<p style="text-align: center;"><strong>সৃজনশীল প্রশ্ন</strong></p> <p style="text-align: center;"><strong>সপ্তম অধ্যায়</strong></p> <p style="text-align: center;"><strong>পৃথিবী ও মহাকর্ষ</strong></p> <p><strong>অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।</strong></p> <p>লতিফের অফিস দশম তলায়। অফিসে ওঠানামার ক্ষেত্রে সে লিফট ব্যবহার করে। একদিন সে লিফটটি স্থির থাকা, ওপরে ওঠা বা নিচে নামার সময় ওজনের বিভিন্নতা অনুভব করে। উল্লেখ্য, লতিফের ভর ৬০ কেজি।</p> <p>ক) নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রটি কী?      ১</p> <p>খ) মহাকর্ষ ও অভিকর্ষের মধ্যে পার্থক্য  লেখো।        ২</p> <p>গ) লিফট স্থির অবস্থায় লতিফের বলের মান নির্ণয় করো। ৩</p> <p>ঘ) লতিফের ওজন অনুভূতির বিভিন্নতার কারণ বিশ্লেষণ করো।       ৪</p> <p><strong>উত্তর : </strong></p> <p><strong>ক) নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র :</strong> মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে এবং এ আকর্ষণ বলের মান বস্তুকণাদ্বয়ের ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং এদের দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক এবং এ বল বস্তুকণাদ্বয়ের সংযোজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।</p> <p>ধরি, m1 এবং m2 ভরের দুটি বস্তু পরস্পর থেকে d দূরত্বে অবস্থিত। এদের মধ্যকার আকর্ষণ বল F হলে মহাকর্ষ সূত্রানুসারে,</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/Print- 2018/10 October/15-10-2018/Kalerkantho_18-10-15-33.jpg" style="height:230px; width:315px" /></p> <p>চিত্র : মহাকর্ষ বল</p> <p>খ) মহাকর্ষ ও অভিকর্ষের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হলো</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/Print- 2018/10 October/15-10-2018/Kalerkantho_18-10-15-34.jpg" style="height:186px; width:318px" /></p> <p>গ) আমরা জানি, অভিকর্ষজ বল, F = mg            </p> <p>                = ৬০x৯.৮</p> <p>           = ৫৮৮ নিউটন</p> <p>[লতিফের ভর, m = ৬০ কেজি</p> <p>ভূপৃষ্ঠে অভিকর্ষজ ত্বরণ, g = ৯৮মি/সে.২]</p> <p>লিফট স্থির অবস্থায় লতিফের ওপর ক্রিয়াশীল অভিকর্ষ বলের মান ৫৮৮ নিউটন।</p> <p><strong>ঘ) লিফট স্থির থাকার বিশ্লেষণ :</strong> বস্তুর ওজন নির্ভর করে অভিকর্ষক ত্বরণ, g-এর মানের ওপর। g এর মানের তারতম্যের জন্য ওজনের তারতম্য ঘটে। লিফটে চড়ে ওঠানামা করলে g এর মানের সঙ্গেই ওজনের সম্পর্ক নির্ভরশীল। লতিফ লিফটে ওজনের তারতম্য অনুভব করে।</p> <p><strong>১। লিফট যখন স্থির থাকে :</strong> আমরা যখন কোনো স্থির লিফটে দাঁড়াই তখন আমরা লিফটের মেঝের ওপর আমাদের ওজনের সমান বল প্রয়োগ করি, লিফটও আমাদের ওপর ওজনের সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া বল প্রয়োগ করে। আমরা আমাদের ওজনের অস্তিত্ব টের পাই।</p> <p><strong>২। লিফট ওপরের দিকে ওঠার সময় :</strong></p> <p>লিফট যদি ওপরের দিকে উঠতে থাকে তখন স্থির অবস্থান থেকে ওপরের দিকে যাত্রা করায় লিফটির ওপরের দিকে একটি ত্বরণ সৃষ্টি হয়। ফলে লিফটের সাপেক্ষে আমাদের ত্বরণ হয় g এর চেয়ে বেশি। এই বর্ধিত ত্বরণের জন্য আমরা লিফটের ওপর আমাদের ওজনের চেয়ে বেশি বল প্রয়োগ করি। তখন লিফটও আমাদের ওপর বিপরীতমুখী যে প্রতিক্রিয়া বল প্রয়োগ করে, তা আমাদের ওজনের চেয়ে বেশি হয় এবং নিজেদের ভারী অনুভব করি।</p> <p><strong>৩। লিফট সমবেগে ওপরের দিকে ওঠার সময় :</strong> লিফট যখন সমবেগে ওপরের দিকে উঠতে থাকে তখন তার কোনো ত্বরণ থাকে না। ফলে আমরা আর ওজনের চেয়ে অতিরিক্ত বল অনুভব করি না, শুধু ওজনই অনুভব করি।</p> <p><strong>৪। লিফট নিচের দিকে নামার সময় :</strong> লিফট যখন নিচে নামতে শুরু করে তখন স্থির অবস্থান থেকে একটি ত্বরণ সৃষ্টি হয় এবং লিফটের সাপেক্ষে আমাদের ত্বরণ g-এর চেয়ে কম হয়। এই কম ত্বরণ নিয়ে আমরা লিফটের ওপর আমাদের ওজনের চেয়ে কম বল প্রয়োগ করি। আমাদের ওজন কম মনে হয়।</p> <p><strong>৫। লিফট g ত্বরণে নামার সময় :</strong> লিফট যখন ম ত্বরণে নিচে নামতে থাকে, তখন লিফটের সাপেক্ষে লতিফের ত্বরণ (g-g) বা o হয়। এ অবস্থায় সে নিজেকে ওজনহীন মনে করে।</p>