নির্দেশক কাকে বলে?
উত্তর : যেসব পদার্থ নিজেদের রং পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনো একটি বস্তু অম্ল না ক্ষার বা কোনোটিই নয়, তা নির্দেশ করে তাদের নির্দেশক বলে।
১০। ভিনেগারের রাসায়নিক সংকেত লেখো।
উত্তর : ভিনেগারের রাসায়নিক সংকেত হলো CH3COOH
১১। ক্ষারক কী?
উত্তর : ধাতব অক্সাইড ও হাইড্রোক্সাইডগুলোকে ক্ষারক বলে। যেমন Na2O, NaOH, K2O, KOH, CaO, Ca(OH)2 ইত্যাদি।
১২। ক্ষার কী?
উত্তর : ক্ষার হলো সেই সমস্ত ক্ষারক, যেগুলো পানিতে দ্রবীভূত হয়। যেমন— NaOH, KOH, Ca(OH)2 ইত্যাদি।
১৩। মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়া (Milk of Magnesia) কী?
উত্তর : ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড [Mg(OH)2] এর সাসপেনশন মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়া বলে।
১৪। জৈব এসিড কী?
উত্তর : ফলমূল বা সবজিতে যেসব এসিড থাকে এদের জৈব এসিড বলে।
১৫। সংকেত লেখো।
ফসফরিক এসিড H3PO4
পারক্লোরিক এসিড HClO4
অ্যাসিটিক এসিড CH3COOH
অক্সালিক এসিড HOOC-COOH
১৬। লবণ কী?
উত্তর : লবণ হলো অম্ল ও ক্ষারকের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন নিরপেক্ষ পদার্থ।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১। তড়িৎ বিভব পার্থক্য বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : প্রতি একক আধানকে তড়িেক্ষত্রের এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে স্থানান্তর করতে সম্পন্ন কাজের পরিমাণ হলো ওই বিন্দুর তড়িৎ বিভব পার্থক্য। দুটি বিন্দুর মধ্যে বিভব পার্থক্য না থাকলে তড়িৎ প্রবাহিত হবে না। ফলে কোনো আধান প্রবাহিত হবে না এবং কোনো কাজও সম্পন্ন হবে না।
২। ও’মের সূত্রটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : ও’মের সূত্র : তাপমাত্রা স্থির থাকলে কোনো নির্দিষ্ট পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহের মান পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের মানের সমানুপাতিক।

১। কোনো পরিবাহীর রোধ ২ ও’ম হয় কেন?
উত্তর : কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য ২ ভোল্ট এবং এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ ১ অ্যাম্পিয়ার হওয়ার কারণে ওই পরিবাহীর রোধ ২ ও’ম হয়।
৪। ১০ কিলো ও’ম বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কোনো পরিবাহীর রোধ ১০ কিলো ত্ত’ম বলতে বোঝায় পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য ১০ কিলোভোল্ট হলে এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িত্প্রবাহ ১ অ্যাম্পিয়ার হয়।
৫। বর্তমান বিশ্বের সব দেশের তড়িত্প্রবাহ পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ কেন?
উত্তর : নির্দিষ্ট সময় পর পর তড়িৎ প্রবাহের দিক পরিবর্তন হলে, সেই তড়িৎ প্রবাহকে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বলে। বর্তমান বিশ্বের সব দেশের তড়িৎ প্রবাহই পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ। কারণ তুলনামূলকভাবে এটি উৎপন্ন ও সরবরাহ করা সহজ ও সাশ্রয়ী।
৬। বর্তনীতে ফিউজ ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তর : তড়িৎ বর্তনীতে কোনো কারণে অতিরিক্ত তড়িৎ প্রবাহিত হলে অনেক সময় তার থেকে আগুন পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এ ধরনের বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য বর্তনীতে ফিউজ ব্যবহার করা হয়। কেননা এর মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট মাত্রার অতিরিক্ত তড়িৎ প্রবাহিত হলে এটি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে গলে যায়। ফলে তড়িৎ বর্তনী বিচ্ছিন্ন হয়ে যন্ত্রপাতিকে রক্ষা করে।
৭। ফিউজ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : ফিউজ হলো টিন ও সিসার একটি সংকর ধাতুর তৈরি ছোট সরু তার, যা বর্তনীতে সিরিজ সংযোগে লাগানো থাকে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিকে অতিরিক্ত তড়িত্প্রবাহ থেকে রক্ষা করার জন্য ও বাসাবাড়িকে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা হতে রক্ষা করার জন্য ফিউজ ব্যবহার করা হয়।
৮। ৫ অ্যাম্পিয়ার ফিউজ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : ৫ অ্যাম্পিয়ার ফিউজ মানে এর মধ্য দিয়ে ৫ অ্যাম্পিয়ারের বেশি বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে এটি গলে যাবে।
৯। অ্যামিটার ও ভোল্টমিটারের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর : নিচে অ্যামিটার ও ভোল্ট মিটারের মধ্যে দুটি পার্থক্য দেওয়া হলো।
অ্যামিটার ১. অ্যামিটারের সাহায্যে বর্তনীর তড়িত্প্রবাহ পরিমাপ করা হয়।
২. অ্যামিটার বর্তনীতে শ্রেণিসংযোগে যুক্ত থাকে। ভোল্টমিটার
১. ভোল্টমিটারের সাহায্যে বর্তনীর যেকোনো দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্য পরিমাপ করা হয়।
২. ভোল্টমিটার বর্তনীতে সমান্তরাল সংযোগে যুক্ত থাকে।
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
১। পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের উৎস কোনটি?
ক) জেনারেটর খ) ডিসি জেনারেটর
গ) বিদ্যুেকাষ ঘ) ব্যাটারি
২। পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের বেলায় প্রযোজ্য—
i. তড়িৎ প্রবাহের দিক অপরিবর্তিত থাকে
ii. উৎপন্ন ও সরবরাহ করা সহজ
iii. সাশ্রয়ী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii খ) i ও iii
গ) ii ও iii ঘ) i, ii ও iii
৩। অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহের উৎস
i. তড়িেকাষ ii. জেনারেটর
iii. ডিসি জেনারেটর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii খ) i ও iii
গ) ii ও iii ঘ) i, ii ও iii
৪। নিচের ছবিটি দেখো এবং বলো এটি কোন প্রকারের উদারহণ?

ক) পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ খ) অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ
গ) তড়িৎ ঘ) রোধ
চিত্রটি লক্ষ করে ৫ ও ৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

চিত্র : তড়িত্প্রবাহ
৫। এই প্রবাহটি বাংলাদেশের প্রতি সেকেন্ডে কতবার দিক পরিবর্তন করে?
ক) ৪০ বার খ) ৫০ বার গ) ৬০ বার ঘ) ৭০ বার
উত্তর : ১. ক ২. গ ৩. খ ৪. খ ৫. খ।