<p style="text-align: center;"><strong>নমুনা প্রশ্ন (১-৩)</strong></p> <p><strong>নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :</strong></p> <p>বিশ্ব ভূমণ্ডল বড়ই বিচিত্র। কত অসম্ভব ব্যাপারই যে ঘটে! পৃথিবীতে সবচেয়ে বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় নায়াগ্রাকে। এই জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি। সমতলের ওপর দিয়ে একটি খরস্রোতা নদী বইছে। যে মাটির ওপর দিয়ে এই খরস্রোতা নদী প্রবাহিত হচ্ছে সেখানে হঠাৎ করেই এক বিশাল ফাটল। একটা নদী যতখানি চওড়া হতে পারে ততখানি ফাঁক। নায়াগ্রার জল ওই ফাঁকের ভেতরে চলে যাচ্ছে। এটাও তো প্রপাত, কারণ পানি পড়ছে। তবে সাধারণ জলপ্রপাতের মতো পাহাড় থেকে নিচে পড়ছে না। পড়ছে সমতল থেকে বিশাল ফাটলের গহ্বরে। নায়াগ্রা তাই একেবারে ভিন্ন রকমের জলপ্রপাত।</p> <p><strong>১। নিচের যেকোনো পাঁচটি শব্দের অর্থ লেখো :             ১x৫=৫</strong></p> <p>বিচিত্র, জলপ্রপাত, গহ্বর, ব্যাপার, খরস্রোতা, চওড়া, সমতল</p> <p><strong>২। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :                ২+৪+৪=১০</strong></p> <p>ক) পৃথিবীর বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় কোনটিকে?</p> <p>খ) নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বৈশিষ্ট্য কী?</p> <p>গ) নায়াগ্রাকে ভিন্ন রকমের জলপ্রপাত বলা হয়েছে কেন? </p> <p><strong>নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :</strong></p> <p>বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত জায়গার নাম পাহাড়পুর। এটি নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত। এটি একটি সুপ্রাচীন বৌদ্ধবিহার। বিহার এলাকাটি প্রায় ৪০ একর জায়গাজুড়ে লালচে মাটির ভূমিতে বিস্তৃত। ২৭ একর জমির ওপর এর বিশাল দালান। উত্তর-দক্ষিণে এটি ৯২২ ফুট আর পূর্ব-পশ্চিমে ৯১৯ ফুট বিস্তৃত। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাজা দ্বিতীয় ধর্মপাল এটি নির্মাণ করান।</p> <p>প্রায় ১৪ শ বছর আগে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ভিক্ষুরা কোনো বিশেষ একটি জায়গায় থাকতেন। সেখানে তাঁরা নিজেদের ধর্মচর্চা করতেন আর শিষ্যদের শিক্ষা দিতেন। এ রকম জায়গার নাম বিহার। বাংলাদেশের ভেতরে আরো বিহার আছে, যেমন—কুমিল্লার ময়নামতীর শালবন বিহার। কিন্তু পাহাড়পুরের মতো বড় বিহার আর নেই। প্রাচীন এ বিহার একসময় খালি পড়ে থাকে। অনেকে মনে করেন যুগ যুগ ধরে উড়ে আসা ধুলাবালি ও মাটি এটির চারদিকে জমতে থাকে। একসময় মাটির স্তূপে এটি ঢাকা পড়ে পাহাড়ের মতো হয়ে যায়। সেই থেকে নাম হয়ে যায় পাহাড়পুর। দীর্ঘকাল পরে ১৮৭৯ সালে আলেকজান্ডার কানিংহাম এই বিশাল পুরাকীর্তি আবিষ্কার করেন। এটির আরেক নাম সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার।</p> <p> </p> <p><strong>৩। নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি বাছাই করে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করে উত্তরপত্রে লেখো :                 ১X৫=৫</strong></p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2020/07. July/15-07-2020/Kalerkantho_20-07-15-37.jpg" style="height:313px; width:250px" /></p> <p>ক)  _____  একটি জেলার নাম।</p> <p>খ) পাহাড়পুর একটি সুপ্রাচীন _____।</p> <p>গ) কলম্বাস আমেরিকা _____ করেন।</p> <p>ঘ) পাহাড়পুর রাজা দ্বিতীয় ধর্মপাল _____ করেন।</p> <p>ঙ) _____ নিদর্শন আমাদের কালের সাক্ষী বহন করে।                                                                             </p> <p> </p> <p><strong>উত্তরমালা</strong></p> <p>১। বিচিত্র - বিভিন্নতা; জলপ্রপাত - পাহাড়ের ওপর থেকে নিচে সমতল ভূমিতে বিশাল পরিধি নিয়ে জল পড়া; গহ্বর - গর্ত;</p> <p>ব্যাপার - ঘটনা; খরস্রোতা - প্রবল স্রোত সম্পন্ন; চওড়া - প্রশস্ত</p> <p>সমতল - মসৃণ</p> <p>২।ক) কানাডার টরন্টো শহরে অবস্থিত নায়াগ্রা জলপ্রপাতকে পৃথিবীর বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয়।</p> <p>খ) নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বৈশিষ্ট্য</p> <p>নিম্নরূপ :</p> <p>i) এটি সমতল ভূমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে;</p> <p>ii) নায়াগ্রার পানির রং দেখতে নীলাভ সবুজ;</p> <p>iii) এখানে সমতল ভূমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে একটি খরস্রোতা নদী;</p> <p>iv) খরস্রোতা নদী সাধারণত সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু এ নদীতে কিছুই ভাসিয়ে নিয়ে যায় না।</p> <p>গ)  সাধারণ জলপ্রপাতের পানি উঁচু পাহাড় থেকে নিচে আছড়ে পড়ে। কিন্তু নায়াগ্রা জলপ্রপাতের পানি সমতলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি খরস্রোতা নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে। যে নদীতে রয়েছে একটি বিশাল ফাটল। নায়াগ্রা জলপ্রপাতের পানি ওই ফাটলের গহ্বরে পড়ছে। এ জন্য নায়াগ্রাকে ভিন্ন রকমের জলপ্রপাত বলা হয়েছে।</p> <p>৩। নওগাঁ, বৌদ্ধবিহার, আবিষ্কার, নির্মাণ, প্রাচীন।</p>