ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫
২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫
২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১২ মহররম ১৪৪৭

অষ্টম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

  • মডেল টেস্ট
তাহেরা খানম, সহকারী শিক্ষক ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সূত্রাপুর, ঢাকা
তাহেরা খানম, সহকারী শিক্ষক ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সূত্রাপুর, ঢাকা
শেয়ার
অষ্টম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

১। ঔপনিবেশিক যুগ বলতে কী বোঝো?

উত্তর : বাংলায় ইংরেজদের শাসনকালকে ঔপনিবেশিক যুগ বলা হয়।

বাংলায় ইউরোপীয় বণিকদের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আগমন চলছিল অনেক দিন থেকে। এদের মধ্যে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যায়।

১৭৫৭ সালে বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলাকে পরাজিত করে তারা বাংলার সিংহাসনে আরোহণ করে। এভাবে ১৭৫৭ সাল থেকে বাংলাদেশে ব্রিটিশ বা ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলার ইতিহাসে এই যুগটি ঔপনিবেশিক যুগ নামে পরিচিত।

২।

ঔপনিবেশিক শাসন কাকে বলে?

উত্তর : এক দেশের মানুষ অন্য দেশের ওপর শাসন কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করলে তাকে ঔপনিবেশিক শাসন বলে।

সাধারণত কোনো বিদেশি শক্তি কোনো দেশ দখল করে শাসন প্রতিষ্ঠা করলেই তাকে ঔপনিবেশিক শাসন বলা যায় না, ঔপনিবেশিক শাসনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দখলদার শক্তি চিরস্থায়ীভাবে শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আসে না। তারা জানে একদিন তাদের এই শাসন গুটিয়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। তবে যত দিন শাসক হিসেবে থাকবে তত দিন সেই দেশের ধন-সম্পদ নিজ দেশে পাচার করবে।

তারপর যখন তাদের শাসনের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে বা অন্য কোনো কারণে অন্যের দেশ শাসন করা আর সুবিধাজনক মনে হবে না, তখন ফিরে যাবে নিজ দেশে। এভাবে অন্য কোনো দেশের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাকে ঔপনিবেশিক শাসন বলে।

৩। মাত্স্যন্যায় কী?

উত্তর : রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় ১০০ বছর ধরে চলতে থাকা অরাজকতাকে মাত্স্যন্যায় নামে অভিহিত করা হয়।

বাঙালি স্বাধীন রাজা শশাঙ্কের রাজত্ব দীর্ঘস্থায়ী ছিল না।

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর ১০০ বছর ধরে বাংলায় অরাজকতা চলতে থাকে। এই অরাজকতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ একত্রিত হয়ে বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সংস্কৃত ভাষায় এই অরাজকতাকে বলা হয় মাত্স্যন্যায়ের যুগ।

৪। বাংলায় মুসলমান শক্তির উত্থান হয়েছিল কিভাবে?

উত্তর : ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির বাংলা বিজয়ের মাধ্যমে বাংলায় মুসলমান শক্তির উত্থান হয়েছিল।

তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি সেন রাজা লক্ষণসেনকে পরাজিত করে বাংলার একটি ছোট্ট অংশ দখল করেন। ১২০৪ থেকে ১২০৬ সাল পর্যন্ত বাংলার পশ্চিমে নদীয়া ও উত্তর বাংলার কিছুটা অংশ বখতিয়ার খলজির দখলে ছিল। পূর্ব বাংলা এর অনেককাল পর পর্যন্ত সেন শাসকদের অধীনে ছিল। তবে বখতিয়ারের বাংলা অধিকারের মধ্য দিয়ে বাংলায় তুর্কি সুলতানদের শাসনের পথ প্রশস্ত হয়েছিল। ১২০৬ সালে বখতিয়ার খলজির মৃত্যুর পর থেকে ১৩৩৮ সাল পর্যন্ত বাংলাজুড়ে মুসলিম শাসনের বিস্তার ঘটতে থাকে।

৫। ইকলিম কী?

উত্তর : ইকলিম ফারসি শব্দ, যার অর্থ প্রদেশ।

১২০৬ সালে বখতিয়ার খলজির মৃত্যুর পর থেকে ১৩৩৮ সাল পর্যন্ত বাংলাজুড়ে মুসলিম শাসনের বিস্তার ঘটতে থাকে। এ সময়ের মধ্যে বাংলার তিনটি অংশে দিল্লির মুসলিম সুলতানদের তিনটি প্রদেশ বা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বিষয়গুলোকে ফারসি ভাষার ‘ইকলিম’ বলা হতো। উত্তর বাংলাজুড়ে প্রতিষ্ঠিত ছিল ইকলিম লক্ষেৗতি, পশ্চিম বাংলায় ইকলিম সাতগাঁও এবং পূর্ব বাংলায় ইকলিম সোনারগাঁ প্রতিষ্ঠিত ছিল।

৬। বাংলায় স্বাধীন সুলতানি যুগের সূচনা হয়েছিল কিভাবে?

উত্তর : সোনারগাঁয়ের শাসনকর্তা ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ স্বাধীনতা ঘোষণা করলে বাংলায় স্বাধীন সুলতানি যুগের সূচনা হয়।

উত্তর বাংলাজুড়ে প্রতিষ্ঠিত ছিল ইকলিম লক্ষেৗতি, পশ্চিম বাংলায় ইকলিম সাতগাঁও ও সোনারগাঁ। ১৮৩৮ সালে সোনারগাঁয়ের শাসনকর্তা ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ

দিল্লির মুসলমান সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলার ২০০ বছরের স্বাধীন সুলতানি যুগ পর্ব। ১৫৩৮ সালে বাংলার স্বাধীন সুলতানি শাসনের অবসান ঘটে।

৭। মোগলদের সঙ্গে বাংলার বারোভুঁইয়াদের সম্পর্ক কেমন ছিল?

উত্তর : মোগলদের সঙ্গে বাংলার বারোভুঁইয়াদের সম্পর্ক ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।

সম্রাট আকবরের সময় ১৫৭৬ সালে পশ্চিম বাংলা ও উত্তর বাংলার অনেকটা অংশ মোগলদের অধিকারে আসে। পূর্ব বাংলা অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশ অংশ সহজে দখল করতে পারেনি মোগলরা। বারোভুঁইয়া নামে পরিচিত পূর্ব বাংলার জমিদাররা একযোগে মোগল আক্রমণ প্রতিহত করেন। আকবরের সেনাপতি মানসিংহ কয়েকবার চেষ্টা করেও বারোভুঁইয়াদের নেতা ঈশা খাঁকে পরাজিত করতে পারেননি। সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে ১৬১০ সালে মোগল সুবেদার ইসলাম খান চিশতি চূড়ান্তভাবে বারোভুঁইয়াদের পরাজিত করে ঢাকা অধিকার করেন। এভাবেই বাংলায় মোগলদের সঙ্গে বারোভুঁইয়াদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার অবসান ঘটে।

৮। সম্রাট আকবর কিভাবে বাংলা জয় করেন?

উত্তর : সম্রাট আকবর বারোভুঁইয়াদের পরাজিত করে বাংলা জয় করেন।

সম্রাট আকবর পূর্ব বাংলা অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশ অংশ সহজে দখল করতে পারেনি। বারোভুঁইয়া নামে পরিচিত পূর্ব বাংলার জমিদাররা একযোগে মোগল আক্রমণ প্রতিহত করেন। আকবরের সেনাপতি মানসিংহ কয়েকবার চেষ্টা করেও বারোভুঁইয়াদের নেতা ঈশা খাঁকে পরাজিত করতে পারেননি। তবুও ১৫৭৬ সালে পশ্চিম বাংলা ও উত্তর বাংলার অনেকটা অংশ সম্রাট আকবর অধিকার করতে সক্ষম হন।

৯। ভারতবর্ষে বিশ্ববাণিজ্য কিভাবে বিস্তার লাভ করেছিল?

উত্তর : ইউরোপে যুগান্তকারী বাণিজ্য-বিপ্লবের ফলে ভারতবর্ষে বিশ্ববাণিজ্য বিস্তার লাভ করেছিল।

১৪ শতক থেকে ইউরোপে যুগান্তকারী বাণিজ্য-বিপ্লবের সূচনা হয়। তখন একদিকে তাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও সংগঠনগুলো শক্তিশালী হতে শুরু করে আর অন্যদিকে কাঁচামাল ও উত্পাদিত সামগ্রীর জন্য বাজারের সন্ধানও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ১৪৯৮ সালে পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা দক্ষিণ ভারতের কালিকট বন্দরে পৌঁছে ভারতবর্ষকে বিশ্ববাণিজ্যে বিস্তারের প্রতিযোগিতার মধ্যে নিয়ে আসেন। আর দক্ষ নাবিক আল বুকার্ক ভারত মহাসাগরে কর্তৃত্ব অধিকার করে এক কথায় পুরো ভারতের বহির্বাণিজ্য করায়ত্ত করে নেন।

১০। ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি কী?

উত্তর : ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি একটি শান্তিচুক্তি।

১৬৪৮ সালে ইউরোপে যুদ্ধরত বিভিন্ন দেশের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একে বলে ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি। এটি সম্পাদিত হওয়ার পর শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে ইউরোপীয় বিভিন্ন জাতি নতুন উদ্যমে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। এদের অধিকাংশের লক্ষ্য ছিল ভারতবর্ষ।

১১। ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তির ফলে বাংলার ব্যবসা-বাণিজ্যে কী প্রভাব ফেলেছিল?

উত্তর : ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তির ফলে বাংলার ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক উন্নতি হয়েছিল।

এ চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পর ইউরোপে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে ইউরোপীয় বিভিন্ন জাতি নতুন উদ্যমে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। এদের অধিকাংশের লক্ষ্য ছিল ভারতবর্ষ। আবার তার মধ্যে বাংলার সিল্ক ও অন্যান্য মিহি কাপড় এবং মসলা তাদের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে। এতে বহুকাল পর বাংলার বাণিজ্য খাতে বেশ রমরমা ভাব দেখা দেয়। ১৬৮০-৮৩ এই চার বছরে শুধু ইংল্যান্ড থেকে বাংলায় রপ্তানি আয় দাঁড়ায় দুই লাখ পাউন্ড, যার মান তত্কালীন হিসাবে ১৮ লাখ টাকা।

 

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১।   বিশ্বের প্রতিটি স্বাধীন দেশের রয়েছে নিজস্ব—

     ক. ধর্মব্যবস্থা  খ. সমাজব্যবস্থা

     গ. সরকারব্যবস্থা    

     ঘ. পরিবারব্যবস্থা

২।   রাষ্ট্রের অপরিহার্য মৌলিক উপাদান কয়টি?

     ক. তিনটি    খ. চারটি

     গ. পাঁচটি    ঘ. ছয়টি

৩।   গণতন্ত্র সম্পর্কে প্রযোজ্য উক্তি হচ্ছে—

     i. গণতন্ত্র এক ব্যক্তি বা এক দলের শাসন

     ii. জনগণ সব ক্ষমতার মূল উৎস

     iii. বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই গণতান্ত্রিক সরকার রয়েছে

     নিচের কোনটি সঠিক?

     ক. i ও ii       খ. i ও iii

     গ. ii ও iii      ঘ. i, ii ও iii

৪।   গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে—

     ক. ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ

     খ. ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল

     গ. ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল

     ঘ. ১৯৭২ সালের ৩০ অক্টোবর

৫।   এ যাবৎ সংবিধান কতবার সংশোধিত হয়েছে?

     ক. ১০ বার  খ. ১২ বার

     গ. ১৩ বার  ঘ. ১৫ বার

৬।   কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে কত দিনের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে?

     ক. ৩০ দিন  খ. ৬০ দিন 

     গ. ৯০ দিন  ঘ. ১২০ দিন

৭।   জাতীয় সংসদের মেয়াদ কত বছর?

     ক. দুই বছর  খ. তিন বছর

     গ. চার বছর  ঘ. পাঁচ বছর

৮।   শাসন বিভাগের কাজ হলো—

     i. দেশের ভেতরের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা

     ii. সরকারের আয়-ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ করা

     iii. সংবিধান প্রণয়ন ও সংশোধন করা

     নিচের কোনটি সঠিক?

     ক. i ও ii      খ. i ও iii

     গ. ii ও iii     ঘ. i, ii ও iii

৯।   বাংলাদেশে মোট উপজেলা পরিষদের সংখ্যা কত?

     ক. ৩৮৫     খ. ৪৮৬

     গ. ৪৯০     ঘ ৫৮৬

১০।  বাংলাদেশে মহানগর রয়েছে—

     ক. ৭টি খ. ৯টি

     গ. ১০টি     ঘ. ১১টি

১১। ইউনিয়ন পরিষদের কাজ হলো—

     i. এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা

     ii. বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা

     iii. ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা

     নিচের কোনটি সঠিক?

     ক. i ও ii       খ. i ও iii

     গ. ii ও iii      ঘ. i, ii ও iii

১২।  বাংলাদেশ সরকারের বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ কেন্দ্র কোনটি?

     ক. সুপ্রিম কোর্ট

     খ. জজকোর্ট

     গ. বাংলাদেশ সচিবালয়

     ঘ. জাতীয় সংসদ

১৩।  পানি নিষ্কাশন ও ঘরবাড়ি নির্মাণের ব্যবস্থা করে—

     ক. ইউনিয়ন পরিষদ

     খ. পৌরসভা

     গ. উপজেলা পরিষদ

     ঘ. জেলা পরিষদ

১৪। জেলা পরিষদের ২০ সদস্যের মধ্যে কতজন মহিলা সদস্য থাকে?

     ক. ৪ জন     খ. ৫ জন

     গ. ১০ জন     ঘ. ১৫ জন

১৫।  জাতীয় সংসদ ভবন কোথায় অবস্থিত?

     ক. ধানমণ্ডি     খ. মিরপুর

     গ. সাভার       ঘ. আগারগাঁও

 

উত্তরগুলো মিলিয়ে নাও

১.গ ২. খ ৩. গ ৪. খ ৫. ঘ ৬. গ ৭. ঘ ৮. ক ৯. খ ১০. ঘ ১১. ঘ ১২. ক ১৩. খ ১৪. খ ১৫. ঘ 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অষ্টম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
অষ্টম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ। ছবি : মোহাম্মদ আসাদ

পঞ্চম অধ্যায় : বাংলাদেশ : রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থা

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১।        বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার একটি মূলনীতি লেখো।

  উত্তর : বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার একটি মূলনীতি হলো জাতীয়তাবাদ।

২।

       বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামো কয় স্তরবিশিষ্ট?

  উত্তর : বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামো তিন স্তরবিশিষ্ট।

৩।        বাংলাদেশ সরকারের কয়টি বিভাগ রয়েছে?

  উত্তর : বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগ রয়েছে।

৪।

       রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে সরকারকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?

  উত্তর : রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে সরকারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

৫।        বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় কখন?

  উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যকর হয়।

১৬।

       বাংলাদেশের উপজেলা পরিষদের সংখ্যা কয়টি?

  উত্তর : বাংলাদেশে উপজেলা পরিষদের সংখ্যা ৪৯৫টি।

৭।        গ্রেট ব্রিটেনের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখার শাসনব্যবস্থার নাম কী?

  উত্তর : গ্রেট ব্রিটেনের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখার শাসনব্যবস্থার নাম হলো নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র।

৮।        বাংলাদেশের আইনসভার নাম কী?

  উত্তর : বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ।

৯।        রাষ্ট্রের অপরিহার্য উপাদান কয়টি?

  উত্তর : রাষ্ট্রের অপরিহার্য উপাদান চারটি। যথা—

i. জনসমষ্টি, ii. নির্দিষ্ট ভূখণ্ড,
iii. সরকার ও iv. সার্বভৌমত্ব।

১০।       বাংলাদেশের সংবিধান কত তারিখে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পায়?

  উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পায়।

১১।       রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি কী?

  উত্তর : রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি সরকার।

১২।       বর্তমানে দেশে কতটি ইউনিয়ন পরিষদ আছে?

  উত্তর : বর্তমানে দেশে ৪,৫৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদ আছে।

১৩।       রাষ্ট্র কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান?

  উত্তর : রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।

১৪।       এককেন্দ্রিক সরকার কাকে বলে?

  উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় কেন্দ্রের হাতে ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে তাকে এককেন্দ্রিক সরকার বলে।

১৫।       বিচার বিভাগ কী?

  উত্তর : সরকারের যে অঙ্গ বা বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান ও আইন অনুযায়ী বিচারকাজ পরিচালনা করে থাকে তা-ই বিচার বিভাগ।

১৬।       সংবিধান কী?

  উত্তর : সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল।

১৭।       সমাজতন্ত্র কী?

  উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় উৎপাদনের সকল উপাদান (ভূমি, শ্রম, মূলধন ও ব্যবস্থাপনা) রাষ্ট্রীয় মালিকানায় থাকে, তা-ই সমাজতন্ত্র।

১৮। স্থানীয় সরকার কাকে বলে?

  উত্তর : স্থানীয় সরকার হলো স্থানীয় পর্যায়ে শাসন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারব্যবস্থা।

১৯।       বাংলাদেশের সংবিধানে কয়টি অনুচ্ছেদ আছে?

  উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।

২০।       রাজতন্ত্র কাকে বলে?

  উত্তর : যে সরকারব্যবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধান উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমতা লাভ করেন তাকে রাজতন্ত্র বলে।

২১।       গণতন্ত্র কাকে বলে?

  উত্তর : যে রাষ্ট্র বা সরকারব্যবস্থা সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে এবং জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস তাকে গণতন্ত্র বলে।

২২।       সুশাসন কী?

  উত্তর : যে সরকার দেশ পরিচালনায় সাংবিধানিক এবং আইনগত বিধিমালার অধীনে থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে, নাগরিক অধিকার রক্ষায় ও জনকল্যাণে সবচেয়ে বেশি সফলতার পরিচয় দেয়, তা-ই সুশাসন।

২৩।       রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল হলো কী?

  উত্তর : রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল হলো সংবিধান।

২৪।       কতজন সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত?

  উত্তর : ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত।

২৫।       একনায়কতন্ত্রে কার দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়?

  উত্তর : একনায়কতন্ত্রে একনায়ক বা এক দলের ইচ্ছা-অনিচ্ছা দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়।

২৬।       বাংলাদেশে কয়টি মহানগর রয়েছে?

  উত্তর : বাংলাদেশে ১২টি মহানগর রয়েছে।

২৭।       বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি কয়টি?

  উত্তর : বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি চারটি। যথা—জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।

২৮।       বাংলাদেশের সংবিধানে প্রস্তাবনা কয়টি?

  উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানে প্রস্তাবনা একটি।

২৯।       কত শতাংশ সংসদ সদস্যের ভোটে সংবিধান সংশোধন করা যায়?

  উত্তর : দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের ভোটে সংবিধান সংশোধন করা যায়।

৩০। গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর কী?

  উত্তর : গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ।

৩১।       রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি কোনটি?

  উত্তর : রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে সরকার।

৩২।       রাষ্ট্র পরিচালনার সব কাজ কার মাধ্যমে সাধিত হয়?

  উত্তর : রাষ্ট্র পরিচালনার সব কাজ সরকারের মাধ্যমে সাধিত হয়।

 

 

 

মন্তব্য

পঞ্চম শ্রেণি : আমার বাংলা বই

    সোনিয়া আক্তার, সহকারী শিক্ষক, ধামদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : আমার বাংলা বই
মাটির হাঁড়িতে রং করা হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

শখের মৃৎশিল্প

► অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

          আমরা দুটি শখের হাঁড়ি কিনলাম। অবাক হলাম, পুতুলের পাশেই ঘোলা চোখে চেয়ে আছে এক চকচকে রুপালি ইলিশ। পদ্মার তাজা ইলিশের মতোই। তেমনি সাদা আঁশ, লাল ঠোঁট।

আমরা একটি মাটির ইলিশও কিনলাম। মামা বললেন, ওই যে পুতুলগুলো দেখছ ওগুলো টেপা পুতুল। নরম এঁটেল মাটি টিপে টিপে এসব পুতুল বানানো হয়। যেমন—বর-কনে, কৃষক, নথ পরা ছোট্ট মেয়ে, নানা রকমের মাটির টেপা পুতুল।
মেলার এক প্রান্তে বড় জায়গাজুড়ে এসব মাটির পুতুলের দোকান। মামা বললেন, এগুলো হচ্ছে মাটির শিল্পকলা। মামা বুঝিয়ে বললেন, যখন কোনো কিছু সুন্দর করে আঁকি বা বানাই অথবা গাই, তখন তা হয় শিল্প। শিল্পের এ কাজকে বলে শিল্পকলা।
আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প হচ্ছে মাটির শিল্প। এ দেশের কুমার সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে মাটির জিনিস। যেমন—কলস, হাঁড়ি, সরা, বাসন-কোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠে তৈরির নানা ছাঁচ। আরো কত কী!

১।       সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ :

i. অনুচ্ছেদটিতে কী সম্পর্কে বলা হয়েছে?

  ক. বাংলাদেশের প্রকৃতি   
খ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ                                 

          গ. বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শন            
ঘ. মৃৎশিল্প

ii. টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা হয়, তাকে কী বলে?

          ক. শখের হাঁড়ি     খ. টেপা পুতুল             
গ. রুপালি ইলিশ   ঘ. মৃৎশিল্প

iii.        মাটি দিয়ে যেসকল জিনিসপত্র তৈরি করা হয় সেগুলোকে কী বলে?               

          ক. মাটির শিল্প     খ. বেতের শিল্প               
গ. চামড়াশিল্প          ঘ. কাসাশিল্প

iv.        নিচের কোনটি আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প?                                          

          ক. বাঁশশিল্প   খ. মাটির শিল্প             
গ. বেতের শিল্প        ঘ. চামড়াশিল্প                      

v. আমাদের দেশে কারা এই মাটির জিনিসপত্র যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে?   

     ক. জেলে সম্প্রদায়    খ. বেদে সম্প্রদায়          

     গ. কুমার সম্প্রদায়   
ঘ. তাঁতি সম্প্রদায়

  উত্তর : i. ঘ. মৃৎশিল্প
ii. খ. টেপা পুতুল
iii. ক. মাটির শিল্প
iv. খ. মাটির শিল্প   
v. গ. কুমার সম্প্রদায়                              

২।

      নিচের শব্দগুলোর ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ :

         কিনিলাম, বলিলেন, দেখিলাম, যাইব, আসিয়াছে

  উত্তর
সাধু রূপ চলিত রূপ

  কিনিলাম কিনলাম
বলিলেন  বললেন
দেখিলাম দেখলাম
যাইব   যাব
আসিয়াছে আসছে

৩।       নিচের শব্দের অর্থগুলো লেখ :

          শখ, টেপা পুতুল, মাটির শিল্প, প্রাচীন, কুমার।

  উত্তর

  প্রদত্ত শব্দ অর্থ

  শখ     মনের ইচ্ছা।

  মাটির শিল্প   মাটির তৈরি শিল্পকর্ম বা মৃৎশিল্প।

  টেপা পুতুল টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা            হয়।

         প্রাচীন     পুরাতন।

         কুমার যারা মাটি দিয়ে নানা জিনিসপত্র              তৈরি করেন।

৪।       নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :

          ক. শখের হাঁড়ি কাকে বলে?

  উত্তর : মাটির তৈরি একটি শিল্পকর্ম হলো শখের হাঁড়ি। শখ করে পছন্দের জিনিস যে সুন্দর হাঁড়িতে রাখা হয়, তাকে শখের হাঁড়ি বলে।

  খ. টেপা পুতুল কাকে বলে?

  উত্তর : মাটির তৈরি এক ধরনের পুতুল হলো টেপা পুতুল। নরম এঁটেল মাটি টিপে টিপে যে পুতুল তৈরি করা হয় তাকে টেপা পুতুল বলে।

          গ. বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পকর্ম কোনটি? এ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্যে লেখ।

          উত্তর : বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্পকর্মের নাম মৃৎশিল্প। আমাদের দেশের প্রাচীন শিল্পগুলোর মধ্যে মাটির শিল্প অন্যতম। এ দেশের কুমার সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে এসব মাটির জিনিস। যেমন—কলস, হাঁড়ি, সরা, বাসন-কোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠে তৈরির নানা ছাঁচ। আরো কত কী!               

 

মন্তব্য

সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

    মোছা. সুমি বেগম, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, খিলগাঁও, ঢাকা
শেয়ার
সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

  ‘পাখি’, ‘পিতৃপুরুষের গল্প’, ‘ছবির রং’, ‘সেই ছেলেটি’ ও ‘বহু জাতিসত্তার দেশ—বাংলাদেশ’ গদ্যাংশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন দেওয়া হলো—

১।        ‘পাখি’ গল্পটি কার লেখা?

  উত্তর : পাখি গল্পটি লীলা মজুমদারের লেখা।

২।        গল্পের কুমু অসুস্থ হলে কারা চিন্তায় পড়ে?

  উত্তর : কুমু অসুস্থ হলে তার পরিবার চিন্তায় পড়ে।

৩।        ‘হলদে পাখির পালক’ গ্রন্থটি কার লেখা?

  উত্তর : হলদে পাখির পালক গ্রন্থটি লীলা মজুমদারের লেখা।

৪।        ‘আঁচড়ে-পাঁচড়ে’ শব্দটির অর্থ কী?

  উত্তর : ‘আঁচড়ে-পাঁচড়ে’ শব্দটির অর্থ হলো অনেক চেষ্টা করে।

৫।        পাখি গল্প পাঠের উদ্দেশ্য কী?

  উত্তর : পাখি গল্পের পাঠের উদ্দেশ্য হলো প্রাণীদের প্রতি শিক্ষার্থীদের মমত্ববোধ জাগিয়ে তোলা।

৬।        সোনাঝুরিতে কত মাস থাকবে কুমু?

  উত্তর : সোনাঝুরিতে তিন মাস থাকবে কুমু।

৭।        দিদিমার বাড়িটি কেমন?

  উত্তর : দিদিমার বাড়ি দোতলা।

৮।        বিলের জল কেমন?

  উত্তর : বিলের জল সাদা চকচকে।

৯।

       লাটুর মতে, শিকারিদের মজা কিসে?

  উত্তর : লাটুর মতে শিকারিদের অনেক মজা, তারা বুনোহাঁস শিকার করতে পারে।

১০।       বিদেশি পাখি কখন বাংলাদেশে আসে?

  উত্তর : বিদেশি পাখি শীতকালে বাংলাদেশে আসে।

১১।       অসুস্থ পাখিটাকে দেখে কুমুর গলার ভেতর  কেমন করতে থাকে?

  উত্তর : অসুস্থ পাখিটাকে দেখে কুমুর গলার ভেতরে টনটন করতে থাকে।

১২।       ‘আমিও যে পাখি ভালোবাসি’—কে বলেছিল?

  উত্তর : ‘আমিও যে পাখি ভালোবাসি’—কথাটি বলেছিল দিম্মা।

১৩।       হাঁসেরা কোথায় গিয়ে নামল?

  উত্তর : হাঁসেরা বিলের জলে গিয়ে নামল।

১৪।        ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ গল্পটিতে অন্তুর মামার নাম কী?

  উত্তর : অন্তুর মামার নাম কাজল।

১৫।       ঢাকা শহরের আগের নাম কী?

  উত্তর : ঢাকা শহরের আগের নাম জাহাঙ্গীরনগর।

১৬।       কাজল কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত?

  উত্তর : কাজল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত।

১৭।       ‘ছবির রং’ লেখাটি কার?

  উত্তর : ছবির রং লেখাটি হাশেম খানের।

১৮।       মৌলিক রং কোনগুলো?

  উত্তর : লাল, হলুদ ও নীল এই তিনটিই হলো মৌলিক রং।

১৯।       কদম ফুল কোন ঋতুতে ফোটে?

  উত্তর : কদম ফুল বর্ষাকালে ফোটে।

২০।       সবুজ ধানক্ষেত হলুদ হতে শুরু করে কখন?

  উত্তর : কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে সবুজ ধানক্ষেত হলুদ হতে শুরু করে।

২১।       বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীরা কেমন?

  উত্তর : বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীরা অনেক মুক্ত, সহজ ও সাহসী।

২২।       বাহার শব্দের অর্থ কী?

  উত্তর : বাহার শব্দের অর্থ হলো সৌন্দর্য বা শোভা।

২৩।       চাষিরা কোন মাসে দল বেঁধে ফসল কাটে?

  উত্তর : অগ্রহায়ণ মাসে চাষিরা দল বেঁধে ফসল কাটে।

২৪।       ‘সেই ছেলেটি’ কোন ধরনের রচনা?

  উত্তর : সেই ছেলেটি একটি নাটিকা।

২৫।       নাটিকাটিতে দৃশ্য কয়টি?

  উত্তর : নাটিকাটিতে মাত্র তিনটি দৃশ্য।

২৬।       প্রাবন্ধিক এ কে শেরামের বাড়ি কোথায়?

  উত্তর : প্রাবন্ধিক এ কে শেরামের বাড়ি হবিগঞ্জ।

 

মন্তব্য

এইচএসসির প্রস্তুতি : হিসাববিজ্ঞান প্রথম পত্র

    মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা
শেয়ার
এইচএসসির প্রস্তুতি : হিসাববিজ্ঞান প্রথম পত্র
অঙ্কন : শেখ মানিক

মডেল প্রশ্ন

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১। নিচের কোন হিসাবটি চলতি সম্পদ?

  ক. পুঞ্জীভূত অবচয়  খ. নগদান হিসাব

  গ. ১০% বিনিয়োগ   ঘ. কলকবজা

২। মেশিন সংস্থাপনের জন্য ৫,০০০ টাকা মজুরি প্রদত্ত হলে ডেবিট হবে

  ক. মেরামত হিসাব  খ. মজুরি হিসাব

  গ. রক্ষণাবেক্ষণ হিসাব   
ঘ. যন্ত্রপাতি হিসাব

  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  পদ্মা কম্পানির ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতির অবচয়যোগ্য মূল্য ১,৮০,০০০ টাকা এবং ভগ্নাবশেষ মূল্য ২০,০০০ টাকা। অবচয়ের হার ১০%।

প্রথম বছরের বার্ষিক অবচয় ২০,০০০ টাকা।

৩। পদ্মা কম্পানির ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতির ক্রয়মূল্য কত?

  ক. ১,৬০,০০০ টাকা খ. ১,৮০,০০০ টাকা

  গ. ২,০০,০০০ টাকা ঘ. ২,২০,০০০ টাকা

৪। পদ্মা কম্পানি কোন পদ্ধতিতে অবচয় ধার্য করে?

  ক. সরলরৈখিক পদ্ধতি    
খ. ক্রমহ্রাসমান জের পদ্ধতি

  গ. উৎপাদন একক পদ্ধতি
ঘ. বর্ষসংখ্যার সমষ্টি পদ্ধতি

৫।

আয় বিবরণীতে নিচের কোনটি দেখানো হয়?

  ক. অগ্রিম খরচ     খ. প্রদত্ত খরচ

  গ. প্রদেয় খরচ     ঘ. প্রাপ্য আয়

৬। মাহিম ট্রেডার্সের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে ঋণের পরিমাণ ৭০,০০০ টাকা, যার ২০,০০০ টাকা পরবর্তী বছরে পরিশোধ করতে হবে। মাহিম ট্রেডার্সের দীর্ঘমেয়াদি দায়ের পরিমাণ কত?

  ক. ২০,০০০ টাকা  খ. ৫০,০০০ টাকা

  গ. ৭০,০০০ টাকা ঘ. ৯০,০০০ টাকা

৭। ২০,০০০ টাকা বিজ্ঞাপন খরচের ৩৫ অংশ অবলোপন করা হলে বিলম্বিত বিজ্ঞাপন ব্যয় কত হবে?

  ক. ৪,০০০ টাকা   খ. ৮,০০০ টাকা

  গ. ১২,০০০ টাকা ঘ. ১৬,০০০ টাকা

৮।

সম্পত্তি, দায় ও মূলধনের মধ্যে সম্পর্ক প্রকাশ করে

  ক. ডেবিট এবং ক্রেডিট   
খ. দ্বৈত সত্তা গ. উদ্বৃত্তপত্র
ঘ. হিসাব সমীকরণ

৯। হিসাববিজ্ঞানের মূল ভিত্তি কী?

  ক. চালান খ. ক্যাশ মেমো

  গ. লেনদেন   ঘ. ভাউচার

১০।       অবচয় একটি

  ক. দৃশ্যমান ব্যয়    খ. অদৃশ্যমান ব্যয়

  গ. কাল্পনিক ব্যয়   ঘ. নগদ ব্যয়

১১।       আকিবের নিকট নগদে মাল বিক্রয় ২৫,০০০ টাকা। এ লেনদেনটির জন্য ব্যবহূত প্রামাণ্য দলিল

  i. ক্যাশ মেমো           ii. ক্রেডিট নোট

  iii. ক্রেডিট ভাউচার

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iiii  খ. iii 
গ.
iiiii  ঘ. i, iiiii

১২।

       মালিকানা স্বত্ব হ্রাসের কারণ হচ্ছে

  ক. উত্তোলন ও নগদ কমে যাওয়া  
খ. উত্তোলন ও খরচ বেড়ে যাওয়া

  গ. খরচ ও দায় কমে যাওয়া      
ঘ. খরচ ও দায় বেড়ে যাওয়া

১৩।       ক্রয় জাবেদায় কোন ধরনের লেনদেন লেখা হয়?

  ক. সম্পদ ক্রয় খ. চেকে ক্রয়

  গ. নগদে ক্রয় ঘ. ধারে ক্রয়

১৪।       কোন সম্পর্কটি সঠিক?

  ক. ক্রয় বাট্টা ও প্রদেয় হিসাব   
খ. ক্রয় বাট্টা ও প্রাপ্য হিসাব

  গ. ক্রয় বাট্টা ও বিক্রয় বাট্টা
ঘ. বিক্রয় বাট্টা ও প্রদেয় হিসাব

১৫।       প্রাপ্য হিসাব প্রভাবিত হবে এমন লেনদেন

  i. ধারে বিক্রয়
ii. বিক্রয় ফেরত

  iii. প্রাপ্য হিসাব আদায়  
নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiiii 
গ.
iiii  ঘ. i, iiiii

১৬।       মাসের শুরুতে পেটি ক্যাশিয়ারের হাতে নগদ ছিল ২০০ টাকা। এ মাসে পেয়েছেন ৮০০ টাকা। তার অগ্রদত্ত টাকার পরিমাণ কত?

  ক. ১,০০০ টাকা   খ. ৮০০ টাকা

  গ. ৬০০ টাকা ঘ. ২০০ টাকা

  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১৭ ও ১৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  জনাব অরন্য একজন ব্যবসায়ী। তিনি জনাব সুমনের নিকট ৪০,০০০ টাকার পণ্য ৫% বাট্টায় বিক্রয় করে নগদ ১০,০০০ টাকা এবং ২০,০০০ টাকার একটি চেক পেলেন। পরবর্তীতে তিনি জনাব সুমনকে ২০০ টাকা বাট্টা প্রদান করে অবশিষ্ট অর্থ নগদে গ্রহণ করেন।

১৭।       ধারে বিক্রয়ের পরিমাণ কত?

  ক. ৮,০০০ টাকা   খ. ১০,০০০ টাকা

  গ. ২৮,০০০ টাকা ঘ. ৩০,০০০ টাকা

১৮।       বাট্টা প্রদানের ফলে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণীতে

  i. ব্যয় বৃদ্ধি ১,২০০ টাকা, সম্পদ হ্রাস ২০০ টাকা

  ii. সম্পদ হ্রাস ২০০ টাকা, ব্যয় বৃদ্ধি ২০০ টাকা

  iii. নগদ বৃদ্ধি ৭,৮০০ টাকা, মালিকানা স্বত্ব হ্রাস ২০০ টাকা

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiiii 
গ.
iiii  ঘ. i, iiiii

১৯।       পর্যাপ্ত ফান্ডের অভাবে অমর্যাদাকৃত চেককে কী বলে?

  ক. বাহক চেক     খ. অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেক

  গ. দাগ কাটা চেক ঘ. এন এস এফ চেক

২০।       ব্যাংক কর্তৃক মঞ্জুরিকৃত সুদ

  i. পাশ বইতে ক্রেডিট করা হয় 
ii. পাশ বইতে ডেবিট করা হয়

  iii. নগদান বইতে ডেবিট করা হয়

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii 
গ.
iiiii  ঘ. i, iiiii

২১।       আসিফ ট্রেডার্সের ব্যাংক বিবরণী অনুযায়ী ডেবিট ব্যালেন্স ১০,০০০ টাকা। ব্যাংক বিবরণীর এ ডেবিট ব্যালেন্স আসিফ ট্রেডার্সের জন্য কী?

  ক. আয়   খ. ব্যয়

  গ. সম্পত্তি    ঘ. দায়

  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২২ ও ২৩ নম্বর  প্রশ্নের উত্তর দাও :

  যদি ১ জানুয়ারি তারিখে ব্যাংক উদ্বৃত্ত ৩০,০০০ টাকা হয়, ১০ জানুয়ারি ১০,০০০ টাকার চেক পেয়ে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয় পক্ষান্তরে ১৫ জানুয়ারি তারিখে ওই চেকটি ব্যাংক থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়।

২২।       ১৫ জানুয়ারি তারিখে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক উদ্বৃত্ত ছিল কত টাকা?

  ক. ১০,০০০ টাকা খ. ২০,০০০ টাকা

  গ. ৩০,০০০ টাকা ঘ. ৪০,০০০ টাকা

২৩।       চেকটি প্রত্যাখ্যানের কারণে

  i. প্রাপ্য হিসাব ডেবিট হবে   
ii. প্রদেয় হিসাব ক্রেডিট হবে

  iii. ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হবে

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii 
গ.
iiiii  ঘ. i, iiiii

 ২৪।      নিচের কোন হিসাব রেওয়ামিলে অন্তর্ভুক্ত হবে?

  ক. প্রারম্ভিক মজুদ, সমন্বিত ক্রয় ও শিক্ষানবিশ সেলামি

  খ. মোট মুনাফা, সমাপনী মজুদ পণ্য ও অগ্রিম বিমা

  গ. প্রারম্ভিক, মনিহারি মজুদ, অব্যবহূত মনিহারি ও প্রদেয় মজুরি

  ঘ. প্রারম্ভিক মজুদ, বিক্রীত পণ্যের ব্যয় ও উত্তোলন

২৫।       দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতির উদ্ভব কোন দেশে?

  ক. ইতালি খ. গ্রিস

  গ. ইংল্যান্ড   ঘ. ফ্রান্স

  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২৬ ও ২৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  জনাব রাহাত একজন আসবাবপত্র ব্যবসায়ী। তিনি ৩,০০,০০০ টাকার আসবাবপত্র ১০% বাট্টায় স্টার ফার্নিচার এর নিকট থেকে ক্রয় করে ভুলবশত আসবাবপত্র হিসাব ডেবিট করেন। তিনি ৩,০০০ টাকা মূল্যের একটি টেবিল ব্যবসায় ব্যবহারের জন্য গ্রহণ করেন এবং ক্রয়কৃত পণ্যের অর্ধাংশ ১,৫০,০০০ টাকায় বিক্রয় করেন, যার পরিবহন ব্যয় ৬০০ টাকা নির্বাহ করা হয়।

২৬।       জনাব রাহাতের হিসাব সংরক্ষণে কোন ধরনের ভুল সংঘটিত হয়েছে?

  ক. করণিক ভুল খ. নীতিগত ভুল

  গ. পরিপূরক ভুল    ঘ. বাদ পড়ার ভুল

২৭।       লেনদেনের জন্য প্রতিষ্ঠানের নিট মুনাফা কত হবে?

  ক. ১১,৪০০ টাকা খ. ১২,০০০ টাকা

  গ. ১৪,৪০০ টাকা ঘ. ১৫,০০০ টাকা

২৮।       কোনটি হিসাব সংরক্ষণের কোনো স্থায়ী রেকর্ড নয়?

  ক. নগদান বই খ. খতিয়ান

  গ. আর্থিক বিবরণী   ঘ. কার্যপত্র

২৯।       সমাপনী দাখিলা দ্বারা

  i. নামিক হিসাব বন্ধ করা হয়  
ii. উত্তোলনকে মূলধনে সমন্বয় করা হয়

  iii. চলতি সম্পদ হিসাব বন্ধ করা হয়

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiiii 
গ.
iiii  ঘ. i, iiiii

৩০।       বকেয়া খরচ সমন্বয় করা না হলে

  ক. মুনাফা বেশি ও খরচ কম দেখানো হবে

  খ. খরচ কম ও মুনাফা কম দেখানো হবে

  গ. মুনাফা কম ও খরচ বেশি দেখানো হবে

  ঘ. খরচ বেশি ও মুনাফা বেশি দেখানো হবে।

 

  উত্তর : ১. খ ২. ঘ ৩. গ ৪. খ ৫. খ ৬. খ
৭. খ ৮. ঘ ৯. গ ১০. খ ১১. ক ১২. খ ১৩. ঘ ১৪. ক ১৫. ঘ ১৬. ক ১৭. ক ১৮. খ ১৯. ঘ
২০. খ ২১. ঘ ২২. ঘ ২৩. গ ২৪. খ ২৫. ক ২৬. খ ২৭. গ ২৮. ঘ ২৯. ক ৩০. ক।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ