জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সাধারণ আসনের মতো সরাসরি নির্বাচন বা ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ পদ্ধতি চালুর কথা ভাবছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এ পদ্ধতিতে দেশের অনেক আসনের সীমানা পাল্টে যেতে পারে। যে আসনগুলো নারীদের জন্য নির্ধারণ করা হবে সে আসনে নারীরাই প্রার্থী হবেন। কোনো পুরুষ সেখানে প্রার্থী হতে পারবেন না।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন
নারী আসনে সরাসরি ভোটে পাল্টে যাবে অনেক হিসাব
- ► বিদ্যমান সীমানায় অনেক পরিবর্তন আসতে পারে
- ► নারী আসন নির্ধারণ হবে ঘূর্ণায়মানভাবে
কাজী হাফিজ

এ বিষয়ে গতকাল ৩০ নভেম্বর নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. মো. আব্দুল আলীম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের কমিশন থেকে প্রতিটি জেলায় একটি করে নারী আসন নির্ধারণের প্রস্তাব করা যায় কি না—সেই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন যেহেতু ৫০টি এবং সব জেলার জনসংখ্যা ও আয়তন এক নয়, সে কারণে এটি এখন সম্ভব না বলেই মনে হয়েছে।’
ঘূর্ণায়মানভাবে নারী আসন নির্ধারণ এবং সীমানা পরিবর্তন সম্পর্কে উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ধরেন একটি জাতীয় সংসদের আসন দুটি। আগামী নির্বাচনে ওই জেলার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে তিনটি আসন করা হবে।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে বিদ্যমান জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইন-২০০৪’, জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন এবং সংবিধানেও পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ বিদ্যমান সংবিধানের ৬৫(৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘...তাহারা আইনানুযায়ী পূর্বোক্ত (সরাসরি ভোটে নির্বাচিত) সদস্যদের দ্বারা সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হইবেন।’ যদিও এ পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। দলের সিদ্ধান্ত অনুসারে একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
ড. মো. আব্দুল আলীম এ বিষয়ে আরো বলেন, ‘নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোটের পদ্ধতি চালুর বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। বিষয়টি যেহেতু সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়, সে কারণে আমরা সংবিধান সংস্কার কমিশনের সঙ্গেও আলোচনা করব। দেশের নারী নেত্রীরাও দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন। নির্বাচন সংস্কার কমিশন এ বিষয়ে সুপারিশ জানাতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলো এতে সম্মত হলে দেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই পদ্ধতি চালু হওয়া সম্ভব। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংস্কারের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠান হলে পরবর্তী নির্বাচনে এই পদ্ধতি চালুর কথা ভাবতে হবে।’
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের আরেক সদস্য বেগম জেসমিন টুলি কালের কণ্ঠের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমার মনে হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় পরিবর্তন হতে পারে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনে ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ পদ্ধতি চালু করা। এতে নারীর ক্ষমতায়ন বাড়বে। বিদ্যমান পদ্ধতিতে সংসদে সংরক্ষিত আসনে কোটার ভিত্তিতে যে নারীরা আসছেন তাদের বেশির ভাগই প্রকৃত অর্থে রাজনীতিক নন। এতে নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে না। বিদ্যমান পদ্ধতি নারীদের স্বার্থ রক্ষা না করে বড় দলগুলোর স্বার্থ রক্ষা করে।
যে কারণে নারীদের সংরক্ষিত আসন
নারীদের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের সংবিধানে পরবর্তী ১০ বছরের জন্য সংসদে নারীদের জন্য ১৫টি আসন সংরক্ষণের বিধান রাখা হয়। ১৯৭৮ সালে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৩০ এবং মেয়াদ ১৫ বছরে উন্নীত করা হয়। ১৯৯০ সালের সংবিধানের দশম সংশোধনীতে মেয়াদ আবার ১০ বছরে নামিয়ে আনা হয়। সময়মতো মেয়াদ না বাড়ানোয় ২০০০ সালে সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের বিলুপ্তি ঘটে। ২০০১ সালের অক্টোবরে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত কোনো আসন ছিল না। ২০০৪ সালে সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদের ৪৫টি নারী আসন আরো ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণের বিধান করা হয়। ওই বছরের ২৯ নভেম্বর সংরক্ষিত নারী আসন নির্বাচনী বিল পাস হয়। একই সঙ্গে আগের ব্যবস্থা পাল্টে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর প্রাপ্ত আসন অনুপাতে সংরক্ষিত নারী আসন বণ্টনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর ফলে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের জন্যই এ আসন পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। আগে সংখ্যাগরিষ্ঠ ক্ষমতাসীন দলই সব আসন পেত। এই আইন অনুসারে অষ্টম জাতীয় সংসদের মেয়াদের শেষ দিকে এবং নবম জাতীয় সংসদের মেয়াদের প্রথম দিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন হয়। নবম জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৫০-এ উন্নীত করা হয় এবং দশম জাতীয় সংসদের জন্য একইভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন হয়।
নবম জাতীয় সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে শুরু করে ১০ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের মেয়াদ ছিল। এ অবস্থায় ২০১৮ সালে সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের মেয়াদ আরো ২৫ বছর বাড়ানো হয়।
ওই সময়ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের পক্ষে বলা হয়, ‘যে পদ্ধতিতে সংরক্ষিত আসনের নারীদের নির্বাচিত করা হয় তা যথাযথ নয়। তাদের কোনো নির্বাচনী এলাকা নেই। ক্ষমতাও নেই। তাদের পদগুলো আলংকারিক। সংরক্ষিত নারী আসনকে কার্যকর করতে হলে তাদের সরাসরি নির্বাচনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। তাহলেই নারীদের সংরক্ষিত আসনের বিধান কার্যকর হবে এবং জনগণ এর সুফল পাবে।’ নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার সে সময় এই কথাগুলোই কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন।
গত ২৩ নভেম্বর নির্বাচন ভবনে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে নারী নেত্রীরা সাংবাদিকদের বলেন, তারা সংসদে সত্যিকারের নারী প্রতিনিধিত্ব চান। কোটাভিত্তিক আসন চান না।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহসভাপতি রেখা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বলেছি, সংসদের নারী আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫০ করা হোক। এতে প্রতি দুই আসনের জন্য একটি নারী আসন করা হোক এবং সেখানে সরাসরি নির্বাচন হোক। এই দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের।’ ওই দিন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নারীরা সরাসরি নির্বাচন চেয়েছেন। অনেকে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি চেয়েছেন।
সম্পর্কিত খবর

আজ রাজপথে নামছে বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ‘অপপ্রচার ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে আজ থেকে রাজপথে থাকবে বিএনপি। বিএনপি মনে করছে, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জামায়াতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজপথ দখল করার চেষ্টা করছে বলে মনে করছে বিএনপি। এ জন্য রাজপথে বিএনপিও শক্তি ও জনসমর্থন দেখাবে।
এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দিচ্ছে না দলটি।
মাঠে নামছে ছাত্রদল : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, গোপন তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরে অভ্যস্ত গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আজ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে। গুপ্ত সংগঠন বলতে ইসলামী ছাত্রশিবির ও তাদের সহযোগী সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
ছাত্রদলের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সারা দেশের সব জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
কর্মসূচির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘গুপ্ত সংগঠন হিসেবে সেসব সংগঠনকেই বোঝানো হয়েছে, যারা প্রকাশ্যে নিজেদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বদলে গোপনে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। গত ৫ আগস্টের পর একটি মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও তাদের এহেন গুপ্ত কার্যক্রম এ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে অসহনশীল করে তুলছে এবং রাজনৈতিক বিষয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে তুলছে। এ রকম কুচক্রী কার্যক্রমের বিরুদ্ধেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যেন দেশবাসীকে এসব বিভ্রান্তিকর বিষয়ে সচেতন করে তোলা যায়।’
গুপ্ত সংগঠন বলতে কাদের বোঝানো হচ্ছে জানতে চাইলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘ছত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর যারা ক্যাম্পাসগুলোতে মব সৃষ্টি করে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ নামে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করছে, তারাই গুপ্ত সংগঠন। ছাত্রশিবির এবং গুপ্তভাবে সংগঠন পরিচালনা করতে ছাত্রশিবিরকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে, আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তারা।’

সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির মেয়াদ আরো দুই মাস বাড়ল
বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরো দুই মাস (৬০ দিন) বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ১৩ মে থেকে তাঁদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতার মেয়াদ দুই মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ গতকাল শেষ হয় ।
মেয়াদ বাড়ানোর আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্ট গার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ) ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এর মেয়াদ হবে ১৪ মার্চ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত। সারা দেশে তাঁরা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধি-১৮৯৮’-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।
প্রথমে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের (সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তা) এই ক্ষমতা দেওয়া হয়। অর্থাৎ শুধু সেনাবাহিনী নয়, বিমান ও নৌবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদেরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। তখন ৬০ দিনের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।

শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক পুলিশপ্রধান (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে গুমের অভিযোগ দিয়েছে বিএনপি।
গতকাল রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে এই অভিযোগ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং তথ্য সেলের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন খান।
অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গুমের ঘটনায় ১১ জন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে লিখিত অভিযোগে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এসব ভুক্তভোগীকে অপহরণের পর আয়নাঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। গত বছর ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পলায়নের পর মোহাম্মদ আলীকে হাত ও চোখ বেঁধে পূর্বাচলের শেষ প্রান্তে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফেলে আসা হয়। পাঁচ বছর তিন মাস ১৩ দিন পর তিনি মুক্তি পান।
তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করে আবেদনটি করা হয় বলে জানান সালাহউদ্দিন খান।
সালাহউদ্দিন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা শেখ হাসিনাসহ ১৬ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০ থেকে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে ন্যায়বিচারের আশায় আবেদন করেছেন। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, শুধু বিএনপি করার অপরাধে বিগত সরকারের নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাঁদের।

সোহাগের পরিবারের পাশে তারেক রহমান
বরগুনা প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে পুরান ঢাকায় নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মনি। গতকাল রবিবার বিকেলে তিনি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের সোহাগের গ্রামের বাড়িতে যান। তিনি স্থানীয় কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তিনি নিহত সোহাগের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।