পঞ্চম অধ্যায়
পদার্থ ও শক্তি
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১। মানুষ তার দৈনন্দিন প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। আর কাজ করার জন্য প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়। শক্তি কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বস্তুর কোনো কিছু করার সামর্থ্যই হলো শক্তি।
পঞ্চম অধ্যায়
পদার্থ ও শক্তি
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১। মানুষ তার দৈনন্দিন প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। আর কাজ করার জন্য প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়। শক্তি কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বস্তুর কোনো কিছু করার সামর্থ্যই হলো শক্তি।
২। শক্তি ব্যবহার করে মানুষ বিভিন্ন ধরনের কাজ করছে। শক্তি কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : শক্তি সাধারণত ৬ প্রকার। যথা : বিদ্যুৎ শক্তি, যান্ত্রিক শক্তি, আলোক শক্তি, শব্দ শক্তি, তাপ শক্তি, রাসায়নিক শক্তি।
৩। শব্দ হলো এমন একটি শক্তি, যা আমাদের শুনতে সাহায্য করে। এই শব্দ কিভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর : বস্তুর কম্পন থেকে শব্দের সৃষ্টি হয়।
৪।
উত্তর : দুটি যান্ত্রিক শক্তি হলো : চলমান গাড়ি ও বায়ুপ্রবাহ।
৫। আলো এক ধরনের শক্তি।
উত্তর : বিভিন্ন ধরনের আলো সৃষ্টি করতে সক্ষম যে শক্তি আমাদের দেখতে সাহায্য করে তাই আলোক শক্তি।
৬। তোমরা দেখেছ নানা কাজে, নানাভাবে শক্তি ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন উৎস থেকে আমরা শক্তি পাই। কিন্তু এ শক্তির মূল উৎস কোনটি?
উত্তর : সকল শক্তির মূল উৎস হলো সূর্য।
৭। শক্তি এক রূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তিত হতে পারে। শক্তির রূপের এই পরিবর্তনকে কী বলে?
উত্তর : শক্তির রূপের পরিবর্তনকে শক্তির রূপান্তর বলে।
৮। সূর্য থেকে আমরা আলো ও তাপ প্রত্যক্ষভাবে পাই। এটি কী নামে পরিচিত?
উত্তর : সূর্য থেকে পাওয়া শক্তি সৌরশক্তি নামে পরিচিত।
৯। উদ্ভিদ সূর্যের আলো থেকে খাদ্য তৈরি করে। যখন উদ্ভিদ খাদ্য তৈরি করে তখন সৌরশক্তি কোন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?
উত্তর : উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির সময় সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
১০। দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য মানুষ সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়ে সৌর প্যানেল তৈরি করছে। এখানে সৌরশক্তি কোন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
উত্তর : এখানে সৌরশক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
১১। আমরা যখন টেলিভিশন ব্যবহার করি তখন বিদ্যুৎ শক্তি একাধিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এখানে কোন কোন শক্তির রূপান্তর ঘটে?
উত্তর : টেলিভিশন দেখার সময় বিদ্যুৎ শক্তি আলোক, তাপ এবং শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
১২। তাপ শক্তি বিভিন্ন উপায়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সঞ্চালিত হয়। তাপ সঞ্চালন কী?
উত্তর : উচ্চ তাপমাত্রার স্থান থেকে নিম্ন তাপমাত্রার স্থানে তাপের প্রবাহই হলো তাপ সঞ্চালন।
১৩। তাপ বিভিন্ন বস্তুতে নানা উপায়ে সঞ্চালিত হয়। তাপ কী কী উপায়ে সঞ্চালিত হয়?
উত্তর : তাপ পরিবহন, পরিচলন এবং বিকিরণ পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হয়।
১৪। তাপ কঠিন, তরল এবং বায়বীয় মাধ্যম ছাড়াই বিকিরণ পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হতে পারে। তাপের বিকিরণ কী?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় তাপ শক্তি কোনো মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি উৎস থেকে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে তাই বিকিরণ।
১৫। তোমরা জানো যে কোনো মাধ্যম ছাড়াই আলো সঞ্চালিত হতে পারে। চাঁদ, তারা এবং সূর্যের আলো কোন প্রক্রিয়াতে পৃথিবীতে আসে?
উত্তর : চাঁদ, তারা এবং সূযের আলো বিকিরণ প্রক্রিয়াতে পৃথিবীতে আসে।
১৬। প্রতিনিয়তই পরিবেশদূষণ বাড়ছে। আমরা কিভাবে পরিবেশদূষণ রোধ করতে পারি?
উত্তর : শক্তির যথাযথ ব্যবহার এবং অনবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার কমিয়ে আমরা পরিবেশদূষণ রোধ করতে পারি।
১৭। তোমার ভাই বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহারের পর বন্ধ করে রাখে। কাজ শেষে বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ রাখার সুফল কী?
উত্তর : বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ রাখার ফলে শক্তি সংরক্ষণ হবে।
১৮। আমাদের চারপাশের সব কিছুই পদার্থ। পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর : যার ওজন আছে এবং জায়গা দখল করে তা-ই পদার্থ।
১৯। নানা কাজে আমরা পদার্থ ব্যবহার করি। এই পদার্থ কী দিয়ে গঠিত?
উত্তর : খালি চোখে দেখা যায় না এমন সূক্ষ্ম কণা দিয়ে পদার্থ গঠিত।
২০। খালি চোখে দেখা যায় না এমন সূক্ষ্ম কণা দিয়ে পদার্থ গঠিত। পদার্থের এই সূক্ষ্ম কণার নাম কী?
উত্তর : পদার্থের এই সূক্ষ্ম কণার নাম হলো পরমাণু।
২১। পানি একটি পদার্থ। পানির কয়টি অবস্থা এবং কী কী?
উত্তর : পানির তিনটি অবস্থা। যথা— কঠিন, তরল এবং বায়বীয়।
সম্পর্কিত খবর
অষ্টম অধ্যায় : নারী-পুরুষ সমতা
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
[পূর্বপ্রকাশের পর]
৩০। আমাদের সমাজে নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ—
ক. বেকারত্ব ও কুসংস্কার খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা
গ. বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ
ঘ. পণ প্রথা ও পর্দা প্রথা
উত্তর : খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা
৩১। বিশ্বব্যাপী ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে থেকে পালিত হয়ে আসছে?
ক. ১৮৫৭ খ. ১৯০৮
গ. ১৯৭৭ ঘ. ১৯৩৭
উত্তর : গ. ১৯৭৭
৩২। নারী-পুরুষের কিসের ব্যবধান কমাতে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস?
ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিক
খ. সামাজিক ও রাজনৈতিক
গ. অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক
ঘ. শিক্ষা ও শ্রম
উত্তর : ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিক
।
চতুর্থ অধ্যায় : জীবনীশক্তি
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। শ্বসনিক বস্তু কী?
উত্তর : শ্বসন প্রক্রিয়ায় যে যৌগিক বস্তু জড়িত হয়ে সরল বস্তুতে পরিণত হয় সেসব বস্তুকে শ্বসনিক বস্তু বলে। যেমন—শর্করা, প্রোটিন, লিপিড, বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড।
২।
উত্তর : যে শ্বসন প্রক্রিয়া অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে হয়, তাকে অবাত শ্বসন বলে।
৩। ফার্মেন্টেশন কী?
উত্তর : কোষের বাইরে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে জাইমেজ এনজাইমের উপস্থিতিতে গ্লুকোজ অণু অসম্পূর্ণভাবে জারিত হয়ে ইথাইল অ্যালকোহল বা ল্যাকটিক এসিড সৃষ্টি ও অল্প পরিমাণ শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ফার্মেন্টেশন বলে।
৪।
উত্তর : সূর্যালোক এবং ক্লোরোফিলের সাহায্যে পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন, প্রোটন/হাইড্রোজেন আয়ন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন হয়। এ প্রক্রিয়াকে ফটোলাইসিস বলে।
৫। C3 উদ্ভিদ কী?
উত্তর : ক্যালভিন চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো ৩-ফসফোগ্লিসারিক এসিড।
৬। জীবনীশক্তি কী?
উত্তর : জীব কর্তৃক তার দেহে শক্তির উৎপাদন ও ব্যবহারের মৌলিক কৌশলই হচ্ছে জীবনীশক্তি।
৭।
উত্তর : আলো ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে ADP ও অজৈব ফসফেট (Pi) এর সঙ্গে মিলিত হয়ে ATP তৈরির প্রক্রিয়াকে ফটোফসফোরাইলেশন বলে।
৮। NADPH শব্দের পূর্ণরূপ লেখো।
উত্তর : NADPH শব্দের পূর্ণরূপ হলো বিজারিত নিকোটিনামাইড অ্যাডেনিন ডাইনিউক্লিওটাইড ফসফেট।
৯। সালোক সংশ্লেষণ কী?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং পানি থেকে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে তাকে সালোক সংশ্লেষণ বলে।
১০। ATP-কে জৈবমুদ্রা বলা হয় কেন?
উত্তর : ফটোফসফোরাইলেশন প্রক্রিয়ায় ATP তৈরি হয়। ATP
শক্তি জমা করে রাখে এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্য বিক্রিয়ায় শক্তি সরবরাহ করে। এ জন্য ATP-কে জৈবমুদ্রা বলা হয়।
১১। C4 উদ্ভিদ কী?
উত্তর : হ্যাচ ও স্ন্যাক চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো ৪-অক্সালো অ্যাসিটিক এসিড। এই চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৪-কার্বনবিশিষ্ট বিধায় এই চক্রকে C4 চক্র বলে। যেসব উদ্ভিদ C4 চক্রের মাধ্যমে কার্বন বিজারণ করে তাদের C4 উদ্ভিদ বলে।
১২। শ্বসন কী?
উত্তর : যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবদেহ যৌগিক খাদ্যদ্রব্যগুলো জারিত করে সরল দ্রব্যে পরিণত করে এবং শক্তি উৎপন্ন করে তাকে শ্বসন বলে।
আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চার বছর মেয়াদি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে নির্দিষ্ট চারটি কোর্স হলো—এলএলবি, বিবিএ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স।
যোগ্যতা
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের স্বীকৃত বোর্ড/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২১/২০২২ সালের এসএসসি/সমমান এবং ২০২৩/২০২৪ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাস করতে হবে। পয়েন্ট থাকতে হবে পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ এবং মোট জিপিএ ৬.৫০।
আবেদন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে এরই মধ্যে আবেদন ফরম পাওয়া যাচ্ছে। আবেদন ফি এক হাজার টাকা।
ভর্তি পরীক্ষা : ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার।
সময় : এক ঘণ্টা (সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত)।
ঢাকা ও গাজীপুর মহানগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে এই পরীক্ষা হবে।
ওয়েবসাইট
www.nu.ac.bd/admissions
ম্যাজিকাল সংখ্যা ৯
গণিতের দুনিয়ায় এমন কিছু সংখ্যা আছে, যাদের মাঝে লুকিয়ে থাকে মজার মজার রহস্য। ঠিক তেমনই একটি সংখ্যা ৯। সংখ্যাটি নিজের মধ্যে ধরে রেখেছে অসাধারণ কিছু গুণ। চলুন দেখি ৯-এর কিছু চমকপ্রদ ও মজার দিক—
► ৯ এর সঙ্গে কোনো পূর্ণসংখ্যা গুণ করলে গুণফলের অঙ্কগুলোর যোগফল সব সময় ৯ হয়।
উদাহরণ
৯ x ৩ = ২৭
অঙ্কগুলোর যোগফল, ২ + ৭ = ৯
৯ x ৯ = ৮১
অঙ্কগুলোর যোগফল, ৮ + ১ = ৯
৯ x ১১ = ৯৯
অঙ্কগুলোর যোগফল, ৯ + ৯ = ১৮
আবার, ১৮-এর অঙ্কগুলোর যোগফল,
১ + ৮ = ৯
৯ x ১৭ = ১৫৩
অঙ্কগুলোর যোগফল, ১ + ৫ + ৩ = ৯
► যেকোনো সংখ্যার অঙ্কগুলো যোগ করে সেই যোগফল মূল সংখ্যা থেকে বাদ দিলে বিয়োগফলের অঙ্কগুলোর যোগফল সব সময় ৯ বা ৯-এর গুণিতক হয়।
উদাহরণ
৫২৭-এর অঙ্কগুলোর যোগফল,
৫+২+৭ = ১৪
মূল সংখ্যা ৫২৭ থেকে অঙ্কগুলোর যোগফল ১৪ বিয়োগ করি,
৫২৭ ্ল ১৪ = ৫১৩
বিয়োগফলের অঙ্কগুলোর যোগফল,
৫ + ১ + ৩ = ৯
► ৯ এর নামতা শেখা যায় হাতের আঙুল গুনে।
যেমন, ৯ x ৪ = ?
এর মান বের করতে চাইলে বাম হাতের চার নম্বর আঙুলটি ভাঁজ করো। এখন দেখো ভাঁজ করা আঙুলের আগে আছে তিনটি আঙুল।
এই ৩৬-ই তোমাদের কাঙ্ক্ষিত মান। বোঝার সুবিধার্থে নিচের ছবিটা লক্ষ করতে পারো।
সৈয়দা জুয়েলী আকতার