<p>বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী রাজাকার-আলবদর বাহিনীর সহায়তায় অগণিত বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ হত্যাযজ্ঞ চলে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নিহত বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, লেখক, চলচ্চিত্র পরিচালকসহ অন্যান্য পেশাজীবী শ্রেণির বুদ্ধিজীবী। বিজয় লাভের পর অনেক বুদ্ধিজীবীর ক্ষত-বিক্ষত লাশ পাওয়া যায় রায়েরবাজার ও মিরপুর বধ্যভূমিতে। নিহত বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ঢাকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। স্থপতি মোস্তফা আলী কুদ্দুস স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করেন। ১৯৭২ সালে স্মৃতিসৌধটি উদ্বোধন করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গণকবর, বুদ্ধিজীবীদের কবর আর স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে এই স্মৃতিসৌধের ব্যাপ্তি। প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে অসংখ্য মানুষের ভিড় জমে এই দিনে। </p>