<p>একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাতে আলোচিত নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন হাইকার্ট থেকে এক বছরের জামিন পেয়েছেন। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৮ মার্চ এ জামিন দেন। রুহুল আমিনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আশিক-ই-রসুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের আদেশ বাতিল চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেছে।</p> <p>হাইকোর্টের জামিন আদেশে বলা হয়েছে, রুহুল আমিনকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হলো। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীপক্ষ রুলের জবাব দাখিল করবে। সংশ্লিষ্ট নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিননামা দাখিলের দিন থেকে এক বছরের জন্য রুহুল আমিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হলো। তবে জামিনের অপব্যবহার করলে তাঁর জামিন বাতিল করার এখতিয়ার থাকবে সংশ্লিষ্ট আদালতের।</p> <p>এদিকে এই জামিন বাতিলের জন্য আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়। আগামী ২৫ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে এ আবেদনের ওপর শুনানি হবে বলে তিনি জানান।</p> <p>ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দাবি করেন, এই জামিন আবেদনের শুনানিতে অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন আসামির আইনজীবী। তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এই শুনানির আগে জামিন আবেদনের একটি কপি অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়, জামিন আবেদনটি এনেক্স ১৭ নম্বর আদালতে শুনানির জন্য জমা দেওয়া হবে। কিন্তু তারা ১৪ নম্বর আদালতে শুনানি করেছে।</p> <p>গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে দিন রাতেই ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। গৃহবধূর অভিযোগ, নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন রুহুল আমিন। তা না করায় ভোটের দিন রাতে রুহুল আমিনের লোকজন তাঁকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ ও মারধর করে। এ ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।  নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ঘটনায় পরদিন চর জব্বার থানায় মামলা হয়। তবে মামলায় মূল অভিযুক্ত রুহুল আমিনকে আসামি করা হয়নি। পরে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ বিষয়ে নোয়াখালী আদালতে পুলিশের দাখিল করা আবেদনে রুহুল আমিনকে ধর্ষণের হুকুমদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয় বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়।</p>