<p>ফেরেশতাদের অস্তিত্ব এবং তাঁদের ব্যাপারে কোরআন-হাদিসে যা বর্ণিত হয়েছে তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য। ফেরেশতাদের প্রতি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের বিশ্বাস হলো, তাঁরা আল্লাহর সৃষ্টি, আল্লাহ তাঁদেরকে ‘নুর’ দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। ফেরেশতারা আল্লাহর সম্মানিত বান্দা। তাঁরা কখনো আল্লাহর অবাধ্য হয় না। আল্লাহর সব নির্দেশ মান্য করে। ফেরেশতারা নারীও না, তারা পুরুষও না। তারা পানাহার করে না। তারা ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত হয় না। আল্লাহ ছাড়া কেউ তাদের সংখ্যা জানে না। আল্লাহ ফেরেশতাদের আমাদের দৃষ্টির আড়াল করেছেন। যদিও তাঁদের কেউ কেউ কতিপয় বান্দার সামনে দৃশ্যমান হয়েছেন। তাঁরা যেকোনো আকৃতি ধারণ করতে পারেন। তাঁরা অপরিমেয় শক্তির অধিকারী।</p> <p>শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ফেরেশতারা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর প্রতিনিধি এবং নির্দেশ বাস্তবায়নকারী। সৃষ্টিজগৎ পরিচালনায় তাঁরা আল্লাহর নির্দেশনা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। একইভাবে ফেরেশতা (জিবরাঈল) আল্লাহর পক্ষ থেকে শরিয়তের বিধান নিয়ে আগমন করে। (মাজমুউল ফাতাওয়া : ৪/১১৯)</p> <p>পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেমন ইরশাদ হয়েছে, ‘রাসুল, তাঁর প্রতি তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে ঈমান এনেছে এবং মুমিনরাও। তাদের সবাই আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতা, তাঁর কিতাব ও তাঁর রাসুলদের প্রতি ঈমান এনেছে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮৫)</p> <p>অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘পূর্ব ও পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফেরানোতে কোনো পুণ্য নেই; কিন্তু পুণ্য আছে কেউ আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতারা, সব কিতাব এবং নবীদের প্রতি ঈমান আনলে।’</p> <p>(সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৭৭)</p> <p>আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়া</p>