ঢাকা, রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫
২৯ আষাঢ় ১৪৩২, ১৭ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫
২৯ আষাঢ় ১৪৩২, ১৭ মহররম ১৪৪৭

৬০১০ কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে ১০ ব্যাংক

  • ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত ১০ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২৭৭৫ অফিসার (জেনারেল), ৭ ব্যাংকে ২৪১৬ অফিসার (ক্যাশ/টেলর), ২ ব্যাংকে ৪৬৮ অফিসার (আইটি) এবং জনতা ব্যাংকে ৩৫১ পদে অফিসার-রুরাল ক্রেডিট (আরসি) নিয়োগের পৃথক একাধিক বিজ্ঞপ্তি সম্প্রতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবেদন করতে হবে অনলাইনে ৯ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন আরিফুল ইসলাম
শেয়ার
৬০১০ কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে ১০ ব্যাংক

১০ ব্যাংকে সমন্বিত নিয়োগ :

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত ১০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সমন্বিতভাবে একক প্রতিযোগিতামূলক বাছাই পরীক্ষার মাধ্যমে অফিসার (জেনারেল) পদে ২৭৭৫ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আবেদন করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগসংক্রান্ত ওয়েবসাইট (erecruitment.bb.org.bd) থেকে।

 

পদের নাম : অফিসার (জেনারেল) (২০২১ সালভিত্তিক)

জব আইডি : ১০১৮১

পদসংখ্যা : ২৭৭৫টি (সোনালী ব্যাংক লি.-এ ১০৫৪টি, জনতা ব্যাংক লি. ৩০২টি, অগ্রণী ব্যাংক লি. ১০০০টি, রূপালী ব্যাংক লি. ১৫টি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লি. ৩৫টি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ২৭৫টি, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ২৪টি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ১৯টি, কর্মসংস্থান ব্যাংক ৪৫টি এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ-এ ৬টি)।

বেতন স্কেল : জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৬০০০-১৬৮০০-১৭৬৪০...৩৮৬৪০ টাকা ও অন্যান্য সুবিধা।

শিক্ষাগত যোগ্যতা :

ক. স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে।

খ. মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি)/সমমান এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাসমূহে ন্যূনতম একটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। গ্রেডিং পদ্ধতির ফলাফলের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।

গ. কোনো পর্যায়েই ৩য় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য হবে না।

ঘ. গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রকাশিত ফলাফলের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বর্তমান প্রচলিত জিপিএ বা সিজিপিএর বিপরীতে পূর্বের ১ম ও ২য় বিভাগ/শ্রেণি নির্ধারিত হবে।

আবেদন জমা এবং ফি দেওয়ার শেষ তারিখ ও সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রাত ১১.৫৯টা।

Verify Payment এবং Tracking Page সংগ্রহের শেষ তারিখ ও সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ রাত ১১.৫৯টা।

আবেদন ফি : ২০০ টাকা (অফেরতযোগ্য)।

ডাচ্-বাংলা লিমিটেডের মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) রকেট-এর মাধ্যমে আবেদনকারীকে নিজের অথবা এজেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ফি দিতে হবে।

আবেদন পদ্ধতি :

ক. কেবল বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগসংক্রান্ত ওয়েবসাইটের (erecruitment.bb.org.bd) নির্ধারিত ছক পূরণের মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন করে আবেদন জমা দিতে হবে। আবেদন দাখিলের বিস্তারিত নিয়ম ও শর্তাবলি ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে।

খ. সিভি আইডি নম্বর : বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে এর আগে নিবন্ধনকৃত প্রার্থীদের বিদ্যমান সিভি আইডি নম্বর ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আবেদন দাখিল করতে হবে। নতুন প্রার্থীরা অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করলে সিভি আইডি নম্বর ও পাসওয়ার্ড পাবেন, যা ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ রাখতে হবে।

গ. প্রার্থীর বিবরণ : আবেদনের সময় প্রার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নাম অবশ্যই এসএসসি অথবা সমমানের সনদ অনুযায়ী লিখতে হবে।

ঘ. প্রার্থীর বর্তমান ঠিকানা : প্রার্থীর বর্তমান বসবাসের স্থান এবং নিয়োগসংক্রান্ত চিঠিপত্র পেতে ইচ্ছুক ঠিকানাকে বর্তমান ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করতে হবে।

ঙ. প্রার্থীর স্থায়ী ঠিকানা : প্রার্থীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত জাতীয়তা সনদে উল্লিখিত স্থায়ী ঠিকানাকে প্রার্থীর স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করতে হবে। বিবাহিত মহিলা প্রার্থীরা তাদের স্বামীর ঠিকানাকে নিজের স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে অবিবাহিত মহিলা প্রার্থীরা আবেদন দাখিলের পরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার অনুকূলে নিজের স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন।

৭ ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ/টেলর) নিয়োগ :

অফিসার (ক্যাশ) ও অফিসার (টেলর) পদে ২৪১৬ জন নিয়োগ দেবে ৭ ব্যাংক। আবেদন করতে হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রাত ১১.৫৯টার মধ্যে।

 

২ ব্যাংকে অফিসার (আইটি) নিয়োগ :

অফিসার (আইটি) পদে ৪৬৮ জন নিয়োগ দেবে সোনালী ব্যাংক (৩০৭) ও জনতা ব্যাংক (১৬১)। আবেদন করতে হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রাত ১১.৫৯টার মধ্যে।

 

জনতা ব্যাংকে অফিসার আরসি পদ ৩৫১টি :

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত জনতা ব্যাংকে অফিসার-রুরাল ক্রেডিট/আরসি পদে ৩৫১ জন নিয়োগের পৃথক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিয়োগপ্রাপ্তদের শুধু কৃষিঋণ সম্পৃক্ত গ্রেড-২, ৩ এবং ৪ শাখাসমূহে পদায়ন করা হবে এবং সেখানে কৃষিঋণ সম্পৃক্ত যাবতীয় কাজ করতে হবে।

পদের নাম ও গ্রেড : অফিসার-রুরাল ক্রেডিট/আরসি (২০২১ সালভিত্তিক), ১০ম গ্রেড।

জব আইডি : ১০১৮২।  

বেতন স্কেল : জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৬০০০-১৬৮০০-১৭৬৪০...৩৮৬৪০ টাকা ও অন্যান্য সুবিধা।

শিক্ষাগত যোগ্যতা :

ক. স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে।

খ. মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি)/সমমান এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাসমূহে ন্যূনতম একটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। গ্রেডিং পদ্ধতির ফলাফলের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।

গ. কোনো পর্যায়েই ৩য় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য হবে না।

উল্লেখ্য, এসব বিজ্ঞপ্তির আগে ৯ ব্যাংকে ৯২২ কর্মকর্তা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

বাছাই পরীক্ষা যেভাবে

বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অফিসার (জেনারেল) পদের পরীক্ষা হবে তিন ধাপে। প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় ১০০ নম্বরের এমসিকিউ (বহু নির্বাচনী প্রশ্ন) পদ্ধতিতে। দ্বিতীয় ধাপে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ভাইভা (মৌখিক পরীক্ষা) হবে ২৫ নম্বরের ওপর। প্রিলিমিনারি বা বাছাই পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান, কম্পিউটারের ওপর মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এ ক্ষেত্রে গণিতে ৩০ নম্বর, ইংরেজিতে ২৫ নম্বর, বাংলায় ২০ নম্বর, সাধারণ জ্ঞানে ১৫ এবং কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তিতে ১০ নম্বর।

 

লিখিত পরীক্ষা :

অফিসার (জেনারেল) পদের লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস বা মানবণ্টন নেই। তবে বিগত পরীক্ষাগুলোতে দেখা গেছে, লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি ও গণিত থেকে মোট ২০০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয়েছে। বাংলায় সমসাময়িক বিষয়ের ওপর একটি রচনা থাকে, এর জন্য ২০ থেকে ২৫ নম্বর। সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী প্রতিবেদন অথবা ব্যাংক সম্পর্কিত দরখাস্ত লিখতে বলা হয়, এখানে ২০ নম্বর। ইংরেজির ক্ষেত্রে ফোকাস রাইটিং বা রচনা লেখার জন্য ৩০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। ফোকাস রাইটিংয়ের জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমসাময়িক বিষয়গুলো সম্পর্কে ইংরেজিতে শুদ্ধভাবে লেখার দক্ষতা থাকতে হয়। ইংরেজিতে একটি প্যাসেজ দেওয়া থাকে, এই প্যাসেজের আলোকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়, এর জন্য ২০ নম্বর। অন্যদিকে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদের জন্য বরাদ্দ ২০ নম্বর। আবার ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদও থাকে, সেখানে ২০ নম্বর। আর গণিতের জন্য আগে ৭০ থেকে ৮০ নম্বরের প্রশ্ন আসত, বর্তমানে ৩৫ থেকে ৫০ নম্বরের প্রশ্ন আসতে দেখা গেছে। এ ছাড়া টীকায় ৩০ থেকে ৩৫ নম্বর।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অসামরিক পদে কর্মী নেবে বিজিবি

    ২৩ ধরনের পদে ১৬৬ জন বেসামরিক কর্মী নিয়োগ দেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অনলাইনে আবেদন করতে হবে ১৩ জুলাই ২০২৫ তারিখের মধ্যে। বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পাবেন। আবেদনের দরকারি তথ্য জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
অসামরিক পদে কর্মী নেবে বিজিবি
ছবি: এআই দিয়ে তৈরি

পরীক্ষা পদ্ধতি: প্রাথমিক ডাক্তারি পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা, ব্যাবহারিক পরীক্ষা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র ও সময়সূচি বিজিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া প্রার্থীদের মোবাইলে এসএমএস করেও জানানো হবে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের লিখিত, মৌখিক, ব্যাবহারিক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা নেওয়া হবে।

 

আবেদন যেভাবে: সব কটি পদের ক্ষেত্রেই অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ ও জমা দিতে হবে ছয়টি ধাপে। প্রথম ধাপে যোগ্যতা পরীক্ষা, দ্বিতীয় ধাপে রেজিস্ট্রেশন, তৃতীয় ধাপে আবেদন ফি জমা, চতুর্থ ধাপে শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই, পঞ্চম ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান ও ছবি আপলোড এবং ষষ্ঠ ধাপে অ্যাডমিট কার্ড বা প্রবেশপত্র ডাউনলোড।

 

ভর্তির সময় যা রাখতে হবে: শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ, মূল প্রশংসাপত্র, অভিভাবকের সম্মতিপত্র, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার সনদের মূল কপি, নাগরিকত্ব সনদের মূল কপি, প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সনদের দুই কপি মূল সনদপত্র, বিবাহিতদের বেলায় বৈবাহিক সনদের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র, অ্যাডমিট বা প্রবেশপত্রের প্রিন্ট কপি ও সদ্য তোলা নীল ব্যাকগ্রাউন্ডে ল্যাব প্রিন্ট রঙিন ছবি (পাসপোর্ট) ১১ কপি।

এর মধ্যে এক কপি চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলর কর্তৃক সত্যায়িত। সব কটি সনদের মূল কপির সঙ্গে এক কপি করে সত্যায়িত ফটোকপি রাখতে হবে।

 

কোন পদে কতজন: ইমাম/আরটি-৩ জন। সহকারী লাইব্রেরিয়ান-১ জন।

অফিস সহকারী-১৫ জন। ড্রাফটসম্যান-৪ জন। কার্পেন্টার-৩ জন। কমিউনিকেশন টেকনিশিয়ান (গ্রেড-৪)-১৮ জন। সহকারী স্টোর কিপার-১ জন।
সহকারী ভিএম-১ জন। সহকারী ওবিএম ড্রাইভার-৫ জন। সহকারী ডব্লিউসি টেকনিশিয়ান-১ জন। ইলেকট্রিশিয়ান-২ জন। মিডওয়াইফ (মহিলা)-২ জন। বয়লার অপারেটর-১ জন। টেইলর-২ জন। বুটমেকার-১ জন। লস্কর-৬ জন। আয়া-২ জন। ফাউলকিপার-১ জন। বাবুর্চি-৫৫ জন। সহকারী বাবুর্চি-২ জন। অফিস সহায়ক-৭ জন। মালি-৭ জন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী-২৬ জন।

পদভেদে ন্যূনতম যোগ্যতা জেএসসি থেকে ডিপ্লোমা/ফাজিল। পদভেদে অভিজ্ঞতাও চাওয়া হয়েছে। পদভিত্তিক বিস্তারিত যোগ্যতা পাওয়া যাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে।

১৩ জুলাই ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জারীকৃত প্রজ্ঞাপন অনুসারে কোটাসহ অন্যান্য বিধি অনুসরণ করা হবে।

 

বেতন-ভাতা: নিয়োগপ্রাপ্তরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুসারে বেতন-ভাতা, রেশন, চিকিৎসা ও বিজিবির নির্ধারিত সব সুবিধা পাবেন।

 

আবেদনের লিংক ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:

http://joinborderguard.bgb.gov.bd

 

মন্তব্য

প্রশিক্ষণ নিয়ে সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিক হওয়ার সুযোগ

    নৌপরিবহন অধিদপ্তরের অধীনে ‘প্রি-সি নাবিক (রেটিং)’ ৫২০ জনকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকারি-বেসরকারি সাতটি মেরিটাইম প্রতিষ্ঠান। ছয় মাসের কোর্স শেষে প্রশিক্ষণার্থীরা সমুদ্রগামী জাহাজে সাধারণ নাবিক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন। গ্রীষ্মকালীন (২০২৫) কোর্সে ভর্তির আবেদন করা যাবে ২৩ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত। বাছাই পরীক্ষা, প্রশিক্ষণ, চাকরির সুযোগসহ দরকারি তথ্য জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
প্রশিক্ষণ নিয়ে সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিক হওয়ার সুযোগ
ছবি: এআই দিয়ে তৈরি

বাছাই যেভাবে

বাছাইপ্রক্রিয়ায় মোট ২০০ নম্বর বরাদ্দ। একাডেমিক ফলাফল ও ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হবে। প্রার্থী তাঁর এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ-এর ২০ গুণ (সর্বোচ্চ) নম্বর পাবেন। অর্থাৎ কারো জিপিএ ৫ থাকলে তিনি এই অংশে ১০০ নম্বর পাবেন।

বাকি ১০০ নম্বর বরাদ্দ ভর্তি পরীক্ষায়। ৯০ মিনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ পদ্ধতির ১০০টি প্রশ্ন থাকবে। বাংলায় ৩০, ইংরেজিতে ৩৫ এবং সাধারণ জ্ঞানে ৩৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। পাস নম্বর থাকবে ৪০ শতাংশ।

 

আবাসন ও কোর্স ফি

ছয় মাস মেয়াদের প্রশিক্ষণের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করবে মেরিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সরকারি ইনস্টিটিউট বা একাডেমিতে পুরো কোর্সে সব মিলিয়ে এক লাখ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণে খরচ হবে পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা।

 

কাজের সুযোগ

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের কন্ট্রোলার অব মেরিটাইম এডুকেশন (সিসি) ক্যাপ্টেন সাঈদ আহমেদ জানান, ডেক ও ইঞ্জিন নাবিক, স্টুয়ার্ট ও কুক নাবিক, ইলেকট্রিশিয়ান নাবিক ও ফিটার কাম ওয়েল্ডার নাবিক—এই চারটি গ্রুপে ভর্তি ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

ছয় মাসের প্রশিক্ষণ শেষে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম নিয়ম অনুযায়ী প্রশিক্ষণার্থীদের প্রি-সি রেটিং (নাবিক) সনদ দেওয়া হবে। সনদ পাওয়ার পর নৌপরিবহন অধিদপ্তরের শর্ত মেনে বেসরকারি মেরিটাইম প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট বা একাডেমিগুলো তাদের সমুদ্রগ্রামী পণ্য পরিবহন বা বাণিজ্যিক জাহাজে চাকরির সুযোগ করে দেয়। তবে সরকারি ইনস্টিটিউট বা একাডেমিগুলোর ক্ষেত্রে চাকরি দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে তারা দেশি-বিদেশি জাহাজ কম্পানিতে চাকরি পাওয়ার ব্যাপারে প্রার্থীদের সহযোগিতা করে।

 

পদোন্নতি ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা

প্রশিক্ষণ শেষে ট্রেইনি রেটিং (নাবিক) বা সিম্যান জাহাজে চাকরির সুযোগ পান।

ডেক ও ইঞ্জিন বিভাগে পর্যায়ক্রমে পদোন্নতি পেয়ে সর্বোচ্চ ‘বুসান’ হতে পারেন একজন নাবিক। স্টুয়ার্ট ও কুক বিভাগের নাবিকরা সর্বোচ্চ হেড স্টুয়ার্ট ও হেড কুক হতে পারেন। ইলেকট্রিশিয়ান নাবিক ও ফিটার কাম ওয়েল্ডার বিভাগে সর্বোচ্চ চিফ ইলেকট্রিশিয়ান ও চিফ ফিটার কাম ওয়েল্ডার হওয়া যায়। জাহাজে যোগ দেওয়ার পর শুরুতেই মাসিক বেতন হতে পারে ৪০-৫০ হাজার টাকা। পদোন্নতি ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে সর্বোচ্চ মাসিক বেতন হতে পারে দুই-তিন লাখ টাকা বা তারও বেশি।

 

ভর্তির যোগ্যতা ও আবেদন পদ্ধতি

১ জুলাই ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী সাধারণ প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৬ থেকে ২৫ বছর। ডিপ্লোমাধারী প্রার্থীদের বয়সসীমা ২০ থেকে ৩৫ বছর। নৌবাহিনীর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স ২৫ থেকে ৪৫ বছর। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত চারটি গ্রুপের মধ্যে যেকোনো একটি গ্রুপে আবেদন করা যাবে। ডেক ও ইঞ্জিন নাবিক (গ্রুপ-১) এবং স্টুয়ার্ট ও কুক নাবিক (গ্রুপ-২) হিসেবে আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানে কমপক্ষে জিপিএ ২.৫০ বা সমমান। ইলেকট্রিশিয়ান নাবিক (গ্রুপ-৩) হিসেবে ভর্তির যোগ্যতা—কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিপ্লোমা অথবা এসএসসি বা সমমান। এর পাশাপাশি দুই বছরের ট্রেড কোর্স অথবা উক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কশপে ছয় মাসের প্রশিক্ষণসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা। ফিটার কাম ওয়েল্ডার নাবিক (গ্রুপ-৪) হিসেবে আবেদনের যোগ্যতা—কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মেরিন/মেকানিক্যাল/পাওয়ার/অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা শিপ বিল্ডিংয়ে ডিপ্লোমা অথবা এসএসসি বা সমমান। এর পাশাপাশি দুই বছরের ট্রেড কোর্স পাস অথবা ন্যূনতম এসএসসি বা সমমানসহ বিটাক বা সমমানের প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়েল্ডিং অথবা মেশিন শপে তিন মাসের প্রশিক্ষণ। উচ্চতা ন্যূনতম ৫ ফুট ২ ইঞ্চি এবং ওজন ৪২-৬৭ কেজি। দৃষ্টিশক্তি ডেক রেটিংদের জন্য দুই চোখ ৬/৬ এবং অন্যান্য রেটিংদের জন্য দুই চোখে ৬/১২। বর্ণান্ধরা (কালার ব্লাইন্ড) আবেদন করতে পারবেন না।

 

বিজ্ঞপ্তি ও আবেদন

www.dos.gov.bd

 

মন্তব্য
ভাইভা অভিজ্ঞতা

ইউএনও হলে নারী বৈষম্য রোধে কী কী পদক্ষেপ নেবেন?

    রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রনিকস ও টেলিকমিউনিকেশনে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়েছেন রুবাইয়া সিদ্দিকা। তিনি ৪৪তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাঁর ভাইভা অভিজ্ঞতা শুনেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
শেয়ার
ইউএনও হলে নারী বৈষম্য রোধে কী কী পদক্ষেপ নেবেন?
রুবাইয়া সিদ্দিকা

ভাইভা হয়েছিল ৫ মে ২০২৫। প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল ১৫ মিনিটের মতো। অনুমতি নিয়ে রুমে ঢুকে চেয়ারম্যান স্যারসহ সবার দিকে তাকিয়ে সালাম দিই। স্যার বসার অনুমতি দিয়ে ভাইভা শুরু করেন।

 

চেয়ারম্যান: আপনি খুবই হাসিখুশি! সকালবেলায় প্রথমেই আপনার হাসি মুখটি দেখে খুব ভালো লাগছে।

—অনেক ধন্যবাদ স্যার।

(সার্টিফিকেট দেখে) আপনার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড তো বেশই ভালো। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন, বলুন—ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জ্ঞান প্রশাসনে কিভাবে কাজে লাগাবেন?

—স্যার, বর্তমানে ফোরআইআর এবং এআই-এর যুগ।

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাইলে এর প্রভাব থেকে প্রশাসনকে দূরে রাখার কোনো সুযোগ নেই। আমি আমার অর্জিত জ্ঞান দিয়ে প্রশাসনকে আরো আধুনিক ও গতিশীল করতে পারব বলে আশা রাখি। দ্বিতীয়ত, আমি যেহেতু একজন ইঞ্জিনিয়ার, সেহেতু চাপ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করার দক্ষতা আমি আমার ডিগ্রি অর্জনের সময় পেয়েছি। এই গুণটি মাঠ প্রশাসনে খুব কাজে লাগবে।

প্রশাসনে গেলে ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞান দিয়ে কার্যক্রমকে কিভাবে গতিশীল করবেন?

—স্যার, অলরেডি ভূমি অফিস, উপজেলা অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসের কাজগুলো অনলাইনে করা হয়েছে। কিন্তু ডেটাবেইসের বিশালত্ব ও আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার জন্য পুরো প্রক্রিয়াটি এখনো ততটা গতিশীল নয়। চেষ্টা করব সরকারি দপ্তরের অনলাইন কাজগুলো আরো ব্যবহারবান্ধব করে উপস্থাপনের।

নারীর ক্ষমতায়ন বলতে কী বোঝেন?

—পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়—সব ক্ষেত্রে যদি বাধা-বিপত্তি ছাড়াই নারী তার মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারগুলো অর্জন করতে পারে, তাহলে এটাকে আমি নারীর ক্ষমতায়ন মনে করি।

প্রশাসনে কাজ করার সময় নারীদের কী কী বাধার সম্মুখীন হতে হয়?

—দেশের তৃণমূল পর্যায়ের জনগোষ্ঠী এখনো নারীর ক্ষমতায়নের সঙ্গে সার্বিকভাবে পরিচিত নয়।

তাই তারা বাধার সম্মুখীন হতে পারে।

ইউএনও হলে আপনি নারী বৈষম্য রোধে উপজেলায় কী কী পদক্ষেপ নেবেন?

—স্যার, আমি প্রথমেই উপজেলার আইন-কানুনে নজর দেব। কিশোরী বা নারীরা যাতে ইভ টিজিং ও অন্যান্য অপরাধের শিকার না হয়, এর জন্য আইনের প্রয়োগ করব। দ্বিতীয়ত, নারী, শিশু-কিশোরীরা যাতে শিক্ষার অধিকার পায়, তা নিশ্চিত করব। প্রয়োজনে উপজেলার স্কুলগুলোয় নারীশিক্ষা বিষয়ক আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করব। তৃতীয়ত, যৌতুক, এসিড সন্ত্রাস, বাল্যবিবাহ রোধে দেশের প্রচলিত আইনগুলোর যথাযথ ব্যবহার করে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করব।

 

এক্সটার্নাল-১: দেশের কয়েকটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থানের নাম বলতে পারবেন?

—কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, সিলেট।

সনেট বলতে কী বোঝেন?

—চৌদ্দটি চরণের মাধ্যমে যখন কবির মনের একটি সুনির্দিষ্ট মূলভাবকে প্রকাশ করা হয় তাকে সনেট বলে।

একজন সনেটকারের নাম বলুন।

—মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

তাঁর বিখ্যাত সনেটের নাম জানেন?

—কপোতাক্ষ নদ ও বঙ্গভাষা।

 

এক্সটার্নাল-২: দেশের পর্যটনশিল্পের সমস্যাগুলো কী কী?

—স্যার, আমাদের দেশে দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন পর্যটন স্পট থাকার পরও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের টানতে পারছে না। এ ছাড়া দর্শনীয় স্থানগুলোতে স্থানীয় নিরাপত্তার অভাব, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা, নিরাপদ আবাসনের সংকট—এগুলোও অন্যতম কারণ।

বান্দরবানের ইউএনও করা হলে পর্যটনের বিকাশে কী পদক্ষেপ নেবেন?

—স্যার, প্রথমেই আমি বান্দরবনের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করব। পর্যটন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা বাড়াতে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। পাহাড়ি সড়কগুলো সংস্কারের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করব। দুর্গম পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার অবকাঠামো তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।

 

এক্সটার্নাল-১: প্রশাসন ক্যাডারে সর্বোচ্চ পদমর্যাদা কোনটি?

—স্যার, মন্ত্রীপরিষদসচিব।   

চেয়ারম্যান: কাগজপত্র নিয়ে যান।

(সবার দিকে তাকিয়ে সালাম দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসি।)

 

মন্তব্য
বিসিএস

প্রশাসন ক্যাডারে যেভাবে প্রথম ফরহাদ

    ৪৪তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন ফরহাদ হোসেন। তিনি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন। তাঁর প্রস্তুতি ও প্রথম হওয়ার পেছনের গল্প শুনেছেন আব্দুন নুর নাহিদ
শেয়ার
প্রশাসন ক্যাডারে যেভাবে প্রথম ফরহাদ
ফরহাদ হোসেন ছবি : সংগৃহীত

বিসিএস প্রিলিমিনারির প্রস্তুতির শুরুতে বিগত বিসিএসের প্রশ্নপত্র সমাধান করেছি। এর ফলে সহজেই বুঝতে পেরেছি, কোন বিষয়ে দখল ভালো আর কোনগুলোতে আমি দুর্বল। এসএসসি-এইচএসসির শিক্ষার্থীদের পড়ানোর কারণে গণিত-বিজ্ঞান নিয়মিত চর্চা হতো। সিলেবাস ধরে ধরে এগিয়েছি

আপনার ক্যাডার পছন্দক্রম কী ছিল? এটা কততম বিসিএস? মেধাতালিকায় প্রথম হবেন, ভেবেছিলেন?

আমার ক্যাডার পছন্দক্রমে ছিল—প্রশাসন, পুলিশ, অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস, ট্যাক্স, আনসার ও তথ্য।

এটা আমার তৃতীয় বিসিএস। এর আগে ৪১ ও ৪৩তম বিসিএসে অংশ নিয়েছিলাম, কিন্তু ক্যাডার পদ পাইনি। ৪৪তম বিসিএস লিখিত ও ভাইভা অনেক ভালো দিয়েছি। কিন্তু মেধাতালিকায় প্রথম হব, ভাবিনি।

 

কিভাবে প্রথম হলেন? অর্থাৎ কোন বিষয়গুলো আপনাকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে মনে করছেন?

৪১ ও ৪৩তম বিসিএসের ভুল থেকে অর্জিত শিক্ষাই আমাকে ৪৪তম বিসিএসে ভালো করতে সহায়ক হয়েছে। যেমন—

ক. লিখিত পরীক্ষায় কোনো প্রশ্নের উত্তর না জানলে সেটি এড়িয়ে গেছি। যেমন—৪৪তম বিসিএসে বিজ্ঞানের একটা প্রশ্ন ছিল ‘পুরো বায়ুমণ্ডলের ভর কত?’। এখানে ভর না জেনে কিছু লিখলে ভুল হবে।

সময়ও নষ্ট হবে।

খ. সংবিধান থেকে আসা প্রশ্নের উত্তরে সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ জানা না থাকলে প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। যেমন—৪৪তম বিসিএসে একটা প্রশ্ন এসেছিল ‘হাইকোর্টের বিচারক অপসারণের প্রক্রিয়া’ সম্পর্কে। আমি অনুচ্ছেদটি মনে করতে পারিনি বলে উত্তর দিইনি।

গ. অতিরিক্ত ভূমিকা না টেনে সরাসরি প্রশ্নের মূল অংশ নিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি।

যেমন—সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কিভাবে অবদান রাখবে? এই প্রশ্নের উত্তরে ২-৩ লাইনের ভূমিকা দিয়ে সংশ্লিষ্ট খাত উল্লেখ করে সরাসরি অবদান লিখেছি। যথাযথ উত্তর দিয়েছি, পৃষ্ঠা ভরাট উদ্দেশ্য ছিল না।

ঘ. শুদ্ধ বানান ও ভাষার সঠিক ব্যবহারের চেষ্টা করেছি।

ঙ. কাটাকাটি না করে খাতা পরিচ্ছন্ন রেখেছি। কালো ছাড়া অন্য রঙের কলম ব্যবহার (হাইলাইটের  জন্য) প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমি শুধু কালো কালির কলম ব্যবহার করেছি। চিত্র এঁকেছি পেন্সিল দিয়ে। চিত্রের নিচে শিরোনাম দিয়েছি।

চ. সময়ের দিকে খেয়াল রেখেছি। উত্তর করার সময় যতটুকু সম্ভব সংক্ষিপ্ত আকারে লেখা উচিত বলে মনে করি। যাতে শেষের দিকের প্রশ্নগুলো পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ভালোভাবে উত্তর করা যায়।

ছ. উক্তি ব্যবহারে সতর্ক ছিলাম। প্রস্তুতির সময় অনেক উক্তি পড়ার সময় লিখে রাখতাম। কিন্তু পরীক্ষায় উত্তর করার সময় সেগুলো মাথায় আসত না! কারণ পড়ার সময় আমি প্রশ্নের উত্তরে বেশি ফোকাস করেছিলাম। উক্তির বক্তা, সূত্র—এসব ভুল হতে পারে ভেবে আমি ৪৪তম বিসিএসে খুব বেশি উক্তি ব্যবহার করিনি। তবে উক্তি ঠিকঠাক উল্লেখ করে লিখতে পারলে সেটা প্রার্থীদের এগিয়ে রাখবে।

 

পড়াশোনা কোথায় করেছেন, ফল কেমন ছিল?

কৈডোলা জাফরশাহী উচ্চ বিদ্যালয় (জামালপুর) থেকে এসএসসিতে (২০১২) জিপিএ ৪.৭৫, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (ময়মনসিংহ) থেকে এইচএসসিতে (২০১৪) জিপিএ ৫.০০, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল) থেকে (২০১৪-১৫) স্নাতকে (টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং) সিজিপিএ ৩.২৫। এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাধারণ বৃত্তি পেয়েছিলাম।

 

বিসিএস নিয়ে স্বপ্নের শুরুটা কিভাবে?

বোর্ড পরীক্ষার ম্যাজিস্ট্রেট এলে দেখতাম সবাই খুব সাবধান হয়ে যেত! তখন বুঝতাম, এটা খুব সম্মানজনক পদ। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার শেষ দিকে ভাবলাম, এমন একটা পেশায় যাব যেখানে কাজের বৈচিত্র‍্য থাকবে। পাশাপাশি সরাসরি জনগণের সেবা করার সুযোগ থাকবে, সম্মানও থাকবে। সব দিক বিবেচনা করে বিসিএসের প্রস্তুতি শুরু করি।

 

প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি কৌশল ও রুটিন কেমন ছিল? কোন বিষয়গুলোতে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন?

বিসিএস প্রিলিমিনারির প্রস্তুতির শুরতেই বিগত বিসিএসের প্রশ্নপত্র (প্রশ্ন ব্যাংক) সমাধান করেছি। এর ফলে সহজেই বুঝতে পেরেছি, কোন বিষয়বস্তুর ওপর আমার দখল ভালো আর কোনগুলোতে দুর্বল। এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পড়ানোর (টিউশন) কারণে গণিত, বিজ্ঞান নিয়মিত চর্চা হতো। গণিত, মানসিক দক্ষতা, বিজ্ঞান, ভূগোল, কম্পিউটার, ইংরেজি ব্যাকরণ, বাংলা ব্যাকরণ—এই বিষয়গুলোর ওপর আমার ভালোই দখল ছিল। আমি শুরুতে এই বিষয়গুলোতেই বেশি জোর দিয়েছি। এরপর অন্য বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিই। সিলেবাস ধরে ধরে এগিয়েছি। আমার মতে, প্রার্থী যে বিষয়গুলোতে ভালো, সেগুলোতে প্রস্তুতির শুরুতে বেশি সময় দিলে সেখান থেকে সর্বোচ্চ নম্বর তোলা সহজ হয়। প্রস্তুতির এক পর্যায়ে মনে হলো, সময় দিলে ইংরেজি সাহিত্যে ভালো নম্বর তোলা সম্ভব। তাই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রিলিমিনারি নমুনা পরীক্ষা দেওয়া শুরু করি। এভাবে অনেক পরীক্ষা দিয়েছি। যেসব জায়গায় ভুল হতো, সেগুলো আবার পড়তাম। একটা টপিক একটা বই থেকেই পড়তাম। নতুন বা অতিরিক্ত তথ্য বইয়ের পৃষ্ঠায় লিখে রাখতাম। কঠিন টপিক বারবার পড়তাম। কোনো নতুন প্রশ্ন মাথায় এলে বা কিছু জানার দরকার হলে গুগলে সার্চ দিতাম। নিয়মিত পত্রিকা পড়ার ফলে সাম্প্রতিক বিষয়গুলোতেও আপডেট ছিলাম।

লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম অনুবাদচর্চার মাধ্যমে। দৈনিক পত্রিকার সংবাদ দেখে বাংলা থেকে ইংরেজি, ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ অনুশীলন করতাম। বিজ্ঞানের জন্য নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বই পড়েছি। সিলেবাসের বেশির ভাগ টপিক এখানে আছে। বাংলা ও ইংরেজি সমসাময়িক বিভিন্ন টপিকের ওপর ফ্রি হ্যান্ডরাইটিং অনুশীলন করতাম। বাংলা সাহিত্যে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছি। বানানেও সতর্ক ছিলাম। বিশ্বের আলোচিত ঘটনাগুলো পত্রিকা থেকে নোট করেছি। পেপার কাটিংও সংগ্রহ করে রাখতাম। তথ্য বা উক্তি ব্যবহার করলে এর সূত্র উল্লেখ করার চেষ্টা করতাম। যে ব্যাপারে কোনো ধারণাই নেই, সে ব্যাপারে উত্তর না করাই ভালো। বিসিএস লিখিত সিলেবাসে উল্লিখিত সব টপিকের বেসিক ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এমনভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি, যাতে প্রশ্ন যেখান থেকেই আসুক ঠিকঠাক যেন উত্তর করতে পারি।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ