<p style="text-align: center;"><strong>অনুধাবনমূলক প্রশ্ন</strong></p> <p style="text-align: center;"><strong>পঞ্চম অধ্যায়</strong></p> <p style="text-align: center;"><strong>যৌথ মূলধনী ব্যবসায়</strong></p> <p style="text-align: center;"><strong>অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর</strong></p> <p>১। কম্পানিতে যোগ্যতাসূচক শেয়ার কারা ক্রয় করে এবং কেন?</p> <p>উত্তর : কম্পানির পরিচালকরা যোগ্যতাসূচক শেয়ার ক্রয় করেন।</p> <p>কম্পানি পরিচালক হতে কারো কম্পানির ন্যূনতম যে পরিমাণ শেয়ার ক্রয় করতে হয় তাকে পরিচালকদের যোগ্যতাসূচক শেয়ার বলে। কম্পানি আইনে উল্লেখ আছে, কোনো ব্যক্তি কম্পানির পরিচালক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারবে না, যদি সংঘবিধিতে বর্ণিত যোগ্যতাসূচক শেয়ারের কম পরিমাণ শেয়ার তার থাকে। অর্থাৎ সংঘবিধিতে যোগ্যতাসূচক শেয়ার থাকার বিধান থাকলে কাউকে কম্পানির পরিচালক হতে ন্যূনতম ওই পরিমাণ শেয়ার তাকে ক্রয় করতে বা থাকতে হয়।</p> <p> </p> <p>২। বিবরণপত্র কেন তৈরি করা হয়? ব্যাখ্যা করো।</p> <p>উত্তর : পাবলিক লিমিটেড কম্পানি তার শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয়ের নিমিত্তে জনগণ বরাবর আহ্বান জানিয়ে যে প্রচারপত্র বা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় তাকে কম্পানির বিবরণপত্র বলে।</p> <p>বিবরণপত্র প্রচারের উদ্দেশ্য হলো জনগণকে কম্পানিসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দিয়ে কম্পানি সম্পর্কে অবহিত করা এবং শেয়ার ও ঋণপত্র ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করা। এ জন্য বিবরণপত্রে কোনোরূপ মিথ্যা তথ্য প্রদান কম্পানি আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অর্থাৎ কম্পানিসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সব তথ্য তুলে ধরে শেয়ার ও ঋণপত্র ক্রয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে মূলধন সংগ্রহের জন্য এরূপ পত্র তৈরি করা হয়।</p> <p> </p> <p>৩। কম্পানি কখন বোনাস শেয়ার ইস্যু করে?</p> <p>উত্তর : শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে নগদে লভ্যাংশ না দিয়ে লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ার বণ্টন করা হলে ওই শেয়ারকে বোনাস শেয়ার বলে।</p> <p>কম্পানির অর্জিত মুনাফার সম্পূর্ণ অংশ লভ্যাংশ হিসেবে বণ্টন না করে অংশবিশেষ এর সংরক্ষিত তহবিলে জমা রাখা হয়। এরূপ তহবিলে সঞ্চিতির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেলে পরিচালকদের সভার সিদ্ধান্তক্রমে ওই তহবিলের অর্থকে মূলধনে পরিণত করার লক্ষ্যে বোনাস শেয়ার বণ্টন করা হয়ে থাকে।</p> <p> </p> <p>৪। দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে স্টক এক্সচেঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা করো।</p> <p>উত্তর : যে সুসংহত বাজারে বা স্থানে এর তালিকাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি কম্পানির শেয়ার-সিকিউরিটিজ নিয়মিতভাবে ও নির্ধারিত বিধি অনুযায়ী ক্রয়-বিক্রয় করা হয়ে থাকে তাকেই স্টক এক্সচেঞ্জ বলে।</p> <p>পাবলিক লিমিটেড কম্পানির উন্নয়নের সঙ্গে দেশের শেয়ারবাজার বা স্টক এক্সচেঞ্জ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ এখানে তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলোর শেয়ার ও ঋণপত্র সহজে বিক্রয় হয়। দাম হ্রাস-বৃদ্ধির কারণেও লাভের সুযোগ থাকে। এ কারণেই সব ধরনের বিনিয়োগকারী পাবলিক লিমিটেড কম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগে অংশগ্রহণ করে। তাই দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে স্টক এক্সচেঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ।</p> <p> </p> <p>৫। আউটসোর্সিং ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ কেন?</p> <p>উত্তর : চুক্তির ভিত্তিতে অন্যের কাজ করে দেওয়ার ব্যবসায়কে আইটসোর্সিং ব্যবসায় বলে।</p> <p>একক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সব কাজ নিজের ব্যবস্থাপনার আওতায় লোক নিয়োগ দিয়ে করানো সম্ভব নয়। এতে খরচ ও প্রশাসনিক জটিলতা বাড়ে। অথচ অন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে কাজটি করিয়ে নেওয়া সম্ভব হলে তা অনেক সহজ হয়। এ উদ্দেশ্য পূরণে এখন সমাজে অনেক আউটসোর্সিং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তাই স্বল্পখরচে ও সহজে কাজ পেতে আউটসোর্সিং ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ।</p> <p> </p> <p>৬। কম্পানিকে আইনসৃষ্ট প্রতিষ্ঠান বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।</p> <p>উত্তর : আইন অনুযায়ী নিবন্ধন করে কম্পানি গঠন করতে হয় বিধায় কম্পানিকে আইনসৃষ্ট প্রতিষ্ঠান বলে।</p> <p>দেশের প্রচলিত কম্পানি আইনের আওতায় অথবা সরকারের বিশেষ অধ্যাদেশবলে কম্পানি গঠিত হয়। যে কারণে কম্পানির গঠন পদ্ধতি বেশ আনুষ্ঠানিকতাপূর্ণ এবং কম্পানির আইনগত বিশেষ অস্তিত্ব রয়েছে। কম্পানি আইনের বলে গঠিত হয় বলে এর পৃথক ও স্বাধীন সত্তা রয়েছে। যে আইনের অধীনে কম্পানির সৃষ্টি হয় সেই আইনের অধীনে কম্পানি পরিচালিত হয় এবং আইনের অধীনেই এর বিলোপ সাধন করতে হয়। এ জন্য কম্পানিকে আইনসৃষ্ট প্রতিষ্ঠান বলা হয়।</p>