ঢাকা, সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫
৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫
৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ মহররম ১৪৪৭

তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা

  • [পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার কথা উল্লেখ আছে]
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা

ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে তিতুমীরের নাম উজ্জ্বল হয়ে আছে। তার আসল নাম মীর নাসির আলী। তিনি শুধু ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধেই লড়াই করেননি, বাংলার জমিদারদের বিরুদ্ধে কৃষকদের সংগঠিত করেছিলেন, প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন তাঁর বাঁশের কেল্লা থেকে। তিতুমীরের জন্ম ১৭৮২ সালে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসত মহকুমার চাঁদপুর গ্রামে।

বাবা সৈয়দ মীর হাসান আলী এবং মা আবিদা রোকেয়া খাতুন। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর তিনি স্থানীয় একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করেন। পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে মক্কায় অবস্থানকালে তিতুমীর মুক্তিসংগ্রামের পথপ্রদর্শক সৈয়দ আহমদ শহীদের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। ১৮২৭ সালে দেশে ফিরে তিতুমীর জীবন শুরু করেছিলেন একজন সমাজ ও ধর্মীয় সংস্কারক হিসেবে।
তিতুমীর হিন্দু ও মুসলমান কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করেন এবং জমিদার ও ব্রিটিশ নীলকরদের বিরুদ্ধে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে উৎসাহিত করেন। চব্বিশ পরগনা ও নদীয়ার অনেক কৃষক তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কৃষকদের নিয়ে তিতুমীরের আন্দোলন অল্প কিছুদিনের মধ্যেই গণ-আন্দোলনে রূপ নেয়। প্রজাদের ওপর অত্যাচারের প্রতিকার তিতুমীর করতে চেয়েছিলেন শান্তিপূর্ণভাবে ও সমঝোতার মাধ্যমে।
কিন্তু ব্যর্থ হয়ে বারাসাতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। কম্পানির বিরুদ্ধে এটাই ছিল তাঁর প্রথম বিদ্রোহ। তিনি চব্বিশ পরগনার কিছু অংশ, নদীয়া ও ফরিদপুরের একাংশ নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। এই বিদ্রোহ ‘বারাসাতের বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহে তিরাশি হাজার কৃষক সেনা তিতুমীরের পক্ষে যোগ দিয়েছিল।
বারাসাত বিদ্রোহের পর তিতুমীর বুঝতে পারেন ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য। ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হলে প্রয়োজন সমর প্রস্তুতি ও উপযুক্ত সেনা প্রশিক্ষণ। সেনাবাহিনীর আত্মরক্ষার প্রয়োজনে তিনি একটি দুর্গ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা গভীরভাবে অনুভব করেন। সময় ও অর্থাভাবে তিনি ১৮৩১ সালে কলকাতার নিকটবর্তী বারাসাতের নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে একটি বাঁশের কেল্লা বা দুর্গ নির্মাণ করেন। বাঁশ ও কাদা দিয়ে তিনি ও তাঁর অনুসারীরা এই কেল্লা নির্মাণ করেছিলেন। ইতিহাসে এই কেল্লাই নারিকেলবাড়িয়া বাঁশের কেল্লা নামে বিখ্যাত।     

                          ► পিন্টু রঞ্জন অর্ক

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    অনামিকা মণ্ডল, সহকারী শিক্ষক, পাজরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নাজিরপুর, পিরোজপুর
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

অষ্টম অধ্যায় : নারী-পুরুষ সমতা

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

৩০।        আমাদের সমাজে নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ

  ক. বেকারত্ব ও কুসংস্কার     খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা

  গ. বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ
ঘ. পণ প্রথা ও পর্দা প্রথা

  উত্তর : খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা

৩১।        বিশ্বব্যাপী ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে থেকে পালিত হয়ে আসছে?

  ক. ১৮৫৭    খ. ১৯০৮

  গ. ১৯৭৭     ঘ. ১৯৩৭

  উত্তর : গ. ১৯৭৭

৩২।        নারী-পুরুষের কিসের ব্যবধান কমাতে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস?

  ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিক
খ. সামাজিক ও রাজনৈতিক

  গ. অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক
ঘ. শিক্ষা ও শ্রম

  উত্তর : ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিক

 

মন্তব্য

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

    সুনির্মল চন্দ্র বসু, সহকারী অধ্যাপক, সখীপুর সরকারি কলেজ, সখীপুর, টাঙ্গাইল
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান
সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া। অঙ্কন : প্রসূন হালদার

চতুর্থ অধ্যায় : জীবনীশক্তি

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১। শ্বসনিক বস্তু কী?

  উত্তর : শ্বসন প্রক্রিয়ায় যে যৌগিক বস্তু জড়িত হয়ে সরল বস্তুতে পরিণত হয় সেসব বস্তুকে শ্বসনিক বস্তু বলে। যেমনশর্করা, প্রোটিন, লিপিড, বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড।

২।

অবাত শ্বসন কী?

  উত্তর : যে শ্বসন প্রক্রিয়া অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে হয়, তাকে অবাত শ্বসন বলে।

৩। ফার্মেন্টেশন কী?

  উত্তর : কোষের বাইরে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে জাইমেজ এনজাইমের উপস্থিতিতে গ্লুকোজ অণু অসম্পূর্ণভাবে জারিত হয়ে ইথাইল অ্যালকোহল বা ল্যাকটিক এসিড সৃষ্টি ও অল্প পরিমাণ শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ফার্মেন্টেশন বলে।

৪।

ফটোলাইসিস কী?

  উত্তর : সূর্যালোক এবং ক্লোরোফিলের সাহায্যে পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন, প্রোটন/হাইড্রোজেন আয়ন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন হয়। এ প্রক্রিয়াকে ফটোলাইসিস বলে।

৫।        C3 উদ্ভিদ কী?

  উত্তর : ক্যালভিন চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো ৩-ফসফোগ্লিসারিক এসিড।

এই চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৩-কার্বনবিশিষ্ট বিধায় এই চক্রকে  C3 চক্র বলে। যেসব উদ্ভিদ C3 চক্রের মাধ্যমে কার্বন বিজারণ করে তাদেরকে C3 উদ্ভিদ বলে।

৬। জীবনীশক্তি কী?

  উত্তর : জীব কর্তৃক তার দেহে শক্তির উৎপাদন ও ব্যবহারের মৌলিক কৌশলই হচ্ছে জীবনীশক্তি।

৭।

ফটোফসফোরাইলেশন কী?

  উত্তর : আলো ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে ADP  ও অজৈব ফসফেট (Pi)  এর সঙ্গে মিলিত হয়ে ATP  তৈরির প্রক্রিয়াকে ফটোফসফোরাইলেশন বলে।

৮। NADPH  শব্দের পূর্ণরূপ লেখো।

  উত্তর :  NADPH শব্দের পূর্ণরূপ হলো বিজারিত নিকোটিনামাইড অ্যাডেনিন ডাইনিউক্লিওটাইড ফসফেট।

৯।        সালোক সংশ্লেষণ কী?

  উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং পানি থেকে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে তাকে সালোক সংশ্লেষণ বলে।

১০।  ATP-কে জৈবমুদ্রা বলা হয় কেন?

  উত্তর : ফটোফসফোরাইলেশন প্রক্রিয়ায় ATP  তৈরি হয়। ATP

শক্তি জমা করে রাখে এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্য বিক্রিয়ায় শক্তি সরবরাহ করে। এ জন্য ATP-কে জৈবমুদ্রা বলা হয়।

১১।       C4 উদ্ভিদ কী?

  উত্তর : হ্যাচ ও স্ন্যাক চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো ৪-অক্সালো অ্যাসিটিক এসিড। এই চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৪-কার্বনবিশিষ্ট বিধায় এই চক্রকে C4 চক্র বলে। যেসব উদ্ভিদ C4 চক্রের মাধ্যমে কার্বন বিজারণ করে তাদের C4 উদ্ভিদ বলে।

১২।       শ্বসন কী?

  উত্তর : যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবদেহ যৌগিক খাদ্যদ্রব্যগুলো জারিত করে সরল দ্রব্যে পরিণত করে এবং শক্তি উৎপন্ন করে তাকে শ্বসন বলে।

 

মন্তব্য

ভর্তির খোঁজখবর : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার
ভর্তির খোঁজখবর : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চার বছর মেয়াদি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে নির্দিষ্ট চারটি কোর্স হলোএলএলবি, বিবিএ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স।

 

যোগ্যতা

মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের স্বীকৃত বোর্ড/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২১/২০২২ সালের এসএসসি/সমমান এবং ২০২৩/২০২৪ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাস করতে হবে। পয়েন্ট থাকতে হবে পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ এবং মোট জিপিএ ৬.৫০।

বিজ্ঞান শাখায় উক্ত পরীক্ষাগুলোর প্রতিটিতে পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ এবং সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স ও এইচএসসি (ভোকেশনাল) শাখার শিক্ষার্থীরাও উপরের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবেন।

 

আবেদন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে এরই মধ্যে আবেদন ফরম পাওয়া যাচ্ছে। আবেদন ফি এক হাজার টাকা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন গেটওয়ে অথবা পে-স্লিপ ডাউনলোড করে এই ফি জমা দেওয়া যাবে। আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে ৩১ জুলাই রাত ১২টার মধ্যে। অনলাইন থেকে আবেদন ফরমের প্রিন্ট কপি ৭ আগস্টের মধ্যে সংগ্রহ করার সুযোগ থাকবে।


ভর্তি পরীক্ষা : ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার।

সময় : এক ঘণ্টা (সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত)।


ঢাকা ও গাজীপুর মহানগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে এই পরীক্ষা হবে।

 

ওয়েবসাইট
www.nu.ac.bd/admissions

 

 

মন্তব্য

মজার গণিত

শেয়ার
মজার গণিত

  ম্যাজিকাল সংখ্যা ৯

  গণিতের দুনিয়ায় এমন কিছু সংখ্যা আছে, যাদের মাঝে লুকিয়ে থাকে মজার মজার রহস্য। ঠিক তেমনই একটি সংখ্যা ৯। সংখ্যাটি নিজের মধ্যে ধরে রেখেছে অসাধারণ কিছু গুণ। চলুন দেখি ৯-এর কিছু চমকপ্রদ ও মজার দিক

 

৯ এর সঙ্গে কোনো পূর্ণসংখ্যা গুণ করলে গুণফলের অঙ্কগুলোর যোগফল সব সময় ৯ হয়।

  উদাহরণ

  ৯ x ৩ = ২৭
অঙ্কগুলোর যোগফল, ২ + ৭ = ৯

  ৯ x ৯ = ৮১
অঙ্কগুলোর যোগফল, ৮ + ১ = ৯

  ৯ x ১১ = ৯৯
অঙ্কগুলোর যোগফল, ৯ + ৯ = ১৮
আবার, ১৮-এর অঙ্কগুলোর যোগফল,
১ + ৮ = ৯

  ৯ x ১৭ = ১৫৩
অঙ্কগুলোর যোগফল, ১ + ৫ + ৩ = ৯

 

যেকোনো সংখ্যার অঙ্কগুলো যোগ করে সেই যোগফল মূল সংখ্যা থেকে বাদ দিলে বিয়োগফলের অঙ্কগুলোর যোগফল সব সময় ৯ বা ৯-এর গুণিতক হয়।

  উদাহরণ

  ৫২৭-এর অঙ্কগুলোর যোগফল,
৫+২+৭ = ১৪

  মূল সংখ্যা ৫২৭ থেকে অঙ্কগুলোর যোগফল ১৪ বিয়োগ করি,

  ৫২৭ ্ল ১৪ = ৫১৩

  বিয়োগফলের অঙ্কগুলোর যোগফল,

  ৫ + ১ + ৩ = ৯

 

৯ এর নামতা শেখা যায় হাতের আঙুল গুনে। 

  যেমন, ৯ x ৪ = ?
এর মান বের করতে চাইলে বাম হাতের চার নম্বর আঙুলটি ভাঁজ করো। এখন দেখো ভাঁজ করা আঙুলের আগে আছে তিনটি আঙুল।

৩ দশকের ঘরে বসাও। এর পর ভাঁজ করা আঙুলের পরে গুনে দেখো কয়টি আঙুল আছে? অবশ্যই ছয়টি আঙুল। ৬ এককের ঘরে বসাও। তাহলে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ৩৬।

  এই ৩৬-ই তোমাদের কাঙ্ক্ষিত মান। বোঝার সুবিধার্থে নিচের ছবিটা লক্ষ করতে পারো।

সৈয়দা জুয়েলী আকতার

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ