২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে খুশি আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের উচ্ছ্বাসিত নেতাকর্মীরা রায় শোনার পর দেশজুড়ে আনন্দ মিছিল করেছে। বিভিন্ন স্থানে আনন্দিত নেতাকর্মীরা একে অপরকে করিয়েছে মিষ্টিমুখ। এ সময় সমাবেশ করে নেতারা এ রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।
দেশজুড়ে আনন্দ মিষ্টিমুখ আওয়ামী লীগের
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

চট্টগ্রাম : রায় ঘোষণার পর সন্তোষ প্রকাশ করে চট্টগ্রামে আনন্দ মিছিল-সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আলাদাভাবে এসব মিছিল বের করে নেতাকর্মীরা। বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ১৪ দল চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছে।
রাজশাহী : রায় ঘোষণার পর তারেক রহমানের ফাঁসির দাবিতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নগরীর কুমার মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
খুলনা : রায় ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ জেলা ও মহানগর শাখা দলীয় কার্যালয় থেকে আনন্দ মিছিল বের করে। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে সমাবেশে বক্তব্য দেন সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, নগর নেতা এমডিএ বাবুল রানা, শ্যামল সিংহ রায়, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান জামাল, আখতারুজ্জামান বাবু, মফিদুল ইসলাম টুটুল প্রমুখ।
বরিশাল : রায়কে স্বাগত জানিয়ে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করে। নগরীর বিবির পুকুর পাড়ের সোহেল চত্বর থেকে বের হওয়া মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে ফের সোহেল চত্বরের দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এ সময় সমাবেশে বক্তব্য দেন বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য জেবুননেছা আফরোজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, সহসভাপতি আফজালুল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নু প্রমুখ।
সিলেট : সকাল থেকে নগরের সোবহানী ঘাটের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। রায় ঘোষণার পর বিক্ষোভ মিছিল বের করে নেতাকর্মীরা। মিছিলটি নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এতে বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
ময়মনসিংহ : রায়কে স্বাগত জানিয়ে সমাবেশ করেছে ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগ। টাউন হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম খোকা। বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, এম এ কদ্দুস, শওকত জাহান মুকুল, আবু সাঈদ দীন ইসলাম ফখরুল, নুরুজ্জামান খোকন প্রমুখ। এদিকে রায় ঘোষণার পর শহরের কলেজ রোড থেকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হলে গিয়ে শেষ হয়।
কুমিল্লা : মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে গণমিছিল বের হয়। গণমিছিলের নেতৃত্ব দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ শহীদ, উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল ও মহানগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আলী মনসুর ফারুক।
নীলফামারী : রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। রায় প্রকাশের পর বুধবার বিকেলে নীলফামারী শহীদ মিনার চত্ব্বরে এক সমাবেশে ওই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আজ সত্যের জয় হয়েছে।’ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মমতাজুল হক, হাফিজুর রশীদ, আবুজার রহমান, আরিফা সুলতানা, অক্ষয় কুমার রায়, মসফিকুল ইসলাম, রমেন্দ্রনাথ বর্ধন, শাহিদ মাহমুদ, মনিরুল হাসান শাহ, মাসুদ সরকার প্রমুখ।
টাঙ্গাইল : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও তাঁর ভাই তাজউদ্দিনের ফাঁসি হওয়ায় তাঁর নিজ জেলা টাঙ্গাইলে আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো। রায় ঘোষণার পরপরই গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহার আহমেদ, সুভাস চন্দ্র সাহা, খোরশেদ আলম প্রমুখ।
মাগুরা : রায় ঘোষণার পরপরই তারেক রহমানের ফাঁসির দাবিতে মাগুরা শহরে মিছিল-সমাবেশ করেছে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুণ্ডু বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আস্থাশীল। তবে এ হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের ফাঁসির রায় প্রত্যাশা করেছিল জাতি।’ একই মন্তব্য করেছেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মীর মেহেদী হাসান রুবেল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শেখ মেহেদী হাসান সালাউদ্দিন।
গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। রায়ের খবর শুনে প্রথমে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু কলেজ ক্যাম্পাসে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে সমবেত হয়। পরে সেখান থেকে আওয়ামী লীগ ও সংযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সামনে গিয়ে শেষ করে। কোটালীপাড়ায় তারেক রহমানের ফাঁসির দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। এ সময় রাস্তার দুই পাশে যানজট দেখা দেয়। নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান ও বক্তব্যের মাধ্যমে তারেক রহমানের ফাঁসি দাবি করে। এ ছাড়া কাশিয়ানী, মুকসুদপুর ও টুঙ্গিপাড়ায়ও আনন্দ মিছিল বের করা হয়।
ফরিদপুর : শহরের থানা রোডের ফরিদপুর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে গতকাল দুপুরে নেতাকর্মীরা একটি আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের মুজিব সড়ক হয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বক্তব্য দেন কোতোয়ালি আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী প্রমুখ।
পিরোজপুর : রায় ঘোষণার পরপরই বৃষ্টি উপেক্ষা করে শহরের টাউন ক্লাব থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় টাউন ক্লাব সড়কে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ ফিরোজ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আমিরুল ইসলাম মিরণ, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক সাদউল্লাহ লিটন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মজনু তালুকদার, পৌর যুবলীগের সহসভাপতি আজাদ আল শুভ, সুমন শিকদার, মাহাবুবুর রহমান প্রমুখ।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় : রায় ঘোষণার পরই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল দলীয় টেন্ট থেকে শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে অনুষদ ভবনের করিডরে এসে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তৌকীর মাহফুজ মাসুদ, আলমগীর হোসেন আলো, আবু হেনা মোস্তফা, রবিউল ইসলাম পলাশ, রিজবী আহমেদ পাপন, আব্দুুল্লাহ আল মামুন, শাকিল আহমেদ সুমন, ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত, মিজানুর রহমান লালন প্রমুখ।
কুড়িগ্রাম : রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত বুধবার সকাল থেকে শহরের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এর পর রায় ঘোষণার পর উল্লাসে মেতে ওঠে তারা। এ সময় সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মণ্ডল, মো. জাফর আলী, এস এম আব্রাহাম লিংকন, শেখ রাকিবুজ্জামান রাকিব, রকিবুজ্জামান রনি প্রমুখ।
ঝালকাঠি : দুপুরে শহরে আনন্দ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ। ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে আনন্দ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সমাবেশে বক্তব্য দেন সিদ্দিকুর রহমান, সালাউদ্দিন আহমেদ সালেক, লিয়াকত আলী তালুকদার, তরুণ কর্মকার, রেজাউল করিম জাকির, হাবিবুর রহমান হাবিল, হাফিজ আল মাহামুদ, ছবির হোসেন, শফিকুল ইসলাম শফিক, এস এম আল আমিন প্রমুখ।
সুনামগঞ্জ : জেলা আওয়ামী লীগ রমিজ বিপণি কার্যালয়, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ ট্রাফিক পয়েন্ট এবং জেলা শ্রমিক লীগ হাছননগর দলীয় কার্যালয় থেকে আনন্দ মিছিল করে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার টিএ রোডে আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আখাউড়ায় পৌর মুক্তমঞ্চে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ নেতারা। আশুগঞ্জে গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান ছিল আওয়ামী লীগের।
ঠাকুরগাঁও : আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করে। পরে সেখানে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদেক কুরাইশী নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
গাইবান্ধা : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফাঁসির রায় না হওয়ায় গাইবান্ধা যুবলীগ গতকাল বুধবার তাত্ক্ষণিক শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। গাইবান্ধা জেলা যুবলীগ সভাপতি সরদার মো. শাহীদ হাসান লোটন ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবিব রাজিবের নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল জেলা শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়।
পটুয়াখালী : জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণের পর প্রেস ক্লাব চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। ওই হামলায় নিহত পটুয়াখালীর দশমিনার আলীপুরা গ্রামের মামুন মৃধার বাবা আব্দুল মোতালেব মৃধা বলেন, ‘আজ ভালো লাগছে, ছেলে হত্যার ১৪ বছর পর রায় পেয়েছি। দ্রুত আদালতের রায় কার্যকর করার দাবি জানাই।’
শেরপুর : রায় ঘোষণার পর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ আতিউর রহমান আতিক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় আমরা খুশি। কিন্তু গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তারেক রহমানের ফাঁসি না হওয়ায় আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট নই।’ এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফখরুল মজিদ খোকন, মিনহাজ উদ্দিন মিনাল, সুব্রত দে ভানু, আনোয়ারুল হাসান উৎপল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনিসুর রহমান, প্রকাশ দত্ত, শোয়েব হাসান শাকিল, রেজাউল করিম, জুনায়েদ নুরানী মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মেহেরপুর : আনন্দ মিছিল করেছে মেহেরপুর জেলা ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগ। দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাসির জামান মৃদুলের নেতৃত্বে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টার থেকে মিছিলটি বের হয়।
হবিগঞ্জ : রায়ের পরপরই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে আনন্দ মিছিল বের করে। এদিকে রায়কে সমর্থন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে বানিয়াচং যুবলীগ এবং নবীগঞ্জ ছাত্রলীগের নেতারা। হবিগঞ্জ শহরে ছাত্রলীগের মিছিলে নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : রায় ঘোষণার পর দুপুরে জেলা শহরের উদয়ন মোড় থেকে আনন্দ মিছিল বের করে যুবলীগ, কৃষক লীগ ও তাঁতি লীগের নেতাকর্মীরা। জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি খাইরুল আলম জেম, সাধারণ সম্পাদক মোসফিকুর রহমান টিটো, পৌর কৃষক লীগের সভাপতি মেসবাহুল হক টুটুল, শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ, যুগ্ম সম্পাদক আলী আশরাফ মিছিলে নেতৃত্ব দেন।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) : মিছিল শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, শওকত আলী, কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদ ধনু, রফিকুল ইসলাম পিন্টু, উমর হায়াৎ খান নঈম, আবদুর রাজ্জাক, কাজিম উদ্দিন আহামেদ, আনিছুর রহমান রিপন, এজাজুল হক পারুল, জাকির হোসেন শিবলী, মনিরুজ্জামান মামুন, শারিয়ার হক সজীব প্রমুখ।
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) : উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে দুপুরে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে। এতে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম মানিক, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, নাজমুল হক ঢালী, আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ হোসেন সোহেল, আওরঙ্গ হেলাল, সালাহউদ্দিন পলাশ, আবু কায়সার, মাহমুদুল হাসান সজিব, তাজমুন আহমেদ, মেহেদী হাসান সানিল, শরিফুল ইসলাম মণ্ডল প্রমুখ।
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) : রায় ঘোষণার পরপরই ত্রিশাল যুবলীগের নেতৃত্বে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল বের করা হয়। বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জুয়েল সরকার, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) : মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ থেকে মিছিলটি বের হয়। পরে সমাবেশে বক্তব্য দেন পৌর মেয়র গোলাম কিবরিয়া, আবু বক্কর সিদ্দিক, ইমদাদুল হক সেলিম, মো. রুহুল আমীন, মো. ওয়াদুদ আকান্দ দুদু, মো. হারুন অর রশিদ, মো. রাকিবুল ইসলাম রকিব, গোলাম সারওয়ার প্রমুখ।
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : রায় ঘোষণার আগে থেকে শ্রীমঙ্গল চৌমোহনায় অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ উপজেলা, পৌর ও কলেজ কমিটির নেতাকর্মীরা। পরে তারা মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। নেতাকর্মীরা একে অপরের মুখে মিষ্টি তুলে দেয়।
এ ছাড়া গাজীপুরের টঙ্গী ও কালিয়াকৈর, সিলেটের বিশ্বনাথ, শেরপুরের শ্রীবরদী এবং টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এ রায়কে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে।
সম্পর্কিত খবর

স্বস্তির জয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ
সাইদুজ্জামান, ডাম্বুলা থেকে

ক্রিকেট ম্যাচ, তার ওপর রবিবার। গতকাল তাই উদ্দাম পার্টির প্রস্তুতি ছিল রনগিরি ডাম্বুলা স্টেডিয়ামের উপড়ে পড়া গ্যালারির। ম্যাচ শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকে ডিজের মিউজিক, দর্শকদের ড্রাম পেটানো আর ট্রাম্পেটের চড়া সুরে কান পাতা দায়। সেই পার্টিই মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে যায় দারুণ ক্ষিপ্রতায় কুশল মেন্ডিসকে শামীম হোসেন রান আউট করতেই।
বিশ ওভারের ক্রিকেটে ছন্দ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুতলয়ের ক্রিকেটে ছন্দের সেই গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে পেয়ে আর পেছনে তাকায়নি বাংলাদেশ দল।
অবশ্য ম্যাচজুড়েই শামীমের প্রতিপত্তি দেখা গেছে।
কিন্তু সে ধারণা ভুল প্রমাণ করেছেন লিটন ও শামীম। অধিনায়কের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়ে তাওহিদ ফেরেন, একই ওভারে তাঁর সঙ্গে ড্রেসিংরুমে যোগ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই ধাক্কায় অবশ্য কাবু হওয়ার অবস্থায় নেই শামীম। আগের ম্যাচে ৫ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকা এই বাঁহাতি শুরু থেকে চড়াও হন লঙ্কান বোলারদের ওপর। ওদিকে অধিনায়কও থিতু হয়ে গেছেন উইকেটে। তাঁরা জুটি বেঁধে ছোটান রানের গতি। পঞ্চম উইকেট জুটিতে লিটন ও শামীম মিলে তোলেন ৭৭ রান, তা-ও মাত্র ২১ বলে! ১৩ ম্যাচ পর ফিফটির দেখা পান লিটন, যা তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বাদশ পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংস। এক বাউন্ডারি আর পাঁচ ছক্কায় ৫০ বলে ৭৬ রান করে যখন আউট হন অধিনায়ক, ততক্ষণে লড়াইয়ের জন্য আশাব্যঞ্জক পূঁজি এক রকম হয়ে গেছে বাংলাদেশের। শেষ ওভারে স্ট্রাইক পেতে মরণপণ দৌড়েও ক্রিজে পৌঁছাতে পারেননি শামীম। তাতে ২৭ বলে তাঁর ৪৮ রানের ইনিংস পঞ্চাশ ছুঁতে না পারার আক্ষেপে শেষ হয়েছে। অবশ্য তাঁর মনে কোনো আক্ষেপ নেই, ‘দল জিতেছে। তাতে অবদান রাখতে পেরেছি। এতেই আমি খুশি।’ শামীম আরো খুশি ১৬ জুলাই কলম্বোয় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা নয়, জয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
ম্যাচ শুরুর আগের রনগিরি ডাম্বুলা স্টেডিয়ামের চালচিত্র না বললেই নয়। হাজার তিরিশেক দর্শকের ঠাঁই হয় এ মাঠে। তবে দুই দিন ধরে টিকিটের জন্য আহাজারি শোনা যাচ্ছিল, তাতে বোঝাই যাচ্ছিল যে পর্যাপ্ত আসন নেই। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় খেলা শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে গ্যালারি ভরে গেছে। বরাবরের মতো গ্যালারি লাগোয়া গাছেও চড়ে বসেন বিনা টিকিটের দর্শক। তাই বলে সিঁধ কেটে বিনা টিকিটের দর্শক ঢোকে ডাম্বুলায়, সেটি অজানা ছিল। গতকাল সেটিও দেখা হলো, বাংলাদেশ ইনিংসের ব্যাটিং পাওয়ার প্লে চলাকালে ভিআইপি স্ট্যান্ডের দিককার কাঁটাতারের বেড়ার নিচের মাটি সরিয়ে অন্তত শ খানেক টিকিটহীন দর্শক ঢুকে পড়লেন স্টেডিয়াম চত্বরে। বিনা বাধায় যোগ দিলেন গ্যালারির উৎসবে। নিজ দলের ব্যাটিং ভরাডুবিতে ক্ষণে ক্ষণে লাউড স্পিকার থেমেছিল বটে। তবে পুরোপুরি থামেনি। পুরস্কার বিতরণীর পরও কিছু দর্শককে দেখা গেছে হাসিমুখে সেলফি তোলায় ব্যস্ত। কয়েকজন তো বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বলেও গেলেন, ‘ওয়েল প্লেইড বাংলাদেশ!’

অবৈধ ব্যাটারির রিকশা জব্দে অভিযান শুরু

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবৈধ ব্যাটারির রিকশার দাপট বেড়েছে। সেগুলো জব্দে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গতকাল মালিবাগে অবৈধ ব্যাটারির রিকশা জব্দ করে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি : ফোকাস বাংলা
।
মানবতাবিরোধী অপরাধ
বেরোবির সাবেক ভিসিসহ ২৪ আসামির আত্মসমর্পণে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য মো. হাসিবুর রশীদসহ পলাতক ২৪ আসামিকে আত্মসমর্পণের জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারকে বাংলা-ইংরেজি দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিতে বলা হয়েছে। আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গতকাল রবিবার এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই বিচারক হলেন মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘এর আগে ১০ জুলাই এই মামলার ২৬ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
পরে ট্রাইব্যুনাল আগামী ২২ জুলাই পরবর্তী শুনানির তারিখ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন। যে দুজন আসামি অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন তাঁরা হলেন রাফিউল হাসান রাসেল ও মো. আনোয়ার পারভেজ।
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় মোট ৩০ জন আসামি। এর মধ্যে চারজনকে এদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ১৬ জুলাই ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল-২। এই মামলার শুনানি করেন প্রসিকিউটর মো. সাইমুম রেজা তালুকদার। শুনানিতে তিনি বলেন, পলাতক আট আসামির গ্রেপ্তার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় প্রয়োজন। তখন ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৬ জুলাই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। আদেশের সময় মামলার ১৬ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার আটজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

হত্যা মামলায় জামিন
আমি রাজনীতি বুঝি না : অপু বিশ্বাস
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর ভাটারা থানার এনামুল হক নামের এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণ করে অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস জামিন পেয়েছেন। গতকাল রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। শুনানি চলাকালে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন অভিনয়শিল্পী। এটাই আমার পেশা।
এদিন অপু বিশ্বাস আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি মুখে কালো মাস্ক, মাথায় সাদা ওড়না ও বোরকা পরেছিলেন। তাঁর আইনজীবী আব্দুল মান্নান খান জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
এরপর অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন অভিনেত্রী। অভিনয় করার জন্য অনেক কিছু করতে হয়েছে। আমি রাজনীতি বুঝি না। রাজনীতি করিও না। করতেও চাই না।’ এ সময় আইনজীবীরা আহা আহা সাধু বলতে থাকেন। অনেক আইনজীবী উত্তেজিত হয়ে বলেন, অপু বিশ্বাস এমপি হতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনার দোসর তিনি। এ সময় অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি অভিনেত্রী। আমাকে যে পোশাক দেওয়া হয়, সে পোশাক পরে অভিনয় করতে হয়। অভিনয় এমনই। ওই সময় আমি খারাপ অবস্থায় ছিলাম। পারিবারিক ঝামেলা চলছিল। আমার একটা বাচ্চা আছে।’ এ সময় অপু বিশ্বাসের চোখ ছলছল করতে দেখা যায়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে অপু বিশ্বাস গত ২ জুন হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান। পরে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মো. ওয়াহিদুজ্জামানের আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিননামা দাখিল করেন তিনি।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই ভাটারা থানার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের ওপর গুলি চালানো হয়। এনামুল হকের পায়ে গুলি লাগে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার শ’ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি করেন তিনি। মামলায় অপু বিশ্বাস, আশ্না হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন তারকাকেও আসামি করা হয়। মামলায় এসব অভিনেতা-অভিনেত্রীকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে এই মামলায় গত ১৮ মে গ্রেপ্তার হন আরেক চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। পরদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২০ মে জামিন পান তিনি।