(গত সংখ্যার পর)
অপু ভয়ে ভয়ে বাসায় ঢোকে। ও ভেবেছিল, ওর বাবা ওকে খুব করে বকবেন। কী আশ্চর্য! ওর বাবা ওকে কিছুই বললেন না। তিনি শুধু বললেন, আর কখনো বাসায় ফিরতে দেরি কোরো না।
(গত সংখ্যার পর)
অপু ভয়ে ভয়ে বাসায় ঢোকে। ও ভেবেছিল, ওর বাবা ওকে খুব করে বকবেন। কী আশ্চর্য! ওর বাবা ওকে কিছুই বললেন না। তিনি শুধু বললেন, আর কখনো বাসায় ফিরতে দেরি কোরো না।
জি, বাবা।
অপু, তোদের স্কুলে ক্লাস ঠিকমতো হচ্ছে তো?
জি, বাবা। স্যাররা খুব ভালো।
তোর লেখাপড়া ঠিক আছে?
জি, বাবা। কোনো অসুবিধা নেই।
অপু হঠাত্ আনমনা হয়ে যায়। তার মাথায় পাহাড়ে যাওয়ার ঘটনাটিই ঘুরপাক খায়।
তিন.
পাঁচ বন্ধু সকালে একসঙ্গে স্কুলে রওনা হয়েছে। ওদের পাঁচজনের কাঁধে ব্যাগ। ব্যাগে কিছু বই-খাতা আছে। তবে বেশির ভাগই ওদের অভিযানের জিনিসপত্র। কিছু দূর যাওয়ার পর সবার চোখে ধুলা দিয়ে ওরা পাহাড়ের দিকে চলে যায়। কেউ বুঝতেও পারে না, স্কুলে যায়নি।
পাহাড়ের ঢাল বেয়ে হাঁটতে হাঁটতে লেকের কাছে চলে যায় ওরা। পথে পাহাড়ি কিছু লোকের সঙ্গে দেখা হয়। ওই পর্যন্তই। কারো সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। হঠাত্ বনের ভেতর থেকে এক লোক দৌড়ে এসে ওদের সামনে দাঁড়ায়। হাঁপাতে হাঁপাতে বলে, আপনারা কই যাচ্ছেন? ওই দিকে এখন যাইয়েন না। আমাকে কিন্তু চিতা বাঘে তাড়া করছে। দৌড় মারেন! আর না হয় উঁচু গাছে ওঠেন! বাঁচতে পারবেন না কিন্তু! কইয়া দিলাম!
লোকটা আবার দৌড় শুরু করল। তার দেখাদেখি অপু, রাজনরাও দৌড় শুরু করল। লোকটার সঙ্গে ওরা সবাই পাহাড়ের এক গুহায় আশ্রয় নিল। গুহায় চুপচাপ বসে আছে। কিন্তু ওদের চোখেমুখে ভয় আর আতঙ্ক!
অপু হাঁপাতে হাঁপাতে লোকটাকে বলল, আপনাকে কি সত্যি সত্যিই বাঘে তাড়া করেছে?
না করলে কি মিথ্যা বলছি না কি? আরে বাপ রে বাপ! আরেকটু হইলেই ধইরা ফেলত! কিভাবে যে বাঁইচা আইছি!
আপনার বাড়ি কই?
ওই দিকে।
সম্পর্কিত খবর