ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭

নবম-দশম শ্রেণি : বাংলা দ্বিতীয় পত্র

  • অনুচ্ছেদ
মো. সুজাউদ দৌলা, প্রভাষক,রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, উত্তরা, ঢাকা
মো. সুজাউদ দৌলা, প্রভাষক,রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, উত্তরা, ঢাকা
শেয়ার
নবম-দশম শ্রেণি : বাংলা দ্বিতীয় পত্র

বইমেলা

বই মানব সভ্যতার অন্যতম প্রাণসত্তা। বই মানুষকে পূর্ণতা দেয়; জীবনকে করে সমৃদ্ধ। বইমেলা প্রত্যেক জাতির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। মানুষের মধ্যে বই সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি, বই পাঠের ব্যাপক প্রসার, মননশীলতা বৃদ্ধিতে বইমেলা অর্থবহ ভূমিকা পালন করে থাকে।

বিশ্ব ইতিহাসে ১৮০২ সালে ম্যাথু কেরির উদ্যোগে প্রথম বইমেলার আসর বসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে। ১৮৭৫ সালে প্রায় ১০০ জন প্রকাশক মিলে নিউ ইয়র্কের ক্লিনটন শহরে আয়োজন করে বৃহৎ এক বইমেলার। ওই মেলায় প্রদর্শিত হয়েছিল প্রায় ৩০ হাজার বই। ১৯৪৯ সালে শুরু হয় জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে বৃহৎ বইমেলা।
সেখান থেকেই আধুনিক বইমেলার স্মরণীয় শুভযাত্রা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশে দেশে বইমেলা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই আন্তর্জাতিক মানের বইমেলার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের বইমেলার ইতিহাস খুব দীর্ঘ নয়।
১৯৭২ সালে মুক্তধারা প্রকাশনীর কর্ণধার চিত্তরঞ্জন সাহা নিজের উদ্যোগে প্রথম বইমেলার আয়োজন করেন। ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি পূর্ণাঙ্গ প্রাতিষ্ঠানিক বইমেলার আয়োজন করে। ১৯৮৫ সাল থেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বইমেলার নাম দেওয়া হয় ‘একুশে বইমেলা’। এই মেলা এখন বাঙালির প্রাণের মেলায় পরিণত হয়েছে। লেখক, প্রকাশক ও লাখ লাখ পাঠক এ মেলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে।
প্রতিবছর ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে এই বইমেলা। বইমেলা নিছক একটি আনন্দমেলা নয়, এ মেলা লেখক-লেখিকা ও প্রকাশক-বিক্রেতার মধ্যে অভূতপূর্ব সেতুবন্ধন ঘটায়। কবি, কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক ইত্যাকার মননশীল মানুষ তৈরিতেও বইমেলার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এ মেলায়ই মিলন ঘটে লেখক, পাঠকের, প্রকাশক-লেখকের। বইমেলার উৎসবে যোগ দিয়ে পাঠক পরিচিত হয় নিত্যনতুন বইয়ের সঙ্গে। বিচিত্র লেখকের, বিচিত্র বর্ণের, বিচিত্র বিষয়ের উন্নতমানের বই মন কেড়ে নেয় পাঠকদের। বইয়ের প্রতি তাদের আকর্ষণ বাড়ে; তৈরি হয় বই কেনার মানসিকতা। সর্বসাধারণকে পাঠমুখী করা ও মননশীল জাতি গঠনের ক্ষেত্রে বইমেলার গুরুত্ব অপরিসীম।

 

ফেসবুক

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের নাম ফেসবুক বা www.facebook.com । যোগাযোগ ব্যবস্থার এই সাইট প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। তবে ২০০৩ সালে মার্ক জাকারবার্গ কর্তৃক নির্মিত ফেসমাস নামের সাইটটির উত্তরসূরি হিসেবেই ফেসবুকের জন্ম। ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষ সহজেই পরিচিতজনের সঙ্গে আন্তঃযোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। ফেসবুকের বর্তমান নির্বাহী মস্কোভিতস এবং ক্রিস হিউজেস। ফেসবুকে কোনো রকম খরচ ছাড়াই সদস্য হওয়া যায়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফেসবুকের সঙ্গে সংযুক্ত অন্য পরিচিত মানুষদের বন্ধু হিসেবে সংযোজন করতে পারে, নানা রকম বার্তা ও মন্তব্য প্রদান করতে পারে, বন্ধুদের সম্পর্কে জানতে পারে এবং ব্যবহারকারী তার ব্যক্তিগত তথ্যাবলি বিনিময় ও আলাপ সেরে নিতে পারে। উন্নত সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে ২০০৮ সালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ চ্যাটিং সিস্টেম চালু করে। ফেসবুকের মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চলভিত্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারে। বর্তমানে এই সুবিধা ব্যবহার করে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডও পরিচালিত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মিসরের তাহরির স্কয়ারে সরকার পতনের আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল ফেসবুকের মাধ্যমে, এমনকি বাংলাদেশের ব্লগারদের দ্বারা পরিচালিত যুদ্ধাপরাধীর বিচার দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনেও ফেসবুকের সহায়ক ভূমিকা রয়েছে। তবে ফেসবুক যেমন সামাজিক হৃদ্যতা বাড়ায়, তেমনি অনেকাংশে মানসিক অস্থিরতাও বাড়ায়। এর মাধ্যমে সাইবার অপরাধও সংঘটিত হয়ে থাকে। ইদানীং ফেসবুক ব্যবহার তরুণদের নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে অনেকের। তবু বলতে হয়, কিছু কিছু সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তথ্যপ্রযুক্তির এই সময়ে ফেসবুকের অবদান অপরিসীম।

 

হরতাল

‘হরতাল’ শব্দটি গুজরাটি, এর আভিধানিক অর্থ—বিক্ষোভ প্রকাশের জন্য দোকান ও গাড়ি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনীতিবিদদের ভাষায় ‘হরতাল’ বা ‘ধর্মঘট’ গণতন্ত্রের ভাষা হলেও এটি কেবল রাজনৈতিক পরিমণ্ডলেই সীমাবদ্ধ নয়। কথা বলার অধিকার ও শ্রমের বিনিময়ে আর্থিক পাওনা ন্যায্যভাবে আদায় করার বিশেষ পদ্ধতি বা প্রক্রিয়াই হরতাল। পৃথিবীর কোথায় সর্বপ্রথম হরতাল পালন শুরু হয়, তার সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও ১৮২৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার গৃহনির্মাণ শ্রমিকরা কাজের সময় কমিয়ে ১০ ঘণ্টা করার দাবিতে যে আন্দোলন ও ধর্মঘট করেছিল, তা-ই ইতিহাসে প্রথম ধর্মঘট হিসেবে স্বীকৃত। শাসকের বিরুদ্ধে শোষিতের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সংগ্রামের একটি হাতিয়ার হলো হরতাল। কল-কারখানা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের দাবি আদায়ে হরতাল পালিত হয়। গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে বিরোধী দল সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য হরতাল কর্মসূচি দিয়ে থাকে। একসময় দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনে হরতাল কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ দাবি আদায়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু বর্তমানে হরতাল নাম শুনলেই জনগণ আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। অতীত ও বর্তমানের আলোকে হরতাল কর্মসূচিতে ভালো-মন্দ দুটো দিকই পরিলক্ষিত হয়।

স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের বৈধ হাতিয়ার হলো হরতাল। কিন্তু বর্তমানে হরতাল স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। জাতির গভীর সংকট উপলব্ধিতে অক্ষম এক শ্রেণির সুবিধাভোগী রাজনৈতিক ব্যক্তি এ জন্য দায়ী।

 

মোবাইল ফোন

মোবাইল ফোন আধুনিক বিজ্ঞানের একটি বিস্ময়কর উদ্ভাবন। এটি এখন যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। এটি আবিষ্কার করেন আমেরিকার বিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্রাহাম বেল। তাঁর দুই সহকারী গবেষক ছিলেন রিচার্ড এইচ ফ্রাংকিয়েল ও জোয়েল এস অ্যাঞ্জেল। তাঁরাই পরবর্তীকালে মোবাইল ফোনের কৌশল উদ্ভাবন করেন। ১৯৭৩ সালে হাতে ধরা ছোট সেট তৈরি করে মার্টিন কুপার। পাশের ঘরে ফোন করা থেকে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই এখন মোবাইল ফোন দিয়ে যোগাযোগ করা যায়। যে এলাকাজুড়ে মোবাইল কাজ করবে, তার সবটাকে কতগুলো সেলে ভাগ করা হয়। প্রত্যেক সেলে শক্তিশালী বেতার টাওয়ার বসানো হয়। এই টাওয়ারগুলো একটি অন্যটির সঙ্গে এভাবে যোগাযোগের একটা অদৃশ্য জাল তৈরি করে। মোবাইল সেটের মধ্যে থাকে একটা ‘অ্যান্টেনা’। সারাক্ষণ তরঙ্গের মাধ্যমে সেটি টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। এভাবেই মোবাইলের মাধ্যমে একজনের কথা আরেকজনের কাছে পৌঁছে যায়।

মোবাইল ফোনের অনেক সুবিধা আছে। নেটওয়ার্কের জন্য কথা ভালো শোনা গেলে বা কথা বলতে না চাইলে টাইপ করে খুদে বার্তা (ঝগঝ) পাঠানো যায়। মোবাইল দিয়ে ছবি তোলা যায় এবং ভিডিওচিত্র ধারণ করে তা-ও পাঠানো যায়। তবে মোবাইল ফোনে খুব বেশি কথা বললে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।

 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পূর্ব বাংলার জনগণ রক্তের বিনিময়ে অর্জন করে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা। সেই ঐতিহাসিক ভাষা শহীদ দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। কানাডাপ্রবাসী বাঙালিদের সংগঠন ‘মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ প্রথম ২১ ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই সংগঠনের উদ্যোগে ১৯৯৮ সালের ৯ জানুয়ারি জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানকে একটি চিঠি লেখা হয়। কফি আনান ইউনেসকোর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিলে ইউনেসকো বরাবরে একটি আবেদনপত্র পাঠানো হয়। ইউনেসকোর শিক্ষা বিভাগের প্রোগ্রাম বিশেষজ্ঞ বেসরকারি উদ্যোগে কোনো প্রস্তাব গ্রহণে অপারগতার কথা জানান। পরবর্তীকালে বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপিত হয়। বিশ্বের ২৭টি দেশ এ প্রস্তাবে সমর্থন জানায়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেসকোর ২১তম অধিবেশনে ২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালনের স্বীকৃতি পায়। যে দিবসটি কেবল ভাষাশহীদ দিবস হিসেবে পালিত হতো, আজ তা ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’।

বর্তমানে বিশ্বের ১৮৮টি দেশ এই দিনটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করছে। বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জন্য এটি একটি বিরল গৌরব। তাই ২১ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ আমাদের অহংকার। আমরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে লালন করব, ভালোবাসব এবং তার প্রসার ঘটাব। বিশ্বের সব মানুষের মাতৃভাষাকে সম্মান দেখাব। এই চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার মধ্যেই নিহিত আছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সার্থকতা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অষ্টম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
অষ্টম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ। ছবি : মোহাম্মদ আসাদ

পঞ্চম অধ্যায় : বাংলাদেশ : রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থা

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১।        বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার একটি মূলনীতি লেখো।

  উত্তর : বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার একটি মূলনীতি হলো জাতীয়তাবাদ।

২।

       বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামো কয় স্তরবিশিষ্ট?

  উত্তর : বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামো তিন স্তরবিশিষ্ট।

৩।        বাংলাদেশ সরকারের কয়টি বিভাগ রয়েছে?

  উত্তর : বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগ রয়েছে।

৪।

       রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে সরকারকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?

  উত্তর : রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে সরকারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

৫।        বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় কখন?

  উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যকর হয়।

১৬।

       বাংলাদেশের উপজেলা পরিষদের সংখ্যা কয়টি?

  উত্তর : বাংলাদেশে উপজেলা পরিষদের সংখ্যা ৪৯৫টি।

৭।        গ্রেট ব্রিটেনের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখার শাসনব্যবস্থার নাম কী?

  উত্তর : গ্রেট ব্রিটেনের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখার শাসনব্যবস্থার নাম হলো নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র।

৮।        বাংলাদেশের আইনসভার নাম কী?

  উত্তর : বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ।

৯।        রাষ্ট্রের অপরিহার্য উপাদান কয়টি?

  উত্তর : রাষ্ট্রের অপরিহার্য উপাদান চারটি। যথা—

i. জনসমষ্টি, ii. নির্দিষ্ট ভূখণ্ড,
iii. সরকার ও iv. সার্বভৌমত্ব।

১০।       বাংলাদেশের সংবিধান কত তারিখে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পায়?

  উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পায়।

১১।       রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি কী?

  উত্তর : রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি সরকার।

১২।       বর্তমানে দেশে কতটি ইউনিয়ন পরিষদ আছে?

  উত্তর : বর্তমানে দেশে ৪,৫৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদ আছে।

১৩।       রাষ্ট্র কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান?

  উত্তর : রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।

১৪।       এককেন্দ্রিক সরকার কাকে বলে?

  উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় কেন্দ্রের হাতে ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে তাকে এককেন্দ্রিক সরকার বলে।

১৫।       বিচার বিভাগ কী?

  উত্তর : সরকারের যে অঙ্গ বা বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান ও আইন অনুযায়ী বিচারকাজ পরিচালনা করে থাকে তা-ই বিচার বিভাগ।

১৬।       সংবিধান কী?

  উত্তর : সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল।

১৭।       সমাজতন্ত্র কী?

  উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় উৎপাদনের সকল উপাদান (ভূমি, শ্রম, মূলধন ও ব্যবস্থাপনা) রাষ্ট্রীয় মালিকানায় থাকে, তা-ই সমাজতন্ত্র।

১৮। স্থানীয় সরকার কাকে বলে?

  উত্তর : স্থানীয় সরকার হলো স্থানীয় পর্যায়ে শাসন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারব্যবস্থা।

১৯।       বাংলাদেশের সংবিধানে কয়টি অনুচ্ছেদ আছে?

  উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।

২০।       রাজতন্ত্র কাকে বলে?

  উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধান উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমতা লাভ করেন তাকে রাজতন্ত্র বলে।

২১।       গণতন্ত্র কাকে বলে?

  উত্তর : যে রাষ্ট্র বা সরকারব্যবস্থা সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে এবং জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস তাকে গণতন্ত্র বলে।

২২।       সুশাসন কী?

  উত্তর : যে সরকার দেশ পরিচালনায় সাংবিধানিক এবং আইনগত বিধিমালার অধীনে থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে, নাগরিক অধিকার রক্ষায় ও জনকল্যাণে সবচেয়ে বেশি সফলতার পরিচয় দেয়, তা-ই সুশাসন।

২৩।       রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল হলো কী?

  উত্তর : রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল হলো সংবিধান।

২৪।       কতজন সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত?

  উত্তর : ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত।

২৫।       একনায়কতন্ত্রে কার দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়?

  উত্তর : একনায়কতন্ত্রে একনায়ক বা এক দলের ইচ্ছা-অনিচ্ছা দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়।

২৬।       বাংলাদেশে কয়টি মহানগর রয়েছে?

  উত্তর : বাংলাদেশে ১২টি মহানগর রয়েছে।

২৭।       বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি কয়টি?

  উত্তর : বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি চারটি। যথা—জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।

২৮।       বাংলাদেশের সংবিধানে প্রস্তাবনা কয়টি?

  উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানে প্রস্তাবনা একটি।

২৯।       কত শতাংশ সংসদ সদস্যের ভোটে সংবিধান সংশোধন করা যায়?

  উত্তর : দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের ভোটে সংবিধান সংশোধন করা যায়।

৩০। গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর কী?

  উত্তর : গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ।

৩১।       রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি কোনটি?

  উত্তর : রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে সরকার।

৩২।       রাষ্ট্র পরিচালনার সব কাজ কার মাধ্যমে সাধিত হয়?

  উত্তর : রাষ্ট্র পরিচালনার সব কাজ সরকারের মাধ্যমে সাধিত হয়।

 

 

 

মন্তব্য

পঞ্চম শ্রেণি : আমার বাংলা বই

    সোনিয়া আক্তার, সহকারী শিক্ষক, ধামদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : আমার বাংলা বই
মাটির হাঁড়িতে রং করা হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

শখের মৃৎশিল্প

► অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

          আমরা দুটি শখের হাঁড়ি কিনলাম। অবাক হলাম, পুতুলের পাশেই ঘোলা চোখে চেয়ে আছে এক চকচকে রুপালি ইলিশ। পদ্মার তাজা ইলিশের মতোই। তেমনি সাদা আঁশ, লাল ঠোঁট।

আমরা একটি মাটির ইলিশও কিনলাম। মামা বললেন, ওই যে পুতুলগুলো দেখছ ওগুলো টেপা পুতুল। নরম এঁটেল মাটি টিপে টিপে এসব পুতুল বানানো হয়। যেমন—বর-কনে, কৃষক, নথ পরা ছোট্ট মেয়ে, নানা রকমের মাটির টেপা পুতুল।
মেলার এক প্রান্তে বড় জায়গাজুড়ে এসব মাটির পুতুলের দোকান। মামা বললেন, এগুলো হচ্ছে মাটির শিল্পকলা। মামা বুঝিয়ে বললেন, যখন কোনো কিছু সুন্দর করে আঁকি বা বানাই অথবা গাই, তখন তা হয় শিল্প। শিল্পের এ কাজকে বলে শিল্পকলা।
আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প হচ্ছে মাটির শিল্প। এ দেশের কুমার সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে মাটির জিনিস। যেমন—কলস, হাঁড়ি, সরা, বাসন-কোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠে তৈরির নানা ছাঁচ। আরো কত কী!

১।       সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ :

i. অনুচ্ছেদটিতে কী সম্পর্কে বলা হয়েছে?

  ক. বাংলাদেশের প্রকৃতি   
খ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ                                 

          গ. বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শন            
ঘ. মৃৎশিল্প

ii. টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা হয়, তাকে কী বলে?

          ক. শখের হাঁড়ি     খ. টেপা পুতুল             
গ. রুপালি ইলিশ   ঘ. মৃৎশিল্প

iii.        মাটি দিয়ে যেসকল জিনিসপত্র তৈরি করা হয় সেগুলোকে কী বলে?               

          ক. মাটির শিল্প     খ. বেতের শিল্প               
গ. চামড়াশিল্প          ঘ. কাসাশিল্প

iv.        নিচের কোনটি আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প?                                          

          ক. বাঁশশিল্প   খ. মাটির শিল্প             
গ. বেতের শিল্প        ঘ. চামড়াশিল্প                      

v. আমাদের দেশে কারা এই মাটির জিনিসপত্র যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে?   

     ক. জেলে সম্প্রদায়    খ. বেদে সম্প্রদায়          

     গ. কুমার সম্প্রদায়   
ঘ. তাঁতি সম্প্রদায়

  উত্তর : i. ঘ. মৃৎশিল্প
ii. খ. টেপা পুতুল
iii. ক. মাটির শিল্প
iv. খ. মাটির শিল্প   
v. গ. কুমার সম্প্রদায়                              

২।

      নিচের শব্দগুলোর ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ :

         কিনিলাম, বলিলেন, দেখিলাম, যাইব, আসিয়াছে

  উত্তর
সাধু রূপ চলিত রূপ

  কিনিলাম কিনলাম
বলিলেন  বললেন
দেখিলাম দেখলাম
যাইব   যাব
আসিয়াছে আসছে

৩।       নিচের শব্দের অর্থগুলো লেখ :

          শখ, টেপা পুতুল, মাটির শিল্প, প্রাচীন, কুমার।

  উত্তর

  প্রদত্ত শব্দ অর্থ

  শখ     মনের ইচ্ছা।

  মাটির শিল্প   মাটির তৈরি শিল্পকর্ম বা মৃৎশিল্প।

  টেপা পুতুল টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা            হয়।

         প্রাচীন     পুরাতন।

         কুমার যারা মাটি দিয়ে নানা জিনিসপত্র              তৈরি করেন।

৪।       নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :

          ক. শখের হাঁড়ি কাকে বলে?

  উত্তর : মাটির তৈরি একটি শিল্পকর্ম হলো শখের হাঁড়ি। শখ করে পছন্দের জিনিস যে সুন্দর হাঁড়িতে রাখা হয়, তাকে শখের হাঁড়ি বলে।

  খ. টেপা পুতুল কাকে বলে?

  উত্তর : মাটির তৈরি এক ধরনের পুতুল হলো টেপা পুতুল। নরম এঁটেল মাটি টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা হয় তাকে টেপা পুতুল বলে।

          গ. বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পকর্ম কোনটি? এ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্যে লেখ।

          উত্তর : বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্পকর্মের নাম মৃৎশিল্প। আমাদের দেশের প্রাচীন শিল্পগুলোর মধ্যে মাটির শিল্প অন্যতম। এ দেশের কুমার সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে এসব মাটির জিনিস। যেমন—কলস, হাঁড়ি, সরা, বাসন-কোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠে তৈরির নানা ছাঁচ। আরো কত কী!               

 

মন্তব্য

সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

    মোছা. সুমি বেগম, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, খিলগাঁও, ঢাকা
শেয়ার
সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

  ‘পাখি’, ‘পিতৃপুরুষের গল্প’, ‘ছবির রং’, ‘সেই ছেলেটি’ ও ‘বহু জাতিসত্তার দেশ—বাংলাদেশ’ গদ্যাংশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন দেওয়া হলো—

১।        ‘পাখি’ গল্পটি কার লেখা?

  উত্তর : পাখি গল্পটি লীলা মজুমদারের লেখা।

২।        গল্পের কুমু অসুস্থ হলে কারা চিন্তায় পড়ে?

  উত্তর : কুমু অসুস্থ হলে তার পরিবার চিন্তায় পড়ে।

৩।        ‘হলদে পাখির পালক’ গ্রন্থটি কার লেখা?

  উত্তর : হলদে পাখির পালক গ্রন্থটি লীলা মজুমদারের লেখা।

৪।        ‘আঁচড়ে-পাঁচড়ে’ শব্দটির অর্থ কী?

  উত্তর : ‘আঁচড়ে-পাঁচড়ে’ শব্দটির অর্থ হলো অনেক চেষ্টা করে।

৫।        পাখি গল্প পাঠের উদ্দেশ্য কী?

  উত্তর : পাখি গল্পের পাঠের উদ্দেশ্য হলো প্রাণীদের প্রতি শিক্ষার্থীদের মমত্ববোধ জাগিয়ে তোলা।

৬।        সোনাঝুরিতে কত মাস থাকবে কুমু?

  উত্তর : সোনাঝুরিতে তিন মাস থাকবে কুমু।

৭।        দিদিমার বাড়িটি কেমন?

  উত্তর : দিদিমার বাড়ি দোতলা।

৮।        বিলের জল কেমন?

  উত্তর : বিলের জল সাদা চকচকে।

৯।

       লাটুর মতে, শিকারিদের মজা কিসে?

  উত্তর : লাটুর মতে শিকারিদের অনেক মজা, তারা বুনোহাঁস শিকার করতে পারে।

১০।       বিদেশি পাখি কখন বাংলাদেশে আসে?

  উত্তর : বিদেশি পাখি শীতকালে বাংলাদেশে আসে।

১১।       অসুস্থ পাখিটাকে দেখে কুমুর গলার ভেতর  কেমন করতে থাকে?

  উত্তর : অসুস্থ পাখিটাকে দেখে কুমুর গলার ভেতরে টনটন করতে থাকে।

১২।       ‘আমিও যে পাখি ভালোবাসি’—কে বলেছিল?

  উত্তর : ‘আমিও যে পাখি ভালোবাসি’—কথাটি বলেছিল দিম্মা।

১৩।       হাঁসেরা কোথায় গিয়ে নামল?

  উত্তর : হাঁসেরা বিলের জলে গিয়ে নামল।

১৪।        ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ গল্পটিতে অন্তুর মামার নাম কী?

  উত্তর : অন্তুর মামার নাম কাজল।

১৫।       ঢাকা শহরের আগের নাম কী?

  উত্তর : ঢাকা শহরের আগের নাম জাহাঙ্গীরনগর।

১৬।       কাজল কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত?

  উত্তর : কাজল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত।

১৭।       ‘ছবির রং’ লেখাটি কার?

  উত্তর : ছবির রং লেখাটি হাশেম খানের।

১৮।       মৌলিক রং কোনগুলো?

  উত্তর : লাল, হলুদ ও নীল এই তিনটিই হলো মৌলিক রং।

১৯।       কদম ফুল কোন ঋতুতে ফোটে?

  উত্তর : কদম ফুল বর্ষাকালে ফোটে।

২০।       সবুজ ধানক্ষেত হলুদ হতে শুরু করে কখন?

  উত্তর : কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে সবুজ ধানক্ষেত হলুদ হতে শুরু করে।

২১।       বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীরা কেমন?

  উত্তর : বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীরা অনেক মুক্ত, সহজ ও সাহসী।

২২।       বাহার শব্দের অর্থ কী?

  উত্তর : বাহার শব্দের অর্থ হলো সৌন্দর্য বা শোভা।

২৩।       চাষিরা কোন মাসে দল বেঁধে ফসল কাটে?

  উত্তর : অগ্রহায়ণ মাসে চাষিরা দল বেঁধে ফসল কাটে।

২৪।       ‘সেই ছেলেটি’ কোন ধরনের রচনা?

  উত্তর : সেই ছেলেটি একটি নাটিকা।

২৫।       নাটিকাটিতে দৃশ্য কয়টি?

  উত্তর : নাটিকাটিতে মাত্র তিনটি দৃশ্য।

২৬।       প্রাবন্ধিক এ কে শেরামের বাড়ি কোথায়?

  উত্তর : প্রাবন্ধিক এ কে শেরামের বাড়ি হবিগঞ্জ।

 

মন্তব্য

এইচএসসির প্রস্তুতি : হিসাববিজ্ঞান প্রথম পত্র

    মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা
শেয়ার
এইচএসসির প্রস্তুতি : হিসাববিজ্ঞান প্রথম পত্র
অঙ্কন : শেখ মানিক

মডেল প্রশ্ন

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১। নিচের কোন হিসাবটি চলতি সম্পদ?

  ক. পুঞ্জীভূত অবচয়  খ. নগদান হিসাব

  গ. ১০% বিনিয়োগ   ঘ. কলকবজা

২। মেশিন সংস্থাপনের জন্য ৫,০০০ টাকা মজুরি প্রদত্ত হলে ডেবিট হবে

  ক. মেরামত হিসাব  খ. মজুরি হিসাব

  গ. রক্ষণাবেক্ষণ হিসাব   
ঘ. যন্ত্রপাতি হিসাব

  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  পদ্মা কম্পানির ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতির অবচয়যোগ্য মূল্য ১,৮০,০০০ টাকা এবং ভগ্নাবশেষ মূল্য ২০,০০০ টাকা। অবচয়ের হার ১০%।

প্রথম বছরের বার্ষিক অবচয় ২০,০০০ টাকা।

৩। পদ্মা কম্পানির ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতির ক্রয়মূল্য কত?

  ক. ১,৬০,০০০ টাকা খ. ১,৮০,০০০ টাকা

  গ. ২,০০,০০০ টাকা ঘ. ২,২০,০০০ টাকা

৪। পদ্মা কম্পানি কোন পদ্ধতিতে অবচয় ধার্য করে?

  ক. সরলরৈখিক পদ্ধতি    
খ. ক্রমহ্রাসমান জের পদ্ধতি

  গ. উৎপাদন একক পদ্ধতি
ঘ. বর্ষসংখ্যার সমষ্টি পদ্ধতি

৫।

আয় বিবরণীতে নিচের কোনটি দেখানো হয়?

  ক. অগ্রিম খরচ     খ. প্রদত্ত খরচ

  গ. প্রদেয় খরচ     ঘ. প্রাপ্য আয়

৬। মাহিম ট্রেডার্সের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে ঋণের পরিমাণ ৭০,০০০ টাকা, যার ২০,০০০ টাকা পরবর্তী বছরে পরিশোধ করতে হবে। মাহিম ট্রেডার্সের দীর্ঘমেয়াদি দায়ের পরিমাণ কত?

  ক. ২০,০০০ টাকা  খ. ৫০,০০০ টাকা

  গ. ৭০,০০০ টাকা ঘ. ৯০,০০০ টাকা

৭। ২০,০০০ টাকা বিজ্ঞাপন খরচের ৩৫ অংশ অবলোপন করা হলে বিলম্বিত বিজ্ঞাপন ব্যয় কত হবে?

  ক. ৪,০০০ টাকা   খ. ৮,০০০ টাকা

  গ. ১২,০০০ টাকা ঘ. ১৬,০০০ টাকা

৮।

সম্পত্তি, দায় ও মূলধনের মধ্যে সম্পর্ক প্রকাশ করে

  ক. ডেবিট এবং ক্রেডিট   
খ. দ্বৈত সত্তা গ. উদ্বৃত্তপত্র
ঘ. হিসাব সমীকরণ

৯। হিসাববিজ্ঞানের মূল ভিত্তি কী?

  ক. চালান খ. ক্যাশ মেমো

  গ. লেনদেন   ঘ. ভাউচার

১০।       অবচয় একটি

  ক. দৃশ্যমান ব্যয়    খ. অদৃশ্যমান ব্যয়

  গ. কাল্পনিক ব্যয়   ঘ. নগদ ব্যয়

১১।       আকিবের নিকট নগদে মাল বিক্রয় ২৫,০০০ টাকা। এ লেনদেনটির জন্য ব্যবহূত প্রামাণ্য দলিল

  i. ক্যাশ মেমো           ii. ক্রেডিট নোট

  iii. ক্রেডিট ভাউচার

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iiii  খ. iii 
গ.
iiiii  ঘ. i, iiiii

১২।

       মালিকানা স্বত্ব হ্রাসের কারণ হচ্ছে

  ক. উত্তোলন ও নগদ কমে যাওয়া  
খ. উত্তোলন ও খরচ বেড়ে যাওয়া

  গ. খরচ ও দায় কমে যাওয়া      
ঘ. খরচ ও দায় বেড়ে যাওয়া

১৩।       ক্রয় জাবেদায় কোন ধরনের লেনদেন লেখা হয়?

  ক. সম্পদ ক্রয় খ. চেকে ক্রয়

  গ. নগদে ক্রয় ঘ. ধারে ক্রয়

১৪।       কোন সম্পর্কটি সঠিক?

  ক. ক্রয় বাট্টা ও প্রদেয় হিসাব   
খ. ক্রয় বাট্টা ও প্রাপ্য হিসাব

  গ. ক্রয় বাট্টা ও বিক্রয় বাট্টা
ঘ. বিক্রয় বাট্টা ও প্রদেয় হিসাব

১৫।       প্রাপ্য হিসাব প্রভাবিত হবে এমন লেনদেন

  i. ধারে বিক্রয়
ii. বিক্রয় ফেরত

  iii. প্রাপ্য হিসাব আদায়  
নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiiii 
গ.
iiii  ঘ. i, iiiii

১৬।       মাসের শুরুতে পেটি ক্যাশিয়ারের হাতে নগদ ছিল ২০০ টাকা। এ মাসে পেয়েছেন ৮০০ টাকা। তার অগ্রদত্ত টাকার পরিমাণ কত?

  ক. ১,০০০ টাকা   খ. ৮০০ টাকা

  গ. ৬০০ টাকা ঘ. ২০০ টাকা

  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১৭ ও ১৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  জনাব অরন্য একজন ব্যবসায়ী। তিনি জনাব সুমনের নিকট ৪০,০০০ টাকার পণ্য ৫% বাট্টায় বিক্রয় করে নগদ ১০,০০০ টাকা এবং ২০,০০০ টাকার একটি চেক পেলেন। পরবর্তীতে তিনি জনাব সুমনকে ২০০ টাকা বাট্টা প্রদান করে অবশিষ্ট অর্থ নগদে গ্রহণ করেন।

১৭।       ধারে বিক্রয়ের পরিমাণ কত?

  ক. ৮,০০০ টাকা   খ. ১০,০০০ টাকা

  গ. ২৮,০০০ টাকা ঘ. ৩০,০০০ টাকা

১৮।       বাট্টা প্রদানের ফলে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণীতে

  i. ব্যয় বৃদ্ধি ১,২০০ টাকা, সম্পদ হ্রাস ২০০ টাকা

  ii. সম্পদ হ্রাস ২০০ টাকা, ব্যয় বৃদ্ধি ২০০ টাকা

  iii. নগদ বৃদ্ধি ৭,৮০০ টাকা, মালিকানা স্বত্ব হ্রাস ২০০ টাকা

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiiii 
গ.
iiii  ঘ. i, iiiii

১৯।       পর্যাপ্ত ফান্ডের অভাবে অমর্যাদাকৃত চেককে কী বলে?

  ক. বাহক চেক     খ. অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেক

  গ. দাগ কাটা চেক ঘ. এন এস এফ চেক

২০।       ব্যাংক কর্তৃক মঞ্জুরিকৃত সুদ

  i. পাশ বইতে ক্রেডিট করা হয় 
ii. পাশ বইতে ডেবিট করা হয়

  iii. নগদান বইতে ডেবিট করা হয়

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii 
গ.
iiiii  ঘ. i, iiiii

২১।       আসিফ ট্রেডার্সের ব্যাংক বিবরণী অনুযায়ী ডেবিট ব্যালেন্স ১০,০০০ টাকা। ব্যাংক বিবরণীর এ ডেবিট ব্যালেন্স আসিফ ট্রেডার্সের জন্য কী?

  ক. আয়   খ. ব্যয়

  গ. সম্পত্তি    ঘ. দায়

  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২২ ও ২৩ নম্বর  প্রশ্নের উত্তর দাও :

  যদি ১ জানুয়ারি তারিখে ব্যাংক উদ্বৃত্ত ৩০,০০০ টাকা হয়, ১০ জানুয়ারি ১০,০০০ টাকার চেক পেয়ে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয় পক্ষান্তরে ১৫ জানুয়ারি তারিখে ওই চেকটি ব্যাংক থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়।

২২।       ১৫ জানুয়ারি তারিখে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক উদ্বৃত্ত ছিল কত টাকা?

  ক. ১০,০০০ টাকা খ. ২০,০০০ টাকা

  গ. ৩০,০০০ টাকা ঘ. ৪০,০০০ টাকা

২৩।       চেকটি প্রত্যাখ্যানের কারণে

  i. প্রাপ্য হিসাব ডেবিট হবে   
ii. প্রদেয় হিসাব ক্রেডিট হবে

  iii. ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হবে

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii 
গ.
iiiii  ঘ. i, iiiii

 ২৪।      নিচের কোন হিসাব রেওয়ামিলে অন্তর্ভুক্ত হবে?

  ক. প্রারম্ভিক মজুদ, সমন্বিত ক্রয় ও শিক্ষানবিশ সেলামি

  খ. মোট মুনাফা, সমাপনী মজুদ পণ্য ও অগ্রিম বিমা

  গ. প্রারম্ভিক, মনিহারি মজুদ, অব্যবহূত মনিহারি ও প্রদেয় মজুরি

  ঘ. প্রারম্ভিক মজুদ, বিক্রীত পণ্যের ব্যয় ও উত্তোলন

২৫।       দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতির উদ্ভব কোন দেশে?

  ক. ইতালি খ. গ্রিস

  গ. ইংল্যান্ড   ঘ. ফ্রান্স

  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২৬ ও ২৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  জনাব রাহাত একজন আসবাবপত্র ব্যবসায়ী। তিনি ৩,০০,০০০ টাকার আসবাবপত্র ১০% বাট্টায় স্টার ফার্নিচার এর নিকট থেকে ক্রয় করে ভুলবশত আসবাবপত্র হিসাব ডেবিট করেন। তিনি ৩,০০০ টাকা মূল্যের একটি টেবিল ব্যবসায় ব্যবহারের জন্য গ্রহণ করেন এবং ক্রয়কৃত পণ্যের অর্ধাংশ ১,৫০,০০০ টাকায় বিক্রয় করেন, যার পরিবহন ব্যয় ৬০০ টাকা নির্বাহ করা হয়।

২৬।       জনাব রাহাতের হিসাব সংরক্ষণে কোন ধরনের ভুল সংঘটিত হয়েছে?

  ক. করণিক ভুল খ. নীতিগত ভুল

  গ. পরিপূরক ভুল    ঘ. বাদ পড়ার ভুল

২৭।       লেনদেনের জন্য প্রতিষ্ঠানের নিট মুনাফা কত হবে?

  ক. ১১,৪০০ টাকা খ. ১২,০০০ টাকা

  গ. ১৪,৪০০ টাকা ঘ. ১৫,০০০ টাকা

২৮।       কোনটি হিসাব সংরক্ষণের কোনো স্থায়ী রেকর্ড নয়?

  ক. নগদান বই খ. খতিয়ান

  গ. আর্থিক বিবরণী   ঘ. কার্যপত্র

২৯।       সমাপনী দাখিলা দ্বারা

  i. নামিক হিসাব বন্ধ করা হয়  
ii. উত্তোলনকে মূলধনে সমন্বয় করা হয়

  iii. চলতি সম্পদ হিসাব বন্ধ করা হয়

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiiii 
গ.
iiii  ঘ. i, iiiii

৩০।       বকেয়া খরচ সমন্বয় করা না হলে

  ক. মুনাফা বেশি ও খরচ কম দেখানো হবে

  খ. খরচ কম ও মুনাফা কম দেখানো হবে

  গ. মুনাফা কম ও খরচ বেশি দেখানো হবে

  ঘ. খরচ বেশি ও মুনাফা বেশি দেখানো হবে।

 

  উত্তর : ১. খ ২. ঘ ৩. গ ৪. খ ৫. খ ৬. খ
৭. খ ৮. ঘ ৯. গ ১০. খ ১১. ক ১২. খ ১৩. ঘ ১৪. ক ১৫. ঘ ১৬. ক ১৭. ক ১৮. খ ১৯. ঘ
২০. খ ২১. ঘ ২২. ঘ ২৩. গ ২৪. খ ২৫. ক ২৬. খ ২৭. গ ২৮. ঘ ২৯. ক ৩০. ক।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ