<p>জাতিসংঘের সবুজ জলবায়ু তহবিল (জিসিএফ) থেকে আরেকটি প্রকল্প পেয়েছে বাংলাদেশ। এই প্রকল্পের জন্য জিসিএফ থেকে ২৫০ মিলিয়ন বা ২৫ কোটি ডলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর সরকারি মালিকানাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কম্পানি লিমিটেডকে (ইডকল) একটি প্রকল্পের জন্য এ অনুমোদন দিয়েছে জিসিএফ বোর্ড। বেসরকারি খাতে জ্বালানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি ও যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াতে এই প্রকল্পটি কাজ করবে। এটি জিসিএফের ইতিহাসে কোনো ন্যাশনাল ডিরেক্ট অ্যাকসেস এন্টিটিকে (ডিএই) দেওয়া সবচেয়ে বড় প্রকল্প।</p> <p>কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে ইডকল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, ‘ইডকল বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি আদর্শ উদাহরণ তৈরি করবে।’</p> <p>এই প্রকল্পের জন্য জিসিএফ থেকে ২৫০ মিলিয়ন বা ২৫ কোটি ডলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০ বছরের জন্য দেওয়া এই ঋণের অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে আরো পাঁচ বছর অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া হবে। এর সঙ্গে ইডকলকে কারিগরি সহায়তা হিসেবে আরো ৬৫ লাখ ডলার দেওয়া হবে। এই অর্থ দিয়ে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি, সমতা বাড়ানো, তদারকি করাসহ উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা হবে।</p> <p>জিসিএফ থেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্যে হচ্ছে, তৈরি পোশাক কারখানাগুলোকে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া। যাতে তারা সহজে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী প্রযুক্তি ও যন্ত্র কিনতে পারে। টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (শ্রেডা) এই প্রকল্পের একটি অংশ বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের ১০ কোটি ডলার ব্যয় হবে টেক্সটাইলের বিদ্যুৎসাশ্রয়ী খাতে। ১৫ কোটি ডলার চারটি স্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে মোট ৪২ কোটি ৩৫ লাখ ডলার ব্যয় হবে। জিসিএফ দেবে ২৫ কোটি ডলার। আর বাকি অর্থ ইডকল, স্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে আসবে।</p> <p>বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক প্রকল্পটির অনুমোদন পাওয়ায় ইডকলকে অভিনন্দন জানান।</p> <p>বিটিএমএর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এই প্রকল্পের অনুমোদনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি আরো টেকসই পথে এগিয়ে গেল। একই সঙ্গে কারখানাগুলোর বড় অংশ সহজলভ্য ও বৈশ্বিক মানের অর্থায়ন পাওয়ার সুযোগ পেল।’</p> <p>ইডকলের নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদ মালিক বলেন, ‘ইডকল জানে কোন দিকে এগোতে হবে, কিভাবে সবচেয়ে সেরা ফলাফলটি অর্জন করতে হবে।’</p>