<p>বাংলা ভাষার শব্দসম্ভারকে পণ্ডিতরা কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছেন। যেমন—তৎসম শব্দ, তদ্ভব শব্দ, অর্ধতৎসম শব্দ, দেশি শব্দ ও বিদেশি শব্দ। রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সংস্কৃতিগত ও বাণিজ্যিক কারণে বাংলাদেশে আসা বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বহু শব্দ বাংলায় এসে স্থান করে নিয়েছে। এসব শব্দকে বলা হয় বিদেশি শব্দ। এসব বিদেশি শব্দের মধ্যে আরবি, ফারসি ও ইংরেজি শব্দই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি—এসব ভাষারও কিছু শব্দ একইভাবে বাংলা ভাষায় প্রচলিত রয়েছে। যেমন—</p> <p><span style="color:#FF0000">♦</span> আরবি শব্দ : আদালত, আলেম, ইনসান, ঈদ, উকিল, ওজর, এজলাস, এলেম, কানুন, কলম, কিতাব, কেচ্ছা, খারিজ, গায়েব, দোয়াত, নগদ, বাকি, মহকুমা, মুন্সেফ, মোক্তার, রায় ইত্যাদি।</p> <p><span style="color:#FF0000">♦</span> ফারসি শব্দ : কারখানা, চশমা, জবানবন্দি, তারিখ, তোশক, দফতর, দরবার, দোকান, দস্তখত, দৌলত, নালিশ, বাদশাহ, বান্দা, বেগম, মেথর, রসদ ইত্যাদি।</p> <p><span style="color:#FF0000">♦</span> ইংরেজি শব্দ : ইউনিভার্সিটি, ইউনিয়ন, কলেজ, টিন, নভেল, নোট, পাউডার, পেনসিল, ব্যাগ, ফুটবল, মাস্টার, লাইব্রেরি, স্কুল ইত্যাদি। এ ছাড়া আফিম, অফিস, ইস্কুল, বাক্স হাসপাতাল, বোতল ইত্যাদি।</p> <p><span style="color:#FF0000">♦</span> পর্তুগিজ শব্দ : আনারস, আলপিন, আলমারি, গির্জা, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, পাদ্রি, বালতি ইত্যাদি।</p> <p><span style="color:#FF0000">♦</span> ওলন্দাজ শব্দ : ইস্কাপন, টেক্কা, রুইতন, হরতন ইত্যাদি। </p> <p> </p>