ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া, আতঙ্কে মানুষ

  • কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী
মোবারক আজাদ
মোবারক আজাদ
শেয়ার
সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া, আতঙ্কে মানুষ
প্রতীকী ছবি

দেশজুড়ে একের পর এক নানা অপরাধ ঘটে চলেছে। ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি থেকে খুন, ধর্ষণও হচ্ছে অবলীলায়। সারা দেশে চলমান ডেভিল হান্ট কর্মসূচির মধ্যেও থেমে নেই অপরাধচক্রের এসব অপকর্ম। প্রকাশ্যে, জনারণ্যেও এসব ফৌজদারি অপরাধ ঘটছে।

অপরাধীরা কাউকেই তোয়াক্কা করছে না; বরং দিনে দিনে তারাও আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। অব্যাহত এমন কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। অবিলম্বে তাদের জোরদার টহল ও নজরদারি শুরু হচ্ছে।
বিশেষ করে রাতের বেলা রাজধানীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতেও টহল দেবে যৌথ বাহিনী। এ ছাড়া রাজধানীর প্রতিটি প্রধান সড়কে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী চেকপোস্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রয়োজনে বিজিবিকেও প্রস্তুত
রাখা হচ্ছে।

গত রবিবার রাতে রাজধানীর বনশ্রীতে গুলি করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ২০০ ভরি স্বর্ণ ও এক লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

মোহাম্মদপুর এলাকায় রিকশা থামিয়ে এক নারীর কাছ থেকে ছিনতাই, হাজারীবাগ এলাকায় ডাকাত পড়ার ঘটনাসহ প্রতিদিনই এ রকম আরো বহু ঘটনা ঘটে চলেছে। এসব ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় রাজধানীসহ সারা দেশে।

এ অবস্থায় রবিবার রাত ৩টায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের ডেকে ব্রিফিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে গতকাল বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোর কমিটির বৈঠক হয়।

এ বৈঠকেই সোমবার রাত থেকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

কোর কমিটির সভায় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে রাজধানীর কোন কোন এলাকায় বেশি অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে সেগুলো পর্যালোচনা করা হয়। সব চেয়ে নাজুক এলাকাগুলোর অপরাধ দমনের কৌশল নিয়েও আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, বিজিবিকেও প্রস্তুত রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতিটি এলাকা থাকবে গোয়েন্দাদের নজরদারির মধ্যে। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে দেখতে পাবেন কী ঘটতে যাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এ মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওই কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ছিনতাইকারী ও ডাকাতদের বিরুদ্ধে এক ধরনের জিহাদ ঘোষণা করা  হচ্ছে। কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে যতটুকু কঠোর হওয়া দরকার, ততটুকু হবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছিনতাই-ডাকাতির  মতো ঘটনা ছড়িয়ে পড়ায় রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ আতঙ্কিত। গ্রামে থাকা  স্বজনরা ফোন করে ঢাকায় থাকা স্বজনদের কাছে পরিস্থিতি জানতে চাচ্ছেন। বনশ্রী ও মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় দুর্ধষ ছিনতাইয়ের ঘটনায় রবিবার রাত ১টা ১০ মিনিটে তাত্ক্ষণিক হল ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সারা দেশে ধর্ষণ, ছিনতাই ও ডাকাতির প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগেরও দাবি তোলেন।

এর আগে গত রবিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা খুনি, ধর্ষক, ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাছে।

রাজধানীর মোহাম্মপুরে শওকত ইমরান নামের এক বাসিন্দা বলেন, মোহাম্মদপুর চুরি-ছিনতাইয়ের অন্যতম হটস্পট। আমাদের অনুরোধ, পুলিশের টহল বাড়ানো হোক এবং কঠোরভাবে এসব অপরাধীকে নিয়ন্ত্রণ করা হোক। প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সহায়তার অংশ হিসেবে এলাকাভিত্তিক পাহাড়া বসানো হোক।

পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর কালের কণ্ঠকে বলেন, সর্ব প্রকার অপরাধ ঠেকাতে রাত্রিকালীন টহল, চেকপোস্টসহ পুলিশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রে আরো বেশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

পুলিশ সদরদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণেও গত বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে জানুয়ারিতে অপরাধ প্রবণতা (চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই-দস্যুতা ও  অপহরণ) বাড়ার চিত্র উঠে এসেছে। এতে দেখা গেছে, গত ডিসেম্বরে সারা দেশে ২৩০টি ডাকাতি ও দস্যুতার মামলা হয়েছে। যেখানে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২৪২টি মামলা হয়েছে। ডিসেম্বরে হত্যা মামলা হয়েছে ২০৪টি, অপরদিকে জানুয়ারিতে ২৯৪টি। অপহরণের মামলা ডিসেম্বরে ৭৪টি এবং জানুয়ারিতে ১০৫টি। এ ছাড়া ডিসেম্বরে যেখানে চুরি-ছিনতাইয়ের ৯৬৬টি মামলা হয়, সেখানে জানুয়ারিতে ১০৫৯টি মামলা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব ঘটনায় নানা কারণে ভুক্তভোগী মামলা করে না। তাই এই পরিসংখানে প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না।

বিশেষজ্ঞরা  যা বলছেন : মাওলানা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ উমর ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, নানা কারণে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অস্থিরতা চলছে। মানুষ দিন দিন মানুষের প্রতি সহিংস হয়ে উঠছে। এ কারণে একশ্রেণির মানুষ কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। যে কারণে সমাজে খুন-খারাবিসহ অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। এতে করে সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ও রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ অনেক ক্ষেত্রে অপরাধ নির্মূলের জন্য যথেষ্ট নয়। এসব অপরাধ থেকে উত্তরণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর উচিত তাদের আরো বেশি নজরদারি, মনিটরিং ও শক্ত অবস্থানে অপরাধ দমন করা। খুনখারাবি ও  ছিনতাই-ডাকাতির মতো ঘটনার লাগাম টেনে ধরতে না পারলে জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বোধ তীব্র হবে।

অপরাধ ও সমাজ বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, নৃশংস হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য অপরাধের মাত্রা কমাতে হলে প্রথমে এর পেছনে থাকা কারণগুলো চিহ্নিত করে তা নিরসনের উদ্যোগ নিতে হবে। খুনসহ অন্যান্য অপরাধের ঘটনা যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য সামাজিক অপরাধ কমে আসবে।

যত চাঞ্চল্যকর ঘটনা : গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থানা এলাকার বেনারসি পল্লীতে এক রাতে ছয়টি দোকান ও দুটি বাসায় হানা দিয়ে মালামাল লুট করেছে ডাকাতদলের সদস্যরা। গত রবিবার রাতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় স্বামী মো. সাগরকে কুপিয়ে স্ত্রীর গয়না লুট করেছে ছিনতাইকারীরা। একই দিন সন্ধ্যায় গাজীপুরের ভোগড়ায় স্টুডিওতে ছবি তুলতে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রী স্টুডিও কর্মচারীর মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার হন। এর আগে গত শনিবার ভোর রাতে কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক প্রবাসীর বাড়িতে  মুখোশধারী একদল সশস্ত্র ডাকাত হানা দেয়। দারোয়ান রবীন্দ্র দাশকে ছুরিকাঘাত ও হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখার পর প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রী রুবী দাশ ও মেয়ে সুক্তা দাশকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, তাদের শরীরে থাকা চার ভরি স্বর্ণালংকার, দুটি এনড্রয়েড মোবাইল ও দামি মালামালসহ প্রায় সাত লাখ টাকার সম্পদ লুট করে।

গত রবিবার ভোরে সাভারের আশুলিয়ায় নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন ছোট পর্দার অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ। এ সময় আহত হন অভিনেতার মা আজিজুন্নাহার ও স্ত্রী রোকসানা হক। একই দিন রাতে ঢাকার ধামরাইয়ে স্ত্রীর সামনে সাবেক ইউপি সদস্য ও স্থানীয় যুবদলকর্মী বাবুল হোসেনকে (৫০) দিনেদুপুরে কুপিয়ে ও চোখ উপড়ে হত্যা করে দৃর্বত্তরা। ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ধামরাই ও মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভোরে  ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক কবিরুল ইসলাম জয়কে (২৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও নারীযাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকার সাভার থেকে ঘটনায় জড়িত আন্ত জেলার তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল

সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
শেয়ার
সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে

প্রায় দুই দশক পর জাতীয় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামীকাল শনিবার ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ হবে। বৃহৎ পরিসরে আয়োজিত এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দলটির নেতাকর্মীরা।

সমাবেশ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জামায়াত।

এতে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। এতে দেশে আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে, যা জনগণ মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মৌলিক সংস্কার জরুরি। কোনো ষড়যন্ত্র যেন এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। অংশ নেবেন ইসলামী দলগুলোর নেতারা, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা, জুলাই আন্দোলনে শহীদদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিরা।

গোলাম পরওয়ার বলেন, স্বাধীনতার পর ৫৪ বছরে আমাদের দল নানা নির্যাতন ও বঞ্চনার শিকার হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসের রাজনৈতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা ও সাংবিধানিক অধিকার কিছুটা ফিরে এসেছে।

তিনি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে ফ্যাসিবাদী হামলায় নিহত ব্যক্তিদের বিচারে দৃশ্যমান অগ্রগতি চান তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে একটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত। দলটির পক্ষ থেকে এ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।

জুলাই মাসে নিহত ও আহতদের পুনর্বাসন এখনো সম্পূর্ণ হয়নি বলেও দাবি করেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল।

তিনি বলেন, বিষয়টি জাতীয় সমাবেশে জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে।

তিনি জানান, সমাবেশ সফল করতে একটি বাস্তবায়ন কমিটিসহ আটটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। লিফলেট, পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ছাড়াও ভ্রাম্যমাণ মাইক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে সমাবেশের প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

সমাবেশে থাকবে ২০টি পয়েন্টে প্রায় ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক। ঢাকার আশপাশ থেকে আগতদের জন্য ১৫টি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

সমাবেশস্থলের ভেতরে ও বাইরে ১৫টি মেডিক্যাল বুথ থাকবে, প্রতিটিতে থাকবেন দুজন করে চিকিৎসক, জরুরি ওষুধ এবং অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা থাকবে।

ড্রোন ও ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিও ধারণ ও সরাসরি সম্প্র্রচারেরও আয়োজন থাকবেএলইডি স্ক্রিন ছাড়াও ফেসবুক ও ইউটিউবেও সম্প্রচার করা হবে।

সমাবেশের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান গোলাম পরওয়ার।

সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি বলেন, সারা দেশ থেকে মানুষ রেল, সড়ক ও নৌপথে সমাবেশে অংশ নিতে আসবে। এতে নগরবাসীর কিছুটা দুর্ভোগ হতে পারে। আমরা তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। তিনি জানান, সমাবেশ শুরু হবে দুপুর ২টায়। তবে সকাল ১০টা থেকেই সাংস্কৃতিক পরিবেশনা চলবে।

এ সময় গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনারও নিন্দা জানান গোলাম পরওয়ার। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ব্যর্থতার অভিযোগও করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সাত দফা দাবিও তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলোঅবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ; সব গণহত্যার বিচার; মৌলিক রাষ্ট্রীয় সংস্কার; জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন; জুলাই শহীদ ও আহতদের পুনর্বাসন; পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন এবং এক কোটির বেশি প্রবাসী ভোটারের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মতিউর রহমান আকন্দ, নূরুল ইসলাম বুলবুল, মো. সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।

মন্তব্য

তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটার হওয়ার সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটার হওয়ার সুযোগ

ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর মাধ্যমে নির্বাচনের তফসিল  ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটার হওয়ার সুযোগ পাবেন যোগ্য নাগরিকরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক।

পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার  প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং সিনিয়র সহকারী  প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।

সংবাদ সম্মেলনে ফয়েজ আহম্মদ বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে যাঁরা ভোটার হওয়ার উপযোগী হন, অর্থাৎ যাঁদের বয়স ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ১৮ বছর হয়, তাঁরা পরবর্তী জানুয়ারি মাসের হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। নির্বাচন কমিশন প্রতিবছরের ২ জানুয়ারি ওই খসড়া ভোটার তালিকা এবং  ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, পরবর্তী নির্বাচনের আগে যেসব নাগরিকের বয়স ১৮ বছর হয়, অর্থাৎ ভোটার হওয়ার জন্য যোগ্য হন, তাঁরা ওই নির্বাচনে ভোটাধিকারের সুযোগ পান না।

তাঁদের পরবর্তী নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

ফয়েজ আহম্মদ আরো বলেন, এই বাস্তবতায় নির্বাচন কমিশন ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে যাঁরা ভোটার হওয়ার উপযোগী হন, তাঁদের ভোটার তালিকায় নিয়ে আসাকে যৌক্তিক মনে করে। এ বিষয়ে উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ধরুন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন। তার সর্বোচ্চ দুই মাস আগে তফসিল ঘোষিত হয়।

তার মানে নভেম্বর পর্যন্ত যাঁরা ভোটার হওয়ার উপযোগী হন, তাঁরা ভোটার হওয়ার সুযোগ পান না। বরং আগের বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁদের বয়স ১৮ বছর হয়েছে, তাঁরাই ভোটাধিকার পান।

ফয়েজ আহম্মদ বলেন, আজ যে অধ্যাদেশের খসড়াটি অনুমোদন করা হলো, এর ফলে যখন নির্বাচনের তফসিল  ঘোষণা হবে, তার অন্তত এক মাস আগ পর্যন্ত যেসব ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর হবে, তাঁরা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।

মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ : গতকাল সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম  বলেন, অনেকের কিডনি ড্যামেজ হয়, অনেকে চোখে দেখতে পায় না, কর্নিয়া সংযোজন হলে অন্ধত্ব দূর করা যায়, এসব বিষয়ে বাংলাদেশের যে আইন ছিল সেটা অনেক দিন থেকে আপডেট হয়নি।

 

তিনি বলেন, নতুন এই অধ্যাদেশের ফলে অঙ্গ প্রতিস্থাপনটা খুব সহজ হবে। আগে যেমন ছিল অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য খুবই কাছের যেমনভাই, বোন, মা-বাবা থেকে নিতে পারতেন, এখন এটাকে একটু সম্প্রসারণ করা হয়েছে। 

অঙ্গ দান করার ক্ষেত্রে নতুন করে কাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, আগে যেমন ভাতিজা, ভাগিনা তারা অঙ্গ দান করতে পারত না। এখন তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, মানে পরিধি বাড়ানো হয়েছে।

প্রেস সচিব আরো বলেন, এর ফলে আমরা মনে করি, বাংলাদেশের অনেককেই এখন কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের জন্য আর বিদেশে যাওয়া লাগবে না। বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোও এই সার্ভিস দিতে পারবে। আমরা মনে করি, এটা বাংলাদেশের জন্য যুগান্তকারী আইন। 

একই সভায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গোয়েন্দা তথ্য ছিল, তবে এত পরিমাণ যে হবে সে তথ্য হয়তো ছিল না

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
গোয়েন্দা তথ্য ছিল, তবে এত পরিমাণ যে হবে সে তথ্য হয়তো ছিল না

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি এখন অনেকটা শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গোপালগঞ্জে গত বুধবার যে ঘটনা ঘটেছে, সে সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য ছিল কি না, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ছিল। তবে এত পরিমাণ যে হবে, ওই তথ্য হয়তো ছিল না।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এসব তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গতকাল (বুধবার) এনসিপির সমাবেশে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার পর গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৫ জনকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ ঘটনায় আমাদের ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে দুজনকে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহত আরো তিনজন পুলিশ সদস্যকেও রাজারবাগ হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।

এ ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে এনসিপি নেতাদের অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে এ বিষয়ে সঠিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ভবিষ্যতে আর যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

যারা অন্যায় করেছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং হবে। কাউকে কোনো রকম ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

তিনি বলেন, যত দিন পর্যন্ত সব অপরাধী ধরা না পড়বে, তত দিন পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। উপদেষ্টা এ সময় গোপালগঞ্জের ঘটনা লাইভ করায় সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেলগুলোকে ধন্যবাদ জানান। এর আগে উপদেষ্টা রাজধানীর রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গোপালগঞ্জের ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যদের শারীরিক অবস্থা দেখতে যান।

 

মন্তব্য

আ. লীগ আমলের ৯৬ পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আ. লীগ আমলের ৯৬ পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিবন্ধিত ৯৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থার সব নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

তিনি বলেন, নতুন নীতিমালা জারি করা হয়েছে এবং আগের নীতিমালা  বাতিল হয়েছে। তাই আগের নীতিমালার অধীন নিবন্ধিত সব পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে।

২০২৩ সালে দুই দফায় ৯৬ সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এ নিবন্ধন দেওয়া হয়।  এসব সংস্থার বেশির ভাগই ছিল নতুন। আগে কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা ছিল না।

নিবন্ধন পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম যোগ্যতাগণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করার অভিজ্ঞতাও অনেক সংস্থার ছিল না।

একাধিক সংস্থার প্রধানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা,  প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল।  সে সময় বেশ কিছু অভিজ্ঞ পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন পেতে উৎসাহ বোধ করেনি বা আবেদন করলেও নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সে সময় ব্যাপক সমালোচনা হয়।

সে সময় নির্বাচন কমিশন পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা বাড়াতে দ্বিতীয়বার আবেদন আহবান করে।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন  নির্বাচন পর্যবেক্ষণে স্বচ্ছতা আনতে আগের সব পর্যবেক্ষক সংস্থাকেই বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে নতুন করে নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। গতকাল  সেই নতুন নীতিমালা-২০২৫ জারি ও  ২০২৩ সালের নীতিমালা বাতিল করা হয়েছে। ফলে আগের নীতিমালা অনুসারে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধনও বাতিল করা হয়েছে।

এসব পর্যবেক্ষক সংস্থার মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। নতুন নীতিমালায়  নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি ও এর সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক সংস্থার  নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। ওই সময় প্রথমবারের মতো ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ