চরিত্রবান মানে এই।
অথবা, (খ) সারমর্ম লেখো :
এই-সব মূঢ় স্নান মূক মুখে
দিতে হবে ভাষা, এই-সব শ্রান্ত শুষ্ক ভগ্ন বুকে
ধ্বনিয়া তুলিতে হবে আশা; ডাকিয়া বলিতে হবে—
“মুহূর্ত তুলিয়া শির একত্র দাঁড়াও দেখি সবে,
যার ভয়ে তুমি ভীত সে অন্যায় ভীরু তোমা-চেয়ে,
যখনি জাগিবে তুমি তখনই সে পলাইবে ধেয়ে।
যখনি দেখিবে তুমি সম্মুখে তাহার তখনি সে
পথ কুক্কুুরের মত-সংকোচে সন্ত্রাসে যাবে মিশে।
দেবতা বিমুখ তারে, কেহ নাহি সহায় তাহার;
মুখে কারে আস্ফাালন, জানে সে হীনতা আপনার মনে মনে।
৪। ভাব সমপ্রসারণ (যেকোনো একটি) : ১০
ক) স্পষ্টভাষী শত্রু নির্বাক মিত্র অপেক্ষা ভালো।
খ) দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি,
সত্য বলে, ‘আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি।
৫। যেকোনো একটি বিষয়ে প্রতিবেদন রচনা করো : ১০
ক) তোমার বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের বিবরণ দিয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
খ) মনে করো তোমর নাম সকিব। তুমি ‘কালের কণ্ঠ’ পত্রিকার নিজস্ব সংবাদদাতা। এখন ‘রুখতে হবে সন্ত্রাস’ শিরোনামে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
৬। প্রবন্ধ রচনা করো (যেকোনো একটি) ২০
ক) দেশ গঠনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা
খ) চিকিৎসাক্ষেত্রে বিজ্ঞান
গ) হজরত মুহম্মদ (স.)
রচনামূলক মডেল টেস্টের উত্তর
১। ক) স্বাধীনতা দিবস
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম বিশ্বের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসে এক ব্যতিক্রম ঘটনা। কারণ বিশ্বের আর কোনো জাতিকেই জন্মভূমির জন্য এমনভাবে আত্মত্যাগ করতে হয়নি। ১৯৭১ সালের ২৬-এ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেও এর পূর্ব-ইতিহাস অনেক বিস্তৃত। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গভর্নর মুহম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই মূলত স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ রোপিত হয়। ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। এ আন্দোলনকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ ’৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালালে শহিদ হন সালাম, বরকত, রফিক জব্বারসহ আরো অনেকে। সেই আন্দোলনের ফলে বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পেলেও পাকিস্তানিদের শোষণ বন্ধ হয়নি। ১৯৬৫ সালে আইয়ুব খান মৌলিক গণতন্ত্রের নামে প্রহসনের নির্বাচন দিলে স্বাধিকার আন্দোলন তীব্রতর হয়। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে বাঙালির সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে কারাবরণ করেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অর্জন করে নিরঙ্কুশ বিজয়। তবু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে জাতিকে সশস্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। ২৬-এ মার্চের প্রথম প্রহরে গ্রেপ্তারের পূর্বে বঙ্গবন্ধু আবারও স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বাঙালি সন্তানদের স্বাধীনতার যুদ্ধে যোগদানের আহ্বান জানান। সেই থেকে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যে বদ্ধ পরিকর হয়েছিল, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে তা চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। তাই এ দিবসটি যেমন আমাদের চেতনাকে জাগ্রত করে, তেমনি আত্মপরিচয়ের গৌরবোজ্জ্বল, ত্যাগে ও বেদনায় মহীয়ান করে তোলে।
খ) ৭ই মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেসকো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটিকে ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’—এই বাক্যবন্ধ উচ্চারণ করে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার ডাক দেন। তাঁর আঠারো মিনিটের ভাষণে এটাই ছিল মূল কথা। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে ধ্বনিত সেই ভাষণের প্রতিটি কথাই ছিল জাতির জন্য একেকটি অগ্নিমশাল, যা বিস্ফোরিত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের দাবানল।
সেই ভাষণ পাকিস্তানি শাসকচক্রের ভিতকে নাড়িয়ে দিয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত ও দীক্ষিত করে। ৭ই মার্চের সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর তেইশ বছরের দুঃশাসনের ইতিহাস, নির্বাচনে জয়লাভের পর বাঙালির সঙ্গে প্রবঞ্চনা ও বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের পটভূমি তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে তিনি সামরিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও সামরিক আইন প্রত্যাহারের দাবি জানান। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তিনি পূর্ব বাংলায় হরতাল চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তাঁর ভাষণে উচ্চারিত শব্দমালা কবিতার মতো সেদিন রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত প্রায় দশ লাখ বাঙালিকে মুক্তির আবেগে উদ্বেলিত করেছিল। এর পরই বাঙালি জাতির সামনে একটি মাত্র লক্ষ নির্ধারিত হয়ে যায়, যার নাম স্বাধীনতা। তাঁর সেই আনুষ্ঠানিক ভাষণে তিনি প্রতিরোধ-সংগ্রাম, যুদ্ধের কলাকৌশল ও শত্রু মোকাবেলার উপায় সম্পর্কেও দিকনির্দেশনা দেন। দেশপ্রেম, আবেগ, স্বপ্ন, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, ত্যাগ, ভদ্রতা, নম্রতা, সহনশীলতা, দূরদর্শিতা, সাহস-প্রজ্ঞা, বিশ্বাস, শপথ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ইত্যাদি অনুষঙ্গগুলো ভাষণটিকে এক মহাকাব্যিক রূপ দিয়েছে। এই মহাকাব্যই ৭১-এ যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে বাঙালি জাতিকে লাল-সবুজের পতাকা উপহার দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের এক নতুন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। এ কারণেই বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের এ ভাষণকে ইউনেককো ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ স্বীকৃতির মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে এটি বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম ভাষণ। পৃথিবীর আর কোনো দেশে কোনো ভাষণ এতবার প্রতিধ্বনিত হয়নি।
১২টি ভাষায় অনূদিত কালজয়ী ও যুগোত্তীর্ণ এ ভাষণ সারা বিশ্বের লাঞ্ছিত, নিপীড়িত, স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য উদ্দীপনা ও প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
২। ক) মনে করো তুমি তানিয়া। তুমি চন্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী। তোমাদের বিদ্যালয়ের ভেতরে ক্যান্টিন স্থাপনের জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে একখানা আবেদনপত্র লেখো।
২৭ জানুয়ারি, ২০১৯
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
চন্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয়
বিষয় : বিদ্যালয়ের ভেতরে ক্যান্টিন স্থাপনের আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে আমরা আপনার বিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থী। প্রতিদিন আমরা দূরদূরান্ত থেকে সকাল ৭:৩০ ঘটিকার মধ্যে বিদ্যালয়ে আসি। এত সকালে আসার কারণে অনেক সময় তাড়াহুড়োতে সকালের নাশতাও অনেকে করে আসতে পারে না। আবার নানা কারণে অনেকে প্রতিদিন টিফিনও আনতে পারে না। আমাদের টিফিন পিরিয়ডের মাত্র ২০ মিনিট সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে টিফিন কিনে আনাও সম্ভব নয়। অথচ প্রতিদিন ৭:৩০ থেকে ১:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত আমাদের বিদ্যালয়ে অবস্থান করতেই হয়। এই দীর্ঘ সময় আমরা অনাবাসিক শিক্ষার্থী প্রায়ই ক্ষুধায় কষ্ট পাই। এ অবস্থায় বিদ্যালয়-ক্যাম্পাসের ভেতরে একটা ক্যান্টিন স্থাপন করা হলে আমাদের এ সমস্যার নিরসন হতে পারে।
অতএব বিনীত প্রার্থনা এই যে ছাত্র-ছাত্রীদের বৃহত্তর প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে বিদ্যালয়-ক্যাম্পসে একটি ক্যান্টিন স্থাপন ও মানসম্পন্ন টিফিন রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমরা বিশেষভাবে বাধিত হব।
বিনীত—
তানিয়া
চন্দ্রা বিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের পক্ষে
দশম শ্রেণি, বিজ্ঞান শাখা, ক্রমিক নং-৩।
খ) ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯
সম্পাদক
দৈনিক ‘ক’
১০, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, ঢাকা-১১০০
বিষয় : সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত দৈনিক ‘ক’ পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ কলামে নিম্নোক্ত জনগুরুত্বপূর্ণ পত্রটি প্রকাশ করলে বিশেষভাবে বাধিত হব।
নিবেদক—
আব্দুল্লাহ ইব্রাহিম
নান্দিনা, জামালপুর
বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালনের প্রয়োজনীয়তা
মানবসভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই মানুষের সঙ্গে বৃক্ষের যে পরম আত্মীয়তা রয়েছে, সেই আত্মীয়তার বন্ধন আজ ছিন্ন হতে চলেছে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ফলে। নগর সভ্যতার আবির্ভাবে মানুষ আজ বৃক্ষ থেকে অনেক দূরে। অথচ আমরা জানি, যেকোনো দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য এক-চতুর্থাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের আছে মাত্র ১৭ শতাংশ যা, ভৌগোলিক আয়তনের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল।
বৃক্ষের বহুমুখী অবদানের কথা আমরা সবাই জানি। যেমন—বৃক্ষরাজি তার বিস্তৃত শিকড় দিয়ে আঁকড়ে রাখে ভূমি, প্রতিহত করে নদীভাঙন, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস আর ঘূর্ণিঝড়কে। এ ছাড়া প্রাত্যহিকতায় আমরা জ্বালানি, ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, ভেষজ ওষুধসহ নানাবিধ প্রয়োজনে গাছপালা ব্যবহার করে আসছি। বৃক্ষের এই বহুমুখী অবদানের কথা বাদ দিয়ে আমাদের জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেনের কথাই শুধু বলি, যা আসছে বৃক্ষরাজি থেকে, তাও যান্ত্রিক সভ্যতার ধার করা প্রতিনিয়ত উৎপাটনে ব্যস্ত। আমাদের নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করে বৃক্ষরাজি অক্সিজেন ঢেলে না দিলে মানুষসহ সব প্রাণীর অস্তিত্বই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হতো—এই চরম সত্যিটাও আজ অনেকে ভুলে যেতে বসেছে। তারা ভুলতে বসেছে যে বৃক্ষরাজির অভাবে শ্যামল-সবুজ প্রান্তর আজ উত্তপ্ত, শুষ্ক। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করেছে, যে বরফ গলা পানিতে ডুবে যেতে পারে পৃথিবীর একাংশ। আমাদের বাংলাদেশেও গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গোটা দেশ আজ মরুভূমিতে পরিণত হতে চলেছে। তাই আষাঢ়-শ্রাবণে যেখানে সারা দিন, সারা রাত বাদলের ধারাপাত হওয়ার কথা, সেখানে আকাশ থাকে নির্মেঘ। প্রকৃতির এই রুক্ষতা, উষ্ণতা মানুষকেও করে তুলেছে অসহিষ্ণু, উষ্ণ, উত্তপ্ত।
তাই এ সর্বনাশ থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে দ্রুত বনায়ন বা বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে দেশকে সবুজে-শ্যামলে ভরিয়ে দিতে হবে। অতি শিগগির সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে আমাদের বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালনের মধ্য দিয়ে প্রচুর বনায়ন করতে হবে। ‘একটি গাছ কাটলে তিনটি গাছের চারা লাগাতে হবে’—এ স্লোগানকে সামনে রেখে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি অকর্ষণ করছি, যেন কবি সুফিয়া কামালের মতো আর কেউ গভীর বেদনা নিয়ে উচ্চারণ করতে না পারেন—
ফুলের ফসল নেই, নেই কারও কণ্ঠে আর গান,
ক্ষধার্ত-ভয়ার্ত দৃষ্টি, প্রাণহীণ সব মুখ ম্লান।
বিনীত—
পলাশতলা অঞ্চলের জনগণের পক্ষে
আব্দুল্লাহ ইব্রাহিম
নান্দিনা, জামালপুর।
৩। (ক) সারাংশ :
চরিত্র, মনুষ্যত্ব, জ্ঞান ও কর্মের ওপর নির্ভর করে মানুষের মর্যাদা। এসবের মধ্যে চরিত্রই মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। চরিত্রের মাধ্যমেই মানবের প্রকৃত প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে। চরিত্রগুণেই মানুষ মানুষের শ্রদ্ধা-সম্মান অর্জন করে। এ শ্রেষ্ঠ সম্পদ যার মধ্যে বিরাজ করে, সে সবার কাছে প্রিয়। যিনি সত্যবাদী, বিনয়ী, জ্ঞানী, পরোপকারী, ন্যায়পরায়ণ, স্বাধীনতাপ্রিয় ও সজ্জন, তিনিই চরিত্রবান।
অথবা, (খ) সারমর্ম :
সবাইকে দীন-দুঃখী, পতিত, অত্যাচারিত, নিপীড়িত জন সাধারণের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে। এই পতিত জনগোষ্ঠীরও যে মানুষ হওয়ার সমান অধিকার রয়েছে, ঘৃণা, উপেক্ষা-অবহেলা যে তাদের প্রাপ্য নয়, এটা বুঝিয়ে তাদের হৃদয়ে আশার ও মুখে ভাষার সঞ্চার করতে হবে। অত্যাচারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য তাদের বুকের সাহস ও মনোবল বৃদ্ধি করতে হবে। অত্যাচারী শক্তিশালী হলেও তার হীনকর্মের জন্য মনের দিক থেকে দুর্বল থাকে। তাই সবাই মিলে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে অত্যাচারী পথের কুকুরের মতো ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পালিয়ে যায়।
উত্তরের বাকি অংশ আগামী সংখ্যায়
চরিত্র, মনুষ্যত্ব, জ্ঞান ও কর্মের ওপর নির্ভর করে মানুষের মর্যাদা। এসবের মধ্যে চরিত্রই মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ