ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১১ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১১ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

সিন্ধু সভ্যতা

  • [ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে সিন্ধু সভ্যতার উল্লেখ আছে]
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
সিন্ধু সভ্যতা

সিন্ধু সভ্যতা পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতাগুলোর একটি। ব্রোঞ্জযুগীয় সভ্যতার নিদর্শনটি আনুমানিক ৩৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে আনুমানিক ১৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সিন্ধু নদ অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল বলে এর নাম রাখা হয় সিন্ধু সভ্যতা। প্রাচীন ভারতে সর্বপ্রথম হরপ্পায় খননকাজ হয় বিধায় অনেকে একে হরপ্পা সভ্যতা হিসেবেও অভিহিত করে থাকে।

সিন্ধু সভ্যতা মূলত ছিল নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা।

ভৌগোলিক প্রসারতা, উন্নত নগর পরিকল্পনা, আধুনিক পৌর জীবন, সমসাময়িক উন্নত সভ্যতার সঙ্গে যোগাযোগ, উন্নত শিল্পকলা ও আবিষ্কৃত বিভিন্ন নগরের অবস্থান দেখে বোঝা যায় যে নাগরিক জীবনের নানা বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতি এই সভ্যতায় ছিল। প্রায় ১৩ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে  বিস্তৃত ছিল এই সভ্যতা। সমগ্র উত্ত-পশ্চিম ভারতজুড়ে এই সভ্যতার বিকাশ ঘটে। ভৌগোলিক বিস্তারের বিবেচনায় সিন্ধু সভ্যতা ছিল প্রাচীন পৃথিবীর বৃহত্তম সভ্যতা।
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ বেলুচিস্তানে এই সভ্যতার অস্তিত্ব লক্ষণীয়।

ঐতিহাসিকদের মতে, সিন্ধু সভ্যতাটি উত্তরে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে দক্ষিণে ক্যাম্বে উপসাগর, আরব সাগর এবং পশ্চিমে ইরান-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে পূর্বে ভারতের উত্তর প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছিল। সিন্ধু সভ্যতার প্রধান প্রধান শহরের মাঝে হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো, চানহুদারো, সুতকাজেনডোর, লোথাল, কালিবঙ্গাল অন্যতম।

সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কারক হিসেবে বাঙালি প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বিশেষভাবে সমাদৃত।

তাঁর সঙ্গে সঙ্গে বাহাদুর দয়ারাম সোহানী এবং স্যার জন মার্শালও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অবশ্য তাঁদের আগে ১৮৭৫ সালে ইংরেজ প্রত্নতত্ত্ববিদ কানিংহাম হরপ্পার অপরিচিত লিপি লেখা একটি সিলের সন্ধান পান।

আর রাখালদাসরা মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পায় সিন্ধু সভ্যতার বিভিন্ন নিদর্শন আবিষ্কার করেন ১৯২১-২৪ সালের ভেতর।

তাঁরা মাটির নিচে বৃহৎ এক নগরী, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, সিলমোহরসহ নানা ধরনের নিদর্শন খুঁজে পান। রাখালদাস পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলার মহেঞ্জোদারোতে বৌদ্ধ স্তূপের ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান করতে গিয়ে সর্বপ্রথম তাম্র-ব্রোঞ্জ যুগের নিদর্শন আবিষ্কার করেন।

এরপর একে একে দয়ারামের নেতৃত্বে হরপ্পায় এবং জন মার্শালের নেতৃত্বে বহু নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়।

ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল

[আরো বিস্তারিত জানতে পত্রপত্রিকায় সিন্ধু সভ্যতার সম্পর্কিত লেখাগুলো পড়তে পারো।]

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এইচএসসি স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি

শেয়ার

অষ্টম শ্রেণি : বিজ্ঞান

    সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
অষ্টম শ্রেণি : বিজ্ঞান

অষ্টম অধ্যায় : রাসায়নিক বিক্রিয়া

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১।        রাসায়নিক বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক বস্তু নতুন এক বা একাধিক বস্তুতে পরিণত হয় তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।

২।        সংযোজন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একাধিক মৌল বা যৌগ মিলে নতুন এক বা একাধিক যৌগ গঠন করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে।

৩।        তুঁতের সংকেত কী?

  উত্তর : তুঁতের সংকেত CuSO4.5H2O।

 

 

৪।        পটাসিয়াম ক্লোরেটের বিযোজনে উৎপন্ন গ্যাসের নাম কী?

  উত্তর : পটাসিয়াম ক্লোরেটের বিযোজনে উৎপন্ন গ্যাসটি হলো অক্সিজেন।

৫।        প্রশমন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে বিক্রিয়ায় এসিড ও ক্ষার বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে।

৬।        তুঁতে কী?

  উত্তর : পাঁচ অণু পানিযুক্ত কপার সালফেট লবণকে তুঁতে বলে।

৭।        দহন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো মৌল বা যৌগ অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে তাপ উৎপন্ন করে, তা-ই দহন বিক্রিয়া।

৮।        বিযোজন কী?

  উত্তর : যে বিক্রিয়ায় কোনো যৌগ ভেঙে একাধিক নতুন পদার্থ তৈরি হয়, সেই বিক্রিয়াকে বিযোজন বিক্রিয়া বলে।

৯।

       হাইড্রোজোয়িক এসিডের রাসায়নিক সংকেত কোনটি?

    উত্তর : হাইড্রোজোয়িক এসিডের রাসায়নিক সংকেত HN3।

 

মন্তব্য

পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    অনামিকা মণ্ডল, সহকারী শিক্ষক, পাজরাপাড়া, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজিরপুর, পিরোজপুর
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

অষ্টম অধ্যায় : নারী-পুরুষ সমতা

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। নারী নির্যাতন দমনে কত সালে নারী উন্নয়ন নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে?

  উত্তর : নারী নির্যাতন দমনে ২০১২ সালে নারী উন্নয়ন নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে।

২।        যৌতুক কী?

  উত্তর : বিয়ের সময় কিংবা বিয়ের আগে বা পরে বরপক্ষ অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে কনেপক্ষের কাছ থেকে যে অর্থসম্পদ আদায় করে নেয় তাকে যৌতুক বলে।

৩।        তুমি বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পেলে তোমার বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে রাস্তায় উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা বিরক্ত করছে। তুমি কী করবে?

  উত্তর : আমি নির্যাতন বন্ধের জন্য আশপাশের মানুষের সাহায্য নেব।

৪।

       ন্যায্য মজুরির দাবিতে কোথায় নারী শ্রমিকরা প্রথম রাজপথে নেমে আসে?

  উত্তর : ন্যায্য মজুরির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের একটি সেলাইয়ের কারখানায় নারীরা প্রথম রাজপথে নেমে আসে।

৫।        মায়েরা নির্যাতনের শিকার হলে শিশুদের কী সমস্যা হতে পারে?

  উত্তর : যেসব পরিবারে মায়েরা নির্যাতনের শিকার হয়, সেই পরিবারে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।

৬।

       কিসের জন্য নারী নির্যাতন ক্ষতিকর?

  উত্তর : সমাজের জন্য নারী নির্যাতন ক্ষতিকর।

৭।        কত সালে ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন?

  উত্তর : ১৯১০ সালে ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন।

৮।        নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের কোন মন্ত্রণালয় কাজ করছে?

  উত্তর : নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

৯।        স্কুলে নারী দিবস উপলক্ষে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এই দিবসের তাৎপর্য কী?

  উত্তর : এই দিবসের তাৎপর্য হচ্ছে নারী-পুরুষ সমতা।

১০। কে নারীদের ভোটাধিকার এবং নারী দিবস ঘোষণার দাবি জানান?

  উত্তর : ক্লারা জেটকিন নারীদের ভোটাধিকার এবং নারী দিবস ঘোষণার দাবি জানান।

১১।       ৮ মার্চ সারা বিশ্বে একটি দিবস পালিত হয়। এখানে কোন দিবসের কথা বলা হয়েছে?

  উত্তর : এখানে নারী দিবসের কথা বলা হয়েছে।

১২।       রাশেদা বেগমের মতে, নারী-পুরুষের মধ্যে বিভাজন নয়, বরং সহযোগিতা প্রয়োজন। তাঁর মনোভাবের সঙ্গে কোন মহীয়সী নারীর মিল আছে?

  উত্তর : তাঁর মনোভাবের সঙ্গে বেগম রোকেয়ার মিল আছে।

১৩।       নারী-পুরুষের সমতার বিষয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কী বলেছেন?

  উত্তর : নারী-পুরুষের সমতার বিষয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কাব্যিক ভাষায় বলেছেন, ‘বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’

 

 

মন্তব্য

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

    সুনির্মল চন্দ্র বসু, সহকারী অধ্যাপক, সখীপুর সরকারি কলেজ, সখীপুর, টাঙ্গাইল
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

একাদশ অধ্যায় :  জীবের প্রজনন

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

  উদ্দীপকের আলোকে ২০ ও ২১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২০।  নিষেকের ফলে চিত্র X অংশটি কিসে পরিণত হয়?

  ক. শস্যকলায় খ. বীজে
গ. গর্ভপত্রে   ঘ. ভ্রূণে

২১।  চিত্রে  Y অংশটি যা সৃষ্টি করে তা হলো

  i. শস্যকলা   ii. ৩হ নিউক্লিয়াস
iii. বীজপত্র

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. ii I iii

  উদ্দীপকের আলোকে ২২ ও ২৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২২।  নিচের  P অংশটি নিষেকের পর পরিণত হয়

  ক. জাইগোটে খ. শস্যকোষে
গ. ডিম্বকে    ঘ. ভ্রুণে

২৩।

  চিত্র  XY-এর ক্ষেত্রে

  i. MN মিলিত হয়ে শস্যকোষ তৈরি করে

  ii. MP-এর সঙ্গে ঘ-এর মিলনে দ্বিনিষেক ঘটে

  iii. PN মিলিত হলে চারাগাছ হতে পারে

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. iiiii

  উদ্দীপকের আলোকে ২৪ ও ২৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২৪।  নিষেকের পর ‘P’ হতে তৈরি হয়

  i. জাইগোট    ii. ভ্রূণ   iii. শস্যকলা

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. iiiii

 

  উত্তর : ২০. ঘ ২১. ক ২২. ক ২৩. ঘ ২৪. ক। 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ