<p><span style="font-size:20px"><strong>চতুর্থ অধ্যায়-অংশীদারি ব্যবসায়</strong></span></p> <p><strong>জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর</strong></p> <p>১। অংশীদারি ব্যবসায়ে ন্যূনতম সদস্য সংখ্যা কতজন হতে পারে?</p> <p>উত্তর : দুজন।</p> <p>২। অংশীদারদের মধ্যকার সম্পর্ককে কী বলে?</p> <p>উত্তর : অংশীদারি।</p> <p>৩। অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি কী?</p> <p>উত্তর : চুক্তি।</p> <p>৪। অংশীদারি কী?</p> <p>উত্তর : অংশীদারি ব্যবসায়ে অংশীদারদের মধ্যকার সম্পর্ককে অংশীদারি বলে।</p> <p>৫। অংশীদারি ব্যবসায় কী?</p> <p>উত্তর : চুক্তিবদ্ধ সম্পর্কের ভিত্তিতে একাধিক ব্যক্তি কর্তৃক গঠিত ও পরিচালিত ব্যবসায়কে অংশীদারি ব্যবসায় বলে।</p> <p>৬। অংশীদারি চুক্তিপত্র কী?</p> <p>উত্তর : অংশীদারদের মধ্যকার চুক্তির বিষয়বস্তু দলিলে লিপিবদ্ধ করা হলে তাকে অংশীদারি চুক্তিপত্র বলে।</p> <p>৭। ঐচ্ছিক অংশীদারি ব্যবসায় কী?</p> <p>উত্তর : যে অশীদারি ব্যবসায়ের চুক্তিতে ব্যবসায়ের মেয়াদকাল সম্পর্কে কিছুই বলা থাকে না তাকে ঐচ্ছিক অংশীদারি ব্যবসায় বলে।</p> <p>৮। সীমাবদ্ধ অংশীদারি ব্যবসায় কী?</p> <p>উত্তর : কোনো অংশীদারি ব্যবসায়ের এক বা একাধিক সদস্যের দায় সীমাবদ্ধ থাকলে তাকে সীমাবদ্ধ অংশীদারি ব্যবসায় বলে।</p> <p>৯। কর্মী অংশীদার কে?</p> <p>উত্তর : যে সাধারণ অংশীদার ব্যবসায়ে মূলধন না দিয়ে নিজস্ব শ্রম ও দক্ষতাকে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত রাখে তাকে কর্মী অংশীদার বলে।</p> <p>১০। আচরণে অনুমিত অংশীদার কে?</p> <p>উত্তর : কোনো ব্যক্তি অংশীদার না হয়েও কথা-বার্তা ও আচার-আচরণের দ্বারা কোনো অংশীদারি ব্যবসায়ের অংশীদার হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিলে তাকে আচরণে অনুমিত অংশীদার বলে।</p> <p>১১। অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন কি বাধ্যতামূলক?</p> <p>উত্তর : অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয়।</p> <p>১২। অংশীদারি ব্যবসায়ের লাভ-লোকসান কিভাবে বণ্টিত হয়?</p> <p>উত্তর : চুক্তি মোতাবেক অংশীদারি ব্যবসায়ের লাভ-লোকসান বণ্টিত হয়।</p> <p>১৩। অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধন কী?</p> <p>উত্তর : সব অংশীদারের মধ্যকার সম্পর্কের বিলুপ্তিকেই অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধন বলে।</p> <p> </p> <p><strong>অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর</strong></p> <p>১। ‘চুক্তিই হলো অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি’ ব্যাখ্যা করো।</p> <p>উত্তর : অংশীদারি ব্যবসায় গঠন ও পরিচালনা বিষয়ে অংশীদারদের মধ্যে যে সম্মতি প্রতিষ্ঠিত হয় তাকে অংশীদারি চুক্তি চলে।</p> <p>চুক্তির আলোকে অংশীদারদের মধ্যে যে সম্পর্কের সৃষ্টি হয় তাকেই চুক্তিবদ্ধ সম্পর্ক বলে। এরূপ সম্পর্কের আলোকেই এ ব্যবসায় গঠিত ও পরিচালিত হয়। অংশীদারদের মধ্যে অন্য সম্পর্কও থাকতে পারে, তবে ব্যবসায় পরিচালনায় সেই সম্পর্ক মুখ্য বিবেচিত হয় না; চুক্তির বিষয়বস্তুই মুখ্য বিবেচিত হয়। তাই বলা হয়, চুক্তিই অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি।</p> <p>২। নিবন্ধিত অংশীদারি ব্যবসায় উত্তম কেন?</p> <p>উত্তর : দেশের প্রচলিত আইন মেনে কোনো অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের চুক্তিপত্র নিবন্ধক কর্তৃক নিবন্ধিত এবং প্রতিষ্ঠানের নাম নিবন্ধন বইতে তালিকাভুক্ত করাকে অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বলে।</p> <p>অংশীদারি চুক্তি মৌখিক, লিখিত বা লিখিত ও নিবন্ধিত যেকোনো ধরনের হতে পারে। তবে লিখিত ও নিবন্ধিত হওয়া উত্তম, অন্যথায় তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা, অন্য অংশীদারদের বিরুদ্ধে মামলা করায় বাধাসহ নানা সীমাবদ্ধতা প্রতিষ্ঠান ও অংশীদারদের ভোগ করতে হয়। তাই এরূপ ব্যবসায় নিবন্ধিত হওয়া উত্তম।</p>