ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ আগস্ট ২০২৫
১১ ভাদ্র ১৪৩২, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ আগস্ট ২০২৫
১১ ভাদ্র ১৪৩২, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

পাথরকুচি

  • [নবম-দশম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে পাথরকুচির কথা উল্লেখ আছে]
ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল
ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল
শেয়ার
পাথরকুচি

পাথরকুচি বীরুৎজাতীয় একটি ঔষধি উদ্ভিদ। চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেসব ঔষধি গাছ প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার মধ্যে পাথরকুচি অন্যতম। Crassulaceae পরিবারের অন্তর্গত এর বৈজ্ঞানিক নাম Bryophyllum pinnatum. পাথরকুচি গাছ দেড় থেকে দুই ফুট উঁচু হয়। পাতা মাংসল ও মসৃণ।

আকৃতি অনেকটা ডিমের মতো। পাতার চারপাশে আছে ছোট ছোট গোল খাঁজ। এই খাঁজ থেকে নতুন চারার জন্ম হয়। অনেক সময় গাছের বয়স হলে সেই গাছের খাঁজ থেকে চারা গজায়।
পাথরকুচি পাতা মাটিতে ফেলে রাখলেই অনায়াসে চারা পাওয়া যায়। কাঁকর মাটিতে সহজেই জন্মে। তবে ভেজা, স্যাঁতসেঁতে জায়গায় দ্রুত বাড়ে।

পাথরকুচি বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধক হিসেবে অতুলনীয়।

পুরনো সর্দিতে এর পাতার রস গরম করে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এই পাতায় প্রচুর পানি থাকে, যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ত্বকের কাটা অংশে দ্রুত জ্বালাপোড়া কমানোর বিশেষ ক্ষমতা আছে এই পাতার রসে। পাথরকুচি পাতা বেটে ত্বকে লাগালে মুখে ব্রণ ও ফুসকুড়ি জাতীয় সমস্যা অনেকাংশেই দূর হয়।

পাথরকুচি পাতা কিডনি ও গলগণ্ডের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে।

মৃগী রোগীদের পাথরকুচির পাতার রস দুই থেকে ১০ ফোঁটা খাওয়ালে তাৎক্ষণিক উপকার পাওয়া যায়। পেট ফোলা, প্রস্রাব আটকে যাওয়া, আধো-বায়ু এসব ক্ষেত্রে একটু চিনির সঙ্গে এক বা দুই চা চামচ পাথরকুচির পাতার রস গরম করে খেলে রোগ সেরে যায়। পিত্তজনিত ব্যথা প্রশমনের জন্যও এই পাতা কার্যকর। লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা করতে তাজা পাথরকুচি পাতা এবং এর জুস অনেক উপকারী। বিষাক্ত পোকায় কামড়ালে এই পাতার রস আগুনে সেঁকে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং মূত্রথলির সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা মুক্তি দেয়। শরীরের জ্বালা-পোড়া বা আর্থ্রাইটিস থেকে রক্ষা করে। পাথরকুচি পাতা বেটে কয়েক ফোঁটা রস কানের ভেতর দিলে কানের যন্ত্রণা কমে যায়। কলেরা, ডায়রিয়া বা রক্ত আমাশয় রোগ সারাতে পাথরকুচি পাতার জুড়ি নেই। পাথরকুচি পাতার রসের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে পান করলে পাইলস ও অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।              

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি : ভূগোল প্রথম পত্র

    মো. শাকিরুল ইসলাম, প্রভাষক, ভূগোল বিভাগ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নিউ বেইলি রোড, ঢাকা
শেয়ার
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি : ভূগোল প্রথম পত্র
অঙ্কন : মাসুম

প্রথম অধ্যায় : প্রাকৃতিক ভূগোল

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

৩৪।   প্রাকৃতিক পানিচক্রের স্থান ও কালগত বিশ্লেষণ ভূগোলের কোন শ্রেণিভুক্ত?

   ক. নদীজ ভূগোল   খ. মৃত্তিকা ভূগোল

   গ. প্রাকৃতিক ভূগোল   ঘ. জলবায়ু ভূগোল

৩৫।   প্রাকৃতিক ভূগোলের আধুনিক রূপকার কে?

   ক. ভন হামাবোল্ট   খ. কার্ল রিটার

   গ. ড্যাডলি স্ট্যাম্প   ঘ. ফ্রেডরিক র‌্যাটজেল

৩৬।   বারিমণ্ডল ভূগোলের কোন শাখার অন্তর্ভুক্ত?

   ক. মানব   খ. নগর

   গ. আঞ্চলিক   ঘ. প্রাকৃতিক

৩৭।

   প্রাকৃতিক ভূগোল অধ্যয়নের দৃষ্টিভঙ্গি পুনঃপুনঃ পরিবর্তিত হয়েছে কেন?

   ক. রাজনৈতিক কারণে  
খ. সময়ের পরিবর্তনে

   গ. বিশ্ব উষ্ণায়নে  
ঘ. আঞ্চলিক কারণে

৩৮।   পৃথিবীপৃষ্ঠের প্রাকৃতিক ভূচিত্রাবলির বিজ্ঞানসম্মত পাঠই হলো প্রাকৃতিক ভূগোল। এটি কার সংজ্ঞা?

   ক. রিচার্ড হার্টশোর্ন  

   খ. ফ্রেডরিথ র‌্যাটজেল

   গ. American Heritage Science Dictionary

   ঘ. ফেরেল

৩৯।   বিংশ শতাব্দী থেকে প্রাকৃতিক ভূগোলে কোন বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে?

   ক. জীবতত্ত্ব   খ. সমুদ্রতত্ত্ব

   গ. উপকূলীয়তত্ত্ব   ঘ. বারিতত্ত্ব

৪০।

   প্রাকৃতিক ভূগোলের কোন শাখায় ভূত্বকের গঠন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে?

   ক. জলবায়ুবিদ্যা   খ. পানিবিদ্যা

   গ. ভূমিরূপবিদ্যা   ঘ. সমুদ্রবিদ্যা

৪১।   ভূগোলের জনক কে?

   ক. ইরাটোসথেনিস   খ. ডাডলি স্ট্যাম্প

   গ. কার্ল রিটার   ঘ. ম্যাকনি

 

   উত্তর : ৩৪. গ ৩৫. ক ৩৬. ঘ ৩৭.
খ ৩৮. গ ৩৯. খ ৪০. গ ৪১. ক।

 

মন্তব্য
অষ্টম শ্রেণি

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    শিকদার মো. শহিদুল ইসলাম, প্রভাষক, ফজিলা রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজ, পিরোজপুর
শেয়ার
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

নবম অধ্যায় : বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

১০।    কিশোর অপরাধপ্রবণতা কমানোর জন্য অভিভাবকদের কী করতে হবে?

   ক. তাদের কঠোর শাসন করতে হবে

   খ. তাদের অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে

   গ. তাদের বন্ধু ও সাথিদের সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতে হবে

   ঘ. তাদের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে

   নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১ ও ১২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

   আশরাফ পড়াশোনায় খুব ভালো ছাত্র ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার বাবার মৃত্যু এবং পারিবারিক ব্যবসায় লোকসানের কারণে সে মারাত্মক হতাশায় ভুগছে। একসময় বন্ধুদের প্ররোচনায় সে নেশা করা শুরু করে।

১১।    উদ্দীপকে আশরাফের মাদকাসক্তির প্রধান কারণ কোনটি?

   ক. সঙ্গদোষ   খ. পারিবারিক অশান্তি

   গ. হতাশা   ঘ. কৌতূহল

১২।    উদ্দীপকে বর্ণিত আশরাফের আচরণের ফলে তার জীবনে যে প্রভাব পড়বে তা হলো

   i. শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটবে   ii. মানসিক স্বাস্থ্য দুর্বল হবে

   iii. পারিবারিক শান্তি বিনষ্ট হবে

   নিচের কোনটি সঠিক?

   ক. iii   খ. iiii

   গ. iiiii   ঘ. i, iiiii

  

   উত্তর : ১০. গ ১১. গ ১২. ঘ।

 

 

 

 

মন্তব্য

টিউটরিয়াল : কোথায় কোন প্রিপজিশন (পর্ব-৩)

    মো. মশিউর রহমান খান, প্রভাষক (ইংরেজি), জয়পুরহাট বিএড কলেজ, জয়পুরহাট সদর, জয়পুরহাট
শেয়ার
টিউটরিয়াল :  কোথায় কোন প্রিপজিশন  (পর্ব-৩)

  In, Into I Through এর ব্যবহার

স্থির অবস্থায় ভেতরে বোঝাতে ‘in’ বসে।

Example

i.   সে ঘরের কোণে বসে আছে।

   He sits in the corner of the room.

 

ii.    বাগানের মাঝখানে একটি বড় গাছ আছে।

   There is a big tree in the middle of the garden.
 

   বাইরে থেকে ভেতরে প্রবেশ বোঝাতে ‘into’ বসে।



Example

i.   শিক্ষক ক্লাসরুমে ঢুকলেন।

   The teacher entered into the class room.

ii.   আমি একটা গর্তে পড়ে গেলাম।

   I fell into a hole.

 

  কোনো কিছুর ভেতর দিয়ে/এক পাশ থেকে অন্য পাশ   বোঝাতে  ‘through’ বসে।

Example

i.   সে বনের মধ্য দিয়ে দৌড়ে গেল।

   He ran through the fores t.

ii.   তিনি দরজা দিয়ে চলে গেলেন।

   He walked through the door.

 

   InAt (Place)

 এর মধ্যে পার্থক্য

  বড় স্থানের পূর্বে রহ বসে এবং গ্রাম, এলাকা, মহল্লা ও ছোট শহরের আগে ধঃ বসে।

Example

i.   আমি ঢাকার বনশ্রীতে থাকি।

   I live at Banasree in Dhaka.

ii.   আমি বাংলাদেশের ঢাকায় থাকি।

   I live at Dhaka in Bangladesh.

   

On, InAt (Time)

 এর মধ্যে পার্থক্য

বার, তারিখের ও দিবসের আগে ড়হ বসে।

 Example

i.   তিনি ৫ মে রবিবার ফিরে আসবেন।

   He will come back on Sunday on the 5th May.

 

  মাস ও বছরের আগে  ‘in’ বসে।

i.   তিনি ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ফিরে আসবেন।

   He will come back in January in 2025.

 

  নির্দিষ্ট সময় বোঝাতে ধঃ বসে।



Example

i.   আমি ১০টায় ঘুমাতে যাই।

   I go to bed at 10 o’ clock.

 

 

 

মন্তব্য

সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

    সজল কুমার দাস, সহকারী শিক্ষক, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল, শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাস, টাঙ্গাইল
শেয়ার
সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

গদ্য 

ছবির রং

হাশেম খান

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১।    শরৎকালের কোন দৃশ্যটা সবচেয়ে মোহনীয়?

   উত্তর : শরৎকালে ভরা নদী এবং খালে সাদা, লাল, নীল ও হলুদ বিভিন্ন রঙের পালতোলা নৌকা চলাচলের দৃশ্য সবচেয়ে মোহনীয়।

২।    হেমন্তের শেষ দিকে মাঠে কোন রঙের বাহার দেখা যায়?

   উত্তর : হেমন্তের শেষ দিকে মাঠে হলুদ বা গেরুয়া রঙের বাহার দেখা যায়।

৩।    গ্রীষ্ম ঋতুতে রং-বেরঙের কী কী ফল পাওয়া যায়?
উত্তর : গ্রীষ্ম ঋতুতে আম, জাম, কলা, লিচু, তরমুজ ইত্যাদি রংবেরঙের ফল পাওয়া যায়।

৪।    বসন্তকালে গাছে গাছে কিসের প্রতিযোগিতা হয়?
উত্তর : বসন্তকালে গাছে গাছে কে কত সুন্দর ও সতেজ ফুল ফোটাতে পারে তারই যেন প্রতিযোগিতা হয়।

৫।    এ পর্যন্ত হাশেম খানের কতটি বই প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তর : এ পর্যন্ত হাশেম খানের ১৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

৬।    চাষিরা কোন মাসে দল বেঁধে ফসল কাটেন?

   উত্তর : চাষিরা অগ্রহায়ণ মাসে দল বেঁধে ধান কাটেন।

৭।    মৌলিক রং কয়টি ও কী কী?

   উত্তর : মৌলিক রং তিনটি। হলুদ, নীল, লাল।

৮।    হেমন্ত ঋতু কোন মাসে আসে?

   উত্তর : হেমন্ত ঋতু কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে আসে।

৯।    শীতকালে কী ধরনের ফুল ফোটে?

   উত্তর : শীতকালে শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে।

১০।    শরৎকালে কোন ফুল ফোটে?

   উত্তর : কাশফুল এবং শাপলাফুল ফোটে।

১১।    ‘আভা’ শব্দের অর্থ কী?

   উত্তর : ‘আভা’ শব্দের অর্থ হলো দীপ্তি বা উজ্জ্বলতা।

১২।   রংধনুর কয়টি রং?

   উত্তর : রংধনুর রং সাতটি।

১৩।   মৌলিক রংগুলো মিশিয়ে কী কী রং পাওয়া যায়?
উত্তর : হলুদ ও নীল মেশালে সবুজ, নীল ও লাল মেশালে বেগুনি পাওয়া যায়।

১৪।    বর্ষাকালে আকাশে কী ধরনের রং দেখা যায়?
উত্তর : বর্ষাকালে আকাশে কালো মেঘ এবং বিদ্যুৎ চমকানোর দৃশ্য দেখা যায়।

১৫।   বর্ষাকালে কোন ফুল ফোটে?

   উত্তর : কদম ফুল সাদা ও কমলা রঙে ফোটে।

১৬।   শীতকালে মানুষ কী ধরনের কাপড় ব্যবহার করে?
উত্তর : শীতকালে মানুষ লাল, নীল, হলুদ, কালো বিচিত্র রঙের গরম কাপড় ও টুপি ব্যবহার করে।

১৭।    বসন্তকালে প্রকৃতিতে কী ধরনের দৃশ্য দেখা যায়?

   উত্তর : বসন্তকালে গাছে গাছে নানা রঙের ফুল ফোটে এবং পাখিরা গাছে গাছে নেচে বেড়ায়।

১৮।    রঙের ঋতু বলা হয় কোন ঋতুকে?

   উত্তর : রঙের ঋতু বলা হয় বসন্ত ঋতুকে।

১৯।    শীতকালে প্রকৃতিতে কী ধরনের রং দেখা যায়?
উত্তর : শীতকালে কুয়াশার মায়াবী রং দেখা যায়।

২০।    গ্রীষ্মকালীন ফলগুলো কী কী?

   উত্তর : আম, জাম, কলা, লিচু, তরমুজ।

২১।   বাংলার শিল্পীরা কিভাবে রং ব্যবহার করেন?

   উত্তর : বাংলার শিল্পীরা রঙিন সুতার বুনট, নকশিকাঁথা, পুতুল, ছবি, হাঁড়ি-পাতিলে রং ব্যবহার করেন।

২২।   শীতকালে সরষের ক্ষেতে কী অবস্থা হয়?

   উত্তর : শীতকালে সরষের ক্ষেতে ফুলে ফুলে হলুদের বন্যা নামে।

২৩। ঢাকা নগর জাদুঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কে?

   উত্তর : ঢাকা নগর জাদুঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হাশেম খান।

২৪।   অতিথি পাখি কোথা থেকে আসে?

   উত্তর : অতিথি পাখি শীতকালে বরফ পড়া দেশ থেকে আমাদের দেশে আসে।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ