ঢাকা, শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
২৮ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
২৮ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মহররম ১৪৪৭

এসএসসি প্রস্তুতি ♦ বাংলা দ্বিতীয় পত্র

অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
এসএসসি প্রস্তুতি ♦ বাংলা দ্বিতীয় পত্র
বৃক্ষরোপণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে

সৃজনশীল প্রশ্ন ষ মান ৭০ ষ সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট

মডেল টেস্ট

১। অনুচ্ছেদ রচনা করো (যেকোনো একটি)   ১০                          

ক) স্বাধীনতা দিবস

খ) ৭ই মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

 

২। যেকোনো একটি বিষয়ে পত্র লেখো :     ১০            

ক) মনে করো তুমি তানিয়া। তুমি চন্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী।

তোমাদের বিদ্যালয়ের ভেতরে ক্যান্টিন স্থাপনের জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে একখানা আবেদনপত্র লেখো।

খ) মনে করো তুমি আব্দুল্লাহ ইব্রাহিম। তুমি জামালপুরের নান্দিনা গ্রামের বাসিন্দা। ‘বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ’ পালনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখো।

 

৩। (ক) সারাংশ লেখো :   ১০  

মানুষের মূল্য কোথায়? চরিত্র, মনুষ্যত্ব, জ্ঞান ও কর্মে। বস্তুত চরিত্র বলেই মানুষের জীবনে যা কিছু শ্রেষ্ঠ তা বুঝতে হবে। চরিত্র ছাড়া মানুষের গৌরব করার আর কিছু নেই।

মানুষের শ্রদ্ধা যদি মানুষের প্রাপ্য হয়, সে শুধু চরিত্রের জন্য। অন্য কোনো কারণে মানুষের সামনে নত হওয়ার দরকার নেই। জগতে যেসব মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের গৌরব মূলে এই চরিত্রশক্তি। তুমি চরিত্রবান লোক। এ কথার অর্থ এই নয় যে তুমি লম্পট নও, তুমি সত্যবাদী, বিনয়ী ও জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করো; তুমি পর দুঃখকাতর, ন্যায়বান ও মানুষের ন্যায় স্বাধীনতা প্রিয়।
চরিত্রবান মানে এই।

অথবা, (খ) সারমর্ম লেখো :

এই-সব মূঢ় স্নান মূক মুখে

দিতে হবে ভাষা, এই-সব শ্রান্ত শুষ্ক ভগ্ন বুকে

ধ্বনিয়া তুলিতে হবে আশা; ডাকিয়া বলিতে হবে—

“মুহূর্ত তুলিয়া শির একত্র দাঁড়াও দেখি সবে,

যার ভয়ে তুমি ভীত সে অন্যায় ভীরু তোমা-চেয়ে,

যখনি জাগিবে তুমি তখনই সে পলাইবে ধেয়ে।

যখনি দেখিবে তুমি সম্মুখে তাহার তখনি সে

পথ কুক্কুুরের মত-সংকোচে সন্ত্রাসে যাবে মিশে।

দেবতা বিমুখ তারে, কেহ নাহি সহায় তাহার;

মুখে কারে আস্ফাালন, জানে সে হীনতা আপনার মনে মনে।

 

৪। ভাব সমপ্রসারণ (যেকোনো একটি) :    ১০

ক) স্পষ্টভাষী শত্রু নির্বাক মিত্র অপেক্ষা ভালো।

খ) দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি,

সত্য বলে, ‘আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি।

৫। যেকোনো একটি বিষয়ে প্রতিবেদন রচনা করো :              ১০   

ক) তোমার বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের বিবরণ দিয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

খ) মনে করো তোমর নাম সকিব। তুমি ‘কালের কণ্ঠ’ পত্রিকার নিজস্ব সংবাদদাতা। এখন ‘রুখতে হবে সন্ত্রাস’ শিরোনামে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

 

৬। প্রবন্ধ রচনা করো (যেকোনো একটি)     ২০

ক) দেশ গঠনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা

খ) চিকিৎসাক্ষেত্রে বিজ্ঞান

গ) হজরত মুহম্মদ (স.)

 

রচনামূলক মডেল টেস্টের উত্তর

 

১। ক) স্বাধীনতা দিবস

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম বিশ্বের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসে এক ব্যতিক্রম ঘটনা। কারণ বিশ্বের আর কোনো জাতিকেই জন্মভূমির জন্য এমনভাবে আত্মত্যাগ করতে হয়নি। ১৯৭১ সালের ২৬-এ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেও এর পূর্ব-ইতিহাস অনেক বিস্তৃত। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গভর্নর মুহম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই মূলত স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ রোপিত হয়। ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। এ আন্দোলনকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ ’৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালালে শহিদ হন সালাম, বরকত, রফিক জব্বারসহ আরো অনেকে। সেই আন্দোলনের ফলে বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পেলেও পাকিস্তানিদের শোষণ বন্ধ হয়নি। ১৯৬৫ সালে আইয়ুব খান মৌলিক গণতন্ত্রের নামে প্রহসনের নির্বাচন দিলে স্বাধিকার আন্দোলন তীব্রতর হয়। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে বাঙালির সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে কারাবরণ করেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অর্জন করে নিরঙ্কুশ বিজয়। তবু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে জাতিকে সশস্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। ২৬-এ মার্চের প্রথম প্রহরে গ্রেপ্তারের পূর্বে বঙ্গবন্ধু আবারও স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বাঙালি সন্তানদের স্বাধীনতার যুদ্ধে যোগদানের আহ্বান জানান। সেই থেকে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যে বদ্ধ পরিকর হয়েছিল, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে তা চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। তাই এ দিবসটি যেমন আমাদের চেতনাকে জাগ্রত করে, তেমনি আত্মপরিচয়ের গৌরবোজ্জ্বল, ত্যাগে ও বেদনায় মহীয়ান করে তোলে।

 

খ) ৭ই মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেসকো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটিকে ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’—এই বাক্যবন্ধ উচ্চারণ করে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার ডাক দেন। তাঁর আঠারো মিনিটের ভাষণে এটাই ছিল মূল কথা। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে ধ্বনিত সেই ভাষণের প্রতিটি কথাই ছিল জাতির জন্য একেকটি অগ্নিমশাল, যা বিস্ফোরিত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের দাবানল।

সেই ভাষণ পাকিস্তানি শাসকচক্রের ভিতকে নাড়িয়ে দিয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত ও দীক্ষিত করে। ৭ই মার্চের সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর তেইশ বছরের দুঃশাসনের ইতিহাস, নির্বাচনে জয়লাভের পর বাঙালির সঙ্গে প্রবঞ্চনা ও বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের পটভূমি তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে তিনি সামরিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও সামরিক আইন প্রত্যাহারের দাবি জানান। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তিনি পূর্ব বাংলায় হরতাল চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তাঁর ভাষণে উচ্চারিত শব্দমালা কবিতার মতো সেদিন রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত প্রায় দশ লাখ বাঙালিকে মুক্তির আবেগে উদ্বেলিত করেছিল। এর পরই বাঙালি জাতির সামনে একটি মাত্র লক্ষ নির্ধারিত হয়ে যায়, যার নাম স্বাধীনতা। তাঁর সেই আনুষ্ঠানিক ভাষণে তিনি প্রতিরোধ-সংগ্রাম, যুদ্ধের কলাকৌশল ও শত্রু মোকাবেলার উপায় সম্পর্কেও দিকনির্দেশনা দেন। দেশপ্রেম, আবেগ, স্বপ্ন, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, ত্যাগ, ভদ্রতা, নম্রতা, সহনশীলতা, দূরদর্শিতা, সাহস-প্রজ্ঞা, বিশ্বাস, শপথ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ইত্যাদি অনুষঙ্গগুলো ভাষণটিকে এক মহাকাব্যিক রূপ দিয়েছে। এই মহাকাব্যই ৭১-এ যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে বাঙালি জাতিকে লাল-সবুজের পতাকা উপহার দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের এক নতুন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। এ কারণেই বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের এ ভাষণকে ইউনেককো ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ স্বীকৃতির মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে এটি বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম ভাষণ। পৃথিবীর আর কোনো দেশে কোনো ভাষণ এতবার প্রতিধ্বনিত হয়নি।

১২টি ভাষায় অনূদিত কালজয়ী ও যুগোত্তীর্ণ এ ভাষণ সারা বিশ্বের লাঞ্ছিত, নিপীড়িত, স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য উদ্দীপনা ও প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

২। ক) মনে করো তুমি তানিয়া। তুমি চন্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী। তোমাদের বিদ্যালয়ের ভেতরে ক্যান্টিন স্থাপনের জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে একখানা আবেদনপত্র লেখো।

২৭ জানুয়ারি, ২০১৯

বরাবর

প্রধান শিক্ষক

চন্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয়

বিষয় : বিদ্যালয়ের ভেতরে ক্যান্টিন স্থাপনের আবেদন।

জনাব,

বিনীত নিবেদন এই যে আমরা আপনার বিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থী। প্রতিদিন আমরা দূরদূরান্ত থেকে সকাল ৭:৩০ ঘটিকার মধ্যে বিদ্যালয়ে আসি। এত সকালে আসার কারণে অনেক সময় তাড়াহুড়োতে সকালের নাশতাও অনেকে করে আসতে পারে না। আবার নানা কারণে অনেকে প্রতিদিন টিফিনও আনতে পারে না। আমাদের টিফিন পিরিয়ডের মাত্র ২০ মিনিট সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে টিফিন কিনে আনাও সম্ভব নয়। অথচ প্রতিদিন ৭:৩০ থেকে ১:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত আমাদের বিদ্যালয়ে অবস্থান করতেই হয়। এই দীর্ঘ সময় আমরা অনাবাসিক শিক্ষার্থী প্রায়ই ক্ষুধায় কষ্ট পাই। এ অবস্থায় বিদ্যালয়-ক্যাম্পাসের ভেতরে একটা ক্যান্টিন স্থাপন করা হলে আমাদের এ সমস্যার নিরসন হতে পারে।

অতএব বিনীত প্রার্থনা এই যে ছাত্র-ছাত্রীদের বৃহত্তর প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে বিদ্যালয়-ক্যাম্পসে একটি ক্যান্টিন স্থাপন ও মানসম্পন্ন টিফিন রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমরা বিশেষভাবে বাধিত হব।

বিনীত—

তানিয়া

চন্দ্রা বিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের পক্ষে

দশম শ্রেণি, বিজ্ঞান শাখা, ক্রমিক নং-৩।

 

খ) ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯

সম্পাদক

দৈনিক ‘ক’

১০, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, ঢাকা-১১০০

বিষয় : সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন।

জনাব,

আপনার বহুল প্রচারিত দৈনিক ‘ক’ পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ কলামে নিম্নোক্ত জনগুরুত্বপূর্ণ পত্রটি প্রকাশ করলে বিশেষভাবে বাধিত হব।

নিবেদক—

আব্দুল্লাহ ইব্রাহিম

নান্দিনা, জামালপুর

 

বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালনের প্রয়োজনীয়তা

মানবসভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই মানুষের সঙ্গে বৃক্ষের যে পরম আত্মীয়তা রয়েছে, সেই আত্মীয়তার বন্ধন আজ ছিন্ন হতে চলেছে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ফলে। নগর সভ্যতার আবির্ভাবে মানুষ আজ বৃক্ষ থেকে অনেক দূরে। অথচ আমরা জানি, যেকোনো দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য এক-চতুর্থাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের আছে মাত্র ১৭ শতাংশ যা, ভৌগোলিক আয়তনের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল।

বৃক্ষের বহুমুখী অবদানের কথা আমরা সবাই জানি। যেমন—বৃক্ষরাজি তার বিস্তৃত শিকড় দিয়ে আঁকড়ে রাখে ভূমি, প্রতিহত করে নদীভাঙন, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস আর ঘূর্ণিঝড়কে। এ ছাড়া প্রাত্যহিকতায় আমরা জ্বালানি, ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, ভেষজ ওষুধসহ নানাবিধ প্রয়োজনে গাছপালা ব্যবহার করে আসছি। বৃক্ষের এই বহুমুখী অবদানের কথা বাদ দিয়ে আমাদের জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেনের কথাই শুধু বলি, যা আসছে বৃক্ষরাজি থেকে, তাও যান্ত্রিক সভ্যতার ধার করা প্রতিনিয়ত উৎপাটনে ব্যস্ত। আমাদের নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করে বৃক্ষরাজি অক্সিজেন ঢেলে না দিলে মানুষসহ সব প্রাণীর অস্তিত্বই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হতো—এই চরম সত্যিটাও আজ অনেকে ভুলে যেতে বসেছে। তারা ভুলতে বসেছে যে বৃক্ষরাজির অভাবে শ্যামল-সবুজ প্রান্তর আজ উত্তপ্ত, শুষ্ক। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করেছে, যে বরফ গলা পানিতে ডুবে যেতে পারে পৃথিবীর একাংশ। আমাদের বাংলাদেশেও গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গোটা দেশ আজ মরুভূমিতে পরিণত হতে চলেছে। তাই আষাঢ়-শ্রাবণে যেখানে সারা দিন, সারা রাত বাদলের ধারাপাত হওয়ার কথা, সেখানে আকাশ থাকে নির্মেঘ। প্রকৃতির এই রুক্ষতা, উষ্ণতা মানুষকেও করে তুলেছে অসহিষ্ণু, উষ্ণ, উত্তপ্ত।

তাই এ সর্বনাশ থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে দ্রুত বনায়ন বা বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে দেশকে সবুজে-শ্যামলে ভরিয়ে দিতে হবে। অতি শিগগির সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে আমাদের বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালনের মধ্য দিয়ে প্রচুর বনায়ন করতে হবে। ‘একটি গাছ কাটলে তিনটি গাছের চারা লাগাতে হবে’—এ স্লোগানকে সামনে রেখে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি অকর্ষণ করছি, যেন কবি সুফিয়া কামালের মতো আর কেউ গভীর বেদনা নিয়ে উচ্চারণ করতে না পারেন—

ফুলের ফসল নেই, নেই কারও কণ্ঠে আর গান,

ক্ষধার্ত-ভয়ার্ত দৃষ্টি, প্রাণহীণ সব মুখ ম্লান।

বিনীত—

পলাশতলা অঞ্চলের জনগণের পক্ষে

আব্দুল্লাহ ইব্রাহিম

নান্দিনা, জামালপুর।

 

৩। (ক) সারাংশ :

চরিত্র, মনুষ্যত্ব, জ্ঞান ও কর্মের ওপর নির্ভর করে মানুষের মর্যাদা। এসবের মধ্যে চরিত্রই মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। চরিত্রের মাধ্যমেই মানবের প্রকৃত প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে। চরিত্রগুণেই মানুষ মানুষের শ্রদ্ধা-সম্মান অর্জন করে। এ শ্রেষ্ঠ সম্পদ যার মধ্যে বিরাজ করে, সে সবার কাছে প্রিয়। যিনি সত্যবাদী, বিনয়ী, জ্ঞানী, পরোপকারী, ন্যায়পরায়ণ, স্বাধীনতাপ্রিয় ও সজ্জন, তিনিই চরিত্রবান।

অথবা, (খ) সারমর্ম :

সবাইকে দীন-দুঃখী, পতিত, অত্যাচারিত, নিপীড়িত জন সাধারণের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে। এই পতিত জনগোষ্ঠীরও যে মানুষ হওয়ার সমান অধিকার রয়েছে, ঘৃণা, উপেক্ষা-অবহেলা যে তাদের প্রাপ্য নয়, এটা বুঝিয়ে তাদের হৃদয়ে আশার ও মুখে ভাষার সঞ্চার করতে হবে। অত্যাচারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য তাদের বুকের সাহস ও মনোবল বৃদ্ধি করতে হবে। অত্যাচারী শক্তিশালী হলেও তার হীনকর্মের জন্য মনের দিক থেকে দুর্বল থাকে। তাই সবাই মিলে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে অত্যাচারী পথের কুকুরের মতো ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পালিয়ে যায়।

 

উত্তরের বাকি অংশ আগামী সংখ্যায়

চরিত্র, মনুষ্যত্ব, জ্ঞান ও কর্মের ওপর নির্ভর করে মানুষের মর্যাদা। এসবের মধ্যে চরিত্রই মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নবম ও দশম শ্রেণি : অর্থনীতি

    জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী শিক্ষক, আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন গভ. গার্লস হাই স্কুল, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : অর্থনীতি
অঙ্কন : শেখ মানিক

প্রথম অধ্যায় : অর্থনীতি পরিচয়

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

১।        দুষ্প্রাপ্যতা বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : দুষ্প্রাপ্যতা বা স্বল্পতা বলতে বোঝায় জনগণ তাদের অভাব পূরণের জন্য যে পরিমাণ দ্রব্য ও সেবা ভোগ করতে চায় তা প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত হওয়া। বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এল রবিন্স বলেন, ‘অর্থনীতি এমন একটি  বিজ্ঞান, যা অসীম অভাব এবং বিকল্প ব্যবহারযোগ্য দুষ্প্রাপ্য সম্পদের মধ্যে সমন্বয় সাধন সংক্রান্ত মানবীয় আচরণ বিশ্লেষণ করে।’
 

২।

       অসীম অভাব বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : মানুষের জীবনে অভাবের শেষ নেই। কোনো একটি দ্রব্যের অভাব পূরণ হলে আবার নতুন অভাবের জন্ম হয়। যেমন—খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ইত্যাদি মানুষের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অভাব। এ অভাব পূরণ হলে সে উন্নত জীবনযাপন করতে চায়।
এভাবে মানুষের অভাব বাড়তে থাকে। এ জন্য বলা হয় অভাব অসীম।

 

৩।        অ্যাডাম স্মিথের প্রদত্ত অর্থনীতির সংজ্ঞা দাও।

 
উত্তর : অ্যাডাম স্মিথের প্রদত্ত অর্থনীতির সংজ্ঞা, ‘অর্থনীতি এমন একটি বিজ্ঞান যা জাতিসমূহের সম্পদের ধরন ও কারণ  অনুসন্ধান করে।’

 

৪।        আয়ের বৃত্তাকার প্রবাহ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : একটি সরল অর্থনীতিতে দুই ধরনের প্রতিনিধি থাকে। ভোক্তা বা পরিবার এবং উৎপাদক বা ফার্ম। এই দুই ধরনের প্রতিনিধির মধ্যে আয়-ব্যয় ফার্ম তার প্রয়োজনীয় উৎপাদনের উপকরণগুলো (ভূমি, শ্রম ও মূলধন) পায় পরিবারগুলো থেকে।

এর বিনিময়ে পরিবারের সদস্যরা ফার্ম থেকে পায় খাজনা, মজুরি ও সুদ। এখানে ফার্মের যা ব্যয় পরিবারের তা আয়। আবার পরিবারগুলোর প্রাপ্ত আয় ফার্ম উৎপাদিত দ্রব্য কেনার জন্য ব্যয় করে, যা ফার্মের আয়। এভাবে পরিবার এবং ফার্মের মধ্যে আয়-ব্যয়ের চক্রাকার প্রবাহ বিদ্যমান থাকে। 
 

৫।        ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কী?

উত্তর : যে অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীন এবং  প্রধানত বেসরকারি উদ্যোগে, সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় দামব্যবস্থার মাধ্যমে যাবতীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় তাকে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে। এ ব্যবস্থায় একদিকে যেমন সামাজিক বৈষম্য বৃদ্ধি পায়, অন্যদিকে তেমনি  সামাজিক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পায়। এটি পণ্য উৎপাদন ও বিনিময়ের এমন এক স্তর যেখানে সমাজের মুষ্টিমেয় ব্যক্তির হাতে  পুঁজি কেন্দ্রীভূত থাকে এবং সমাজের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী সম্পত্তিহীন শ্রমিকে পরিণত হয়। এ সম্পত্তিহীন শ্রমিক জীবনধারণের জন্য পুঁজিপতিদের নিকট শ্রম বিক্রি করতে বাধ্য হয়।

 

৬।        মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কী?

উত্তর : ‘মিশ্র অর্থনীতি’ বলতে এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে সম্পদের ব্যক্তিগত মালিকানা ও রাষ্ট্রীয়  মালিকানা উভয়ই স্বীকৃত। মিশ্র অর্থনীতিতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ পাশাপাশি অবস্থান করে। ধনতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের  একটি সংমিশ্রিত রূপই হলো মিশ্র অর্থনীতি। মিশ্র অর্থব্যবস্থায় ধনতন্ত্রের ন্যায় সম্পত্তির ব্যক্তিগত মালিকানা ও মুনাফা অর্জন এবং ব্যক্তি উদ্যোগের স্বাধীনতা থাকে। আবার জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক খাতগুলো এবং কিছু কিছু বৃহৎ ও মৌলিক শিল্পের পর রাষ্ট্রীয় মালিকানা বজায় থাকে। 
 

৭।        অর্থনীতি বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : অর্থনীতি বলতে মানুষের দৈনন্দিন অর্থনৈতিক কার্যাবলি এবং সীমিত সম্পদ ও অসীম অভাবের সমন্বয় সাধন সম্পর্কিত বিজ্ঞানকে বোঝায়। অর্থনীতির ইংরেজি প্রতিশব্দ‘Economics’ গ্রিক শব্দ‘Oikonomia’ শব্দ থেকে উদ্ভূত। গ্রিক শব্দ‘Oikonomia’ শব্দের অর্থ হলো গৃহ ব্যবস্থাপনা। সুতরাং উৎপত্তিগত অর্থে অর্থনীতি হলো গৃহস্থালি বিষয়াদির ব্যবস্থাপনা। গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল অর্থনীতিকে ‘গৃহ পরিচালনার বিজ্ঞান’ হিসেবে অভিহিত করেন।
 

৮।        কোন ব্যবস্থা ধনতন্ত্রে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে পরিচালিত করে? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : ধনতন্ত্রে দামব্যবস্থা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে পরিচালিত করে। ধনতন্ত্রে উৎপাদনকারী মুনাফার জন্য উৎপাদন করে। কাজেই উৎপাদনের পরিমাণ দ্রব্যের দামের ওপর নির্ভর করে। আবার ভোক্তার ভোগের পরিমাণও দ্রব্যের দামের ওপর নির্ভর করে। কোনো দ্রব্যের দাম কমলে ভোক্তা দ্রব্যটি বেশি পরিমাণ ভোগ করে। দাম বাড়লে কম পরিমাণ ভোগ করবে। এভাবে দামব্যবস্থা ধনতন্ত্রে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে পরিচালনা করে থাকে।

 

 

মন্তব্য

পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    অনামিকা মণ্ডল, সহকারী শিক্ষক, পাজরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজিরপুর, পিরোজপুর
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
পাঠ্য বই পড়ছে শিক্ষার্থীরা। ছবি : মোহাম্মদ আসাদ

অষ্টম অধ্যায় : নারী-পুরুষ সমতা

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১।        বেগম রোকেয়ার মতে, নারী জাতির দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে কোনটি অপরিহার্য?

ক. পর্দা     খ. বিয়ে
গ. রান্নাবান্না ঘ. শিক্ষা

উত্তর : ঘ. শিক্ষা

২।        ছোটবেলা থেকে কাউকে ছেলে বা কাউকে মেয়ে এভাবে না দেখে কী হিসেবে দেখতে হবে?

ক. বন্ধু     খ. সহকর্মী

গ. ভাইবোন ঘ. মানুষ
উত্তর : ঘ. মানুষ

৩।        নারী নির্যাতনের উদাহরণ কোনটি?

ক. সংসার করা খ. স্ত্রীকে চাকরিতে দেওয়া

গ. সংসারের কাজ করানো
ঘ. স্ত্রীর গায়ে হাত তোলা

উত্তর : ঘ. স্ত্রীর গায়ে হাত তোলা

৪।

পারিবারিকভাবে নারী নির্যাতনের একটি বিশেষ কারণ কোনটি?

ক. কুশিক্ষা   খ. কুসংস্কার
গ. যৌতুক    ঘ. হীনম্মন্যতা

উত্তর : গ. যৌতুক

৫।        নারী-পুরুষের সমতা বলতে কী বোঝায়?

ক. সুযোগ-সুবিধার ভিন্নতা

খ. সমান সুযোগ-সুবিধা

গ. সুযোগ-সুবিধার বণ্টন

ঘ. সুযোগ-সুবিধার আনুপাতিক হার

উত্তর : খ. সমান সুযোগ-সুবিধা

৬।        নারী জাগরণের হাতিয়ারস্বরূপ কোনটি?

ক. সম্পদ    খ. প্রতিভা

গ. শিক্ষা    ঘ. প্রশিক্ষণ

উত্তর : গ. শিক্ষা

৭।        ১৮৫৭ সালের ৮ই মার্চ নারী শ্রমিকের কত ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করা হয়?

ক. সাত     খ. আট 
গ. নয়   ঘ. দশ

উত্তর : খ. আট

৮।

       আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয় কেন?

ক. নারীশিক্ষার জন্য

খ. নারীদের বেতন বৃদ্ধির জন্য

গ. নারীদের চাকরি দেওয়ার জন্য

ঘ. নারী-পুরুষের বৈষম্য হ্রাসের জন্য

উত্তর : ঘ. নারী-পুরুষের বৈষম্য হ্রাসের জন্য

৯।        একই পরিবারে ছেলে এবং মেয়ে সন্তানদের মধ্যে সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন কেন?

ক. উভয়কেই খুশি রাখার জন্য

খ. উভয়েই একই পরিবারের সদস্য বলে

গ. পরিবারে উভয়েরই সমান অবদান থাকে বলে

ঘ. উভয়েরই সমান অধিকার রয়েছে বলে

উত্তর : ঘ. উভয়েরই সমান অধিকার রয়েছে বলে

১০।       নারী ও পুরুষের সমান অংশগ্রহণ না হলে কী হবে?

ক. দেশের উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়

খ. দেশের উন্নতি হয়

গ. সবাই পিছিয়ে পড়বে

ঘ. সবাই শিক্ষিত হতে পারবে

উত্তর : ক. দেশের উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়

১১।       ভাগলপুর থেকে বেগম রোকেয়া স্কুলটি কোথায় স্থানান্তর করেন?

ক. রংপুরে   খ. পায়রাবন্দে

গ. কলকাতায়    ঘ. ঢাকায়

উত্তর : গ. কলকাতায়

১২।

      কাকে বাংলাদেশের নারী জাগরণের অগদূত ও মহীয়সী বলা হয়?

ক. বেগম রোকেয়া    
খ. সুফিয়া কামাল

গ. সেলিনা হোসেন   
ঘ. জাহানারা ইমাম

উত্তর : ক. বেগম রোকেয়া

১৩।       নারী শ্রমিকের ন্যায্য মজুরির দাবিতে প্রথম আন্দোলন শুরু হয়—

ক. ভারতের কলকাতা শহরে

খ. ইংল্যান্ডের ডাবলিন শহরে

গ. সুইজারল্যান্ডের হেগ শহরে

ঘ. যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে

উত্তর : ঘ. যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে

১৪।       কোন সংগঠন ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়?

ক. জাতিসংঘ খ. সার্ক
গ. ওআইসি   ঘ. ন্যাম

উত্তর : ক. জাতিসংঘ

১৫।       দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলন কত সালে অনুষ্ঠিত হয়?

ক. ১৮৫৭   খ. ১৯১০
গ. ১৯০৮    ঘ. ১৯০৩

উত্তর : খ. ১৯১০

১৬।       আন্তর্জাতিক নারী দিবস কত তারিখ?

ক. ৮ই মার্চ খ. ৮ই এপিল
গ. ১০ই জানুয়ারি   ঘ. ১৭ই মে

উত্তর : ক. ৮ই মার্চ

১৭।

       আগের দিনে মেয়েশিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি না করার কারণ হিসেবে নিচের কোনটি অধিক উপযোগী?

ক. রাজনৈতিক বাধা    খ. সামাজিক বাধা

গ. অর্থনৈতিক বাধা    ঘ. ধর্মীয় বাধা

উত্তর : খ. সামাজিক বাধা

১৮।       আমাদের দেশে কারা শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত?

ক. শিশুরা   খ. বৃদ্ধরা

গ. ছেলেরা   ঘ. মেয়েরা

উত্তর : ঘ. মেয়েরা

১৯।       জামির ও লোপা একই অফিসে একই পদে চাকরি করে। তাদের সুযোগ-সুবিধা একই রকম। এর কারণ হলো—

ক. নারী অগ্রাধিকার   
খ. নারী-পুরুষের সমতা

গ. নারী-পুরুষের বৈষম্য
ঘ. পুরুষ অগ্রাধিকার

উত্তর : খ. নারী-পুরুষের সমতা

২০।       শতবর্ষ আগে এ দেশে নারী-পুরুষের অধিকারে বিস্তর ব্যবধান ছিল। সে সময় নারী-পুরুষের সমতা বিষয়ে কে বলে গেছেন?

ক. কারা জেটকিন    
খ. কাজী নজরুল ইসলাম

গ. সুফিয়া কামাল     ঘ. বেগম রোকেয়া

উত্তর : ঘ. বেগম রোকেয়া

২১।       বেগম রোকেয়ার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে কারা ধীরে ধীরে শিক্ষার আলো পেতে থাকে?

ক. ছেলেরা   খ. যুবকেরা

গ. বয়স্করা   ঘ. মেয়েরা

উত্তর : ঘ. মেয়েরা

 

 

মন্তব্য

স্পোকেন ইংলিশ

শেয়ার
স্পোকেন ইংলিশ

Use of ‘used to + V1’ (for past habits/states)

অতীতে কোনো একটি কাজ নিয়মিতভাবে করা হতো বা কোনো একটি অবস্থা বিদ্যমান ছিল, কিন্তু এখন আর তা হয় না; এমন ধরনের ভাব/বাক্যের প্রকাশ করতে সাধারণত এই কাঠামো ব্যবহার করা হয়।


Example

১.        I used to play football every weekend.

আমি প্রতি সপ্তাহান্তে ফুটবল খেলতাম।

২.        She used to live in a small village.

সে একটি ছোট গ্রামে বাস করত।

৩.        There used to be a cinema here.

এখানে একটি সিনেমা হল ছিল।

 

Structure
Subject + used to + V1 + object/extension.
Negative
Subject + didn’t use to/never used to + V1 + object/extension.

 

Translate the following sentences into English.

১.        আমি আগে দেরিতে ঘুমাতাম।

২.        সে আগে এখানে কাজ করত।

৩.        আমরা আগে একই স্কুলে পড়তাম।

৪.        তুমি কি ছোটবেলায় সাঁতার কাটতে?

৫.        আমার বাবা আগে ধূমপান করতেন।

৬.        সেখানে একটি পুরনো মন্দির ছিল।

৭.        সে আমাকে জ্বালাতন করত।

৮.        আমি আগে সকালে ব্যায়াম করতাম।

৯.        তারা আগে এখানে বাস করত।

১০.       আমার ভাই আগে খুব দ্রুত দৌড়াত।

Answer

1. I used to sleep late.

2. He used to work here.

3. We used to study in the same school.

4. Did you use to swim when you were a child?

5. My father used to smoke.

6. There used to be an old temple there.

7. She used to annoy me.

8. I used to exercise in the morning.

9. They used to live here.

10.                  My brother used to run very fast.

 

♦  Translate the following sentences into Bangla.

1. I used to drink a lot of coffee, but now I prefer tea.

2. He used to be very shy, but now he’s outgoing.

3. We used to go to that restaurant every Friday.

4. There used to be a big tree in front of my house.

5. She used to play the piano when she was a child.

6. They used to live in London before moving here.

7. I didn’t use to like spicy food, but now I do.

8. Did you use to walk to school?

9. My grandfather used to tell amazing stories.

10.                  This building used to be a school.

Answer

১.        আমি অনেক কফি পান করতাম, কিন্তু এখন চা পছন্দ করি।

২.        সে খুব লাজুক ছিল, কিন্তু এখন বহির্গামী।

৩.        আমরা প্রতি শুক্রবার সেই রেস্টুরেন্টে যেতাম।

৪.        আমার বাড়ির সামনে একটি বড় গাছ ছিল।

৫.        ছোটবেলায় তিনি পিয়ানো বাজাতেন।

৬.        এখানে আসার আগে তারা লন্ডনে থাকতেন।

৭.        আমি আগে ঝাল খাবার পছন্দ করতাম না, কিন্তু এখন করি।

৮.        তুমি কি হেঁটে স্কুলে যেতে?

৯.        আমার দাদা আশ্চর্যজনক গল্প বলতেন।

১০.       এ বিল্ডিংটি একটি স্কুল ছিল।

♦  সুমন ভূইয়া

 

মন্তব্য

এইচএসসির প্রস্তুতি : হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র

    মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা
শেয়ার
এইচএসসির প্রস্তুতি : হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র
অঙ্কন : শেখ মানিক

মডেল প্রশ্ন

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১।        কোন মূলধনের উপর সুদ ধার্য করা হয়?

ক. প্রারম্ভিক মূলধন    খ. সমাপনী মূলধন

গ. বিনিয়োজিত মূলধন 
ঘ. সমন্বিত মূলধন

২। কম্পানির মূলধনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও সমান অংশকে বলে—

ক. স্টক     খ. শেয়ার

গ. ঋণপত্র   ঘ. বন্ড

৩।        মজুদ সংরক্ষণের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি কোনটি?

ক. নিত্য মজুদ পদ্ধতি 
খ. কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি

গ. ভারযুক্ত গড় পদ্ধতি 
ঘ. FIFO পদ্ধতি

৪।

অর্থনৈতিক মূল্য নেই এরূপ অস্পর্শনীয় সম্পদ কোনটি?

ক. পেটেন্ট   খ. ট্রেডমার্ক

গ. শেয়ার অবহার ঘ. সুনাম

৫। চলতি অনুপাতের আদর্শমান কোনটি?

ক. ২ঃ৩    খ. ২ঃ১

গ. ১ঃ২    ঘ. ১ঃ১

৬।        কোনটিকে কম্পানির দলিল বলা হয়?

ক. পরিমেল বন্ধ  খ. পরিমেল নিয়মাবলি

গ. শেয়ার সার্টিফিকেট  
ঘ. নিবন্ধনপত্র

৭।        উৎপাদন ব্যয় বিবরণীতে কোনটি প্রত্যক্ষ খরচ?

ক. বিক্রয় খরচ   খ. বিপণন খরচ

গ. ব্যবহৃত কাঁচামালের ব্যয়  
ঘ. কারখানা উপরিব্যয়

৮।

       একটি হিসাবকালে বকেয়া খরচ কোন ধরনের হিসাব?

ক. খরচ ও দায়  খ. সম্পদ ও খরচ

গ. আয় ও দায়   ঘ. আয় ও খরচ

৯।        অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি কী? 

ক. সহজ গঠন খ. চুক্তিপত্র

গ. নিবন্ধন   ঘ. অসীম দায়

১০।       মোট লাভ ১,৫০,০০০ টাকা, নিট লাভ ৮০,০০০ টাকা, বিক্রয় ও বিতরণ ব্যয় ৩০,০০০ টাকা হলে প্রশাসনিক ব্যয় কত টাকা?

ক. ৪০,০০০ টাকা     খ. ৫০,০০০ টাকা

গ. ৭০,০০০ টাকা     ঘ. ১,২০,০০০ টাকা

১১।       শেয়ার হতে আয়কে কী বলে?

ক. কমিশন   খ. সুদ

গ. লভ্যাংশ  ঘ. মুনাফা

১২।

       শেয়ার ইস্যু করা যেতে পারে—

i. লিখিত মূল্য অপেক্ষা কম মূল্যে

ii. লিখিত মূল্য অপেক্ষা বেশি মূল্যে

iii. লিখিত মূল্যের সমান মূল্যে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii   খ. ii ও iii

গ. i ও iii  ঘ. i, ii ও iii

১৩।       নিচের কোনটি কম্পানির মালিকানা স্বত্বের অংশ?

ক. আয়কর সঞ্চিতি খ. ত্রাণ তহবিল

গ. সাধারণ সঞ্চিত ঘ. ঋণপত্র

১৪।       পরিচালন আয় অনুপাত =

ক. পরিচালন মুনাফা/বিনিয়োজিত মূলধন  ১০০

খ. পরিচালন মুনাফা/নিট বিক্রয়  ১০০

গ. বিনিয়োজিত মূলধন/পরিচালন মুনাফা  ১০০

ঘ. পরিচালন মুনাফা/নিট ক্রয়  ১০০

১৫।       চুক্তির বর্তমানে অংশীদার কর্তৃক প্রদত্ত ঋণের উপর সুদের হার কত?

ক. ৬%     খ. ১০%

গ. ১২%    ঘ. ১৫%

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৬ ও ১৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

হিমেল কম্পানি লি. এর বিক্রয় ২,০০,০০০ টাকা, প্রারম্ভিক মজুদ পণ্য ৫০,০০০ টাকা, ক্রয় ১,২০,০০০ টাকা এবং সমাপনী মজুদ পণ্য ৪০,০০০ টাকা।

১৬।

       কম্পানির মোট আয় কত টাকা?

ক. ২,০০,০০০ টাকা   খ. ১,৫০,০০০ টাকা

গ. ৮০,০০০ টাকা ঘ. ৭০,০০০ টাকা

১৭।       কোন ধরনের ব্যয় বৃদ্ধি পেলে নিট আয় হ্রাস পায়?

ক. পরিচালন ব্যয় খ. প্রত্যক্ষ ব্যয়

গ. মূলধন জাতীয় ব্যয় 
ঘ. বিক্রীত পণ্যের ব্যয়

১৮।       বিন কার্ডে অন্তর্ভুক্ত থাকে—

i. মালের ক্রয়
ii. মালের নির্গমন

iii. মালের মূল্য

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii   খ. ii ও iii

গ. i ও iii  ঘ. i, ii ও iii

১৯।       অনুপার্জিত আয় কারবারের—

ক. আয়     খ. ব্যয়

গ. সম্পদ    ঘ. দায়

২০।       অবহারে শেয়ার ইস্যুকরণের সর্বোচ্চ হার কত?

ক. ৫%     খ. ১০%

গ. ১৫%    ঘ. ২০%

২১।       বিক্রয়ের ওপর লাভের হার ২০% হলে ক্রয়মূল্যের ওপর লাভের হার কত?

ক. ১৬%    খ. ২০%

গ. ২৫%    ঘ. ৩৩.৩৩%

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২২ ও ২৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

মানিক ও সুজন দুজন অংশীদারি কারবারের সমান অংশীদার। মানিক ও সুজন প্রতি মাসের প্রথম তারিখে যথাক্রমে নগদ ২,০০০ টাকা ও ১,৫০০ টাকা করে নগদ উত্তোলন করে। উত্তোলনের ওপর ১০% হারে সুদ ধার্য করতে হবে।

২২।       মানিকের উত্তোলনের সুদ কত টাকা?

ক. ২,৬০০ টাকা খ. ২,৪০০ টাকা

গ. ২,৩০০ টাকা ঘ. ১,২০০ টাকা

২৩।       নগদ উত্তোলনের ওপর সুদ অংশীদারি কারবারে কী প্রভাব ফেলবে?

ক. নিট মুনাফা বাড়বে

খ. বণ্টনযোগ্য মুনাফা বাড়বে

গ. উত্তোলনের পরিমাণ হ্রাস পাবে

ঘ. প্রারম্ভিক মূলধনের পরিমাণ হ্রাস পাবে

২৪।       কার্যকরী মূলধনের সূত্র কোনটি?

ক. চলতি সম্পদ - দীর্ঘমেয়াদি দায়

খ. চলতি সম্পদ - মোট দায়

গ. চলতি সম্পদ - চলতি দায়

ঘ. মোট সম্পদ - চলতি দায়

২৫।       কোনটি ত্বরিত সম্পদ নয়?

ক. সমাপনী মজুদ পণ্য 
খ. নগদ তহবিল

গ. প্রাপ্য হিসাব  ঘ. বিনিয়োগ

২৬।       শারীরিক শ্রমের বিনিময়ে দেওয়া হয়—

ক. বোনাস   খ. মহার্ঘ ভাতা

গ. বেতন    ঘ. মজুরি

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২৭ ও ২৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

বিক্রয় ৮০,০০০ টাকা, কাঁচামাল ২০,০০০ টাকা, প্রত্যক্ষ মজুরি ৮,০০০ টাকা, কারখানা উপরি ব্যয় ৫,০০০ টাকা, প্রশাসনিক উপরি ব্যয় ৭,০০০ টাকা এবং বিক্রয় খরচ বিক্রয়ের ১০%।

২৭।       উৎপাদন ব্যয়ের পরিমাণ কত?

ক. ৮০,০০০ টাকা খ. ৪৮,০০০ টাকা

গ. ৪০,০০০ টাকা ঘ. ৩৩,০০০ টাকা

২৮। যদি বিক্রয় খরচ ২,০০০ টাকা বৃদ্ধি পায়—

ক. মুনাফা হ্রাস পাবে   খ. মোট ব্যয় হ্রাস পাবে

গ. বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে  
ঘ. উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে

২৯।       অনার্থিক সুবিধা হলো—

ক. বেতন    খ. বোনাস

গ. প্রশিক্ষণ ঘ. মহার্ঘ ভাতা

৩০।       প্রাপ্য হিসাব ৫০,০০০ টাকা এবং অনাদায়ী পাওনা ৪,০০০ টাকা। অনাদায়ী পাওনা অনুপাত কত?

ক ১০%     খ ৮%

গ ৫%      ঘ ৪%

 

উত্তর : ১. ক ২. খ ৩. ক ৪. গ ৫. খ ৬. ক
৭. গ ৮. ক ৯. খ ১০. ক ১১. গ ১২. ঘ ১৩. গ ১৪. খ ১৫. ক ১৬. ঘ ১৭. ক ১৮. ক ১৯. ঘ
২০. খ ২১. গ ২২. গ ২৩. খ ২৪. গ ২৫. ক ২৬. ঘ ২৭. ঘ ২৮. ক ২৯. গ ৩০. খ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ