(গতকালের পর)
২ (ক)। ‘গাজুরিয়া মাইর’ হলো গজারি কাঠের মতো শক্ত ও ভারী কাঠের মার।
২ (খ)। ‘‘সারা দেশ থেকে ‘পিস’ উধাও” বলতে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ে দেশে যে অরাজক পরিস্থিতি ও অশান্তি বিরাজ করছিল, সেই প্রসঙ্গে উপর্যুক্ত মন্তব্যটি করা হয়েছে।
(গতকালের পর)
২ (ক)। ‘গাজুরিয়া মাইর’ হলো গজারি কাঠের মতো শক্ত ও ভারী কাঠের মার।
২ (খ)। ‘‘সারা দেশ থেকে ‘পিস’ উধাও” বলতে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ে দেশে যে অরাজক পরিস্থিতি ও অশান্তি বিরাজ করছিল, সেই প্রসঙ্গে উপর্যুক্ত মন্তব্যটি করা হয়েছে।
‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকা জাহানারা ইমাম ১৯৭১ সালের ১০ মে, সোমবার প্রায় দুই মাস পর তাঁর বাগানে যান। সেখানে বেশ কয়টি হাইব্রিড টি-রোজের গাছ ছিল, সেগুলোর খুব বেশি যত্ন করতে হলেও গত দুই মাসে তিনি তা করে উঠতে পারেননি। খুরপি হাতে কাজে লাগার আগে গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখলেন মাখনের মতো রঙের ‘পিস’ অর্থাৎ ‘শান্তি’। কালচে-মেরুন বনি প্রিন্স আর এনা হার্কনেস।
২ (গ)। উদ্দীপকের বুধার মতো মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ‘একাত্তরের দিনগুলি’ গল্পের শরিফ সাহেবের সাদৃশ্য হলো—নিজেদের আপনজনকে বাঁচাতেও তাঁরা হানাদার পাকিস্তানিদের সামনে মাথা নত করেননি।
জাহানারা ইমাম রচিত ‘একাত্তরের দিনগুলি’ গল্পটি দিনপঞ্জির আকারে রচিত। এ গল্পে লেখিকা ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন। পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অতর্কিত হামলায় ঢাকার নগরজীবনের বিশৃঙ্খলা, হত্যা-লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ সেই দুঃসময়ে ঢাকার দুর্বিষহ অবস্থার চিত্র এপ্রিল, মে, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও ১৬ই ডিসেম্বরের দিনলিপিতে তুলে ধরেছেন। ১৯৭১ সালের এই মুক্তিযুদ্ধে লেখিকার প্রথম সন্তান রুমী যোগদান করে পাকিস্তানিদের কাছে ধরাও পড়ে। তাই রুমীকে পাকিস্তানিদের কবল থেকে কী করে বের করে আনা যায়, তা নিয়ে লেখিকা ও তাঁর স্বামী শরিফ সাহেব খুব দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলেন।
উদ্দীপকে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের অনেকে পাকিস্তানিদের পক্ষ নিয়েও বুধার মতো মুক্তিপাগল যোদ্ধারা নিজেদের আপনজনকে বাঁচাতেও পাকিস্তানি হানাদারদের সামনে মাথা নত করেননি। উদ্দীপকের এই দিকটি ‘একাত্তরের দিনগুলি’ গল্পের শরিফ সাহেবের উপর্যুক্ত বক্তব্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
২ (ঘ)। ‘একাত্তরের দিনগুলি’ গল্পে মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যক্রমের পাশাপাশি সেই দুঃসময়ে ঢাকার অবস্থা ও লেখিকার হৃদয়ের রক্তক্ষরণের কথাও ব্যক্ত হয়েছে বলে উদ্দীপকটি গল্পের আংশিক ভাবকে ধারণ করেছে।
‘একাত্তরের দিনগুলি’ গল্পটি দিনপঞ্জির আকারে লিখিত। এখানে লেখিকা দিনলিপির আকারে আট দিনের কাহিনি তুলে ধরেছেন। ১৩ এপ্রিল ৭১-এর দিনলিপিতে পাকিস্তানিদের অতর্কিত হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খালি হওয়া, ভয়ে মানুষের বাসস্থান পরিবর্তন, ট্রাকভর্তি করে হাত-চোখ বেঁধে বাঙালিদের ধরে নিয়ে হত্যা করে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়ার কথা বর্ণনা করেছেন। ১০ মে বাগানের যত্ন করা, ১২ ও ১৭ মে দিনলিপিতে দেশের স্কুল-কলেজ জোর করে খোলা রাখা, বিখ্যাত ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে জোর করে রেডিও-টিভিতে বিবৃতি প্রদান করানো ছাড়াও তাঁর প্রথম ছেলে মুক্তিযোদ্ধা রুমীর পাকিস্তানিদের হাতে বন্দিদশায় লেখিকা গভীর বেদনার সঙ্গে আভাসে-ইঙ্গিতে তাঁর হৃদয়ের রক্তক্ষরণের কথা ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু গর্ভজাত সন্তানকে বাঁচানোর জন্য হানাদার বাহিনীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করে আত্মমর্যাদা ও স্বাধিকার চেতনার যে পরিচয় দিয়েছেন তার তুলনা রহিত। সব শেষে লেখিকা ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি আর্মির আত্মসমর্পণ ও আমাদের বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে গল্পের সমাপ্তি টানেন।
অন্যদিকে উদ্দীপকে শুধু মুক্তিযুদ্ধে বুধার মতো মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীনতার কথাই বর্ণিত হয়েছে।
উপর্যুক্ত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার আংশিকভাবকে ধারণ করেছে মাত্র।
৩ (ক)। কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর লেখায় সামাজিক অবিচার ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।
৩ (খ)। ‘কিসের দুঃখ, কিসের দৈন্য, কিসের লজ্জা, কিসের ক্লেশ’—লেখক উপেক্ষিত জনগোষ্ঠীর মন থেকে কষ্ট ও জড়তা দূরীকরণের জন্য উপর্যুক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে আমাদের দশ আনা শক্তি যাদের ওপর নির্ভরশীল তাদের পক্ষে কলম ধরেছেন। আভিজাত্য-ভদ্র সম্প্রদায় এই জনশক্তিকে ‘ছোটলোক’ হিসেবে শ্রেণীকরণ করে তাদের দূরে ঠেলে দিয়েছে। জন্ম থেকে ঘৃণা, উপেক্ষা পেয়ে তারা নিজেদের এত ছোট মনে করে বলে সংকোচ জড়তা তাদের স্বভাবের সঙ্গে মিশে যায়। তারাও যে আমাদেরই মতো মানুষ, তারাও যে এক আল্লাহর সৃষ্টি, তাদেরও যে মানুষ হওয়ার সমান অধিকার আছে, সে কথা তারা ভুলে যায়। লেখক তাই উপেক্ষিত ভাইদের বোধশক্তিকে জাগিয়ে তুলে অন্তরের জড়তা ও দুঃখ-কষ্টকে দূর করতে চেয়েছেন।
৩ (গ)। উদ্দীপকের ‘বে-আকুফ’ ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের মহাত্মা গান্ধীর প্রতিনিধিত্ব করে।
‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের লেখক বলেছেন যে একটি দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ছোট-বড়, উঁচু-নিচু, ধর্মীয় ও জাতিগত বিভেদ দূর করা আবশ্যক। দেশের বৃহত্তর জনশক্তিকে যদি ‘ছোটলোক সম্প্রদায়’ বলে অভিহিত করে দূরে সরিয়ে রাখা হয়, তাহলে দেশের উন্নতির আশা করা আর আকাশে অট্টালিকা নির্মাণের চেষ্টা করা একই কথা। মহাত্মা গান্ধী নিজে অভিজাত সম্প্রদায়ের লোক হয়েও তাঁর মধ্যে আভিজাত্য ও পদ গৌরবের অহংকার ছিল না। তিনি অনায়াসে প্রাণের মুক্ত উদারতা নিয়ে ভদ্র সম্প্রদায় যাদের ‘ঘৃণ্য’, ‘ছোটলোক’ বলে অভিহিত করেছে তাদের ‘ভাই’ বলে ডেকেছেন। তাঁর সে আহ্বানে জাতিভেদ, ধর্মভেদ, সমাজভেদ ছিল না। তিনি তাদের সঙ্গে প্রাণ খুলে মিশতেন, তাদের সুখ-দুঃখের ভাগিদার হতেন, তাদের সঙ্গে নিজেও উপোস করে তাদের আপন করে তুলেছেন।
উদ্দীপকের বীর নিজের জীবন বিপন্ন করে মত্ত হাতির কবল থেকে পথশিশুকে উদ্ধার করার আগে তার জাত-পরিচয় জানতে চাননি বলে তাঁকে ‘বে-আকুফ’ বলা হয়েছে। তাঁর এই কাজ বীরোচিত হলেও উপস্থিত জনৈক ব্যক্তির মতে সে বে-আকুফের মতো কাজ করেছে অর্থাৎ নির্বুদ্ধিতারই পরিচয় দিয়েছে। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের মহাত্মা গান্ধীও তেমনি নিজে আভিজাত্য, গর্বিত শ্রেণির মানুষ হয়েও উপেক্ষিত জনগণকে আপন করে নিয়ে বে-আকুফের মতো কাজ করেছেন।
৩ (ঘ)। একটি দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জাতিগত বিভেদ দূর করে সাম্যবাদী মানসিকতার পরিচয় দেওয়া উচিত। তাই উদ্দীপকের ‘বে-আকুফ’-এর মতো লোকই ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের লেখকের প্রত্যাশা।
‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের লেখক বিশ্বাস করেন যে একটি দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ছোট-বড়, উঁচু-নিচু, ধর্মীয় ও জাতিগত বিভেদ দূর করা প্রয়োজন। কারণ দেশের অধিবাসী নিয়েই দেশ এবং ব্যক্তির সমষ্টিই জাতি। তাই দেশের ষোলো আনার মধ্যে দশ আনা শক্তিকে ‘ছোটলোক’ বলে চিহ্নিত করলে দেশের উন্নতি আশা করা বৃথা। দেশের ভদ্র সম্প্রদায় দেশ-জাতির দুর্ভাগ্যের কথা বলে জনগণকে কাঁদাতে পারলেও কার্যক্ষেত্রে নেমে কাজ করার শক্তি তাদের নেই। কিন্তু আভিজাত্য ভদ্র সম্প্রদায় যদি সেই বৃহত্তর জনশক্তিকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, তাদের মানুষ বলে, ভাই বলে কাছে টেনে নেওয়ার মতো উদারতা দেখাতে পারে, তাদের শক্তির উন্মেষ করতে পারে, তাহলে শত বছরের প্রাণপণ চেষ্টায় যে কাজ সম্পন্ন হয়নি, তা একদিনেই হবে। আভিজাত্য-ভদ্র সম্প্রদায়ের এ কথা বিশ্বাস না হলে তারা যেন মহাত্মা গান্ধীর কথা ভেবে দেখে যে তিনি ভারতে কী অসাধ্য সাধন করেছিলেন। আর সেই আন্তরিক চেষ্টার ফলে তাঁর ডাকে নিখিল ভারতবাসী তাঁর দিকে ব্যগ্র বাহু মেলে ছুটে এসেছে।
উদ্দীপকের বীরও নিজের জীবন নিপন্ন করে জাত্যাভিমান দূরে ঠেলে মত্ত হাতির কবল থেকে পথশিশুকে উদ্ধার করেছেন। আপাতদৃষ্টিতে অনেকের কাছে তাঁর এই কাজ ‘বে-আকুফ’-এর মতো হলেও তিনি যে মহত্তের কাজ করেছেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
উপর্যুক্ত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাই সিদ্ধান্ত টানা যায় যে পথশিশুকে উদ্ধারকারী ‘বে-আকুফ’-এর মতো লোক অর্থাৎ মহাত্মা গান্ধীর মতো মানুষই লেখক দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রত্যাশা করেন।
৪ (ক)। শরীরের পুষ্টি হয় খাদ্যের গুণ অনুসারে।
৪ (খ)। ‘দরিদ্র হতভাগা সব অন্নাভাবে মরে মরুক, তাতে আমাদের কী?’ শিক্ষিত বিত্তশালী বাঙালি পুরুষদের শারীরিক পরিশ্রমে অনীহা ও স্বার্থপরতা দেখে লেখক উপর্যুক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধের লেখিকা রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বাণিজ্য ও কৃষিকাজে ধন বৃদ্ধি করা যায়। কিন্তু অলস বাঙালি ব্যবসা-বাণিজ্যকে যেমন সহজ করে নিয়েছে, তেমনি কর্কশ উর্বর ভূমি চাষ করে ধান উৎপাদন করা অপেক্ষা মুখস্থবিদ্যার জোরে অর্থ উপার্জন করা তারা সহজ মনে করে। তাদের কাছে রোদের সময় ছাতা হাতে সশরীরে কৃষিক্ষেত্র পরিদর্শন অপেক্ষা ঘরে বসে টানা পাখার তলে আরাম কেদারায় দুর্ভিক্ষ সমাচার পাঠ করা সহজ। বাঙালি শিক্ষিত সমাজ মনে করে, অর্থের অভাব নেই বলে তাদের অন্নকষ্টও হবে না। নিরক্ষর দরিদ্র, হতভাগারাই অর্থের অভাবে না খেয়ে মারা যাবে এবং এতে তাদের কোনো প্রতিক্রিয়াই হবে না।
৪ (গ)। উদ্দীপক (i)-এ ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধের বাঙালির অলসতা ও কর্মবিমুখতার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধের লেখিকা বাঙালি পুরুষদের অলসপ্রিয়তা ও শারীরিক পরিশ্রমে অনীহা, বাগাড়ম্বর আচরণ ও নারীদের অহেতুক রূপচর্চা, পরিচর্চা ও অবলা প্রমাণ করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টার নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেছেন। লেখিকা মনে করেন যে বাঙালি নারী-পুরুষ নিজেদের নিরীহ, দুর্বল হিসেবে ভাবতেই যেন বেশি ভালোবাসে। তাদের নরম, সুস্বাদু ও মধুর খাদ্যদ্রব্যেও তার পরিচয় মেলে। নবনীর কোমলতার মতো তাদের স্বভাবেও ভীরুতা লক্ষণীয়। ধন বৃদ্ধির প্রধান উপায় বাণিজ্য হলেও এই অলস বাঙালি সিন্দাবাদের মতো অনিশ্চিত ফল লাভের আশায় অপার সাগরে পাড়ি জমায় না। তারা কায়িক পরিশ্রম ছাড়া যে ব্যবসা করা যায়, তাই করে। তাদের অন্যতম ব্যবসা—পাস বিক্রয়। অর্থাৎ শিক্ষিত বাঙালি তার সার্টিফিকেটের জোরে ধনী মানুষের মেয়েকে বিয়ে করে। এ ছাড়া তারা অনেক প্রকার কাজও সহজ করে নিয়েছে। যেমন—রাজ্য স্থাপন করা অপেক্ষা ‘রাজা’ উপাধি লাভ, শিল্পকার্যে পারদর্শী হওয়া অপেক্ষা B.sc ও D.sc পাস, খাঁ বাহাদুর বা রায় বাহাদুর উপাধি লাভের জন্য অর্থ ব্যয়, প্রতিবেশী দরিদ্রের শোকে ব্যথিত হওয়া অপেক্ষা বড়লোকদের মৃত্যুতে শোকসভার সভ্য হওয়া, স্বাস্থ্য নষ্ট করে ওষুধ ও ডাক্তারের হাতে জীবন সমর্পণ করা, কারো কাছে মার খেলে প্রতিশোধ না নিয়ে মানহানির মোকদ্দমা করা সহজ মনে করে। একইভাবে বাঙালি মেয়েরাও স্বাস্থ্যের উন্নতি দ্বারা মুখশ্রীর প্রফুল্লতা ও সৌন্দর্য বর্ধন করা অপেক্ষা প্রসাধনী মেখে সুন্দর হওয়ার চেষ্টা সহজ মনে করে।
উদ্দীপকে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সাত কোটি বাঙালি সন্তানের জননী দেশমাতৃকা, তার সন্তানদের নিরীহ বাঙালি করেই রেখেছে, তাদের শৌর্য-বীর্যে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনি। উদ্দীপকের এভাবে ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধের বাঙালির জীবনাচরণের নেতিবাচক দিক প্রতিফলিত হয়েছে।
৪ (ঘ)। বাঙালি নারী-পুরুষ-অলসতা, বাগাড়ম্বর, শ্রমবিমুখতা পরিহার করে মানুষ হবে— উদ্দীপক (ii)-এর এই বৈশিষ্ট্যই ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধের লেখিকার প্রত্যাশা।
‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধের লেখিকা বাঙালি নারী-পুরুষের জীবনাচরণের নেতিবাচক দিকগুলো আলোচনা করে তার থেকে উত্তরণের প্রত্যাশা করেছেন। বাঙালি পুরুষকে লেখিকা বৈঠকখানার সাজসজ্জা অথবা নারীকে সরোবরের পদ্মিনী হিসেবে দেখতে চান না। তিনি আশা করেন বাঙালি পুরুষরা ধন বৃদ্ধির জন্য সিন্দাবাদের মতো পরিশ্রমী হবে। অন্যের অনুকরণ না করে নিজে পরিশ্রম করে কিছু আবিষ্কার করবে। নিজের ডিগ্রি বা সার্টিফিকেটের বিনিময়ে ধনী শ্বশুরের সম্পদ লুণ্ঠন করা থেকে বিরত থাকবে। কৃষিকাজের দ্বারা অন্ন সংস্থান হয় বলে শুধু B.sc ও Dsc পাস নয়, সশরীরে মাঠে গিয়ে কর্কশ ভূমি চাষ করে ধান উৎপাদন করবে। সহজে বিভিন্ন উপাধি লাভ, বড়লোকদের মৃত্যু দুঃখে ‘শোকসভার’ সভ্য হওয়া, দুর্ভিক্ষ নিবারণের জন্য বিদেশি সাহায্য লাভের আশা না করে নিজে পরিশ্রম করবে। এমনকি কারো কাছে মার খেলে তা হজম না করে বাহুবলে তার প্রতিশোধ নেবে।
উদ্দীপকের বাঙালি জাতীয় দুর্দিনে হাতে গ্রেনেড তুলে নিয়েছে, তাদের লেখনীতে অস্ত্রের ঝংকার ওঠে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বাঙালি যার সঙ্গে যে রকম আচরণ করা দরকার, তাই করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে।
উপর্যুক্ত বক্তব্যের মাধ্যমে এটাই প্রতীয়মান হয় যে ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধের লেখিকা বাঙালির স্বভাবে উদ্দীপকের বাঙালির এই বৈশিষ্ট্য প্রত্যাশা করেন।
খ অংশ : কবিতা
৫ (ক)। বাংলা কাব্যে মাইকেল মধুসূদন দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দ ও সনেট প্রবর্তন করে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।
৫ (খ)। ‘স্নেহের তৃষ্ণা’ বলতে কপোতাক্ষ নদের প্রতি কবির আকর্ষণের কথা বোঝানো হয়েছে।
‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদ সুদূর প্রবাস জীবনেও তাঁর হৃদয়ে জাগিয়েছে কাতরতা। দূরে বসেও তিনি যেন কপোতাক্ষ নদের কলকল ধ্বনি শুনতে পান। পৃথিবীর অনেক দেশের নদ-নদী তিনি দেখেছেন, কিন্তু জন্মভূমির এই নদ যেন তাঁকে মায়ের স্নেহ ডোরে বেঁধেছে, কিছুতেই তিনি তাকে ভুলতে পারেন না। জন্মভূমির এই নদের প্রতি গভীর আকর্ষণই হলো ‘স্নেহের তৃষ্ণা’।
৫ (গ)। উদ্দীপক (ii) ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবির দেশপ্রেমের দিককে ধারণ করেছে।
‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তিনি এই নদের তীরে প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় হয়েছেন। যখন তিনি ফ্রান্সে বসবাস করেন, তখন জন্মভূমির শৈশব-কৈশোরের বেদনাবিধূর স্মৃতি তাঁর মনে জাগিয়েছে কাতরতা। দূরে বসেও তিনি যেন কপোতাক্ষ নদের কলকল ধ্বনি শুনতে পান। কবির মনে সন্দেহ জাগে, তিনি আর তাঁর সেই নদের দেখা পাবেন কি না। তাই কপোতাক্ষ নদের কাছে তাঁর সবিনয় মিনতি, বন্ধু ভেবে তাকে তিনি যেমন স্নেহাদারে স্মরণ করেন, কপোতাক্ষও একই প্রেমভাবে তাঁকে সস্নেহে স্মরণ করে।
উদ্দীপকের কবিও দেশমাতৃকার কাছে সবিনয়ে মিনতি করেছেন যেন দেশমাতা তাঁকে মনে রাখে। উদ্দীপকের এই ভাবই ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার উপর্যুক্ত বক্তব্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
৫ (ঘ)। উদ্দীপক (i)-এ কবির স্মৃতিকাতরতা ও (ii)-এ দেশমাতৃকার হৃদয়ে বেঁচে থাকার আকুলতার মধ্য দিয়ে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার সম্পূর্ণভাব প্রকাশ পেয়েছে বলে আমি মনে করি।
‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের এই কবিতায় কবির স্মৃতিকাতরতার আবরণে তাঁর অত্যুজ্জ্বল দেশপ্রেম প্রকাশিত হয়েছে। কবির যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে কবি এই নদের তীরে প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় হয়েছেন। যখন তিনি ফ্রান্সে বসবাস করেন, তখন জন্মভূমির শৈশব-কৈশোরের বেদনাবিধূর স্মৃতি তাঁর মনে জাগিয়েছে কাতরতা। কবি একান্ত নিরিবিলির মুহূর্তগুলোয় কপোতাক্ষ নদের বয়ে চলা কলকল ধ্বনি শুনে তাঁর হৃদয় মন পরিতৃপ্ত করেন। আর উদ্দীপক (ii)-এর কবি যেমন দেশমাতৃকার হৃদয়ে বেঁচে থাকার আশা পোষণ করেন, ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবিও তেমনি দেশমাতৃকার হৃদয়ে বেঁচে থাকার জন্য কপোতাক্ষ নদের কাছে মিনতি করেছেন, এই বলেছেন যে এ জীবনে হয়তো তাঁর নদের সঙ্গে দেখা না-ও হতে পারে। তবে কপোতাক্ষ নদ যত দিন সাগর পানে বয়ে চলবে এবং তার পানি কর হিসেবে সাগর রাজাকে দেবে, তত দিন যেন স্বদেশের মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেয় যে সুদূর প্রবাসেও তিনি তাঁর দেশবাসীকে ভোলেননি, তাঁর কবিতা ও গানের মাধ্যমে তাদের মনে রেখেছেন, দেশবাসীও যেন তাঁকে সেভাবে মনে রাখে।
উদ্দীপক (i)-এ কবির শৈশবের আনন্দময় দিনগুলোর স্মৃতিচারণা আর (ii)-এ কবির দোষ-ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও দেশমাতৃকার হৃদয়ে বেঁচে থাকার আকুলতা প্রকাশ পেয়েছে।
উপর্যুক্ত বক্তব্য থেকে তাই সিদ্ধান্তে আসা যায়, উদ্দীপক (i) ও (ii) মিলে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার সম্পূর্ণভাব প্রকাশ পেয়েছে।
৬ (ক)। জসীমউদ্দীন রচিত ‘কবর’ কবিতাটি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই প্রবেশিকা বাংলা সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়।
৬ (খ)। ছেলের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারায় পল্লী জননীর মনের জ্বালা দ্বিগুণ হতো।
জসীমউদ্দীনের ‘পল্লী জননী’ কবিতার পল্লী জননীর ছেলেটি অসুস্থ। দরিদ্র, দুখিনী মা তার সামর্থ্যের অভাবে রোগীর ওষুধ-পথ্য কিছুই জোটাতে পারেননি। রুগ্ণ পরিবেশে রোগী সামনে নিয়ে তাই মায়ের মনে পুত্র হারানোর শঙ্কা জেগে ওঠে। সেই সঙ্গে আবদারমুখো পুত্রের দিকে চেয়ে গ্রামীণ মায়ের মনে অনেক কথা জাগে। গরিব বলে ছেলেটির মা তার ছোটখাটো অনেক বায়না মেটাতে পারেননি। একবার আড়ঙের দিনে ছেলের পুতুল কেনার পয়সা জোটাতে না পেরে ছেলেটির মা তাকে বলেছেন যে মুসলমানদের কখনো আড়ং দেখতে নেই। তখন ছেলেটি তার মুসলমান বন্ধু করিম ও আজিজের মেলায় বা আড়ঙে যাওয়ার কথা বললে মা সদুত্তর দিতে পারেননি বলে তার মনের জ্বালা দ্বিগুণ বেড়ে যেত।
৬ (গ)। উদ্দীপকে ‘পল্লী জননী’ কবিতার পল্লী মায়ের দরিদ্রের দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে।
জসীমউদ্দীনের ‘পল্লী জননী’ কবিতার জননী গ্রামের এক দরিদ্র ও অসহায় নারী। সংসারে তার একমাত্র পুত্র, সেও রোগাক্রান্ত। রুগ্ণ ছেলের শিয়রে বসে মা পুত্রকে আদর করে, তার সুস্থতার জন্য নামাজের ঘরে মোমবাতি ও দরগায় দান মানত করেন। এর চেয়ে বেশি কিছু করার বা রোগীর ওষুধ-পথ্যের ব্যবস্থা করার সামর্থ্য তার নেই। শীতের রাত এমনই অন্ধকার আর থমথমে যে নিঃশ্বাস পতনের শব্দও বুঝি শোনা যায়। অসুস্থ ছেলের শিয়রে তার মা একাই জেগে আছেন, ক্লান্তিতে, ঘুমে তার চোখের পাতা বন্ধ হয়ে আসে। চারদিক থেকে ভন ভন শব্দে বনের মশারা গান ধরেছে, এঁদো ডোবা থেকে পচা পাতার তীব্র গন্ধ আসছে, আর তার ছোট ভাঙা কুঁড়েঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে শীতের বাতাস ঢুকছে।
উদ্দীপকের হরিহরের বাড়িরও দৈন্যদশার কথা বলা হয়েছে। মেরামতের অভাবে রোয়াক ভেঙে গেছে, ফাটলে আগাছা জন্মেছে, ঘরের দোর-জানালার কপাট ভাঙা বলে নারিকেলের দড়ি দিয়ে তা গরাদের সঙ্গে বাঁধা। উদ্দীপকের এই দিকটি ‘পল্লী জননী’ কবিতার উপর্যুক্ত বক্তব্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
৬ (ঘ)। পুত্রের প্রতি স্নেহ-মমতা ছাড়া মায়ের যে আর কিছুই দেওয়ার নেই, সেই অনিবার্য আকর্ষণই ‘পল্লী জননী’ কবিতায় প্রধান হয়ে উঠেছে।
‘পল্লী জননী’ কবিতার দরিদ্র, অসহায় এক পল্লী মা তার অসুস্থ ছেলের শিয়রে রাত জেগে বসে আছেন। দারিদ্র্যের কারণে তিনি ছেলের প্রয়োজনীয় খাদ্য জোগাড় ও আনন্দ-আয়োজন করতে পারেননি। এমনকি অসুস্থ দশায় তার চিকিৎসা ও পথ্যের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি। অসহায় মা তাই পুত্রের গায়ে হাত বুলিয়ে তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেন আল্লাহ-রাসুলের কাছে। ছেলের বিভিন্ন আবদার মেটাতে না পারার মনঃকষ্টের পাশাপাশি ছেলেকে হারানোর অমঙ্গল আশঙ্কাও তার মনে জেগে ওঠে।
উদ্দীপকে হরিহরের বাড়িঘরের দুরবস্থার কথা শুধু বলা হয়েছে, যা পল্লী মায়ের ছোট কুঁড়েঘরের দুরবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত।
উপর্যুক্ত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাই বলা যায়, পল্লীর রুগ্ণ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দরিদ্র মায়ের পুত্রকে স্নেহ-মমতা ছাড়া আর কিছুই দেওয়ার নেই। তাই অপত্য অর্থাৎ সন্তান স্নেহের অনিবার্য আকর্ষণই কবিতায় প্রধান হয়ে উঠেছে।
৭ (ক)। আহসান হাবীবের কবিতার স্নিগ্ধতার দিকটি পাঠকচিত্তে এক মধুর আবেশ সৃষ্টি করে।
৭ (খ)। জন্মভূমিকে আপন সত্তায় অনুভব করেছেন বলে তিনি ‘খোদার কসম, আমি ভিনদেশি পথিক নই’—কথাটি উচ্চারণ করেছেন।
‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি আহসান হাবীবের জীবন গ্রামীণ জনপদের সঙ্গেই বাঁধা। তাই তিনি তাঁর জন্মভূমির আকাশের তারা, জমিনের ফুল, নিশি রাতের বাঁশবাগানে আলো দানকারী অসংখ্য জোনাকি, পুব দিকের পুকুর, জারুল, জামরুল, ডুমুরের ডালে স্থির দৃষ্টিতে বসে থাকা মাছরাঙাকে যেমন চেনেন, তেমনি তারাও তাঁকে চেনে। এভাবে আপন সত্তায় এ দেশের প্রকৃতির প্রত্যেকটি উপকরণকে ধারণ করেছেন বলে তিনি কসম কেটে উপর্যুক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
৭ (গ)। উদ্দীপকে ফুটে ওঠা চিত্রের সঙ্গে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার স্বদেশের প্রকৃতির সাদৃশ্য রয়েছে।
‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি স্বদেশের প্রকৃতিকে আপন সত্তায় অনুভব করেছেন। তাই এই জন্মভূমির আসমান, জমিনের ফুল, নিশি রাত, বাঁশবাগান, জোনাকি, জারুল, জামরুল পুবদিকের পুকুরকে সাক্ষী রেখে এই দেশের মাটিতেই যে তাঁর অস্তিত্ব মিশে আছে অর্থাৎ তিনি কোনো আগন্তুক, ভিনদেশি পথিক নন—এ কথাটি বারবার বলেছেন। কবি যেমন প্রকৃতির প্রতিটি উপাদান/জিনিস চেনেন, তেমনি তারাও কবিকে চেনে। তাঁর জন্মভূমির খররৌদ্র, জলজ বতাস, মেঘ ক্লান্ত বিকেলের পাখিরাও কবিকে এই দেশের মানুষ হিসেবে চেনে। তাঁর জন্মভূমির গ্রামের দুই পাশে ধানের ক্ষেত, সরু পথ, ধুধু নদীর কিনার কবির অস্তিত্বের গভীরে প্রোথিত।
উদ্দীপকে প্রকৃতির যে ছবির বর্ণনা রয়েছে, যেমন নদী, নদীর জোয়ার, ঘাটে বাঁধা সারে সারে নৌকা, জারুলগাছে বসে থাকা দুটি হলুদ পাখির ছবি—এই দৃশ্যটি এ দেশের প্রতিটি মানুষ যখন খুশি মনের মধ্যে আঁকতে পারে। উদ্দীপকের এই দিকটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার উপর্যুক্ত প্রকৃতির দৃশ্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
৭ (ঘ)। জন্মভূমির সঙ্গে মানুষের আজীবনের সম্পর্ক আছে বলেই এর মধ্যে শিকড় গেড়ে থেকে সে সমগ্র দেশকে অনুভব করে।
‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি বিশ্বাস করেন জন্মভূমির সঙ্গে মানুষের আজীবনের সম্পর্ক। এর সব কিছুই তাঁর অনেক চেনা ও জানা। শুধু ফুল,পাখি, কার্তিকের ধানের মঞ্জরি, চিরোল পাতার শিশির, জোত্স্নার চাদরে ঢাকা নিশিন্দার ছায়া নয়, তিনি এই জনপদের মানুষকেও ভালোভাবে চেনেন। তিনি জানেন কদম আলীর মতো মানুষদের জীবনে কেন অকালে বার্ধক্য ও ক্লান্তি নেমে আসে। তিনি আরো জানেন, অভাবী শ্রেণির প্রতিনিধি বলে জামিলার মায়ের মতো মানুষের রান্নাঘর সব সময় শূন্য খাঁ খাঁ করে, থালা-বাসনও শুকনো থাকে। এ দেশের মাটির গভীরে তাঁর শিকড় প্রোথিত বলেই তিনি এদের জীবনকে আপন সত্তায় অনুভব করতে পারেন। কবি অনুভব করেন, যে লাঙল জমিতে ফসল ফলায়, সেই লাঙল আর মাটির গন্ধ লেগে আছে তাঁর হাতে-শরীরে। ধানক্ষেত, ধুধু নদীর কিনার অর্থাৎ এই জনপদের সঙ্গেই তাঁর জীবন বাঁধা। এই হচ্ছে মানবজীবন ও তাঁর অস্তিত্ব।
উদ্দীপকে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, নদী মাতৃক এ দেশের নদী, নদীর জোয়ার, ঘাটে বাঁধা সারি সারি নৌকা, জারুলগাছে হলুদ পাখি—এ দেশের প্রকৃতির চিরচেনা ছবি, যা প্রতিটি মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে।
উপর্যুক্ত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে উদ্দীপক ও ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় মানুষের জীবনের সঙ্গে প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ প্রকৃতির মধ্যে বিলীন হয়ে থেকেই মানুষ দেশকে আপন করে পায়।
গ অংশ : উপন্যাস
৮ (ক)। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের পটভূমি হলো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ।
৮ (খ)। বুধার চাচি তাকে উপার্জন করে স্বাধীন হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে বলে সে চাচির প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে ওঠে।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার মা-বাবা, ভাই-বোন এক রাতে কলেরায় মারা গেলে সে চাচার বাড়িতে আশ্রয় পায়। তার চাচার রোজগার নেই। তাদের আট ছেলে-মেয়ের মধ্যে আবার বুধাও জুটেছে। অভাব-অনটনে সংসারে চাচি তাকে বোঝা হিসেবে মনে করে। তাই নিজে থেকে কোনো কাজকর্ম করে যেন তাকে বাড়তি বোঝা বহন করা থেকে মুক্তি দেয়, কথাটি শুনে বুধা চাচির প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে ওঠে।
৮ (গ)। উদ্দীপকটিতে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের যে চিত্রটি ফুটে উঠেছে, তা হলো পাকিস্তানিদের ধ্বংসলীলা ও নির্মমতা।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের সময় একদিন মিলিটারি আসে। তারা জিপে করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে আসে। তাদের বুটের শব্দ যেন চড় চড় শব্দে ফুটেছিল। যেন যেখানে তাদের পা পড়ছে, সেই মাটি ফেটে চৌচির হয়ে ফুটেছে। বুধা দূরে দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে দেখে যে, বড় সড়কের মাঝ বরাবর মিলিটারির জিপ থেকে ওরা ঝপঝপিয়ে নামে। ওরা বাজারে গিয়ে বাজারের চালাগুলোতে আগুন লাগিয়ে দিলে চালাগুলো দাউ দাউ করে পুড়তে থাকে। মিলিটারিরা চলে যাওয়ার পর বুধা ছুটে বাজারের সামনে গিয়ে দেখতে পায়, গ্রামের কেউ কেউ আগুনে পুড়ে, নয় গুলি খেয়ে মরেছে। এ ছাড়া মিলিটারিরা গাঁয়ে ক্যাম্প স্থাপন করেছে। গাঁয়ের কয়েকজন টাকাওয়ালা মানুষের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ভালো থাকায় তারা গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ডিম-দুধ খেয়ে ফুর্তিতে ঘোরাফেরা করে আর দরকার মতো একে-ওকে ধরে নিয়ে ক্যাম্পের সামনে বেঁধে রাখে, নয়তো কোথায় যে গায়েব করে দেয়, তার খোঁজ পাওয়া যায় না।
উদ্দীপকে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলাকালে বাঙালির রক্তে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেয় পাকিস্তানি যুদ্ধবাজরা। তাদের বিশাল মারণাস্ত্র ট্যাংক দিয়ে ছাত্রাবাস আক্রমণ করে ছাত্রদের হত্যা করে, শহরের বুকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গণহত্যা চালায়, পুড়িয়ে দেয় গ্রাম ও শহরের লোকালয়। উদ্দীপকের এই দিকটিতে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের পাকিস্তানি মিলিটারি কর্তৃক বুধাদের গ্রামের বাজার জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিয়ে মানুষ মেরে ফেলার চিত্রটি ফুটে উঠেছে।
৮ (ঘ)। অত্যাচারীর বিরুদ্ধে যে রুখে দাঁড়াতে হয়, প্রতিশোধ গ্রহণ করতে হয়, এই ভাবনার প্রকাশ ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে ঘটলেও উদ্দীপকে বীর বাঙালির সংগ্রামী চিত্রের বদলে মুক্তিযুদ্ধের মর্মান্তিক দিকই প্রতিফলিত হয়েছে।
সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কিশোর বুধা তাদের গ্রামে পাকিস্তানি মিলিটারিদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ দেখে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। যারা পাকিস্তানি মিলিটারিদের হয়ে কাজ করছিল, তাদের বিরুদ্ধে বুধা একাই লড়াই করে। আলির কাছ থেকে এক শিশি কেরোসিন চেয়ে নিয়ে তার পোড়া ঘরে ফিরে বাঁশের লাঠির মাথায় শুকনো পাট জড়িয়ে চারটি মশাল বানিয়ে রাতের অন্ধকারে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আহাদ মুন্সির বাড়ির দিকে এগোয়। মশাল চারটি কেরোসিনে ভিজিয়ে দেশলাই ঠুকে আগুন জ্বলিয়ে বড়টা আটচালা ঘরে ছুড়ে মারে। বাকি তিনটি কাছারি ঘর, রান্নাঘর ও গোয়ালঘরে ছুড়ে মারে। পরদিন গাঁয়ের রাজাকার কমান্ডারের বাড়ির সব ঘর জ্বালিয়ে দেয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দীনের নির্দেশে গ্রামের স্কুলঘরের মিলিটারি ক্যাম্প উড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে প্রত্যক্ষ মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে সে। বাংকার খোঁড়ার সময় কৌশলে সে তার ভেতর মাইন পুঁতে নদীর ধারে চলে যায়। পাকিস্তানি সেনারা বাংকারে ঢুকতেই পুরো ক্যাম্পটা বিস্ফোরণে উড়ে যায়।
আর উদ্দীপকে শুধু যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি মিলিটারি কর্তৃক ভারী আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গ্রাম-শহরের লোকালয় জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে গণহত্যা চালানোর কথা বলা হয়েছে।
উপর্যুক্ত বক্তব্য থেকে তাই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ও প্রতিশোধ গ্রহণ করতে যে একজন কিশোরও পারে, বুধা চরিত্রের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে বীর বাঙালির সেই সংগ্রামী চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে, শুধু মুক্তিযুদ্ধের মর্মান্তিক দিক নয়।
বাংলা প্রথম পত্র মডেল টেস্টের (সৃজনশীল) উত্তরের বাকি অংশ আগামী সংখ্যায়
সম্পর্কিত খবর
তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তির পুনঃ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৫-২৬ সেশনের প্রফেশনাল মাস্টার্স ইন ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্টের সপ্তম ব্যাচে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সেমিস্টারের এই কোর্সের মেয়াদ ১৮ মাস।
যোগ্যতা
যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে।
আবেদন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। ফি এক হাজার ৫০০ টাকা।
ভর্তি পরীক্ষা
১৯ জুলাই, শনিবার বিকেল ৩টায়। তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
যোগাযোগ
তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ কলাভবন (নিচতলা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মোবাইল : ০১৬০১৮৪৭৬৭৭
ওয়েবসাইট https://shorturl.at/zQW57
নাটিকা
সেই ছেলেটি
মামুনুর রশীদ
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। মামুনুর রশীদ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : টাঙ্গাইল জেলায়।
২। ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকাটি পাঠের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : নাটিকাটি পাঠের উদ্দেশ্য হলো শারীরিক ও মানসিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রতি মমতাবোধ সৃষ্টি।
৩। ‘ওরা কদম আলী’ নাটকটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘ওরা কদম আলী’ নাটকটির রচয়িতা মামুনুর রশীদ।
৪। সাবু ও আরজু কিসের পাশ দিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল?
উত্তর : সাবু ও আরজু গ্রামের পাশ দিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল।
৫। আরজুকে কে বলে স্কুল ফাঁকি দেওয়া কিন্তু খারাপ?
উত্তর : আইসক্রিমওয়ালা আরজুকে বলে স্কুল ফাঁকি দেওয়া কিন্তু খুব খারাপ।
৬। আরজু কেন কাঁদছিল?
উত্তর : আরজু কাঁদছিল কারণ তার পা অবশ হয়ে গেছে এবং সে স্কুলে যেতে পারছিল না।
৭। আরজুর বাবা কী বলেছিলেন তার পায়ের সমস্যার ব্যাপারে?
উত্তর : আরজুর বাবা বলেছিলেন, ‘হাঁটাহাঁটি করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
৮। লতিফ স্যার আরজুর পায়ের সমস্যার বিষয়ে কী জানতে পেরেছিলেন?
উত্তর : লতিফ স্যার জানতে পেরেছিলেন যে আরজুর পায়ে একটা রোগ আছে।
৯।
১০। আরজু কোথায় বসে আছে?
উত্তর : পলাশতলীর আমবাগানে বসে আছে।
১১। ছোটবেলা থেকে আরজুর পা কেমন ছিল?
উত্তর : ছোটবেলা থেকেই আরজুর পা চিকন ছিল।
১২। কার বাজারের সময় চলে যায়?
উত্তর : আইসক্রিমওয়ালার বাজারের সময় চলে যায়।
১৩। কার ডানায় ভর করে আরজু স্কুলে যেতে চায়?
উত্তর : পাখির ডানায় ভর করে আরজু স্কুলে যেতে চায়।
১৪। রোজ রোজ কে স্যারের বকুনি খায়?
উত্তর : সাবু স্যারের বকুনি খায়।
১৫। বন্ধুরা স্কুলে চলে যাওয়ার পর আরজুর সঙ্গে প্রথমে কার দেখা হলো?
উত্তর : বন্ধুরা স্কুলে চলে যাওয়ার পর আরজুর সঙ্গে প্রথমে দেখা হলো আইসক্রিমওয়ালার।
১৬। আইসক্রিমওয়ালার পর কার সঙ্গে আরজুর দেখা হয়েছিল?
উত্তর : আইসক্রিমওয়ালার পর হাওয়াই মিঠাইওয়ালার সঙ্গে আরজুর দেখা হয়েছিল।
১৭। লতিফ স্যার কখন আসেন?
উত্তর : লতিফ স্যার টিফিনের ঘণ্টা বাজার পর আসেন।
১৮। লতিফ স্যারের কাছ থেকে আরজু কী ধরনের সহানুভূতি পেয়েছিল?
উত্তর : লতিফ স্যারের কাছ থেকে আরজু সহানুভূতি পেয়েছিল। তিনি তাঁর পায়ের সমস্যা বুঝতে পেরেছিলেন এবং তাকে চিকিৎসার সাহায্য দেওয়ার কথা বলেন।
১৯। আরজুর পায়ের সমস্যা সম্পর্কে সাবু কী বলেছিল?
উত্তর : সাবু বলেছিল, ‘রোজ রোজ তোর জন্য আমি স্যারের বকুনি খেতে পারব না।’
২০। আইসক্রিমওয়ালা আরজুকে কী পরামর্শ দিয়েছিল?
উত্তর : আইসক্রিমওয়ালা পরামর্শ দিয়েছিল, ‘স্কুলে যাও, স্কুল ফাঁকি দেওয়া খারাপ।’
২১। আরজু আইসক্রিমওয়ালাকে কী প্রশ্ন করেছিল?
উত্তর : আরজু আইসক্রিমওয়ালাকে প্রশ্ন করেছিল, ‘তুমি কোন দিকে যাচ্ছ?’
২২। হাওয়াই মিঠাইওয়ালা আরজুকে কী বলেছিল?
উত্তর : ‘শুধু শুধু ডাকছ কেন? এভাবে সময় নষ্ট হলে হাওয়াই মিঠাই শূন্যে মিলিয়ে যাবে।’
২৩। আরজু কেন স্কুলে যাচ্ছিল না?
উত্তর : আরজু হাঁটতে পারছিল না, তাই সে স্কুলে যাচ্ছিল না।
২৪। লতিফ স্যার কেন আরজুকে খোঁজ করছিলেন?
উত্তর : লতিফ স্যার আরজুকে না দেখে সে কোথায় গেছে, তা জানার জন্য খোঁজ করছিলেন।
পঞ্চম অধ্যায় : গুণিতক এবং গুণনীয়ক
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
১। কোন গাণিতিক প্রক্রিয়ার জন্য গুণিতক প্রয়োজন হয়?
ক. মৌলিক সংখ্যা খ. উৎপাদক
গ. লসাগু ঘ. গসাগু
উত্তর : গ. লসাগু
২। সাধারণ গুণিতকের মধ্যে সবচেয়ে ছোট সংখ্যাকে কী বলে?
ক. লসাগু খ. গসাগু
গ. উৎপাদক ঘ. গুণিতক
উত্তর : ক. লসাগু
৩। সাধারণ গুণনীয়কগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় সংখ্যাটিকে কী বলে?
ক. লসাগু খ. গসাগু
গ. মৌলিক সংখ্যা ঘ. উৎপাদক
উত্তর : খ. গসাগু
৪।
ক. লসাগু খ. গসাগু
গ. গুণিতক ঘ. গুণনীয়ক
উত্তর : ঘ. গুণনীয়ক
৫। লসাগুর পূর্ণ রূপ কী?
ক. লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক
খ. গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক
গ. মৌলিক সংখ্যা
ঘ. মৌলিক উৎপাদক
উত্তর : ক. লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক
৬। গসাগুর পূর্ণ রূপ কী?
ক. উৎপাদক
খ. গুণনীয়ক
গ. লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক
ঘ. গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক
উত্তর : ঘ. গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক
৭। গুণনীয়কের অপর নাম কী?
ক. সংখ্যা খ. অঙ্ক
গ. উৎপাদক ঘ. গুণিতক
উত্তর : গ. উৎপাদক
Use of ‘trying to + V1’ (for effort/attempt)
মনে কর, তুমি কোনো একটি কাজ করার চেষ্টা করছ অথবা একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছ; কিন্তু সফল হবেই এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই—এমন ধরনের ভাব বা বাক্যের প্রকাশ করতে সাধারণত এই কাঠামো ব্যবহার করা হয়।
Example
১. I am trying to learn a new language.
আমি একটি নতুন ভাষা শেখার চেষ্টা করছি।
২. She is trying to save money for a trip.
তিনি ভ্রমণের জন্য টাকা জমানোর চেষ্টা করছেন।
৩. We are trying to follow the instructions.
আমরা নির্দেশাবলি অনুসরণের চেষ্টা করছি।
Structure
Subject + to be verb + trying + to + V1 + object/extension.
►Translate the following sentences into Bangla.
1. He is trying to fix his car.
2. They are trying to find a solution to the problem.
3. I am trying to lose weight.
4. She is trying to improve her public speaking skills.
5. We are trying to finish the project on time.
6. Are you trying to reach me?
7. My team is trying to win the championship.
8. He is trying to quit smoking.
9. They are trying to build a better future.
10. I am trying to call you; but your phone is busy.
Answer
১. তিনি তার গাড়ি ঠিক করার চেষ্টা করছেন।
২. তারা সমস্যাটির একটি সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে।
৩. আমি ওজন কমানোর চেষ্টা করছি।
৪. সে জনসম্মুখে কথা বলার দক্ষতা উন্নত করার চেষ্টা করছে।
৫. আমরা সময়মতো প্রকল্পটি শেষ করার চেষ্টা করছি।
৬. তুমি কি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছ?
৭. আমার দল চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার চেষ্টা করছে।
৮. তিনি ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা করছেন।
৯. তারা একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার চেষ্টা করছে।
১০. আমি তোমাকে ফোন করার চেষ্টা করছি; কিন্তু তোমার ফোন ব্যস্ত।
► Translate the following sentences into English.
১. আমি তোমাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি।
২. তিনি তার স্বপ্নপূরণের চেষ্টা করছেন।
৩. আমরা একটি নতুন পদ্ধতি প্রয়োগের চেষ্টা করছি।
৪. তারা শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করছে।
৫. তিনি আমাকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন।
৬. আমরা কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করছি।
৭. আমি ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা
করছি।
৮. তারা একটি নতুন বাড়ি তৈরির চেষ্টা করছেন।
৯. তুমি কি আমাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছ?
১০. তিনি একটি ভালো চাকরির চেষ্টা করছেন।
Answer
1. I am trying to explain to you.
2. She is trying to achieve her dream.
3. We are trying to implement a new method.
4. They are trying to maintain peace.
5. He is trying to help me.
6. We are trying to cope with the difficult situation.
7. I am trying to speak in English.
8. They are trying to build a new house.
9. Are you trying to fool me?
10. She is trying to get a good job.
সুমন ভূইয়া