<p>পায়রা বন্দর পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রাবনাবাদ চ্যানেলের তীরে পোতাশ্রয়ের মুখ থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে এটির অবস্থান। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদে ‘পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ’ আইন পাস হয়। ১৯ নভেম্বর এর ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বন্দরটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালে। আমদানি-রপ্তানির জন্য এটি একটি সরকারি রুট। প্রায় ছয় হাজার একর জায়গার ওপর সমগ্র পায়রা বন্দর গড়ে উঠেছে। ২০১৬ সালে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি ও চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে বন্দর উন্নত করার জন্য কর্তৃপক্ষের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একই বছর বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরের প্রবেশপথ নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সঙ্গে চুক্তি করে।</p> <p>পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি সরকারি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। পায়রা সামুদ্রিক বন্দর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে এ সংস্থা নিয়োজিত। বর্তমানে কমোডর হুমায়ুন কল্লোল পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল তিনি এই দায়িত্ব পান।</p> <p>২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি পায়রা ডিপ সি পোর্টে জাহাজ ঢোকার জন্য ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রাবনাবাদ চ্যানেল ড্রেজিংয়ের কাজ উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু একই বছরের এপ্রিলে সরকার পায়রা বন্দরকে গভীর সমুদ্র বন্দর করার পরিকল্পনা থেকে সরে আসে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে জানা যায়, সরকারের নতুন পরিকল্পনায় পায়রাকে সাধারণ সমুদ্রবন্দর হিসেবেই রাখা হয়েছে সাইক্লোনের মতো মৌসুমি ঝড়ের কথা চিন্তা করে। এর পরিবর্তে কক্সবাজারের মাতারবাড়ী হবে একমাত্র ডিপ সি পোর্ট, সেখান থেকে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে পায়রায় পণ্য আনা হবে।</p> <p>তবু পায়রা বন্দর এখনো বিশ্বের বিস্ময়। এখানে হাজার হাজার একর জমি, চার লেনের মহাসড়ক, মেরিন পার্ক, অ্যাকোয়ারিয়াম, পর্যটকদের জন্য রিসোর্ট ও বিনোদনকেন্দ্র আছে; শুধু বড় জাহাজ ঢোকার মতো গভীরতা নেই।</p> <p>ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল</p> <p> </p> <p>[আরো বিস্তারিত জানতে বিবিসি বাংলাসহ পত্রপত্রিকায় পায়রা বন্দর সম্পর্কিত লেখাগুলো পড়তে পারো।]</p>