেছে। এছাড়া দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের অপঘাতে ৮ ব্যক্তি মারা গেছেন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন:
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির এক বাসায় ফাতেমা বেগম (৩২) নামের এক নারীকে ১১ টুকরা করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী মো. সুমনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মোহাম্মদ মাহফুজ হাসান সিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, ১০ বছর আগে ফাতেমার সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়েছিল।
রাউজান : চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. সেলিম উদ্দিনকে গুলি করে হত্যার পাঁচ দিনের মাথায় এবার তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবদলকর্মী দিদারুল আলম নুংকুর (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার পশ্চিম বেতবুনিয়ার লুঙ্গিপাড়া এলাকার পাহাড়ি চরা থেকে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়। বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর প্রায় সাড়ে ১৫ ঘণ্টার পর তার এ মরদেহ উদ্ধার হয়। নুংকুর বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সমশের পাড়ায়। তিনি মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
যশোর : যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ঘোষনগর গ্রামে স্টিলের বাক্সের ভেতর থেকে সুচিত্রা দেবনাথ (৫৮) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে নিজ ঘরের কাপড়ের বাক্সে লুকিয়ে রাখা হয় বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী তপন দেবনাথকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ৯ জুলাই রাত ১১টার দিকে। নিহত সুচিত্রা দেবনাথ বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের ঘোষনগর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় তপন দেবনাথকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা থেকে ঢেনা মুর্মু (৫৫) নামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক ব্যক্তির পানিতে ভাসমান প্রায় অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি নাচোল সদর ইউনিয়নের পীরপুর সাহানাপাড়া গ্রামের বুদ্ধাই মুর্মুর ছেলে। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ঢেনা মুর্মু গত সোমবার (৭ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরের ঝিকরা গ্রামে তাঁর নাতনির বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরে বুধবার (৯জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝিকড়া গ্রামসংলগ্ন একটি বিলের কচুরিপানার মধ্যে ঢেনার ভাসমান মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় মাদকাসক্ত ছেলে মাহাবুর ইসলাম বাবু (২৮) মারধর ও ইট দিয়ে আঘাত করে মা হেনা বেগমকে আহত করে। স্ত্রীকে রক্ষা করতে গেলে বাবা শিশ মোহাম্মদকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টার পর স্বজন ও প্রতিবেশীদের প্রহারে বাবু নিহত হন। নিহত বাবুর বাড়ি রানীহাটী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুরহাট বগিপাড়া গ্রামে। অভিযোগ রয়েছে, বাবু মাদক সেবনের টাকার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে অত্যাচার করে আসছিল।
পীরগঞ্জ : রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় আখিরা নদী থেকে আক্তার প্রধান সুজন (৩৬) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আখিরা নদীতে ভাসমান অবস্থায় কাপড়বিহীন লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত আক্তার প্রধান সুজন উপজেলার থানাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহগী ইউনিয়নের হাটুলিয়া গ্রামের বসতঘর থেকে এক তরুণের গলা কাটা ও ক্ষতক্ষিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই সময় লাশটি ছিল খাটের ওপর মশারির নিচে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে রাতে বন্ধুদের নিয়ে ওই তরুণ মা-বাবাহীন ঘরে আড্ডায় মত্ত ছিল। নিহত মো. রাকিবুল ইসলাম (১৯) ওই গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাটুলিয়া গ্রাম থেকে জুবায়ের (১৯, রাকিব মিয়া (২১) ও কাউসার (১৮) নামে তিন তরম্নণকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।
কালিয়াকৈর : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শালবনের ভেতর থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বড় গোবিন্দপুর বিন্নার চালা ফুটবল খেলার মাঠের পাশে শাল বনের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক (৪০)। তার পরনে জিন্সের প্যান্ট ও খয়েরি রঙের টি শার্ট ছিল।
টঙ্গী : ফ্লাইওভার থেকে টঙ্গীতে নামার সময় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত মাহফুজুর রহমান (২১) বরিশাল সরকারি হাতেম আলী কলেজে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। বুধবার (৯ জুলাই) রাত ১২ টার পর ঢাকা-ময়মনসিংহগামী মহাসড়কের আব্দুল্লাহপুর ফ্লাইওভার থেকে টঙ্গীর সেনা কল্যাণ ভবনগামী সংযোগ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাহফুজুর রহমান বরিশাল সদর উপজেলার হায়াতসার গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ব্লু ফ্যাশনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।