* ছোটদের প্রতি বড়দের প্রথম করণীয় হলো তাদের স্নেহ করা।
* কথায় কথায় তাদের ধমক দেওয়া ও তিরস্কার করা উচিত নয়। ছোটদের ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা উচিত। প্রথম পর্যায়ে দু-একবার নম্রভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার পর তাতে কাজ না হলে তখন কঠোরতা গ্রহণ করলে তাতে অসুবিধা নেই।
* যার সম্পর্কে লক্ষণ দেখে বোঝা যায় যে সে নির্দেশ মান্য করবে না, তাকে নির্দেশ দেবে না। অবশ্য শরিয়তের কোনো ওয়াজিব বিষয় হলে তা ভিন্ন কথা।
* ছোটদের সাধ্যের বাইরে তাদের কাছ থেকে কাজ নেওয়া যাবে না। তাদের আরাম, নিদ্রা প্রভৃতির প্রতিও খেয়াল করা চাই।
* কখনো ছোটদের প্রতি অতিরিক্ত রাগ বা ক্ষোভ প্রকাশ করলে বা শাসন করলে পরবর্তী সময়ে তাদের মন খুশি করে দেওয়া দরকার।
* তবে কোনো শিশুকে এতটা নৈকট্য প্রদান করবে না বা এতটা প্রশ্রয় দেবে না, যাতে সে মাথায় চড়ে যায়।
* ছোটদেরও সত্য কথা বলার অধিকার রয়েছে, কাজেই ছোটদের কেউ কোনো ন্যায়ের কথা বললে তাকে খারাপ মনে করার অবকাশ নেই। অবশ্য আদব রক্ষা করে না বললে তার জন্য স্বতন্ত্র উপদেশ দেওয়া যেতে পারে।
* ছোটদের হেয় করা যাবে না। কেননা ছোট হওয়া সত্ত্বেও তার মধ্যে এমন কোনো বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে, যা তার (বড়দের) মধ্যে নেই।
* নিজেরা শরিয়তসম্মত কাজ করে ছোটদের জন্য শিষ্টাচারের মডেল হতে হবে।
* ছোটদের বেআদবির কারণে সরাসরি তাদের সঙ্গে কথা বলতে খুব বেশি ক্রোধ এসে যেতে থাকলে অন্য কারো মাধ্যমে তাদের যা বলার, তা বলে দেবে।
* ছোটরা যদি অধীনস্থ হয়, তাহলে তাকে শরিয়ত মোতাবেক গড়ে তোলা এবং পরিচালনা করা বড়দের দায়িত্ব।
লেখক : ইসলামী গবেষক