<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রবাস আয় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম উৎস জনশক্তি রপ্তানি। একসময় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার ছিল সৌদি আরব। এর পাশাপাশি ছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। কর্মসংস্থানের চেয়ে দ্বিগুণ কর্মী যাওয়ায় এবং ভিসার অপব্যবহারের কারণে গত ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ওমান সরকার সব ধরনের ভিসা বন্ধ করে দেয়। কুয়েতের শ্রমবাজারেও বিদেশি কর্মী প্রেরণে এক ধরনের বিধি-নিষেধ দিয়ে রেখেছিল দেশটির সরকার। এই বিধি-নিষেধের মধ্যে বিভিন্ন নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে কর্মী পাঠাত বাংলাদেশ, যা ছিল অধিক ব্যয়বহুল ও জটিল। এতে খুব অল্পসংখ্যক কর্মী কুয়েতে যেতে পারতেন।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, কুয়েতের শ্রমবাজার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য আবার উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই শ্রমবাজারে বিদেশি কর্মী নিয়োগে সব ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, নতুন নিয়ম ১ জুন থেকে কার্যকর হবে। অভিবাসনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, সব ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হলে কুয়েতের শ্রমবাজারে খুব সহজে অধিক কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে। কুয়েতের শ্রমবাজারে বাংলাদেশি কর্মীদের অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় আড়াই লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বৈদেশিক কর্মসংস্থানের দিক থেকে পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ যথেষ্ট পিছিয়ে আছে। এর একটি প্রধান কারণ দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে আমাদের পিছিয়ে থাকা। এ ক্ষেত্রে আরো উদ্যোগী হতে হবে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমাদের এখন নতুন শ্রমবাজার খুঁজে বের করতে হবে। দক্ষ শ্রমশক্তি রপ্তানিতে মনোযোগ দিতে হবে। দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে আরো বেশি রেমিট্যান্স আয় সম্ভব হতে পারে। কারণ দক্ষ জনশক্তি স্বাভাবিকভাবেই বেশি আয় করবে। এর জন্য যথার্থ কর্মপরিকল্পনা দরকার। দক্ষতার বিকল্প নেই। শ্রমশক্তি হিসেবে বিদেশ গমনেচ্ছুদের বিদেশি ভাষায় পারদর্শী করে তোলা প্রয়োজন। সঠিক প্রশিক্ষণেরও কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায় শিক্ষিত ও দক্ষতাসম্পন্নদের কদর বাড়ছে। বিকাশমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাই জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। নতুন নতুন বাজার অন্বেষণে আমাদের আরো তৎপর হতে হবে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p>