ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

বীণা

  • ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা চারুপাঠ বইয়ের ‘কত কাল ধরে’ প্রবন্ধে তোমরা বীণা সম্পর্কে জেনেছ। শাস্ত্রীয় সংগীতে ব্যবহৃত হয় তারযুক্ত এই বাদ্যযন্ত্র—
শেয়ার
বীণা
সরস্বতী বীণা। এটি দক্ষিণ ভারতে বেশি প্রচলিত। ছবি : সংগৃহীত

বীণা ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন তারযন্ত্র। ঋগ্বেদ ও অন্যান্য বেদে বীণার উল্লেখ আছে। নারদ মুনি ও দেবী সরস্বতী বীণাবাদক ছিলেন। বীণাকে বলা হয় ‘বাদ্যযন্ত্রের রানি’।

কারণ এর আওয়াজ মধুর, গভীর ও আত্মার স্পর্শক। প্রাচীন সংগীতজ্ঞ মতঙ্গ মুনি বীণাকে সংগীতের আদর্শ রূপ হিসেবে চিহ্নিত করেন।

এই বাদ্যযন্ত্র সুরের গভীরতা, মাধুর্য ও আধ্যাত্মিকতার জন্য প্রসিদ্ধ। প্রাচীন বীণা শুধু একটি বাদ্যযন্ত্র নয়—এটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক।

ততযন্ত্রের (টানটান করা চিকন তারযুক্ত যন্ত্র) অন্তর্ভুক্ত বীণা নামে একাধিক বাদ্যযন্ত্র রয়েছে। সটান তারে আঘাত করলে যে টঙ্কার তৈরি হয়, তা থেকে প্রথম তৈরি হয়েছিল একতন্ত্রী বীণা। একালের একতারা সেই বীণারই আদিরূপ। কালক্রমে তারের সংখ্যা ও কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নানা ধরনের বীণার উদ্ভব ঘটেছে।
সাধারণত বীণার মূল দেহ কাঠের হয়। তার চার থেকে সাতটি ও দুই পাশে তুম্বা (ফাঁপা কুম্ভ) থাকে। হাতে বা মিজরাব দিয়ে তারে টান দিয়ে এই যন্ত্রে ধ্বনি সৃষ্টি করা হয়।

নানান সময়ে বিভিন্ন প্রকার বীণার প্রচলন ছিল। সেগুলোর গঠন ও সুরেও ছিল বৈচিত্র্য।

সেসব বীণার মধ্যে একতন্ত্রী, কচ্ছপী, কণ্ডোল, কলাবতী, চিত্র, বিচিত্র, বৃহতী, মহতী, মোহন, রুদ্র, লক্ষ্মী, সরস্বতী, হংস, সপ্ততন্ত্রী, সারঙ্গ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। রুদ্র বীণা ধ্রুপদ সংগীতে ব্যবহৃত হয়। এর দুই পাশে বড় কুম্ভ থাকে। সরস্বতী বীণা দেবী সরস্বতীর প্রতীক। এটি দক্ষিণ ভারতে বেশি প্রচলিত। বিপিন বীণা হালকা, সহজে বাজানো যায়। সাধারণত শেখা এবং চর্চার জন্য এই বীণা বেশি ব্যবহৃত হয়।

ধ্রুপদ ঘরানার একজন কিংবদন্তি বীণাবাদক ওস্তাদ আসাদ আলী খান। এ ছাড়া জিয়া মোহিউদ্দিন ও ললিতা শ্রীনিবাসন ছিলেন ভারতবর্ষের অন্যতম দুজন বীণাবাদক। আমাদের এই অঞ্চলে বীণার ব্যবহার ভারতবর্ষের অন্য অংশগুলোর তুলনায় কম। তবু কিছু প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ও শিল্পী আছেন যাঁরা বীণার চর্চা করেছেন এবং ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রটিকে সুরে ও সাধনায় তুলে ধরেছেন। চিত্রা রায় তাঁদের অন্যতম। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বীণার পরিবেশনার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন।

তুলনামূলক ভারী বলে আধুনিক যুগে বীণার জনপ্রিয়তা কমে এসেছে। এর বিপরীতে তবলা-সারেঙ্গি বা সেতার ও অন্যান্য যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। কারণ এগুলো তুলনামূলক হালকা বলে সহজে বহন করা যায়। তাছাড়া বীণার তুলনায় যন্ত্রগুলো খুব সহজলভ্যও বটে।

♦ ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এইচএসসি স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি

শেয়ার

অষ্টম শ্রেণি : বিজ্ঞান

    সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
অষ্টম শ্রেণি : বিজ্ঞান

অষ্টম অধ্যায় : রাসায়নিক বিক্রিয়া

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১।        রাসায়নিক বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক বস্তু নতুন এক বা একাধিক বস্তুতে পরিণত হয় তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।

২।        সংযোজন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একাধিক মৌল বা যৌগ মিলে নতুন এক বা একাধিক যৌগ গঠন করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে।

৩।        তুঁতের সংকেত কী?

  উত্তর : তুঁতের সংকেত CuSO4.5H2O।

 

 

৪।        পটাসিয়াম ক্লোরেটের বিযোজনে উৎপন্ন গ্যাসের নাম কী?

  উত্তর : পটাসিয়াম ক্লোরেটের বিযোজনে উৎপন্ন গ্যাসটি হলো অক্সিজেন।

৫।        প্রশমন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে বিক্রিয়ায় এসিড ও ক্ষার বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে।

৬।        তুঁতে কী?

  উত্তর : পাঁচ অণু পানিযুক্ত কপার সালফেট লবণকে তুঁতে বলে।

৭।        দহন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো মৌল বা যৌগ অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে তাপ উৎপন্ন করে, তা-ই দহন বিক্রিয়া।

৮।        বিযোজন কী?

  উত্তর : যে বিক্রিয়ায় কোনো যৌগ ভেঙে একাধিক নতুন পদার্থ তৈরি হয়, সেই বিক্রিয়াকে বিযোজন বিক্রিয়া বলে।

৯।

       হাইড্রোজোয়িক এসিডের রাসায়নিক সংকেত কোনটি?

    উত্তর : হাইড্রোজোয়িক এসিডের রাসায়নিক সংকেত HN3।

 

মন্তব্য

পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    অনামিকা মণ্ডল, সহকারী শিক্ষক, পাজরাপাড়া, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজিরপুর, পিরোজপুর
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

অষ্টম অধ্যায় : নারী-পুরুষ সমতা

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। নারী নির্যাতন দমনে কত সালে নারী উন্নয়ন নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে?

  উত্তর : নারী নির্যাতন দমনে ২০১২ সালে নারী উন্নয়ন নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে।

২।        যৌতুক কী?

  উত্তর : বিয়ের সময় কিংবা বিয়ের আগে বা পরে বরপক্ষ অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে কনেপক্ষের কাছ থেকে যে অর্থসম্পদ আদায় করে নেয় তাকে যৌতুক বলে।

৩।        তুমি বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পেলে তোমার বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে রাস্তায় উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা বিরক্ত করছে। তুমি কী করবে?

  উত্তর : আমি নির্যাতন বন্ধের জন্য আশপাশের মানুষের সাহায্য নেব।

৪।

       ন্যায্য মজুরির দাবিতে কোথায় নারী শ্রমিকরা প্রথম রাজপথে নেমে আসে?

  উত্তর : ন্যায্য মজুরির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের একটি সেলাইয়ের কারখানায় নারীরা প্রথম রাজপথে নেমে আসে।

৫।        মায়েরা নির্যাতনের শিকার হলে শিশুদের কী সমস্যা হতে পারে?

  উত্তর : যেসব পরিবারে মায়েরা নির্যাতনের শিকার হয়, সেই পরিবারে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।

৬।

       কিসের জন্য নারী নির্যাতন ক্ষতিকর?

  উত্তর : সমাজের জন্য নারী নির্যাতন ক্ষতিকর।

৭।        কত সালে ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন?

  উত্তর : ১৯১০ সালে ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন।

৮।        নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের কোন মন্ত্রণালয় কাজ করছে?

  উত্তর : নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

৯।        স্কুলে নারী দিবস উপলক্ষে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এই দিবসের তাৎপর্য কী?

  উত্তর : এই দিবসের তাৎপর্য হচ্ছে নারী-পুরুষ সমতা।

১০। কে নারীদের ভোটাধিকার এবং নারী দিবস ঘোষণার দাবি জানান?

  উত্তর : ক্লারা জেটকিন নারীদের ভোটাধিকার এবং নারী দিবস ঘোষণার দাবি জানান।

১১।       ৮ মার্চ সারা বিশ্বে একটি দিবস পালিত হয়। এখানে কোন দিবসের কথা বলা হয়েছে?

  উত্তর : এখানে নারী দিবসের কথা বলা হয়েছে।

১২।       রাশেদা বেগমের মতে, নারী-পুরুষের মধ্যে বিভাজন নয়, বরং সহযোগিতা প্রয়োজন। তাঁর মনোভাবের সঙ্গে কোন মহীয়সী নারীর মিল আছে?

  উত্তর : তাঁর মনোভাবের সঙ্গে বেগম রোকেয়ার মিল আছে।

১৩।       নারী-পুরুষের সমতার বিষয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কী বলেছেন?

  উত্তর : নারী-পুরুষের সমতার বিষয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কাব্যিক ভাষায় বলেছেন, ‘বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’

 

 

মন্তব্য

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

    সুনির্মল চন্দ্র বসু, সহকারী অধ্যাপক, সখীপুর সরকারি কলেজ, সখীপুর, টাঙ্গাইল
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

একাদশ অধ্যায় :  জীবের প্রজনন

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

  উদ্দীপকের আলোকে ২০ ও ২১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২০।  নিষেকের ফলে চিত্র X অংশটি কিসে পরিণত হয়?

  ক. শস্যকলায় খ. বীজে
গ. গর্ভপত্রে   ঘ. ভ্রূণে

২১।  চিত্রে  Y অংশটি যা সৃষ্টি করে তা হলো

  i. শস্যকলা   ii. ৩হ নিউক্লিয়াস
iii. বীজপত্র

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. ii I iii

  উদ্দীপকের আলোকে ২২ ও ২৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২২।  নিচের  P অংশটি নিষেকের পর পরিণত হয়

  ক. জাইগোটে খ. শস্যকোষে
গ. ডিম্বকে    ঘ. ভ্রুণে

২৩।

  চিত্র  XY-এর ক্ষেত্রে

  i. MN মিলিত হয়ে শস্যকোষ তৈরি করে

  ii. MP-এর সঙ্গে ঘ-এর মিলনে দ্বিনিষেক ঘটে

  iii. PN মিলিত হলে চারাগাছ হতে পারে

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. iiiii

  উদ্দীপকের আলোকে ২৪ ও ২৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২৪।  নিষেকের পর ‘P’ হতে তৈরি হয়

  i. জাইগোট    ii. ভ্রূণ   iii. শস্যকলা

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. iiiii

 

  উত্তর : ২০. ঘ ২১. ক ২২. ক ২৩. ঘ ২৪. ক। 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ