ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭

দ্বাদশ শ্রেণি : বাংলা দ্বিতীয় পত্র

  • গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
মো. শহিদুল ইসলাম, প্রভাষক ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ খিলগাঁও, ঢাকা
মো. শহিদুল ইসলাম, প্রভাষক ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ খিলগাঁও, ঢাকা
শেয়ার
দ্বাদশ শ্রেণি : বাংলা দ্বিতীয় পত্র

১। প্রশ্ন : উচ্চারণরীতি কাকে বলে? বাংলা ভাষা উচ্চারণের চারটি নিয়ম লেখো।

উত্তর : শব্দের যথাযথ উচ্চারণের জন্য নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকে উচ্চারণরীতি বলে।

(ক) শব্দের আদ্য ‘অ’-এর পরে ‘য’ ফলা যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে সে ক্ষেত্রে ‘অ’-এর উচ্চারণ সাধারণত ‘ও’ কারের মতো হয়।

যেমন-অদ্য (ওদেদা), কন্যা (কোন্না) ইত্যাদি।

(খ) পদের মধ্যে কিংবা শেষে ব-ফলা থাকলে সংযুক্ত বর্ণের উচ্চারণদ্বিত্ব ঘটে থাকে। যেমন—বিশ্ব (বিশেশা), পক্ক (পকেকা) ইত্যাদি।

(গ) যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সংযুক্ত ম-ফলার উচ্চারণ হয় না।

যেমন-সূক্ষ্ম (শুকেখা), যহ্মা (জক্খাঁ) ইত্যাদি।

(ঘ) পদের মধ্যে কিবা অন্ত্যে যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে য-ফলা যুক্ত হলে সাধারণত তার উচ্চারণ হয় না। যেমন—সন্ধ্যা (শোন্ধা), স্বাস্থ্য (শাসেথা) ইত্যাদি।

(ঙ) শব্দের মাঝে বা শেষে ‘ক্ষ’-এর উচ্চারণ ‘ক্খ’ হয়ে থাকে।

যেমন—দক্ষতা (দোকেখাতা), পক্ষ (পোকেখা) ইত্যাদি।

২। প্রশ্ন : বাংলা ‘অ’ এবং ‘এ’ ধ্বনির কমপক্ষে দুটি করে মোট পাঁচটি উচ্চারণের নিয়ম উদাহরণসহ উল্লেখ করো।

উত্তর : বাংলা ‘অ’ এবং ‘এ’ ধ্বনির পাঁচটি উচ্চারণের নিয়ম নিম্নে দেওয়া হলো :

(ক) ‘অ’ কিংবা ‘আ’-যুক্ত ধ্বনির পূর্ববর্তী অ-ধ্বনি স্বাভাবিক হয়। যেমন—অমানিশা, কথা ইত্যাদি।

(খ) অনেক সময় ই-ধ্বনির পরের ‘অ’ বিবৃত হয়। যেমন—গঠিত, মিত, জনিত ইত্যাদি।

(গ) শব্দের আদ্য ‘এ’ কারের পরে যদি ং ঙ কিংবা ঙ্গ থাকে এবং তারপরে ই, উ অনুপস্থিত থাকে, তবে সে ক্ষেত্রে ‘এ’, অ্যা-কারে রূপান্তরিত হয়। যেমন—বেঙ, খেঙরা, বেঙ্গমা, ভেংবা ইত্যাদি।

(ঘ) এ-কারযুক্ত একাক্ষর ধাতুর সঙ্গে আ প্রত্যয়যুক্ত হলে, সাধারণত সেই এ-কারের উচ্চারণ ‘অ্যা’ করা হয়ে থাকে। যেমন—খেদা, ক্ষেপা, বেচা, ঠেলা, খেলা ইত্যাদি।

(ঙ) একাক্ষর সর্বনাম পদের ‘এ’ সাধারণত স্বাভাবিকভাবে অর্থাৎ অবিকৃত এ-কাররূপে উচ্চারিত হয়। যেমন—কে, সে, যে, এ ইত্যাদি।

৩। প্রশ্ন : ‘হ’ সংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণের যেকোনো ৫টি নিয়ম লেখো।

উত্তর : ‘হ’ সংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণের ৫টি নিয়ম তুলে ধরা হলো :

(ক) ‘হ’-এর সঙ্গে ঋ-কার, র-ফলা কিংবা রেফ সংযুক্ত হলে ‘হ’ নয়, বরং ‘র’ মহাপ্রাণ হয়। যেমন—হৃদয় (হৃদয়্), সুহৃদ (সুহৃদ্), হৃদ্য (হৃদেদা) ইত্যাদি।

(খ) হ-এর সঙ্গে ণ বা ন যুক্ত হলে উচ্চারণ হৃ-এর মতো হয়। এ ক্ষেত্রে মূলত ‘ন’-এর মহাপ্রাণ হয়। যেমন—পূর্বাহ্ন (পুর্বানহ), অপরাহ্ন (অপোরান্হ), চিহ্ন (চিন্হ) ইত্যাদি।

(গ) হ-কারের সঙ্গে ম সংযুক্ত হলে ম-এর মহাপ্রাণ হয়। যেমন—ব্রহ্ম (বোম্হ) ব্রাহ্ম (ব্রাম্হ), ব্রাহ্মণ (ব্রোম্হন্) ইত্যাদি।

(ঘ) হ-এর সঙ্গে ‘য’ ফলা যুক্ত হলে ‘হ’-এর নিজস্ব উচ্চারণ থাকে না। বরং য-এর মহাপ্রাণ হয়। যেমন—উহ্য (উজেঝা), গ্রাহ্য (গ্রাজেঝা), সহ্য (শোজ্ঝা) ইত্যাদি।

(ঙ) হ-এর সঙ্গে ‘ব’ যুক্ত হলে ‘ব’ মহাপ্রাণরূপে উচ্চারিত হয়। যেমন—বিহ্বল (বিওভল), আহ্বান (আওভান), জিহ্বা (জিওভা) ইত্যাদি।

৪। প্রশ্ন : বাংলা ব্যঞ্জন ধ্বনি উচ্চারণের যেকোনো ৫টি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো।

উত্তর : ব্যঞ্জন ধ্বনি উচ্চারণের ৫টি নিয়ম তুলে ধরা হলো :

(ক) বাংলা ভাষা শিক্ষার্থীকে ‘ঙ’ হরফটির নাম জানানো হয় ‘উঁয়ো’ রূপে। কিন্তু এর প্রাচীন নাম বা পরিচিতি যাই হোক, আধুনিক বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত এ বর্ণটি কখনো ‘উঁয়ো’ রূপে উচ্চারিত হয় না, হয় ‘অঙ’ রূপে। যেমন—রঙ, ঢঙ, সঙ, রাঙা, সঙিন, কঙ্কন ইত্যাদি।

(খ) ‘ঞ’ সাধারণ ‘চ’ বর্গের (চ, ছ, জ, ঝ) চারটি বর্ণের পূর্বে যুক্তাবস্থায় ব্যবহৃত হয়, তবে ক্ষেত্রবিশেষ ‘চ’ এর পরে বসে বাংলা উচ্চারণে ‘দন্ত্য ন’ এর মতো হয়। যেমন—পঞ্চ, লাঞ্ছিত, রঞ্জ, গঞ্জিত, ব্যঞ্জন ইত্যাদি।

(গ) য-এর পর প্রাচীন সংস্কৃত উচ্চারণ ছিল ‘ই অ’-এর মতো কিন্তু বাংলা উচ্চারণে এটি পরিষ্কার ‘জ’। এর প্রাচীন উচ্চারণের স্মারক হচ্ছে ‘য’ এর নিচে বিন্দু দিয়ে লেখা ‘য়’ আমরা যেটাকে অন্তঃস্থ ‘অ’ বলি। বাংলা ভাষায় এ দুটি বর্ণের উচ্চারণের কোনো পার্থক্য নেই। যথা—যম (জম্), জামাই (জামাই), যদি (জাদি), জগৎ (জগোত) ইত্যাদি।

(ঘ) আধুনিক বাংলা ভাষার উচ্চারণগত দিক থেকে এবং হসন্তযুক্ত ‘ঙ’ সম্পূর্ণ অভিন্ন। সংস্বকৃত ‘ং’ যে বর্ণের পরে সংযুক্ত হতো, যে স্বরবর্ণকে আংশিকভাবে সানুনাষিক করে দিত। বাংলায় ং-এর উচ্চারণ সর্বত্র ‘অঙ’ হয়। যেমন—অংশ, (অঙশো), বংশ (বঙেশা), কংস (কঙেশা) হংস (হঙ্স) ইত্যাদি।

(ঙ) ‘ঃ’ (বিসর্গ) এর উচ্চারণ ছিল অনেকটা ‘অর্ধ ‘হ’ এর মতো। বাংলায় কেবল বিস্ময়সূচক অব্যয়ের ক্ষেত্রে আমরা প্রাচীনকালের ‘ঃ’ (বিসর্গ) উচ্চারণের রেশ শুনতে পাই। যেমন—আঃ (আহ্), বাঃ (বাহ্), উঃ (উহ্), ওঃ (ওই্) ইত্যাদি।

৫। প্রশ্ন : বাংলা উচ্চারণে ‘অ’ কখন ‘ও’ রূপে উচ্চারিত হয়? উদাহরণসহ ৫টি নিয়ম লেখো।

উত্তর : বাংলা উচ্চারণে অ ও রূপে উচ্চারিত হওয়ার পাঁচটি নিয়ম হলো:

(ক) শব্দের আদ্য ‘অ’-এর পর ‘্য’ (য) ফলাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে সে ক্ষেত্রে ‘অ’-এর উচ্চারণ ‘ও’ কারের মতো হয়। যেমন—বন্যা (বোন্না), গণ্য (গোনেনা), কথ্য (কোতথো) ইত্যাদি।

(খ) একাক্ষর শব্দের প্রথম ‘অ’ এবং পরে দন্ত্য ‘ন’ থাকলে ‘ও’ কারের মতো উচ্চারণ হয়। যেমন—মন (মোন্), বন (বোন), জন (জোন্) ইত্যাদি।

(গ) তিন বা তার অধিক বর্ণে গঠিত শব্দের মধ্যে ‘অ’ ও-কাররূপে উচ্চারিত হয়। যেমন—আদর (আদোর্), বেতন (বেতোন্), ওজন (ওজোন্) ইত্যাদি।

(ঘ) ‘ত’ বা ‘ইত’ প্রত্যয়যোগে গঠিত বিশেষণ পদের শেষ ‘অ’ ধ্বনি ‘ও’ ধ্বনিতে পরিবর্তিত হয়। যেমন—উপনীত (উপোনিতো), রক্ষিত (রোকিখতো), নত (নতো) ইত্যাদি।

(ঙ) শব্দান্তে যুক্তবর্ণ থাকলে অন্তিম ‘অ’ ও-কারের মতো উচ্চারিত হয়। যেমন—ভক্ত (ভকেতা), পদ্য (পোদেদা), চিহ্ন (চিনেহা) ইত্যাদি।

৬। প্রশ্ন : উদাহরণসহ ‘ব’ ফলা উচ্চরণের পাঁচটি নিয়ম লেখো।

উত্তর : ‘ব’ ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম তুলে ধরা হলো :

(ক) আদ্য ব্যঞ্জনবর্ণে ব-ফলা সংযুক্ত হলে সে ব-ফলার কোনো উচ্চারণ হয় না। যেমন—ধ্বনি (ধোনি), স্বাধিকার (শাধিকার্), স্বদেশ (শদেশ্) স্বাগত (শোগতো) ইত্যাদি।

(খ) শব্দের মধ্যে কিংবা শেষে ব-ফলা থাকলে সংযুক্ত বর্ণের উচ্চারণদ্বিত্ব ঘটে থাকে। যেমন—বিশ্ব (বিশেশা), বিদ্বান (বিদ্দান), পক্ক (পকেকা) ইত্যাদি।

(গ) উৎ (উদ্) উপসর্গযোগে গঠিত শব্দের ‘ৎ’ (দ্)-এর সঙ্গে ব-ফলার ‘ব’ বাংলা উচ্চারণে লুপ্ত হয় না। যেমন—উদ্বেগ (উদবেগ), উদ্বোধন (উদবোধোন্), উদ্বাস্তু (উদ্বাস্তু) ইত্যাদি।

(ঘ) বাংলা শব্দে ক থেকে সন্ধির সূত্রে আগত ‘গ’-এর সঙ্গে ‘ব’ ফলা যুক্ত হলে ‘ব’-এর উচ্চারণ অপরিবর্তিত থাকবে। যেমন—দিগ্বিদিক (দিগিবদিক্), দ্বিগ্বলয় (দিগ্বলয়), দিগ্বিজয় (দিগবিজয়্) ইত্যাদি।

(ঙ) ‘ব’ অথবা ‘ম’-এর সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ‘ব’-এর উচ্চারণ অবিকৃত থাকে। যেমন—বাব্বা (বাব্বা), সাব্বাশ (শাব্বাশ্), লম্ব (লমবো) ইত্যাদি।

৭। প্রশ্ন : য-ফলা, র-ফলা, ল-ফলা উচ্চারণের মোট ৫টি নিয়ম লেখো।

উত্তর : য-ফলা, র-ফলা, ল-ফলা উচ্চারণের ৫টি নিয়ম তুলে ধরা হলো :

(ক) আদ্যবর্ণে য-ফলা যুক্ত হলে বর্ণটি অ-কারান্ত বা আ-কারান্ত হলে উচ্চারণ ‘অ্যা’ কারান্ত হয়ে যায়। যেমন—ব্যথা (ব্যাথা), ন্যায় (ন্যায়্) ইত্যাদি।

(খ) পদের মধ্যে কিংবা অন্ত্যে যুক্ত-ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে য-ফলা সংযুক্ত হলে সাধারণত তার কোনো উচ্চারণ হয় না। যেমন—সন্ধ্যা (শোন্ধা), স্বাস্থ্য (শাসথো), কণ্ঠ্য (কনঠো) ইত্যাদি।

(গ) পদের আদ্য ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে র-ফলা সংযুক্ত হলে তার উচ্চারণ ও-কারান্ত হয়ে থাকে। যেমন—প্রকাশ (প্রোকাশ্), গ্রহ (গ্রোহো), ব্রত (ব্রোতো) ইত্যাদি।

(ঘ) র-ফলা যদি পদের মধ্যে কিংবা অন্ত্যে ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে সংযুক্ত হয়, তবে সে বর্ণটির দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়ে থাকে। যেমন—রাত্রি (রাতত্রি), ছাত্র (ছাতেত্রা), মাত্র (মাতেত্রা) ইত্যাদি।

(ঙ) ল-ফলা শব্দের মধ্যে বা অন্তে বসলে তার র-ফলার মতো দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন—অশ্লীল (অসিস্লল), শ্লেষ (স্লেশ), শ্লথ (স্লোথো) ইত্যাদি।

৮। প্রশ্ন : উদাহরণসহ ‘ক্ষ’ ও ‘ঞ্জ’ উচ্চারণের নিয়ম লেখো।

উত্তর : ‘ক্ষ’ ও ‘ঞ্জ’ উচ্চারণের নিয়ম তুলে ধরা হলো :

(ক) শব্দের প্রথমে ‘ক্ষ’ থাকলে তার উচ্চারণ হয় ‘খ’। যেমন—ক্ষমা (খমা), ক্ষণ (খন্) ইত্যাদি।

(খ) শব্দের মাঝে বা শেষে ‘ক্ষ’-এর উচ্চারণ ‘ক্খ’ হয়ে থাকে। যেমন—দক্ষতা (দোকখোতা), পক্ষ (পোকখো)।

(গ) শব্দের মাঝে ‘জ্ঞ’-এর উচ্চারণ গ্যঁ-এর (গ) মতো হয়। যেমন—জ্ঞান (গ্যাঁন্), জ্ঞাপক (গ্যাঁপোক্) ইত্যাদি।

(ঘ) শব্দের আদিতে ‘জ্ঞ’-এর উচ্চারণ গঁ বা গ্যঁ-এর মতো হবে। যেমন—জ্ঞাপন (গ্যাঁপোন্), অজ্ঞান (অগ্গ্যাঁন্), বিজ্ঞপ্তি (বিগগোঁপিত) ইত্যাদি।

(ঙ) শব্দের অন্তে ‘জ্ঞ’ থাকলে উচ্চারণ গঁ, বা গোঁ-এর মতো হবে। যেমন—অবজ্ঞা (অবোগ্গাঁ), অজ্ঞ (অগগোঁ), বিজ্ঞ (বিগেগাঁ) ইত্যাদি।

৯। প্রশ্ন : শব্দের শেষে কোন কোন ক্ষেত্রে ‘অ’-উচ্চারণ লোপ পায় না? উদাহরণসহ ৫টি নিয়ম লেখো।

উত্তর : কথ্য বাংলায় শব্দের শেষের অ ধ্বনি সাধারণত লোপ পায়। তবে এমন কিছু বিশেষ ক্ষেত্র আছে যেখানে অন্ত্য অ-ধ্বনি লোপ পায় না এবং সংবৃত উচ্চারণ হয়। এগুলো হলো :

(ক) শেষ ব্যঞ্জনের অব্যবহিত আগে অনুস্বার বা বিসর্গ থাকলে : ধ্বংস, বংশ, মাংস, দুঃখ ইত্যাদি।

(খ) শব্দটি ত বা ইত প্রত্যায়ান্ত হলে : গত, শত, নন্দিত, লজ্জিত পুলকিত ইত্যাদি।

(গ) শব্দটি তুলনাবাচক তর, তম প্রত্যায়ান্ত হলে : বৃহত্তর, মহত্তর, বৃহত্তম, মহত্তম ইত্যাদি।

(ঘ) ঈয় বা অনয় প্রত্যায়ান্ত শব্দে : পানীয়, নমনীয়, দেশীয় ভারতীয় ইত্যাদি।

(ঙ) শব্দের শেষ ব্যঞ্জনটি হ হলে  কলহ, দেহ, দাহ, প্রবাহ, মোহ, স্নেহ, লৌহ ইত্যাদি।

১০। প্রশ্ন : অনুস্বার (ং) বিসর্গ (ঃ) ও চন্দ্রবিন্দু ( ঁ) এর উচ্চারণের নিয়ম উদাহরণসহ লেখো।

উত্তর : অনুস্বার, বিসর্গ ও চন্দ্রবিন্দু নিয়ম উদাহরণসহ আলোচনা করা হলো-

ং (অনুস্ব্বার) : আধুনিক বাংলা ভাষায় উচ্চারণগত দিক থেকে ‘ং’ (অনুস্বার) এবং হসন্তযুক্ত ‘ঙ’ সম্পূর্ণ অভিন্ন। ং-কার উচ্চারণ সর্বত্র ‘অঙ’ হয়। যেমন—অংশ (অংশো), মাংস (মাঙশো), বাংলা (বাঙলা), সংগ্রাম (সঙগ্রাম), সংজ্ঞা (সঙ্গগাঁ) ইত্যাদি।

ঃ (বিগর্স) : সংস্কৃতে বিসর্গের উচ্চারণ ছিল অনেকটা অর্ধ হ-এর মতো। বাংলায় আবেগ শব্দ অর্থাৎ বিস্ময়সূচক অব্যয়ের ক্ষেত্রে বিগর্স ব্যবহৃত হয়। যেমন—উঃ (উহ্), আঃ (আহ্), বাঃ (বাহ্) ইত্যাদি। কিন্তু শব্দের মাঝে বিসর্গ (ঃ) থাকলে ‘অ’-এর উচ্চারণ ‘ও’ এর উচ্চারণ ‘ও’ এর মতো হয়। যেমন—অতঃপর (অতোপপর), নিঃশেষ (নিশশেশ্), দুঃখ, (দুকখো), নিঃসঙ্গ (নিশ্শঙগো) ইত্যাদি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অষ্টম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
অষ্টম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ। ছবি : মোহাম্মদ আসাদ

পঞ্চম অধ্যায় : বাংলাদেশ : রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থা

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১।        বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার একটি মূলনীতি লেখো।

  উত্তর : বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার একটি মূলনীতি হলো জাতীয়তাবাদ।

২।

       বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামো কয় স্তরবিশিষ্ট?

  উত্তর : বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামো তিন স্তরবিশিষ্ট।

৩।        বাংলাদেশ সরকারের কয়টি বিভাগ রয়েছে?

  উত্তর : বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগ রয়েছে।

৪।

       রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে সরকারকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?

  উত্তর : রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে সরকারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

৫।        বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় কখন?

  উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যকর হয়।

১৬।

       বাংলাদেশের উপজেলা পরিষদের সংখ্যা কয়টি?

  উত্তর : বাংলাদেশে উপজেলা পরিষদের সংখ্যা ৪৯৫টি।

৭।        গ্রেট ব্রিটেনের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখার শাসনব্যবস্থার নাম কী?

  উত্তর : গ্রেট ব্রিটেনের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখার শাসনব্যবস্থার নাম হলো নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র।

৮।        বাংলাদেশের আইনসভার নাম কী?

  উত্তর : বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ।

৯।        রাষ্ট্রের অপরিহার্য উপাদান কয়টি?

  উত্তর : রাষ্ট্রের অপরিহার্য উপাদান চারটি। যথা—

i. জনসমষ্টি, ii. নির্দিষ্ট ভূখণ্ড,
iii. সরকার ও iv. সার্বভৌমত্ব।

১০।       বাংলাদেশের সংবিধান কত তারিখে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পায়?

  উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পায়।

১১।       রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি কী?

  উত্তর : রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি সরকার।

১২।       বর্তমানে দেশে কতটি ইউনিয়ন পরিষদ আছে?

  উত্তর : বর্তমানে দেশে ৪,৫৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদ আছে।

১৩।       রাষ্ট্র কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান?

  উত্তর : রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।

১৪।       এককেন্দ্রিক সরকার কাকে বলে?

  উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় কেন্দ্রের হাতে ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে তাকে এককেন্দ্রিক সরকার বলে।

১৫।       বিচার বিভাগ কী?

  উত্তর : সরকারের যে অঙ্গ বা বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান ও আইন অনুযায়ী বিচারকাজ পরিচালনা করে থাকে তা-ই বিচার বিভাগ।

১৬।       সংবিধান কী?

  উত্তর : সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল।

১৭।       সমাজতন্ত্র কী?

  উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় উৎপাদনের সকল উপাদান (ভূমি, শ্রম, মূলধন ও ব্যবস্থাপনা) রাষ্ট্রীয় মালিকানায় থাকে, তা-ই সমাজতন্ত্র।

১৮। স্থানীয় সরকার কাকে বলে?

  উত্তর : স্থানীয় সরকার হলো স্থানীয় পর্যায়ে শাসন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারব্যবস্থা।

১৯।       বাংলাদেশের সংবিধানে কয়টি অনুচ্ছেদ আছে?

  উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।

২০।       রাজতন্ত্র কাকে বলে?

  উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধান উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমতা লাভ করেন তাকে রাজতন্ত্র বলে।

২১।       গণতন্ত্র কাকে বলে?

  উত্তর : যে রাষ্ট্র বা সরকারব্যবস্থা সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে এবং জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস তাকে গণতন্ত্র বলে।

২২।       সুশাসন কী?

  উত্তর : যে সরকার দেশ পরিচালনায় সাংবিধানিক এবং আইনগত বিধিমালার অধীনে থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে, নাগরিক অধিকার রক্ষায় ও জনকল্যাণে সবচেয়ে বেশি সফলতার পরিচয় দেয়, তা-ই সুশাসন।

২৩।       রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল হলো কী?

  উত্তর : রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল হলো সংবিধান।

২৪।       কতজন সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত?

  উত্তর : ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত।

২৫।       একনায়কতন্ত্রে কার দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়?

  উত্তর : একনায়কতন্ত্রে একনায়ক বা এক দলের ইচ্ছা-অনিচ্ছা দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়।

২৬।       বাংলাদেশে কয়টি মহানগর রয়েছে?

  উত্তর : বাংলাদেশে ১২টি মহানগর রয়েছে।

২৭।       বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি কয়টি?

  উত্তর : বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি চারটি। যথা—জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।

২৮।       বাংলাদেশের সংবিধানে প্রস্তাবনা কয়টি?

  উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানে প্রস্তাবনা একটি।

২৯।       কত শতাংশ সংসদ সদস্যের ভোটে সংবিধান সংশোধন করা যায়?

  উত্তর : দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের ভোটে সংবিধান সংশোধন করা যায়।

৩০। গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর কী?

  উত্তর : গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ।

৩১।       রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি কোনটি?

  উত্তর : রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে সরকার।

৩২।       রাষ্ট্র পরিচালনার সব কাজ কার মাধ্যমে সাধিত হয়?

  উত্তর : রাষ্ট্র পরিচালনার সব কাজ সরকারের মাধ্যমে সাধিত হয়।

 

 

 

মন্তব্য

পঞ্চম শ্রেণি : আমার বাংলা বই

    সোনিয়া আক্তার, সহকারী শিক্ষক, ধামদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : আমার বাংলা বই
মাটির হাঁড়িতে রং করা হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

শখের মৃৎশিল্প

► অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

          আমরা দুটি শখের হাঁড়ি কিনলাম। অবাক হলাম, পুতুলের পাশেই ঘোলা চোখে চেয়ে আছে এক চকচকে রুপালি ইলিশ। পদ্মার তাজা ইলিশের মতোই। তেমনি সাদা আঁশ, লাল ঠোঁট।

আমরা একটি মাটির ইলিশও কিনলাম। মামা বললেন, ওই যে পুতুলগুলো দেখছ ওগুলো টেপা পুতুল। নরম এঁটেল মাটি টিপে টিপে এসব পুতুল বানানো হয়। যেমন—বর-কনে, কৃষক, নথ পরা ছোট্ট মেয়ে, নানা রকমের মাটির টেপা পুতুল।
মেলার এক প্রান্তে বড় জায়গাজুড়ে এসব মাটির পুতুলের দোকান। মামা বললেন, এগুলো হচ্ছে মাটির শিল্পকলা। মামা বুঝিয়ে বললেন, যখন কোনো কিছু সুন্দর করে আঁকি বা বানাই অথবা গাই, তখন তা হয় শিল্প। শিল্পের এ কাজকে বলে শিল্পকলা।
আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প হচ্ছে মাটির শিল্প। এ দেশের কুমার সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে মাটির জিনিস। যেমন—কলস, হাঁড়ি, সরা, বাসন-কোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠে তৈরির নানা ছাঁচ। আরো কত কী!

১।       সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ :

i. অনুচ্ছেদটিতে কী সম্পর্কে বলা হয়েছে?

  ক. বাংলাদেশের প্রকৃতি   
খ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ                                 

          গ. বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শন            
ঘ. মৃৎশিল্প

ii. টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা হয়, তাকে কী বলে?

          ক. শখের হাঁড়ি     খ. টেপা পুতুল             
গ. রুপালি ইলিশ   ঘ. মৃৎশিল্প

iii.        মাটি দিয়ে যেসকল জিনিসপত্র তৈরি করা হয় সেগুলোকে কী বলে?               

          ক. মাটির শিল্প     খ. বেতের শিল্প               
গ. চামড়াশিল্প          ঘ. কাসাশিল্প

iv.        নিচের কোনটি আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প?                                          

          ক. বাঁশশিল্প   খ. মাটির শিল্প             
গ. বেতের শিল্প        ঘ. চামড়াশিল্প                      

v. আমাদের দেশে কারা এই মাটির জিনিসপত্র যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে?   

     ক. জেলে সম্প্রদায়    খ. বেদে সম্প্রদায়          

     গ. কুমার সম্প্রদায়   
ঘ. তাঁতি সম্প্রদায়

  উত্তর : i. ঘ. মৃৎশিল্প
ii. খ. টেপা পুতুল
iii. ক. মাটির শিল্প
iv. খ. মাটির শিল্প   
v. গ. কুমার সম্প্রদায়                              

২।

      নিচের শব্দগুলোর ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ :

         কিনিলাম, বলিলেন, দেখিলাম, যাইব, আসিয়াছে

  উত্তর
সাধু রূপ চলিত রূপ

  কিনিলাম কিনলাম
বলিলেন  বললেন
দেখিলাম দেখলাম
যাইব   যাব
আসিয়াছে আসছে

৩।       নিচের শব্দের অর্থগুলো লেখ :

          শখ, টেপা পুতুল, মাটির শিল্প, প্রাচীন, কুমার।

  উত্তর

  প্রদত্ত শব্দ অর্থ

  শখ     মনের ইচ্ছা।

  মাটির শিল্প   মাটির তৈরি শিল্পকর্ম বা মৃৎশিল্প।

  টেপা পুতুল টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা            হয়।

         প্রাচীন     পুরাতন।

         কুমার যারা মাটি দিয়ে নানা জিনিসপত্র              তৈরি করেন।

৪।       নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :

          ক. শখের হাঁড়ি কাকে বলে?

  উত্তর : মাটির তৈরি একটি শিল্পকর্ম হলো শখের হাঁড়ি। শখ করে পছন্দের জিনিস যে সুন্দর হাঁড়িতে রাখা হয়, তাকে শখের হাঁড়ি বলে।

  খ. টেপা পুতুল কাকে বলে?

  উত্তর : মাটির তৈরি এক ধরনের পুতুল হলো টেপা পুতুল। নরম এঁটেল মাটি টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা হয় তাকে টেপা পুতুল বলে।

          গ. বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পকর্ম কোনটি? এ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্যে লেখ।

          উত্তর : বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্পকর্মের নাম মৃৎশিল্প। আমাদের দেশের প্রাচীন শিল্পগুলোর মধ্যে মাটির শিল্প অন্যতম। এ দেশের কুমার সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে এসব মাটির জিনিস। যেমন—কলস, হাঁড়ি, সরা, বাসন-কোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠে তৈরির নানা ছাঁচ। আরো কত কী!               

 

মন্তব্য

সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

    মোছা. সুমি বেগম, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, খিলগাঁও, ঢাকা
শেয়ার
সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

  ‘পাখি’, ‘পিতৃপুরুষের গল্প’, ‘ছবির রং’, ‘সেই ছেলেটি’ ও ‘বহু জাতিসত্তার দেশ—বাংলাদেশ’ গদ্যাংশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন দেওয়া হলো—

১।        ‘পাখি’ গল্পটি কার লেখা?

  উত্তর : পাখি গল্পটি লীলা মজুমদারের লেখা।

২।        গল্পের কুমু অসুস্থ হলে কারা চিন্তায় পড়ে?

  উত্তর : কুমু অসুস্থ হলে তার পরিবার চিন্তায় পড়ে।

৩।        ‘হলদে পাখির পালক’ গ্রন্থটি কার লেখা?

  উত্তর : হলদে পাখির পালক গ্রন্থটি লীলা মজুমদারের লেখা।

৪।        ‘আঁচড়ে-পাঁচড়ে’ শব্দটির অর্থ কী?

  উত্তর : ‘আঁচড়ে-পাঁচড়ে’ শব্দটির অর্থ হলো অনেক চেষ্টা করে।

৫।        পাখি গল্প পাঠের উদ্দেশ্য কী?

  উত্তর : পাখি গল্পের পাঠের উদ্দেশ্য হলো প্রাণীদের প্রতি শিক্ষার্থীদের মমত্ববোধ জাগিয়ে তোলা।

৬।        সোনাঝুরিতে কত মাস থাকবে কুমু?

  উত্তর : সোনাঝুরিতে তিন মাস থাকবে কুমু।

৭।        দিদিমার বাড়িটি কেমন?

  উত্তর : দিদিমার বাড়ি দোতলা।

৮।        বিলের জল কেমন?

  উত্তর : বিলের জল সাদা চকচকে।

৯।

       লাটুর মতে, শিকারিদের মজা কিসে?

  উত্তর : লাটুর মতে শিকারিদের অনেক মজা, তারা বুনোহাঁস শিকার করতে পারে।

১০।       বিদেশি পাখি কখন বাংলাদেশে আসে?

  উত্তর : বিদেশি পাখি শীতকালে বাংলাদেশে আসে।

১১।       অসুস্থ পাখিটাকে দেখে কুমুর গলার ভেতর  কেমন করতে থাকে?

  উত্তর : অসুস্থ পাখিটাকে দেখে কুমুর গলার ভেতরে টনটন করতে থাকে।

১২।       ‘আমিও যে পাখি ভালোবাসি’—কে বলেছিল?

  উত্তর : ‘আমিও যে পাখি ভালোবাসি’—কথাটি বলেছিল দিম্মা।

১৩।       হাঁসেরা কোথায় গিয়ে নামল?

  উত্তর : হাঁসেরা বিলের জলে গিয়ে নামল।

১৪।        ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ গল্পটিতে অন্তুর মামার নাম কী?

  উত্তর : অন্তুর মামার নাম কাজল।

১৫।       ঢাকা শহরের আগের নাম কী?

  উত্তর : ঢাকা শহরের আগের নাম জাহাঙ্গীরনগর।

১৬।       কাজল কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত?

  উত্তর : কাজল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত।

১৭।       ‘ছবির রং’ লেখাটি কার?

  উত্তর : ছবির রং লেখাটি হাশেম খানের।

১৮।       মৌলিক রং কোনগুলো?

  উত্তর : লাল, হলুদ ও নীল এই তিনটিই হলো মৌলিক রং।

১৯।       কদম ফুল কোন ঋতুতে ফোটে?

  উত্তর : কদম ফুল বর্ষাকালে ফোটে।

২০।       সবুজ ধানক্ষেত হলুদ হতে শুরু করে কখন?

  উত্তর : কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে সবুজ ধানক্ষেত হলুদ হতে শুরু করে।

২১।       বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীরা কেমন?

  উত্তর : বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীরা অনেক মুক্ত, সহজ ও সাহসী।

২২।       বাহার শব্দের অর্থ কী?

  উত্তর : বাহার শব্দের অর্থ হলো সৌন্দর্য বা শোভা।

২৩।       চাষিরা কোন মাসে দল বেঁধে ফসল কাটে?

  উত্তর : অগ্রহায়ণ মাসে চাষিরা দল বেঁধে ফসল কাটে।

২৪।       ‘সেই ছেলেটি’ কোন ধরনের রচনা?

  উত্তর : সেই ছেলেটি একটি নাটিকা।

২৫।       নাটিকাটিতে দৃশ্য কয়টি?

  উত্তর : নাটিকাটিতে মাত্র তিনটি দৃশ্য।

২৬।       প্রাবন্ধিক এ কে শেরামের বাড়ি কোথায়?

  উত্তর : প্রাবন্ধিক এ কে শেরামের বাড়ি হবিগঞ্জ।

 

মন্তব্য

এইচএসসির প্রস্তুতি : হিসাববিজ্ঞান প্রথম পত্র

    মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা
শেয়ার
এইচএসসির প্রস্তুতি : হিসাববিজ্ঞান প্রথম পত্র
অঙ্কন : শেখ মানিক

মডেল প্রশ্ন

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১। নিচের কোন হিসাবটি চলতি সম্পদ?

  ক. পুঞ্জীভূত অবচয়  খ. নগদান হিসাব

  গ. ১০% বিনিয়োগ   ঘ. কলকবজা

২। মেশিন সংস্থাপনের জন্য ৫,০০০ টাকা মজুরি প্রদত্ত হলে ডেবিট হবে

  ক. মেরামত হিসাব  খ. মজুরি হিসাব

  গ. রক্ষণাবেক্ষণ হিসাব   
ঘ. যন্ত্রপাতি হিসাব

  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  পদ্মা কম্পানির ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতির অবচয়যোগ্য মূল্য ১,৮০,০০০ টাকা এবং ভগ্নাবশেষ মূল্য ২০,০০০ টাকা। অবচয়ের হার ১০%।

প্রথম বছরের বার্ষিক অবচয় ২০,০০০ টাকা।

৩। পদ্মা কম্পানির ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতির ক্রয়মূল্য কত?

  ক. ১,৬০,০০০ টাকা খ. ১,৮০,০০০ টাকা

  গ. ২,০০,০০০ টাকা ঘ. ২,২০,০০০ টাকা

৪। পদ্মা কম্পানি কোন পদ্ধতিতে অবচয় ধার্য করে?

  ক. সরলরৈখিক পদ্ধতি    
খ. ক্রমহ্রাসমান জের পদ্ধতি

  গ. উৎপাদন একক পদ্ধতি
ঘ. বর্ষসংখ্যার সমষ্টি পদ্ধতি

৫।

আয় বিবরণীতে নিচের কোনটি দেখানো হয়?

  ক. অগ্রিম খরচ     খ. প্রদত্ত খরচ

  গ. প্রদেয় খরচ     ঘ. প্রাপ্য আয়

৬। মাহিম ট্রেডার্সের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে ঋণের পরিমাণ ৭০,০০০ টাকা, যার ২০,০০০ টাকা পরবর্তী বছরে পরিশোধ করতে হবে। মাহিম ট্রেডার্সের দীর্ঘমেয়াদি দায়ের পরিমাণ কত?

  ক. ২০,০০০ টাকা  খ. ৫০,০০০ টাকা

  গ. ৭০,০০০ টাকা ঘ. ৯০,০০০ টাকা

৭। ২০,০০০ টাকা বিজ্ঞাপন খরচের ৩৫ অংশ অবলোপন করা হলে বিলম্বিত বিজ্ঞাপন ব্যয় কত হবে?

  ক. ৪,০০০ টাকা   খ. ৮,০০০ টাকা

  গ. ১২,০০০ টাকা ঘ. ১৬,০০০ টাকা

৮।

সম্পত্তি, দায় ও মূলধনের মধ্যে সম্পর্ক প্রকাশ করে

  ক. ডেবিট এবং ক্রেডিট   
খ. দ্বৈত সত্তা গ. উদ্বৃত্তপত্র
ঘ. হিসাব সমীকরণ

৯। হিসাববিজ্ঞানের মূল ভিত্তি কী?

  ক. চালান খ. ক্যাশ মেমো

  গ. লেনদেন   ঘ. ভাউচার

১০।       অবচয় একটি

  ক. দৃশ্যমান ব্যয়    খ. অদৃশ্যমান ব্যয়

  গ. কাল্পনিক ব্যয়   ঘ. নগদ ব্যয়

১১।       আকিবের নিকট নগদে মাল বিক্রয় ২৫,০০০ টাকা। এ লেনদেনটির জন্য ব্যবহূত প্রামাণ্য দলিল

  i. ক্যাশ মেমো           ii. ক্রেডিট নোট

  iii. ক্রেডিট ভাউচার

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iiii  খ. iii 
গ.
iiiii  ঘ. i, iiiii

১২।

       মালিকানা স্বত্ব হ্রাসের কারণ হচ্ছে

  ক. উত্তোলন ও নগদ কমে যাওয়া  
খ. উত্তোলন ও খরচ বেড়ে যাওয়া

  গ. খরচ ও দায় কমে যাওয়া      
ঘ. খরচ ও দায় বেড়ে যাওয়া

১৩।       ক্রয় জাবেদায় কোন ধরনের লেনদেন লেখা হয়?

  ক. সম্পদ ক্রয় খ. চেকে ক্রয়

  গ. নগদে ক্রয় ঘ. ধারে ক্রয়

১৪।       কোন সম্পর্কটি সঠিক?

  ক. ক্রয় বাট্টা ও প্রদেয় হিসাব   
খ. ক্রয় বাট্টা ও প্রাপ্য হিসাব

  গ. ক্রয় বাট্টা ও বিক্রয় বাট্টা
ঘ. বিক্রয় বাট্টা ও প্রদেয় হিসাব

১৫।       প্রাপ্য হিসাব প্রভাবিত হবে এমন লেনদেন

  i. ধারে বিক্রয়
ii. বিক্রয় ফেরত

  iii. প্রাপ্য হিসাব আদায়  
নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiiii 
গ.
iiii  ঘ. i, iiiii

১৬।       মাসের শুরুতে পেটি ক্যাশিয়ারের হাতে নগদ ছিল ২০০ টাকা। এ মাসে পেয়েছেন ৮০০ টাকা। তার অগ্রদত্ত টাকার পরিমাণ কত?

  ক. ১,০০০ টাকা   খ. ৮০০ টাকা

  গ. ৬০০ টাকা ঘ. ২০০ টাকা

  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১৭ ও ১৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  জনাব অরন্য একজন ব্যবসায়ী। তিনি জনাব সুমনের নিকট ৪০,০০০ টাকার পণ্য ৫% বাট্টায় বিক্রয় করে নগদ ১০,০০০ টাকা এবং ২০,০০০ টাকার একটি চেক পেলেন। পরবর্তীতে তিনি জনাব সুমনকে ২০০ টাকা বাট্টা প্রদান করে অবশিষ্ট অর্থ নগদে গ্রহণ করেন।

১৭।       ধারে বিক্রয়ের পরিমাণ কত?

  ক. ৮,০০০ টাকা   খ. ১০,০০০ টাকা

  গ. ২৮,০০০ টাকা ঘ. ৩০,০০০ টাকা

১৮।       বাট্টা প্রদানের ফলে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণীতে

  i. ব্যয় বৃদ্ধি ১,২০০ টাকা, সম্পদ হ্রাস ২০০ টাকা

  ii. সম্পদ হ্রাস ২০০ টাকা, ব্যয় বৃদ্ধি ২০০ টাকা

  iii. নগদ বৃদ্ধি ৭,৮০০ টাকা, মালিকানা স্বত্ব হ্রাস ২০০ টাকা

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiiii 
গ.
iiii  ঘ. i, iiiii

১৯।       পর্যাপ্ত ফান্ডের অভাবে অমর্যাদাকৃত চেককে কী বলে?

  ক. বাহক চেক     খ. অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেক

  গ. দাগ কাটা চেক ঘ. এন এস এফ চেক

২০।       ব্যাংক কর্তৃক মঞ্জুরিকৃত সুদ

  i. পাশ বইতে ক্রেডিট করা হয় 
ii. পাশ বইতে ডেবিট করা হয়

  iii. নগদান বইতে ডেবিট করা হয়

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii 
গ.
iiiii  ঘ. i, iiiii

২১।       আসিফ ট্রেডার্সের ব্যাংক বিবরণী অনুযায়ী ডেবিট ব্যালেন্স ১০,০০০ টাকা। ব্যাংক বিবরণীর এ ডেবিট ব্যালেন্স আসিফ ট্রেডার্সের জন্য কী?

  ক. আয়   খ. ব্যয়

  গ. সম্পত্তি    ঘ. দায়

  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২২ ও ২৩ নম্বর  প্রশ্নের উত্তর দাও :

  যদি ১ জানুয়ারি তারিখে ব্যাংক উদ্বৃত্ত ৩০,০০০ টাকা হয়, ১০ জানুয়ারি ১০,০০০ টাকার চেক পেয়ে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয় পক্ষান্তরে ১৫ জানুয়ারি তারিখে ওই চেকটি ব্যাংক থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়।

২২।       ১৫ জানুয়ারি তারিখে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক উদ্বৃত্ত ছিল কত টাকা?

  ক. ১০,০০০ টাকা খ. ২০,০০০ টাকা

  গ. ৩০,০০০ টাকা ঘ. ৪০,০০০ টাকা

২৩।       চেকটি প্রত্যাখ্যানের কারণে

  i. প্রাপ্য হিসাব ডেবিট হবে   
ii. প্রদেয় হিসাব ক্রেডিট হবে

  iii. ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হবে

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii 
গ.
iiiii  ঘ. i, iiiii

 ২৪।      নিচের কোন হিসাব রেওয়ামিলে অন্তর্ভুক্ত হবে?

  ক. প্রারম্ভিক মজুদ, সমন্বিত ক্রয় ও শিক্ষানবিশ সেলামি

  খ. মোট মুনাফা, সমাপনী মজুদ পণ্য ও অগ্রিম বিমা

  গ. প্রারম্ভিক, মনিহারি মজুদ, অব্যবহূত মনিহারি ও প্রদেয় মজুরি

  ঘ. প্রারম্ভিক মজুদ, বিক্রীত পণ্যের ব্যয় ও উত্তোলন

২৫।       দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতির উদ্ভব কোন দেশে?

  ক. ইতালি খ. গ্রিস

  গ. ইংল্যান্ড   ঘ. ফ্রান্স

  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২৬ ও ২৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  জনাব রাহাত একজন আসবাবপত্র ব্যবসায়ী। তিনি ৩,০০,০০০ টাকার আসবাবপত্র ১০% বাট্টায় স্টার ফার্নিচার এর নিকট থেকে ক্রয় করে ভুলবশত আসবাবপত্র হিসাব ডেবিট করেন। তিনি ৩,০০০ টাকা মূল্যের একটি টেবিল ব্যবসায় ব্যবহারের জন্য গ্রহণ করেন এবং ক্রয়কৃত পণ্যের অর্ধাংশ ১,৫০,০০০ টাকায় বিক্রয় করেন, যার পরিবহন ব্যয় ৬০০ টাকা নির্বাহ করা হয়।

২৬।       জনাব রাহাতের হিসাব সংরক্ষণে কোন ধরনের ভুল সংঘটিত হয়েছে?

  ক. করণিক ভুল খ. নীতিগত ভুল

  গ. পরিপূরক ভুল    ঘ. বাদ পড়ার ভুল

২৭।       লেনদেনের জন্য প্রতিষ্ঠানের নিট মুনাফা কত হবে?

  ক. ১১,৪০০ টাকা খ. ১২,০০০ টাকা

  গ. ১৪,৪০০ টাকা ঘ. ১৫,০০০ টাকা

২৮।       কোনটি হিসাব সংরক্ষণের কোনো স্থায়ী রেকর্ড নয়?

  ক. নগদান বই খ. খতিয়ান

  গ. আর্থিক বিবরণী   ঘ. কার্যপত্র

২৯।       সমাপনী দাখিলা দ্বারা

  i. নামিক হিসাব বন্ধ করা হয়  
ii. উত্তোলনকে মূলধনে সমন্বয় করা হয়

  iii. চলতি সম্পদ হিসাব বন্ধ করা হয়

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiiii 
গ.
iiii  ঘ. i, iiiii

৩০।       বকেয়া খরচ সমন্বয় করা না হলে

  ক. মুনাফা বেশি ও খরচ কম দেখানো হবে

  খ. খরচ কম ও মুনাফা কম দেখানো হবে

  গ. মুনাফা কম ও খরচ বেশি দেখানো হবে

  ঘ. খরচ বেশি ও মুনাফা বেশি দেখানো হবে।

 

  উত্তর : ১. খ ২. ঘ ৩. গ ৪. খ ৫. খ ৬. খ
৭. খ ৮. ঘ ৯. গ ১০. খ ১১. ক ১২. খ ১৩. ঘ ১৪. ক ১৫. ঘ ১৬. ক ১৭. ক ১৮. খ ১৯. ঘ
২০. খ ২১. ঘ ২২. ঘ ২৩. গ ২৪. খ ২৫. ক ২৬. খ ২৭. গ ২৮. ঘ ২৯. ক ৩০. ক।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ