ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

একাত্তরে পরাজয়ের আগের দিনগুলোতে ইয়াহিয়া খান

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
একাত্তরে পরাজয়ের আগের দিনগুলোতে ইয়াহিয়া খান

৩ ডিসেম্বর ১৯৭১। পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি জেনারেল ইয়াহিয়া খান তাঁর এডিসি স্কোয়াড্রন লিডার আর্শাদ সামি খাঁকে ডেকে বলেছিলেন যে বিকেল ঠিক ৪টায় জেনারেল হামিদ (চিফ অব আর্মি স্টাফ বা সেনাপ্রধান) ইসলামাবাদে রাষ্ট্রপতি ভবনে আসবেন। তাঁরা এমন একটা জায়গায় যাবেন, যেটার কথা নিজের এডিসিকেও বলতে পারবেন না আগে থেকে।

৪টার সময় জেনারেল হামিদ নিজের মিলিটারি জিপ চালিয়ে এসেছিলেন।

জিপে তাঁর পাশেই চড়ে বসেছিলেন জেনারেল ইয়াহিয়া। আর দুজন এডিসি পেছনের আসনে। বিপত্তি বাধল শুরুতেই। কোথা থেকে একটা বড় শকুন এসে জিপের সামনে বসে পড়ল।
হর্ন দেওয়া হলো, কিন্তু তাতেও শকুনটার নড়ার কোনো লক্ষণ দেখা গেল না। ইয়াহিয়া খান জিপ থেকে নেমে হাতের ব্যাটন দিয়ে শকুনটাকে সরানোর চেষ্টা করলেন। তা-ও সে নড়ে না! শেষমেশ বাগান থেকে এক মালি দৌড়ে এসে হাতের কোদালটা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে খোঁচা দিয়ে শকুনটাকে সরাল ওখান থেকে।

দুই জেনারেলকে নিয়ে এগুলো জিপ।

কিছুক্ষণ পরে গিয়ে পৌঁছাল একটা ভবনের সামনে, যেটাকে বাইরে থেকে দেখলে গুদাম মনে হয়। হর্ন বাজাতেই এক রক্ষী বাইরে এসে জেনারেল ইয়াহিয়াকে দেখেই স্যালুট করে দরজা খুলে দিল। ভবনের সামনেই অপেক্ষা করছিলেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল রহিম খাঁ।

ওই ভবনটি আসলে ছিল পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সদর দপ্তর। সাধারণ মানুষের চোখের আড়ালে রাখা হয়েছিল সেটিকে।

ভেতরে যখন বৈঠকে বসছেন সবাই, ততক্ষণে পাকিস্তানের এফ-৮৬ বোমারু বিমানগুলো ভারতের ওপরে হামলা করার জন্য উড়ে গেল। আধা ঘণ্টার বৈঠকের পর যখন জেনারেল ইয়াহিয়া খানের ফিরে যাওয়ার সময় হলো, তখনই বিমান হামলার সাইরেন বাজতে শুরু করল।

জেনারেল খানের এডিসি আর্শাদ সামি বিবিসি হিন্দিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘দেখলাম খুব নিচ দিয়ে বেশ কয়েকটা যুদ্ধ বিমান উড়ে গেল। ইয়াহিয়া খান ড্রাইভারকে ইঞ্জিন বন্ধ করে, আলো নিভিয়ে দিতে বলেছিলেন। তখন উল্টোদিক থেকে আরো কয়েকটা বিমান উড়ে আসতে দেখলাম। ইয়াহিয়া খান বেশ গর্বের সঙ্গে বলেছিলেন, এগুলো আমাদের ইন্টারসেপ্টার বিমান।’

আসলে একাত্তরের যুদ্ধটা তখন ইয়াহিয়া খানের প্রত্যাশার ঠিক উল্টোদিকে গড়াচ্ছিল। চারদিক থেকেই ব্যর্থতার খবর আসছে। চীন থেকে কোনো সাহায্য পাওয়ার আশা ত্যাগ করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে ফোন করেছিলেন জেনারেল ইয়াহিয়া, কিন্তু নিক্সন তখন একটা বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন।

আর্শাদ সামি খাঁ বলেন, ‘১৩ ডিসেম্বর রাত প্রায় ২টার সময় রাষ্ট্রপতি ভবনের টেলিফোন অপারেটর আমকে জানিয়েছিলেন যে প্রেসিডেন্ট নিক্সন ফোন করেছেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে জেনারেল ইয়াহিয়া খানকে ঘুম থেকে ডেকে তুলি। টেলিফোন লাইনটা খুব খারাপ ছিল। জেনারেল আমাকে ঘুম জড়ানো গলায় বলেছিলেন, আমি যেন অন্য টেলিফোনে সব কথা শুনি, আর লাইন কেটে গেলে আমিই যেন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাই।’

প্রেসিডেন্ট নিক্সনের কথার মূল বিষয়টা ছিল যে তিনি পাকিস্তানের সুরক্ষার জন্য খুবই চিন্তিত আর তাই সাহায্যের জন্য সেভেন্থ ফ্লিট (সপ্তম নৌবহর) বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা করিয়ে দিয়েছেন।

‘নিক্সনের ফোন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জেনারেল ইয়াহিয়া আমাকে বললেন, জেনারেল হামিদকে ফোন করো। হামিদ ফোনটা ধরতেই ইয়াহিয়া প্রায় চিত্কার করে বলেছিলেন, ‘উই হ্যাভ ডান ইট। আমেরিকান্স আর অন দেয়ার ওয়ে,’ বলেন স্কোয়াড্রন লিডার আর্শাদ সামি খাঁ।

সেভেন্থ ফ্লিট পরের দিন তো দূরের কথা, ঢাকার পতনের দিন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে পৌঁছায়নি।

শেষমেষ দেশ দুই টুকরো করে ‘নিজের ধার শোধ’ করতে হয়েছিল জেনারেল ইয়াহিয়া খানকে! জেনারেল এস কে সিনহা তাঁর আত্মজীবনী ‘আ সোলজার রিমেমবার্স’-এ লিখেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশর কাছে ইয়াহিয়া খানের সেই ধার নেওয়ার কাহিনী।

১৯৪৭-এ স্বাধীনতার সময়ে মানেকশ আর ইয়াহিয়া দুজনেই দিল্লিতে সেনা সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। ইয়াহিয়ার অনেক দিনের পছন্দ ছিল মানেকশর লাল রঙের মোটরসাইকেলটা। ১৯৪৭-এ যখন ইয়াহিয়া পাকিস্তানে চলে যাচ্ছিলেন, তখন মানেকশ নিজের লাল মোটরসাইকেলটা ইয়াহিয়ার কাছে এক হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিলেন। ইয়াহিয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে পাকিস্তানে পৌঁছেই টাকাটা তিনি মানেকশকে পাঠিয়ে দেবেন। কিন্তু সেটা তিনি ভুলে যান। একাত্তরের যুদ্ধের পরে মানেকশ মজা করে বলেছিলেন, ‘ইয়াহিয়া খানের চেক আসবে বলে ২৪ বছর অপেক্ষা করেছি, কিন্তু চেক আর আসেনি। সেই সাতচল্লিশে যে ধার করেছিলেন, নিজের দেশের অর্ধেকটা দিয়ে সেই ধার শোধ করলেন ইয়াহিয়া।’

ইয়াহিয়া খানের যে শুধু মানেকশর লাল মোটরসাইকেলের প্রতি নজর ছিল, তা নয়। তাঁর নারীপ্রীতিও সবার জানা। তাঁকে ‘লেডিজ ম্যান’ বলা হতো। অনেক নারীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সংগীতশিল্পী ‘মালিকা-এ-তরন্নুম’ নূরজাহান। জেনারেল ইয়াহিয়া নূরজাহানকে নূরি বলে ডাকতেন, আর তিনি ইয়াহিয়াকে ‘সরকার’ বলে সম্বোধন করতেন। নূরজাহান আর ইয়াহিয়ার সম্পর্ক নিয়ে একটা গল্পও শোনান আর্শাদ সামি।

শুধু নারীতে নয়, সুরাতেও অসম্ভব আসক্ত ছিলেন জেনারেল ইয়াহিয়া। পার্টিতে যাওয়া ছিল তাঁর একটা অন্যতম শখ। একবার রাষ্ট্রপতি হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশ) গিয়েছিলেন জেনারেল ইয়াহিয়া। সঙ্গে ছিলেন আর্শাদ সামি খাঁ। সামি বিবিসিকে বলেন, ‘ইয়াহিয়া এক দিন সন্ধ্যায় আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, পার্টিতে যাবে? আমি হ্যাঁ বলতেই তিনি জানতে চেয়েছিলেন আমি কোন গাড়ি ব্যবহার করি। মার্সিডিজের কথা বলতেই তিনি বলেছিলেন আজ অন্য কোনো গাড়ি নাও। ড্রাইভারকে বলে দেবে তোমার ঘরের পাশে পার্ক করে রাখতে। ড্রাইভারকে ছুটি দিয়ে দিও। ঠিক রাত ৯টা পাঁচ মিনিটে পেছনের বারান্দার কাছে এসে গাড়ির লাইট নিভিয়ে দেবে, পেছনের দরজাটা খুলে রাখবে। আমি ৯টা ১৫-এ গাড়িতে উঠব। একটি চাদর দিয়ে ঢেকে দেবে আমাকে। কেউ যেন বুঝতে না পারে গাড়িতে কে আছে।’

সেই মতোই জেনারেল ইয়াহিয়াকে নিয়ে ঢাকার রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে বেরিয়েছিলেন আর্শাদ। তবে কিছুদূর গিয়েই পেছন থেকে চালকের পাশের আসনে চলে আসেন ইয়াহিয়া। আরো একটু পরে তিনি বলেন, মিসেস খন্দকারের জন্য ফুল কিনতে হবে।

বন্ধু মি. খন্দকারের বাড়িতে পৌঁছে নিজের হাতেই দরজায় বেল দিয়েছিলেন ইয়াহিয়া। ‘খন্দকার সাহেব তো দরজায় ইয়াহিয়া খানকে দেখে অবাক। তিনি ভাবতেও পারেননি যে সাইরেন না বাজিয়ে, লোকলস্কর না নিয়ে চুপচাপ ইয়াহিয়া তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যাবেন! তবে ইয়াহিয়া অবাক হয়ে যাওয়া বন্ধুকে বলেছিলেন, ‘কী কানু, তুমি ভেতরে যেতে বলবে না?’ ভারি চেহারা নিয়েও পার্টিতে খুব ভালো নাচতে পারতেন ইয়াহিয়া। সেই রাতে খন্দকারের পার্টিতে যতজন মহিলা ছিলেন, প্রত্যেকের সঙ্গে নেচেছিলেন ইয়াহিয়া। মাঝে মাঝে আমাকে জিজ্ঞাসা করছিলেন যে আমার ঘুম পাচ্ছে কি না,’ বিবিসি হিন্দিকে বলছিলেন আর্শাদ সামি খাঁ।

ইয়াহিয়ার আরেকটা শখ ছিল লোকজনকে উপহার দেওয়া। এডিসি আর্শাদকে প্রথম দিনেই বলে দিয়েছিলেন যে দেশ-বিদেশের অতিথিদের দেওয়ার জন্য সব সময় যেন কিছু উপহার মজুত থাকে।

একাত্তরের যুদ্ধটাও যেন অনেকটা সে রকমই ছিল ইয়াহিয়া খানের কাছে। একবার হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ার পরে আর যুদ্ধটাকে নিজের কবজায় ফিরিয়ে আনতে পারেননি তিনি। তবে তার জন্য ইয়াহিয়া আর তাঁর অন্য জেনারেলদের অত্যধিক আত্মবিশ্বাসই অনেকটা দায়ী বলে মনে করেন সত্তরের দশকে পাকিস্তানের বিদেশসচিব হিসেবে কাজ করা সুলতান মুহম্মদ খাঁ। তিনি নিজের আত্মজীবনী ‘মেময়ার্স অ্যান্ড রিফ্লেকশন অব আ পাকিস্তানি ডিপ্লোম্যাট’ বইয়ে লিখেছিলেন, ‘ইয়াহিয়া খান এটা বিশ্বাস করতে তৈরি ছিলেন না যে ভারত পূর্ব পাকিস্তানে হস্তক্ষেপ করবে। সেই সময় পাকিস্তানের অন্য জেনারেলদের মধ্যেও এ ভুল ধারণা ছিল যে তাঁরা ছররা বন্দুক দিয়েই বাঙালিদের মাথানত করিয়ে দিতে পারবে, কারণ বাঙালিরা যুদ্ধ করতে জানে না। কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করেছে যে তাঁরা কতটা ভুল ছিলেন।’

আর্শাদ সামি খাঁর সাক্ষাত্কারটি নিয়েছেন বিবিসি হিন্দির রেহান ফজল। গতকাল শনিবার এটি বাংলায় প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা অনলাইন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এক ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীতে দুজনসহ তিন জেলায় চার খুন

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
এক ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীতে দুজনসহ তিন জেলায় চার খুন

রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবরে মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। কুমিল্লায় ঘুমন্ত নারীর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও খুঁচিয়ে খুন করা হয়েছে। দিনাজপুরে চালককে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত :

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান ও আদাবরের নবোদয় হাউজিংয়ে দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, চাঁদ উদ্যান সড়কের লাউতলায় আল আমিন (৩০) নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

এর এক ঘণ্টা পর আদাবরের নবোদয় হাউজিংয়ে ইব্রাহিম নামের একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আদাবর থানার এসআই আলমগীর হোসেন বলেন, গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় সজীব ও রুবেল নামের দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

কুমিল্লা : দেবীদ্বার পৌর এলাকার সাইলচর গ্রামে মঙ্গলবার রাতে ঘুমন্ত নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

নিহত ঝরনা বেগম (৪৮) সাইলচর গ্রামের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আব্দুল করিমের স্ত্রী।

ঝরনা বেগমের স্বামী আব্দুল করিম জানান, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর পারিবারিক নানা বিষয়ে দূরত্ব ছিল। স্বামীর অসুস্থতার কারণে স্ত্রী তাঁকে প্রায়ই ঘুমের ওষুধ খাওয়াতেন। আগের রাতে ঝরনা তাঁকে আটটি ঘুমের বড়ি খাওয়ালে কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন।

সকালে উঠে দেখেন স্ত্রীর লাশ। তাঁর মাথা থেঁতলানো এবং রক্তাক্ত।

দেবীদ্বার-ব্রাহ্মণপাড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহীন বলেন, ‘ওই নারীর মাথায় তিনটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে, যেগুলো ইলেকট্রিক প্লায়ার্স বা স্ক্রু ড্রাইভারের আঘাত হতে পারে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নানামুখী, আমরা তদন্ত করছি।’

দিনাজপুর : দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ৩ নম্বর ধামইর ইউনিয়নের মাটিয়ান গ্রামে চালককে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

গতকাল সকালে রাস্তা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত আসাদুল ইসলাম (৩৫) উপজেলার যুগীহারীখাড়িপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।

নিহতের বড় ভাই মকবুল হোসেন জানান, কয়েক দিন আগে পুরনো ভ্যান বিক্রি করে নতুন ভ্যান কেনেন আসাদুল ইসলাম। মঙ্গলবার সেই ভ্যান চালাতে গিয়ে আর বাসায় ফেরেননি।

রাজশাহী : রাজশাহীর পুঠিয়ায় নিখোঁজ হওয়া এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার আগলা গ্রামে ঘাসের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. আবরার (৬) ওই এলাকার ডা. শওকত শরীফের ছেলে। ডা. শওকত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিশেষজ্ঞ।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের কিশোরী হেফাজতে রাখা হয়েছে। আরএমপির বেলপুকুর থানার ওসি সুমন কাদেরী এসব তথ্য কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।

 

মন্তব্য

সিরিজ জিতে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ

শেয়ার
সিরিজ জিতে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ
গতকাল শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ দল। আজ সকালে দেশে ফেরার আগে এই ট্রফি হাতে উদযাপনটাও সেরে নিয়েছেন লিটন দাস, তানজিদ হাসানরা। ছবি : মীর ফরিদ, কলম্বো থেকে

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়, ১৯৮৬ এশিয়া কাপ দিয়ে। তখন পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এরপর সময় গড়িয়েছে, কালের বিবর্তনে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। সব ফরম্যাটে জয়ও আছে।

কিন্তু কোনো ফরম্যাটে সিরিজ জেতা হয়নি। গতকাল প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটের জয়ে নতুন ইতিহাস লিখল লিটন দাসের বাংলাদেশ। ইতিহাস গড়েও বাড়তি কোনো উচ্ছ্বাস নেই। জয় নিশ্চিত হওয়ার পর বাতাসে মুষ্টিবদ্ধ হাত ছুড়েছেন তানজিদ হাসান তামিম।
তবে ডাগ আউট সিরিজ জিতে দেশে ফিরছে বাংলাদেশথেকে ছুটে কেউ মাঠে ঢুকে পড়েননি। আনন্দের প্রকাশ আছে, তবে তাতে যেন মিশে দূর ভবিষ্যতের প্রত্যয়। আজ ঢাকায় ফিরেই যে ঢুকে পড়তে হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে!

জেতার জন্য ১৩৩ রান টি-টোয়েন্টিতে বড় লক্ষ্য নয়। তবে অলিখিত ফাইনালের চাপ, ব্যাটিংয়ের ফাঁকফোকর আর প্রেমাদাসার উইকেট বিবেচনায় এটা আবার আয়েশে পাড়ি দেওয়া দূরত্বেরও নয়।

কিছুটা ধাঁধার মতো। সতর্ক শুরু করলে আকস্মিক রানের চাপ বাড়তে পারে। আবার উড়িয়ে মারার ঝুঁকি আছে প্রেমাদাসায়। তাই মধ্যপন্থায় এগিয়েছে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলে পারভেজ হোসেনকে হারানোর পর তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস আক্রমণ করেছেন, তবে নিজেদের রক্ষণ আলগা করে নয়।
তাতে এই দুজনের গড়া ৮৪ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি অজানা আশঙ্কা দূর করে দিয়েছে। কামিন্ডু মেন্ডিসকে সুইপ খেলতে গিয়ে ক্যাচ না দিলে হয়তো ম্যাচ শেষ করেই মাঠ ছাড়তে পারতেন লিটন। টস হেরে ফিল্ডিংয়ে দল পরিচালনা এবং শুরুতে উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলানোর জন্য এটুকু তাঁর প্রাপ্য ছিল। যাওয়ার আগে অবশ্য দলকে ভরসা দিয়ে গেছেন নুয়ান থুসারাকে র‌্যাম্প শটে বাউন্ডারি মেরে। তবে ম্যাচের সেরা শট তানজিদের। মাহিশ থিকশানাকে এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে মারা তাঁর ছক্কার শটটি ইউটিউবে বিপুল ভিউ পাবে নিশ্চিত! এর আগে-পরে আরো চার, ছক্কা এবং এক বাউন্ডারিতে ২৭ বলে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে নিজের পঞ্চম ফিফটি পূর্ণ করেছেন তানজিদ। বাঁহাতি এই ওপেনারের এমন দাপুটে ব্যাটিংয়ের কারণে কোনো ঝুঁকি নিতে হয়নি তাওহিদ হৃদয়কে। ওদিকে চাপের মুখে যাচ্ছেতাই ফিল্ডিং করেছে লঙ্কানরা, ব্যক্তিগত ৬০ রানে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান তানজিদ। এরপর আর আউটই হননি তিনি। ৪৭ বলে ১ বাউন্ডারি আর ৬ ছক্কায় ৭৩ রান করে অপরাজিত থেকেছেন তানজিদ। আর উইনিং স্ট্রোক খেলেছেন ২৭ রানে অপরাজিত থাকা তাওহীদ হৃদয়।

মাস তিনেক আগে ঘটা করে তাঁকে টি-টোয়েন্টির সহ-অধিনায়ক করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথম সফরে নীরবে নতুন দায়িত্বের সঙ্গে একাদশেও জায়গা হারিয়েছিলেন শেখ মেহেদী। তাই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটায় আর সবার চেয়ে তাঁর ওপর চাপ ছিল বেশি। যদিও মাঠে সে রকম কিছু মনে হয়নি। বরং মাত্র ১১ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন মেহেদী, যা তাঁর ক্যারিয়ারসেরা টি-টোয়েন্টি বোলিংও। এর মধ্যে ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে করা ২ ওভারে ২ উইকেট নিয়েছেন। নিজের কোটা পূর্ণ করেছেন ফিল্ডিং বিধি-নিষেধ উঠে যাওয়ার পর। সে স্পেলেও জোড়া শিকার মেহেদীর। আর উইকেটগুলো যথাক্রমে কুশল পেরেরা, দীনেশ চান্ডিমাল, চারিথ আশালঙ্কা ও পাথুম নিশাঙ্কারবকলমে যাঁরা শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপের মেরুদণ্ড। সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাদ পড়া মুস্তাফিজুর রহমান গতকালও উজাড় করে দিয়েছেন। পাওয়ার প্লেতে নিখুঁত নিশানায় দুই ওভার করেছেন। পরের স্পেলে স্লোয়ার আর কাটারে ধন্দে রেখেছেন লঙ্কান ব্যাটারদের। তাতে ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান গুনেছেন মুস্তাফিজ, সঙ্গে আঁটসাঁট বোলিংয়ের পুরস্কার হিসেবে একটি শিকার। এর মধ্যে শামীম হোসেনকে দিয়ে দুই ওভার বোলিং করিয়ে নিয়েছেন লিটন দাস। এই সিরিজে যেন অধিনায়ককে বিমুখ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শামীম! ১০ রানের বিনিময়ে বিপজ্জনক হয়ে ওঠার মুখে কামিন্ডু মেন্ডিসকে থামিয়েছেন তিনি। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে কাচটি দারুণ দক্ষতায় নিয়েছেন এক ম্যাচ বিরতির পর একাদশে ফেরা তানজিম হাসান। রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়েছেন। তবে এক দিনে সবার তো আর সব হয় না। বাংলাদেশের বোলিং বিভাগে যেমন শরিফুল ইসলাম রান গুনেছেন ৫০! তাতে শ্রীলঙ্কার ইনিংসও শেষ দিকে দাসুন শানাকার ঝটকায় এক শ ছাড়িয়ে যায়। ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার।

অবশ্য ম্যাচের নির্ঘণ্ট করতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চারিথ আশালঙ্কা একটা কথাই বারবার করেছেন, মেহেদী দারুণ বোলিং করেছে। টি-টোয়েন্টির একাদশে প্রত্যাবর্তনের রোমাঞ্চকর গল্প লিখলেন এই অফস্পিনার অলরাউন্ডার।

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে এক দিনে ৫৫ জনকে পুশ ইন

নিজস্ব প্রতি‌বেদক ও মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
নিজস্ব প্রতি‌বেদক ও মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
শেয়ার
সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে এক দিনে ৫৫ জনকে পুশ ইন

ভারত থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার তিনটি সীমান্তপথে ৫৫ জন বাংলাদেশিকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ, ৩৩ জন নারী এবং ১০টি শিশু।

গতকাল বুধবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে এই পুশ ইনের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট ৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক।

এর আগে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের ভারতীয় অংশে অবৈধভাবে অবস্থান করা সাত বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক আবু হানিফ মো. সিহানুক স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিজিবি।সিলেট বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, নোয়াকোট, কালাইরাগ, তামাবিল ও শ্রীপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত দিয়ে চারটি গ্রুপে এসব বাংলাদেশিকে পুশ ইন করা হয়। পরে সীমান্ত এলাকায় টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদের সবাইকে আটক করেন।

 

বিজিবি সূত্র জানায়, সিলেট জেলার কালাইরাগ সীমান্তে সাতটি পরিবারের ১৯ জনকে আটক করা হয়। শ্রীপুর সীমান্তের মোকামপুঞ্জি এলাকা দিয়ে পুশ ইন করা হয় ১৩ জনকে। তামাবিল বিওপির নলজুরি থেকে দুজনকে আটক করা হয়। অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলার নোয়াকোট বিওপি এলাকার ছনবাড়ী সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন করা হয় ২১ জনকে।

পুশ ইন হওয়া ৫৫ জনের মধ্যে নড়াইলের ২৩ জন, যশোরের ১২ জন, সাতক্ষীরার ১০ জন, সিলেটের চারজন, বরিশালের দুজন এবং কুষ্টিয়া, খুলনা, হবিগঞ্জ ও নরসিংদী এলাকার একজন করে রয়েছে। সিলেট ৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক  জানান,  আটককৃত ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

মহেশপুর সীমান্তে ৭ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর  : ঝিনাইদহের মহেশপুর বিজিবির পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিক ভারত থেকে বাংলাদেশ আসার সময় বিএসএফ তাদের আটক করে। পরে মহেশপুর সীমান্তের বাগাডাঙ্গা বিওপিকে অবগত করে তারা। আটক ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে বিকেলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের কাছ থেকে তাদের গ্রহণ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, এই সাতজনের মধ্যে দুজন পুরুষ, দুজন নারী এবং তিনটি শিশু রয়েছে। সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তাদের মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

 

মন্তব্য

কুমিল্লায় ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত নারীকে, দিনাজপুরে ভ্যানচালককে হত্যা

    রাজশাহীতে শিশুর লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুমিল্লায় ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত নারীকে, দিনাজপুরে ভ্যানচালককে হত্যা

কুমিল্লায় ঘুমন্ত নারীর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও খুঁচিয়ে খুন করা হয়েছে। দিনাজপুরে চালককে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। রাজশাহীর পুঠিয়ায় পাওয়া গেছে ছয় বছরের এক শিশুর লাশ। কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত :

কুমিল্লা : দেবীদ্বার পৌর এলাকার সাইলচর গ্রামে মঙ্গলবার রাতে ঘুমন্ত নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

নিহত ঝরনা বেগম (৪৮) সাইলচর গ্রামের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আব্দুল করিমের স্ত্রী।

ঝরনা বেগমের স্বামী আব্দুল করিম জানান, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর পারিবারিক নানা বিষয়ে দূরত্ব ছিল। স্বামীর অসুস্থতার কারণে স্ত্রী তাঁকে প্রায়ই ঘুমের ওষুধ খাওয়াতেন। আগের রাতে ঝরনা তাঁকে আটটি ঘুমের বড়ি খাওয়ালে কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন।

সকালে উঠে দেখেন, স্ত্রীর লাশ। তাঁর মাথা থেঁতলানো এবং রক্তাক্ত। ঘটনার পর থেকে ঝরনা বেগমের বড় ছেলে সবুজ নিখোঁজ রয়েছে।

দেবীদ্বার-ব্রাহ্মণপাড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহীন বলেন, ওই নারীর মাথায় তিনটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে।

যেগুলো ইলেকট্রিক প্লায়ার্স বা স্ক্রু ড্রাইভারের আঘাত হতে পারে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নানামুখী, আমরা তদন্ত করছি।

দিনাজপুর : দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ৩ নম্বর ধামইর ইউনিয়নের মাটিয়ান গ্রামে চালককে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সকালে রাস্তা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত আসাদুল ইসলাম (৩৫) উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের যুগীহারীখাড়িপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।

নিহতের বড় ভাই মকবুল হোসেন জানান, কয়েক দিন আগে পুরনো ভ্যান বিক্রি করে নতুন ভ্যান কেনেন আসাদুল ইসলাম। মঙ্গলবার সেই ভ্যান চালাতে গিয়ে আর বাসায় ফেরেননি।

রাজশাহী : রাজশাহীর পুঠিয়ায় নিখোঁজ হওয়া এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার আগলা গ্রামে ঘাসের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. আবরার (৬) ওই এলাকার ডা. শওকত শরীফের ছেলে। ডা. শওকত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের কিশোরী হেফাজতে রাখা হয়েছে। আরএমপির বেলপুকুর থানার ওসি সুমন কাদেরী এসব তথ্য কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে দুই কিশোরী আবরারকে খেলতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে দুই কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আবরারকে ঘাসের ভেতরে পাওয়া যাবে বলে তারা জানায়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১০টার দিকে লাশ উদ্ধার করে।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ