<p>আগেই বলা হয়েছে আমাদের সৌরজগতে কেবল আটটি বড় গ্রহ রয়েছে। এরাই অনেক ছোট পাথুরে গ্রহাণু সাথে নিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে বিরাজ করছে। ছোট সেই পাথুরে গ্রহ, গ্রহাণুর সংখ্যা লাখ লাখ বা তারও বেশি। অনেক আগে থেকেই এদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও হবে। </p> <p>বাতাসবিহীন শিলা ও ধাতুর এই পাথুরে খণ্ডগুলো প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার (৬০০ মাইল) ব্যাস পর্যন্ত হতে পারে। সেরেসকে একসময় গ্রহাণু বলা হলেও এখন সেটি বামন গ্রহ হিসেবে পরিচিত। </p> <p>গ্রহাণুর নির্দিষ্ট কোনও আকার হয় না। এদের গঠন হয় অনিয়মিত। আমাদের সৌরজগতের সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে গ্রহাণু। বুধের কক্ষপথের অভ্যন্তর থেকে নেপচুনের বাইরে পর্যন্ত সেই বিস্তৃতি। </p> <p>প্রায়ই গ্রহগুলো মহাকর্ষীয় শক্তি গ্রহাণুগুলোকে দূরে সরিয়ে দেয় বা পরস্পরের সংঘর্ষে বিলীন হয়ে যায়। আটটি বড় গ্রহের মধ্যে মঙ্গলের কক্ষপথের বাইরে প্রধান গ্রহাণু বেল্টে গ্রহাণুর আধিক্য বেশি। গ্রহাণুগুলোর মধ্যবর্তী স্থান এত বিশাল যে দুটো গ্রহাণুর সংঘর্ষের সম্ভাবনা বেশ কম। বিরল কয়েকটি সংঘর্ষ ছাড়া, ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে সৌরজগত বিকাশের সময় আদি প্রোটোপ্ল্যানেটারি ডিস্ক থেকে ঘনীভূত গ্রহাণু আজও অক্ষুণ্ণ আছে। আমরা এদের পেয়েছি টেলিস্কোপের লেন্সের চোখে। তবে এই গ্রহাণু সমন্ধে শুনেছি আগেও। উল্কাপাতে পৃথিবীতে যা আছড়ে পড়ে তা মূলত গ্রহাণু বা এদের খণ্ড/খণ্ডাংশ। </p> <p>পাথুরে গ্রহাণুগুলোকে আমাদের সৌরজগতের আবর্জনা বলাই যায়। কারণ এদের তেমন ভূমিকা নেই বললেই চলে।</p> <p><strong>পরিমণ্ডল</strong><br /> পৃথিবীর কাছাকাছি কক্ষপথে থাকা বস্তুগুলিকে নিয়ার আর্থ অবজেক্ট (NEOs) বলা হয়। পৃথিবীর সাথে প্রাণঘাতী বিশাল গ্রহাণুর সংঘর্ষের সম্ভাবনা কম। তবুও বিজ্ঞানীরা নিয়ার আর্থ অবজেক্টগুলো সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করেন। কারণ যদি সংঘর্ষ ঘটে তা হবে ভয়ানক পরিণতির উদাহরণ। ‘দ্য মাইনর প্ল্যানেট সেন্টার অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন’ তথ্যগুলো সংকলন ও পরিচিত গ্রহাণুর কক্ষপথ গণনা করে। ফলে বিপজ্জনক সংঘর্ষের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে।</p> <p><strong>সম্পর্কিত বিষয়</strong><br /> এরিস, প্লুটো ও বামন গ্রহ<br /> ধূমকেতু<br /> উল্কা</p> <p><strong>বিজ্ঞানী</strong><br /> <strong>জিউসেপ পিয়াজি</strong><br /> ১৭৪৬-১৮২৬<br /> ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী। গ্রহাণু সেরেস আবিষ্কার করেন তিনি।</p> <p><strong>ড্যানিয়েল কির্কউড</strong><br /> ১৮১৪-১৮৯৫<br /> আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তিনি গ্রহাণু বেল্ট-এ ‘কার্কউড ফাঁক (Kirkwood gaps)’ শনাক্ত করেন।</p> <p><strong>কিয়োতসুগু হিরায়মা</strong><br /> ১৮৭৪-১৯৪৩<br /> জাপানি জ্যোতির্বিজ্ঞানী। যিনি প্রথম গ্রহাণুগুলোর গ্রুপ অনুযায়ী কক্ষপথের সন্ধান পান।</p> <p><strong>বর্ণনা</strong><br /> জ্যাচরি কে. বার্টা</p>