<p><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.25pt">পাবদা এশিয়া উপমহাদেশের </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">Ompok</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.25pt"> গণের বিভিন্ন প্রজাতির মাছেদের বোঝায়। সুস্বাদু বলে এই মাছ আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয়। অতুলনীয় স্বাদ-গন্ধ ও স্বল্প কাঁটাযুক্ত হওয়ায় এই মাছ বিশেষভাবে সমাদৃত এবং বাজারে এর চাহিদা অপরিসীম। এই মাছ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নদী, পুকুর ও হ্রদের মতো মিষ্টি পানিতে দেখা যায়। বাংলাদেশে তিন প্রজাতির পাবদা মাছ পাওয়া যায়। যথা</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.25pt">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.25pt">বোয়ালি পাবদা, মধু পাবদা ও ক্ষুদি পাবদা। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left; text-indent:.2in"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.25pt">পাবদার দেহ আঁষবিহীন, চকচকে, উজ্জ্বল      রূপালি বর্ণের। এটি ক্যাটফিশ শ্রেণিভুক্ত। এদের দুই জোড়া গোঁফ থাকে। এ মাছের দৈর্ঘ্য পরিপক্ব অবস্থায় ১৫ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার হয়। স্ত্রী মাছ একই বয়সী পুরুষ মাছের তুলনায় আকারে বড় হয়ে থাকে। পাবদা মাছ এক বছরে পরিপক্বতা লাভ করে, তবে দুই বছর বয়সী ব্রুড মাছ কৃত্রিম প্রজননে বেশী উপযোগী। প্রজনন মৌসুম বেশ দীর্ঘ (ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর), তবে এপ্রিল থেকে আগস্ট মাস এই মাছের সর্বোত্তম প্রজনন মৌসুম। কার্পজাতীয় মাছের সঙ্গে একত্রে চাষ করা যায়। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left; text-indent:.2in"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.25pt">পাবদা কাইরোনমিড লার্ভা, টিউবিফেক্স ওয়ার্ম, কুচো চিংড়ি, কেঁচো, জলজ পোকা-মাকড়, শেওলা ও পাতার নরম অংশ খায়। এ মাছ সর্বভুক, বটম ফিডার ও সম্পূরক খাদ্য হিসেবে সরিষার খৈল, চালের কুঁড়া, ফিশমিল দিয়ে তৈরি খাবার খায়। শিল্প-কারখানায় তৈরি ভাসমান খাবার খেয়ে এই মাছ দ্রুত বড় হয়। পাবদা মাছ নিশাচর, তাই রাতে খাদ্য গ্রহণে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left; text-indent:.2in"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.25pt">এই মাছ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। মাছটি সহজপাচ্য। এতে স্নেহ পদার্থ কম থাকে। নরম কাঁটাযুক্ত এই মাছ প্রচুর ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে। প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও আয়োডিন থাকে থাকে এই মাছে। থাকে প্রচুর চর্বি। এ জন্য এই মাছের ক্যালরিমূল্য অনেক বেশি। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left; text-indent:.2in"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.25pt"> আমাদের দেহে প্রচুর পরিমাণে আমিষের প্রয়োজন হয়, যার বেশির ভাগ আমরা পাবদা মাছ থেকে পেতে পারি। আমাদের শারীরিক দুর্বলতা দূর করে পাবদা মাছ। এই মাছ পেশি টিস্যু তৈরি ও মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়। মাছটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, প্রোটিন, ভিটামিন ই১২, আয়রন ও জিংকে সমৃদ্ধ। পাবদা মাছে আছে ফসফরাস ও লৌহ। এই মাছ হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দৈহিক গঠনে সাহায্য করে থাকে। এ ছাড়া এই মাছে থাকা প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁত ও হাড় গঠনে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।</span></span></span></span></span></span></span></p>