<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">বৈশ্বিক মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে ক্রেতারা যখন পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছেন, তখনো ডেনিম পোশাকের সম্ভাবনা দেখছেন উদ্যোক্তারা। তাঁরা বলছেন, ইউরোপ-আমেরিকার ক্রেতারা আগের চেয়ে কম পোশাক কিনছেন। ফলে স্টোরগুলোতে আগের পণ্য বিক্রি করতে পারছেন না। এর পরও বিশ্ববাজারে দেশের ডেনিম পোশাকের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt"><img alt="মন্দা বাজারেও ডেনিমে " height="153" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/05.May/07-05-2024/Untitled-1 (1).jpg" style="float:left" width="400" />কী সেই রহস্য</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">—</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">জানতে চাইলে বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোতে অংশ নেওয়া একজন উদ্যোক্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, উন্নত প্রযুক্তি, গুণগত মান ও সস্তা পণ্যের জন্য বিদেশি ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের ডেনিমের বিপুল সম্ভাবনা দেখছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">গতকাল সোমবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় দুই দিনব্যাপী ডেনিম শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ১৬তম </span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">‘</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">’</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">র আসরে উদ্যোক্তারা এসব কথা বলেন। দুই দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, ভিয়েতনাম, জাপানসহ ১১টি দেশের ৬০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। আজ মঙ্গলবার এই প্রদর্শনী শেষ হবে। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">প্রদর্শনীতে রি-ইমাজিন বা ডেনিম শিল্পকে নতুন করে ভেবে দেখা শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেন, ৯ হাজার কোটি ডলারের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের হিস্যা ৮ শতাংশ বা ৮০০ কোটি ডলার। তবে বিশ্ববাজারে এর সম্ভাবনা আরো বাড়ছে। সরকারের নীতি সহায়তা আর প্রণোদনায় ডেনিমের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ চমক দেখাতে পারে। কেননা ডেনিমের মোট বিশ্ববাজারের ১৩ শতাংশ ভোক্তাই এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের। এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের কদর বাড়াতে এমএমএফ বা প্রাকৃতিক তন্তুর পোশাকের ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন উর্মি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ। তিনি বলেন, পোশাকের মোট বিশ্ববাজারের ৭০ শতাংশই এমএমএফ পণ্যনির্ভর। সেখানে বাংলাদেশের হিস্যা মাত্র ৫ শতাংশ। এই হিস্যা বাড়াতে পারলে দেশের পোশাকশিল্পে আমূল পরিবর্তন আসবে। এ জন্য সরকারের নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা দেওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা। এ ছাড়া নন-কটন পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ দরকার। বিদেশি বিনিয়োগ আনা গেলে কারিগরি জ্ঞান আদান-প্রদানে সহায়ক হবে। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিচালক আবু মোখলেস আলমগীর হোসাইন বলেন, </span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">‘</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে (এসডিজি) নীতি সহায়ক নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে। এ ছাড়া পোশাকশিল্পের এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সরকার নিয়মিত প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা দিচ্ছে। ডেনিমের বিপুল সম্ভাবনা আছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ পরিচালক ও স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাওন ইসলাম শোভন বলেন, তৈরি পোশাক খাতের মোট রপ্তানির ১৪ শতাংশ ডেনিম। তিনি বলেন, চার হাজার ৭০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ডেনিমের হিস্যা ৮০০ কোটি ডলার। প্রতিবছর এর প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ৫ শতাংশ হারে। </span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">আরো সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের উদ্যোক্তারা স্থানীয়ভাবে ডেনিম কাপড় উৎপাদনে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছেন। এই খাতে ৪০টি মিল উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত।  প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া আরএনটি বাংলাদেশ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ওয়াহিদুল আলম বলেন, </span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">‘</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">উন্নত প্রযুক্তি, গুণগত মান ও সস্তা পণ্য পাওয়ার কারণে দেশের ডেনিম শিল্পের চাহিদা বাড়ছে বিশ্ববাজারে। এতে করে বৈশ্বিক ক্রেতারাও আমাদের উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা বলছেন। ফলে কভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরও বাংলাদেশের পোশাকশিল্প ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বিদেশি ক্রেতা ও ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানের মালিকরা দেশে তাঁদের ব্যবসা সম্প্রসারিত করছেন। নতুন নতুন অফিস করছেন।</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt">’</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.25pt"> তিনি আরো বলেন, ওয়াশিং ও ডায়িংয়ের জন্য দেশে বিপুল কেমিক্যাল আমদানি হচ্ছে। এতে স্থানীয় ওয়াশিং ও ডায়িং কারখানার কদর বাড়াছে ক্রেতাদের কাছে। ইতালীয় কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠান সোকো কেমিক্যালসের পরিচালক, বিপণন বলেন, ১৭ বছর ধরে তাঁর প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা করছে। গত কয়েক বছরে তাঁদের ব্যবসার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ শতাংশের বেশি। এটি ২০২৪ সালে আরো বাড়বে বলে তাঁদের আশা।  প্রদর্শনী নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ডেনিম জগতের সর্বাধুনিক ফ্যাশন ট্রেন্ডসহ এই শিল্পের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে অধিকতর জানার, এই শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সঙ্গে পারস্পরিক ব্যাবসায়িক সংযোগ স্থাপন করার এবং সর্বোপরি ব্যবসাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার এক সীমাহীন সুযোগ তৈরি করেছে বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>
