কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়ায় হাজী বলাকী মোল্লার বাড়ির প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের বাড়ির নাম ছিল ‘গৃহকোণ’। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় প্রিয়তম স্ত্রী আইভি রহমানের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর বাড়ির নাম বদলে রাখেন ‘আইভি ভবন’। গতকাল দুুপুরে যখন গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষিত হচ্ছিল, তখন আইভি ভবনের সামনে স্কুলগামী ১০-১২টি ছেলে ফুটবল খেলছে। এ প্রতিবেদককে দেখেই একজন বলল, ‘যান, গেট খোলা।
সুনসান ‘আইভি ভবন’ রায়ে রুষ্ট ভৈরববাসী
- তারেকের ফাঁসি চেয়ে বিক্ষোভ
নাসরুল আনোয়ার, ভৈরব থেকে ফিরে

বাড়ির বাইরে দেখা হয় প্রয়াত রাষ্ট্রপতির চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান বুলবুলের সঙ্গে।
দম্পতির একমাত্র ছেলে বিসিবি সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের এমপি নাজমুল হাসান পাপন আসেন, দুই দিন আগেও তিনি এসে গেছেন। পাপনের দুই বোন তানিয়া ও তনিমা আসেন আরো কম। তাঁরা সবাই ঢাকায় গুলশানের ‘আইভি কটেজে’ থাকেন বলে বুলবুল জানালেন।
ততক্ষণে গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষিত হয়ে গেছে। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের ফাঁসি এবং তারেক রহমানসহ আরে ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ হওয়ার খবর চাউড় হয়ে গেছে। আইভি ভবনের সামনে খেলারত ছেলেদের একজন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রাশেদীন রাহবার একটু ভেবে বলল, ‘সবগুলোকেই ফাঁসি দেওয়া দরকার ছিল।’ তবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া রাজু, সামিক, রিফাত, সাহিল কিছু না ভেবে জানাল, এ রায়ে ওরা সবাই খুশি।
আইভি রহমান না থেকেও ভৈরবে মানুষের মনের গভীরে ঠাঁই নিয়ে আছেন। মিজানুর রহমান বুলবুল জানালেন, আইভি রহমান ছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মূল প্রেরণা। ভৈরববাসী তাই আইভি রহমানের কাছে ঋণী। জানা গেলে, কিশোরগঞ্জ জেলা, ভৈরব উপজেলা ও পৌর প্রশাসন নানাভাবে প্রয়াত আইভি রহমানকে নানাভাবে সম্মান ও স্বীকৃতি দিয়েছে। ভৈরব স্টেডিয়ামের নাম রাখা হয়েছে ‘আইভি রহমান পৌর স্টেডিয়াম’। তাঁর বাবার বাড়ি চণ্ডিবের এলাকায় ভৈরব-মেন্দপুর সড়কের পাশে আইভি রহমানের বিশাল পোর্ট্রেটসহ ‘আইভি চত্বর’ গড়া হয়েছে। পাশের একটি গ্রামের নাম রাখা হয়েছে ‘আইভি পাড়া’। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভৈরব থানার পাশে আইভি রহমানের স্মৃতি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে।
আইভি রহমানের বাবার বাড়িও ভৈরব পৌরসভার চণ্ডিবের এলাকায়। সদর থেকে চণ্ডিবের যেতে যেতে চোখে পড়ল রাস্তার পাশের বিভিন্ন চায়ের স্টলে মানুষের ভিড়। সবাই টেলিভিশনে গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের লাইভ বিবরণ দেখছিল। তাদের অনেকেই বলছিল, ‘কেন তারেক রহমানের ফাঁসি দেওয়া হলো না?’
রায় ঘোষণার পর গতকাল দুুপুরে চণ্ডিবেরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আইভি রহমানর নিজ গ্রামবাসী। মিছিলকারীরা স্লোগান দিচ্ছিল, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, তারেক জিয়ার ফাঁসি চাই।’
আইভি রহমানের বাবা জালাল উদ্দিন ছিলেন ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপাল। তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল মানুষের ভিড়। আইভি রহমানের ভাইপো ফারহান একাই বাড়িতে। তিনি জানালেন, এ রায়ে ততটা খুশি হতে পারেনি এলাকার মানুষ। তবে তারেক রহমানের ফাঁসি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে রিভিউ করা হবে।
আইভি রহমানের শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত এই গ্রাম। আইভির ছোটবেলার দিনগুলো কাছে থেকে দেখেছেন তাঁর চাচাতো ভাই অশীতিপর আমিনুল হক। তিনি জানালেন, ছোটবেলায় আইভি শান্ত স্বভাবের ও খুবই মিশুক প্রকৃতির ছিলেন। উদার মনের আইভি গ্রামে এলে সবার সঙ্গে মিশতেন, খোঁজখবর নিতেন। মামলার রায় শুনে অখুশি এ বৃদ্ধ বললেন, ‘তারেকের ফাঁসি চেয়েছিলাম। কিন্তু হলো না।’
মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল বিকেলে ভৈরববাজারে মিছিল করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। মিছিলে তারা স্লোগান দিয়েছে, ‘বাংলার মাটিতে তারেক জিয়ার ঠাঁই নাই’, ‘ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই, তারেক জিয়ার ফাঁসি চাই।’
ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন মো. সায়দুল্লাহ মিয়া বলেন, ‘এ বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার মহানায়ক তারেক রহমানের ফাঁসির আদেশ হয়নি। তাই আমরা অসন্তোষ প্রকাশ করছি। উচ্চ আদালতের মাধ্যমে খুনি তারেক রহমানের ফাঁসি কার্যকরের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই।’
সম্পর্কিত খবর

তৃতীয় জয়

শান্তি মার্দির (জার্সি নং-২০) হ্যাটট্রিকে গতকাল অনূর্ধ্ব-২০ সাফে ভুটানকে ৪-১ গোলে হারিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। আসরে স্বাগতিকদের এটি টানা তৃতীয় জয়। ছবি : বাফুফে
।
বদলির আদেশ ছিঁড়ে ফেলায় এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক

বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৪ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন আয়কর ও পাঁচজন কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তা। এনবিআরের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে পৃথক আদেশ জারি করেন।
আদেশে বলা হয়েছে, গত ২২ জুন জারি করা বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া আয়কর কর্মকর্তারা হলেন মির্জা আশিক রানা, অতিরিক্ত কর কমিশনার, কর অঞ্চল-৮, ঢাকা; মাসুমা খাতুন, যুগ্ম কর কমিশনার, কর অঞ্চল-২; মুরাদ আহমেদ, যুগ্ম কর কমিশনার, কর অঞ্চল-১৫; মোরশেদ উদ্দীন খান, যুগ্ম কর কমিশনার, কুষ্টিয়া; মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, যুগ্ম কর কমিশনার, নোয়াখালী; আশরাফুল আলম প্রধান, যুগ্ম কর কমিশনার, কক্সবাজার; শিহাবুল ইসলাম, উপকর কমিশনার, খুলনা; নুশরাত জাহান, উপকর কমিশনার, রংপুর এবং ইমাম তৌহিদ হাসান, উপকর কমিশনার, কুমিল্লা।
কাস্টমস বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার, নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর; সিফাত-ই-মরিয়ম, অতিরিক্ত কমিশনার; মো. শাহাদাত জামিল, দ্বিতীয় সচিব, এনবিআর; শফিউল বশর, রাজস্ব কর্মকর্তা এবং সবুজ মিয়া, রাজস্ব কর্মকর্তা।
গত জুন মাসে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজস্ব খাতে ‘যৌক্তিক সংস্কারের’ দাবিতে আন্দোলনে নামেন। ২৮ ও ২৯ জুন তাঁরা সারা দেশে কর্মবিরতি পালন করেন। পরে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। আন্দোলনের পর শুরু হয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
এরই মধ্যে তিনজন এনবিআর সদস্য ও একজন কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তৎকালীন কমিশনারকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া এনবিআরের আরো দুই সদস্যসহ ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে।
দুদক সূত্র জানায়, আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।

ছাত্রদলের আলোচনাসভায় বক্তারা
গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের স্পষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান খাটো করার চেষ্টা হচ্ছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটরিয়ামে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘গণ-অভ্যুত্থানের বাঁক বদলের দিন’ শীর্ষক এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের স্পষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে খাটো করার অপচেষ্টা চলছে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় ছাত্রদল, ডান-বাম ছাত্রসংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্ল্যাটফর্মের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আলোচনাসভার প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আন্দোলনের মূলে ছিল ছাত্রসমাজের চেতনা।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো উল্লেখ করেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে আন্দোলনকারীদের রক্তদানকে যারা কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে ফাটল ধরাতে চাইছে এবং বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতৃস্থানীয় নেতাদের নামে কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছে, তারা ফ্যাসিবাদের আগমনকে স্বাগত জানায়। তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে, কেননা মাত্র ৩৬ দিনের আন্দোলনে একটি ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব ছিল না।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মিটফোর্ডের ঘটনার জেরে একটি গুপ্ত সংগঠন রাজনৈতিক ইন্ধন দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা বুয়েট ও চুয়েটে আমাদের সর্বোচ্চ নেতাদের নিয়ে নোংরা স্লোগান দিয়েছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিচার নিয়ে শহীদ পরিবারের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে। অথচ আমরা বিচার নিশ্চিত না করে বিভাজনের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছি।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেত্রী মুক্তা বাড়ই বলেন, “আজ রাজাকারদের পুনর্বাসন ও নরমালাইজেশন শুরু হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়ে গোটা দেশে ‘মবতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চলছে।”
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহবায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘ছাত্রদলের সহযোদ্ধারা প্রথম দিন থেকেই আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে ছিলেন। ১৫ জুলাই একাত্তর হলে প্রথম হামলায়ও ছাত্রদলের ভাইয়েরা আহত হয়েছিলেন। এখানে এককভাবে কোনো সংগঠনের কৃতিত্ব দাবি গ্রহণযোগ্য নয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি বলেন, ‘এই অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব শহীদদের, কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। আমাদের গণতান্ত্রিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।’
আলোচনাসভায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান, ইসলামী ছাত্র মজলিসের দপ্তর সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুভাশিষ চাকমা, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি সাইদুল হক নিশান, ছাত্র ইউনিয়নের মেঘমল্লার বসু ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহবায়ক আবু বাকের মজুমদার—সবাই ছাত্ররাজনীতির মধ্যে বিভাজন অপপ্রচারের রাজনীতি বন্ধ করার আহবান জানান।

বিমানবন্দর থেকেই ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৯৬ জন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ১৩১ জনকে আটকে দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ। মূলত ‘শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায়’ কারণ দেখিয়ে তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়।
দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার জানিয়েছে, ওই ১৩১ জনকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯৬ জন বাংলাদেশের নাগরিক।
গত শুক্রবার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালে মালয়েশিয়ার বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রটেকশন এজেন্সির অভিযানে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।
দ্য স্টারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৩০০ জনের বেশি যাত্রীর কাগজপত্র যাচাই করে ১৩১ জনকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রটেকশন এজেন্সির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৯৬ জন বাংলাদেশি পুরুষ, ৩০ জন পাকিস্তানি পুরুষ ও পাঁচজন ইন্দোনেশীয় নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে নির্ধারিত শর্ত পূরণে ঘাটতি পাওয়া গেছে।’
শর্ত পূরণ না হওয়া বলতে ‘সন্দেহজনক’ হোটেল বুকিং, ইমিগ্রেশন কাউন্টারে হাজির না হওয়া এবং পর্যাপ্ত অর্থ সঙ্গে না রাখার মতো কারণ দেখানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা সাধারণত ভ্রমণকারীর প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি করে। কেউ যদি বলে যে সে এক মাস থাকবে, কিন্তু সঙ্গে মাত্র ৫০০ রিঙ্গিত আনে, তাহলে তার বক্তব্যে সন্দেহ তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক।’
মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য যেসব শর্ত রয়েছে, সেগুলো পূরণ করেই যেন আগ্রহীরা ভ্রমণের প্রস্তুতি নেয়, বিবৃতিতে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রটেকশন এজেন্সি বলছে, মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক যেকোনো ব্যক্তিকে অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা, আর্থিক সামর্থ্য এবং থাকা-খাওয়ার নির্ভরযোগ্য পরিকল্পনার প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।
এদিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, যাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, নিশ্চয়ই তাঁদের ট্যুরিস্ট হিসেবে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে ব্যর্থ মনে করেছে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ।