<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পাহাড় কাটা আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু কেউ কোথাও তা মানছে বলে মনে হয় না। গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত পাহাড় কাটার অনেক খবরই প্রকাশিত হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির অবৈধ সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। দিনদুপুরে পাহাড়ের মাটি চলে যাচ্ছে ইটভাটায়। এসব নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব যাঁদের, অভিযোগ আছে, বিশেষ কারণে তাঁরা সেসব দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন। গতকালও কালের কণ্ঠে এসংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রায় এক একর আয়তনের একটি পাহাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করছে স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র। বন বিট কার্যালয়ের কয়েক শ গজের মধ্যে এমন বেআইনি কাজ করা হলেও রহস্যজনক কারণে তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। চক্রটি ওই পাহাড় থেকে এক্সকাভেটর ব্যবহার করে মাটি কাটছে এবং ড্রাম ট্রাকে করে সেই মাটি পরিবহন করছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পাহাড় কাটার কারণে প্রায়শ পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে।  জীববৈচিত্র্যে আঘাত আসছে। সেই সঙ্গে ধ্বংস হচ্ছে দেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য। ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পূর্বানুমতি ছাড়া দেশে পাহাড় হোক, টিলা হোক, কোনো কিছুই কাটা যাবে না। সেটি ব্যক্তিমালিকানাধীন হলেও কাটা যাবে না। ২০১০ সালে আইনটি সংশোধন করে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান করা হয়েছে। কিন্তু আইনের যদি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে আইন কঠোর করেই বা লাভ কি? জানা যায়, কাটতে থাকা পাহাড়টি চকরিয়া উপজেলার বানিয়ারছড়া স্টেশনের অদূরে আমতলী নামক স্থানে অবস্থিত। এটি বরইতলী বন বিটের আওতাধীন। কিন্তু বন বিভাগের দাবি, সংরক্ষিত বনের অধীনে পাহাড়টির অবস্থান হলেও এটি বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের অধীন। এ কারণে তারা পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তবে স্থানীয়রা জানান, ওই পাহাড় ও আশপাশের এলাকা কোনোটাই ফাইতং ইউনিয়নের অধীন নয়। তাদের মতে, দায়িত্ব এড়ানোর জন্যই তারা এমনটি বলে থাকে। শুধু বন বিভাগ নয়, পাহাড় কাটা রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসনেরও ভূমিকা রয়েছে। তারা কী করছে?</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় আমাদের আরো কঠোর হতে হবে। বরাবরই দেখা গেছে, প্রকৃতিবিনাশী এসব কাজে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অনেকে জড়িত থাকেন। তাঁদের দৌরাত্ম্য কমাতে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের ভূমিকা জরুরি। আমরা আশা করি, অবিলম্বে চকরিয়ার পাহাড় কাটা বন্ধ করা হবে এবং পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p>