উপন্যাস : লালসালু
১। বিরামপুর গ্রামে প্রায় সবাই কৃষিজীবী। জমির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। তাদের প্রাণ ফসল তাদের মুখে হাসি আনে।
উপন্যাস : লালসালু
১। বিরামপুর গ্রামে প্রায় সবাই কৃষিজীবী। জমির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। তাদের প্রাণ ফসল তাদের মুখে হাসি আনে।
ক) মজিদের সঙ্গে কার শক্তির প্রভেদ রয়েছে?
খ) ‘মজিদের শক্তি আসে ওপর থেকে, আসে ওই সালু কাপড়ে আবৃত মাজার থেকে’—ব্যাখ্যা করো।
গ) উদ্দীপকের আজাদ ‘লালসালু’ উপন্যাসের কার কথা মনে করে দেয়? আলোচনা করো।
ঘ) ‘মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত জীবন প্রবাহে বাধা সামাজিক সুস্থতা ব্যাহত করে’—উদ্দীপক ও ‘লালসালু’ উপন্যাসের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
উত্তর
ক) মজিদের সঙ্গে খালেক ব্যাপারীর শক্তির প্রভেদ আছে।
খ) মজিদের ক্ষমতার উৎস যে সৃষ্টিকর্তা এবং মাজার, আলোচ্য উক্তির মধ্য দিয়ে সে কথাই বোঝানো হয়েছে।
মজিদ মাজার ব্যবসার মধ্য দিয়ে যেমন অতি অল্প সময়ে প্রচুর অর্থ-সম্পদ লাভ করেছিল, তেমনি অনেক প্রভাব-প্রতিপত্তি ও শক্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল।
২। আতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। নিজ গ্রামের বাড়িতে একটি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন তিনি। গ্রামের সবাই এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রয়োজনীয় বই, অর্থ ও ঘর দিয়ে সাহায্য-সহযোগিতা করতে থাকেন; কিন্তু মসজিদের ইমাম এতে বাধা দেন এবং বলতে থাকেন লাইব্রেরির চেয়ে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আতিক ইমাম সাহেব এবং গ্রামবাসীকে বোঝাতে সক্ষম হন যে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে মানুষের ধর্ম-কর্ম বুঝতে সুবিধা হবে। এতে সবাই সম্মত হয়।
ক) ‘ঠগ-পীরের পানি পড়ায় কি কাম হয়?’ উক্তিটি কার?
খ) ‘তা এই বদ-মতলব কেন হইল?’—ব্যাখ্যা করো।
গ) উদ্দীপকের আতিক ‘লালসালু’ উপন্যাসের আক্কাস চরিত্রকে কোন দিক থেকে প্রতিনিধিত্ব করে, ব্যাখ্যা করো।
ঘ) ‘উদ্দীপকের লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হলেও আক্কাসের স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হয়নি’—বিশ্লেষণ করো।
উত্তর
ক) ঠগ-পীরের পানি পড়ায় কি কাম হয়, উক্তিটি খালেক ব্যাপারীর।
খ) তা এই বদ-মতলব কেন হইল, উক্তিটি মজিদ আক্কাসের উদ্দেশে করেছিল। এখানে বদ-মতলব বলতে ব্যাঙ্গার্থে আক্কাসের স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে বোঝানো হয়েছে।
বিদেশ ফেরত উদ্যমী যুবক আক্কাস গ্রামের মানুষের দুর্দশার কথা চিন্তা করে গ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। এটি নিঃসন্দেহে একটি মহৎ উদ্যোগ ছিল; কিন্তু মজিদ ভেবেছিল গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠিত হলে গ্রামের লোকজন শিক্ষাদীক্ষায় সচেতন হবে এবং তারা আর মাজারমুখী হবে না। ফলে তার মাজার ব্যবসায় সংকট নেমে আসবে। তাই সে গ্রামে জনসভা ডেকে আক্কাসের স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে বদ-মতলব বলে আখ্যায়িত করে। একই সঙ্গে মজিদ আক্কাস ও তার বাপকে অপমান-অপদস্থ করে এবং আক্কাসের স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়।
নাটক : সিরাজউদ্দৌলা
৩। ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষের মহীশূর রাজ্যের শাসনকর্তা ছিলেন টিপু সুলতান। তিনি তাঁর শৌর্য-বীর্যের কারণে শের-ই মহীশূর নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁর মতে, বিড়াল ও শিয়ালের মতো বেশিদিন বাঁচার চেয়ে বাঘের মতো দুই দিন বেঁচে থাকলেও ভালো। এই মহান শাসক নিজের দেশের স্বাধীনতার জন্য ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নিহত হন ১৭৯৯ সালে। কিন্তু তাঁর এ পরাজয়ের মূল কারণ ছিল তাঁরই সেনাপতি মীর সাদিক। মীর সাদিক লোভে পড়ে ব্রিটিশদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন।
ক) নবাব সিরাজউদ্দৌলা কাকে আলিনগরের দেওয়ান নিযুক্ত করেন?
খ) সিরাজউদ্দৌলা কেন একটি দিনের জন্যও সুখে নবাবি করতে পারেননি? ব্যাখ্যা করো।
গ) উদ্দীপকের টিপু সুলতানের সঙ্গে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ) কাছের লোকের বিশ্বাসঘাতকতা উদ্দীপকের টিপু সুলতান ও ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের মূল কারণ ছিল, বিশ্লেষণ করো।
উত্তর
ক) নবাব সিরাজউদ্দৌলা মানিকচাঁদকে আলিনগরের দেওয়ান নিযুক্ত করেন।
খ) প্রধান সেনাপতি মীরজাফরসহ কাছের মানুষদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে নবাব সিরাজউদ্দৌলা একটি দিনের জন্যও শান্তিতে নবাবি করতে পারেননি।
নবাব আলিবর্দী খান তাঁর মৃত্যুর আগে যোগ্য উত্তরসূরি সিরাজকে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার সিংহাসনে বসিয়ে যান। সিরাজের নবাব হওয়া যেমন প্রধান সেনাপতি মীরজাফর মেনে নিতে পারেননি, তেমনি তাঁর আপন খালা ঘসেটি বেগমও তা মেনে নিতে পারেননি। মীরজাফর নিজেই বাংলার নবাব হতে চেয়েছিলেন। আর ঘসেটি বেগম তাঁর পালিত পুত্র শওকত জঙ্গকে নবাব করে নবাবমাতা হিসেবে দেশ পরিচালনা করতে চেয়েছিলেন; কিন্তু সিরাজ সিংহাসনে বসায় তাঁদের এই খায়েশ পূর্ণ হয়নি। তাই শুরু থেকে তাঁরা ইংরেজদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে সিরাজের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। আর এ কারণেই নবাব সিরাজউদ্দৌলা একটি দিনের জন্যও শান্তিতে নবাবি করতে পারেননি।
সম্পর্কিত খবর
অষ্টম অধ্যায় : নারী-পুরুষ সমতা
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
[পূর্বপ্রকাশের পর]
৩০। আমাদের সমাজে নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ—
ক. বেকারত্ব ও কুসংস্কার খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা
গ. বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ
ঘ. পণ প্রথা ও পর্দা প্রথা
উত্তর : খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা
৩১। বিশ্বব্যাপী ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে থেকে পালিত হয়ে আসছে?
ক. ১৮৫৭ খ. ১৯০৮
গ. ১৯৭৭ ঘ. ১৯৩৭
উত্তর : গ. ১৯৭৭
৩২। নারী-পুরুষের কিসের ব্যবধান কমাতে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস?
ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিক
খ. সামাজিক ও রাজনৈতিক
গ. অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক
ঘ. শিক্ষা ও শ্রম
উত্তর : ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিক
।
চতুর্থ অধ্যায় : জীবনীশক্তি
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। শ্বসনিক বস্তু কী?
উত্তর : শ্বসন প্রক্রিয়ায় যে যৌগিক বস্তু জড়িত হয়ে সরল বস্তুতে পরিণত হয় সেসব বস্তুকে শ্বসনিক বস্তু বলে। যেমন—শর্করা, প্রোটিন, লিপিড, বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড।
২।
উত্তর : যে শ্বসন প্রক্রিয়া অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে হয়, তাকে অবাত শ্বসন বলে।
৩। ফার্মেন্টেশন কী?
উত্তর : কোষের বাইরে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে জাইমেজ এনজাইমের উপস্থিতিতে গ্লুকোজ অণু অসম্পূর্ণভাবে জারিত হয়ে ইথাইল অ্যালকোহল বা ল্যাকটিক এসিড সৃষ্টি ও অল্প পরিমাণ শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ফার্মেন্টেশন বলে।
৪।
উত্তর : সূর্যালোক এবং ক্লোরোফিলের সাহায্যে পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন, প্রোটন/হাইড্রোজেন আয়ন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন হয়। এ প্রক্রিয়াকে ফটোলাইসিস বলে।
৫। C3 উদ্ভিদ কী?
উত্তর : ক্যালভিন চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো ৩-ফসফোগ্লিসারিক এসিড।
৬। জীবনীশক্তি কী?
উত্তর : জীব কর্তৃক তার দেহে শক্তির উৎপাদন ও ব্যবহারের মৌলিক কৌশলই হচ্ছে জীবনীশক্তি।
৭।
উত্তর : আলো ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে ADP ও অজৈব ফসফেট (Pi) এর সঙ্গে মিলিত হয়ে ATP তৈরির প্রক্রিয়াকে ফটোফসফোরাইলেশন বলে।
৮। NADPH শব্দের পূর্ণরূপ লেখো।
উত্তর : NADPH শব্দের পূর্ণরূপ হলো বিজারিত নিকোটিনামাইড অ্যাডেনিন ডাইনিউক্লিওটাইড ফসফেট।
৯। সালোক সংশ্লেষণ কী?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং পানি থেকে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে তাকে সালোক সংশ্লেষণ বলে।
১০। ATP-কে জৈবমুদ্রা বলা হয় কেন?
উত্তর : ফটোফসফোরাইলেশন প্রক্রিয়ায় ATP তৈরি হয়। ATP
শক্তি জমা করে রাখে এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্য বিক্রিয়ায় শক্তি সরবরাহ করে। এ জন্য ATP-কে জৈবমুদ্রা বলা হয়।
১১। C4 উদ্ভিদ কী?
উত্তর : হ্যাচ ও স্ন্যাক চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো ৪-অক্সালো অ্যাসিটিক এসিড। এই চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৪-কার্বনবিশিষ্ট বিধায় এই চক্রকে C4 চক্র বলে। যেসব উদ্ভিদ C4 চক্রের মাধ্যমে কার্বন বিজারণ করে তাদের C4 উদ্ভিদ বলে।
১২। শ্বসন কী?
উত্তর : যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবদেহ যৌগিক খাদ্যদ্রব্যগুলো জারিত করে সরল দ্রব্যে পরিণত করে এবং শক্তি উৎপন্ন করে তাকে শ্বসন বলে।
আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চার বছর মেয়াদি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে নির্দিষ্ট চারটি কোর্স হলো—এলএলবি, বিবিএ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স।
যোগ্যতা
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের স্বীকৃত বোর্ড/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২১/২০২২ সালের এসএসসি/সমমান এবং ২০২৩/২০২৪ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাস করতে হবে। পয়েন্ট থাকতে হবে পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ এবং মোট জিপিএ ৬.৫০।
আবেদন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে এরই মধ্যে আবেদন ফরম পাওয়া যাচ্ছে। আবেদন ফি এক হাজার টাকা।
ভর্তি পরীক্ষা : ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার।
সময় : এক ঘণ্টা (সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত)।
ঢাকা ও গাজীপুর মহানগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে এই পরীক্ষা হবে।
ওয়েবসাইট
www.nu.ac.bd/admissions
ম্যাজিকাল সংখ্যা ৯
গণিতের দুনিয়ায় এমন কিছু সংখ্যা আছে, যাদের মাঝে লুকিয়ে থাকে মজার মজার রহস্য। ঠিক তেমনই একটি সংখ্যা ৯। সংখ্যাটি নিজের মধ্যে ধরে রেখেছে অসাধারণ কিছু গুণ। চলুন দেখি ৯-এর কিছু চমকপ্রদ ও মজার দিক—
► ৯ এর সঙ্গে কোনো পূর্ণসংখ্যা গুণ করলে গুণফলের অঙ্কগুলোর যোগফল সব সময় ৯ হয়।
উদাহরণ
৯ x ৩ = ২৭
অঙ্কগুলোর যোগফল, ২ + ৭ = ৯
৯ x ৯ = ৮১
অঙ্কগুলোর যোগফল, ৮ + ১ = ৯
৯ x ১১ = ৯৯
অঙ্কগুলোর যোগফল, ৯ + ৯ = ১৮
আবার, ১৮-এর অঙ্কগুলোর যোগফল,
১ + ৮ = ৯
৯ x ১৭ = ১৫৩
অঙ্কগুলোর যোগফল, ১ + ৫ + ৩ = ৯
► যেকোনো সংখ্যার অঙ্কগুলো যোগ করে সেই যোগফল মূল সংখ্যা থেকে বাদ দিলে বিয়োগফলের অঙ্কগুলোর যোগফল সব সময় ৯ বা ৯-এর গুণিতক হয়।
উদাহরণ
৫২৭-এর অঙ্কগুলোর যোগফল,
৫+২+৭ = ১৪
মূল সংখ্যা ৫২৭ থেকে অঙ্কগুলোর যোগফল ১৪ বিয়োগ করি,
৫২৭ ্ল ১৪ = ৫১৩
বিয়োগফলের অঙ্কগুলোর যোগফল,
৫ + ১ + ৩ = ৯
► ৯ এর নামতা শেখা যায় হাতের আঙুল গুনে।
যেমন, ৯ x ৪ = ?
এর মান বের করতে চাইলে বাম হাতের চার নম্বর আঙুলটি ভাঁজ করো। এখন দেখো ভাঁজ করা আঙুলের আগে আছে তিনটি আঙুল।
এই ৩৬-ই তোমাদের কাঙ্ক্ষিত মান। বোঝার সুবিধার্থে নিচের ছবিটা লক্ষ করতে পারো।
সৈয়দা জুয়েলী আকতার