ঢাকা, সোমবার ১১ আগস্ট ২০২৫
২৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৬ সফর ১৪৪৭

ঢাকা, সোমবার ১১ আগস্ট ২০২৫
২৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৬ সফর ১৪৪৭
১৭১০ ক্যাডার পদ

৪৪তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার রুটিন

অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার

সম্পর্কিত খবর

ভাইভা অভিজ্ঞতা

প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কী করবেন?

    খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন উম্মে কানিজ ফাতেমা। তিনি ৪৪তম বিসিএসে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ক্যাডারে সপ্তম হয়েছেন। তাঁর ভাইভা অভিজ্ঞতা শুনেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
শেয়ার
প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কী করবেন?
উম্মে কানিজ ফাতেমা

বিএসসি করেছি ফিশারিজে আর এমএসসি কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন সায়েন্সে। ভাইভা বোর্ডে ছিলাম ৩০ মিনিটের মতো। আমার ক্যাডার পছন্দক্রমে ছিল প্রশাসন, অডিট, ট্যাক্স ইত্যাদি। ‘স্যার আসতে পারি?’ বলে ভাইভা বোর্ডে প্রবেশ করলাম।

চেয়ারম্যান স্যারকে সালাম দিয়ে এরপর দুই এক্সটার্নাল স্যারের দিকে তাকিয়ে সালাম দিলাম। চেয়ারম্যান স্যার বসতে বললেন। ধন্যবাদ জানিয়ে বসলাম।

 

চেয়ারম্যান : ফিশারিজে পড়েছেন।

বলেন কী কী পড়েছেন?

—স্যার, ফিশারিজ রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, অ্যাকোয়া কালচার এক্সটেনশন, ফিশারিজ ইকোনমিকস, পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি... (স্যার থামিয়ে দিলেন)।

ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট পড়ায় আপনাদের?

—জি স্যার। ফিশারিজ ইকোনমিকসও পড়েছি।

আচ্ছা, সর্বশেষ ‘পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি’র নাম বলেন তো।

এখন যেটা খুবই জনপ্রিয়।

—স্যার, ককশিটের বক্সে বরফ দিয়ে ফিশ প্রিজার্ভ করা হয়।

আপনার প্রথম চয়েস কী?

—প্রশাসন ক্যাডার।

প্রশাসন! আমি তো ভেবেছিলাম ফিশারিজ। প্রশাসনে কেন আসতে চান?

—স্যার, এই ইচ্ছা আমার অনেক আগে থেকেই।

এর পেছনে দুটো ঘটনার অনেক প্রভাব রয়েছে।

থাক, আমরা আর সেই গল্প শুনব না। জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাজ কী, বলেন।

—ডিসির প্রধান কাজ ৪টি—১. ডেপুটি কমিশনার হিসেবে জেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমন্বয় করেন। ২. জেলা কালেক্টর হিসেবে কর আদায় করেন। ৩. জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পুলিশের সহায়তা নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ৪. উপজেলা প্রশাসনের কাজে সমন্বয় করেন।

ফিশ ছাড়া কী কী রিসোর্স নিয়ে পড়েছেন?

—স্যার, শেলফিশ, বিভিন্ন ধরনের প্লাংটন, কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট আর ওশানোগ্রাফিতে টাইড-ওয়েভ এসব এনার্জি নিয়ে পড়েছি।

টাইগার শ্রিম্প ও প্রনের মধ্যে পার্থক্য কী?

—বাগদা চিংড়ি হলো টাইগার শ্রিম্প, এর ডোরাকাটা দাগ থাকে, নোনা পানিতে হয়। প্রন হলো গলদা চিংড়ি, আকারে একটু বড়। এটা স্বাদু পানিতে হয়।

ফিশারিজে বছরে মোট রপ্তানি আয় কত?

—প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

 

এক্সটার্নাল-১ : মেরিন রিসোর্সের নাম বলেন।

—মাছ, খনিজ সম্পদ, তেল, গ্যাস, বিভিন্ন রকমের শৈবাল, জলজ প্রাণী যেমন—মলাসক, শেলফিশ, ডলফিন, তিমি, মুক্তা, ঝিনুক, মূল্যবান পাথর ইত্যাদি।

কোস্টাল এক্সপোজড জোন কী?

—যেখানে ল্যান্ড ও সি-লাইন মিলিত হয়, সেটাই কোস্টাল এক্সপোজড জোন।

ব্লু ইকোনমির কী অবস্থা? সরকার কি এটা নিয়ে কাজ করছে?

—জি স্যার। সরকার এটা নিয়ে কাজ করছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্লু ইকোনমি সেল রয়েছে।

সুযোগ পেলে ব্লু ইকোনমি নিয়ে কোন তিনটি পদক্ষেপ নেবেন?

—১. ব্লু ইকোনমি মন্ত্রণালয় গঠন করব। আমাদের সমুদ্রসীমা প্রায় বাংলাদেশের ভূখণ্ডের সমান। ২. গবেষণাকে গুরুত্ব দেব। ৩. যেহেতু পর্যাপ্ত সামুদ্রিক সম্পদ আছে, তাই প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়াব।

কয় ধরনের ম্যাজিস্ট্রেট আছে?

—দুই ধরনের—১. এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, ২. জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আপনি কী করবেন?

—পাবলিক পরীক্ষা আইন-১৯৮০ মোতাবেক পরীক্ষাটি সঙ্গে সঙ্গেই বাতিল করে দেব। সঙ্গে সঙ্গে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করব।

সোমপুর বিহার কোথায়? এত আধুনিক স্থাপনা থাকতে মানুষ পুরনো ধ্বংসাবশেষ কেন দেখতে আসে?

—নওগাঁয়। মানুষের মধ্যে অতীত জানার একটা প্রবণতা বা কৌতূহল আছে। অতীত ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি-কালচার, স্থাপত্যশিল্প সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার পাশাপাশি সময় কাটানোর জন্য আসে।

খাবারে রং দেওয়া হচ্ছে! কী করবেন?

—প্রমাণ পেলে মোবাইল কোর্টের আইন অনুযায়ী শাস্তি বা জরিমানা করব।

বঙ্গোপসাগরে কত প্রজাতির মাছ আছে?

—৪৭৫ প্রজাতির।

 

এক্সটার্নাল-২ :  চিংড়ি চাষের ফলে পরিবেশের ওপর কী প্রভাব পড়ে?

—নোনা পানির চিংড়ি চাষের সময় এই পানি মাটির সঙ্গে মিশে আশপাশের মাটির লবণাক্ততা বাড়ায়। এতে ভূগর্ভের পানিও লবণাক্ত হয়। ফলে এটি স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়।

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা কত নটিক্যাল মাইল? প্রতি নটিক্যাল মাইলে কত কিলোমিটার? 

—১২ নটিক্যাল মাইল। প্রতি নটিক্যাল মাইল সমান ১.৮৫ কিলোমিটার।

সংবিধানে কি ব্লু ইকোনমি নিয়ে বলা আছে?

—জি স্যার, ১৪৩ নং অনুচ্ছেদে।

ঠিক আছে, ধন্যবাদ।

—ধন্যবাদ স্যার।

(এরপর কাগজপত্র নিয়ে সালাম দিয়ে বেরিয়ে এলাম।)

 

মন্তব্য

বিসিএসের তিন প্রিলিতে ফেল চতুর্থবার প্রশাসন ক্যাডার

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পানিসম্পদ কৌশলে পড়াশোনা করেছেন মো. রুকুনুজ্জামান। তিনি ৪৪তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ পেয়েছেন। তাঁর চাকরি পাওয়ার পেছনের গল্প ও অভিজ্ঞতার কথা শুনেছেন আব্দুন নুর নাহিদ
শেয়ার
বিসিএসের তিন প্রিলিতে ফেল চতুর্থবার প্রশাসন ক্যাডার
মো. রুকুনুজ্জামান

চার বিসিএস

এ পর্যন্ত চারটি বিসিএসে অংশ নিয়েছি। প্রথম তিনটিতে প্রথম তিন বিসিএসে প্রিলিমিনারি অর্থাৎ প্রথম ধাপেই ব্যর্থ হয়েছি। এই ব্যর্থতার কারণ—বাজারের গতানুগতিক বইয়ের পেছনে ছোটা, প্রশ্নের নেগেটিভ মার্কিংয়ে ভারসাম্য করতে না পারা, অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক চাকরি পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া। ২০১৮ সালে স্নাতক শেষ করে চাকরির প্রস্তুতিতেই পুরোটা সময় দিয়েছি।

তাই স্নাতকোত্তর করা হয়নি। অবশেষে জীবনের চতুর্থ বিসিএস অর্থাৎ ৪৪তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। আমার ক্যাডার পছন্দক্রমে ছিল—পররাষ্ট্র, প্রশাসন, ট্যাক্স, অডিট ও টেকনিক্যাল ক্যাডার।

 

একাডেমিক ফল ও বিসিএস 

এসএসসি ২০১১ সালে, শেরপুরের নবারুণ পাবলিক স্কুল থেকে।

ময়মনসিংহের সৈয়দ নজরুল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি ২০১৩ সালে। উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছি। এরপর ভর্তি হই বুয়েটে। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে বিসিএসের প্রতি কোনো আগ্রহ ছিল না।
কিন্তু মা-বাবা ও আমার ফুপুর স্বপ্ন— আমি ম্যাজিস্ট্রেট হব। আমার পড়াশোনার পেছনে ফুপুর অবদান অনেক। তাই বিসিএস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। স্নাতক শেষ করে বিসিএসের প্রস্তুতি শুরু করি।

 

প্রস্তুতি কৌশল ও রুটিন

বিসিএস প্রিলিমিনারিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজি গ্রামার, বাংলা সাহিত্য ও গণিত।

এই তিনটিতে যার ভালো দখল থাকবে, সেই এগিয়ে থাকবে। আর লিখিত পরীক্ষায় গণিত, বিজ্ঞান ও ইংরেজিতে ভালো করলে এগিয়ে থাকা যায়। প্রিলিমিনারিতে কোনো বিষয়ে নিজেকে দক্ষ বানাতে চাইলে নিজের মতো করে কার্যকরী কৌশল বের করতে হবে। প্রতিটি বিষয়ে আমার এমন নিজস্ব কৌশল ছিল। আর লিখিত পরীক্ষার উত্তরে ‘মান অথবা সংখ্যা’ এই কৌশল প্রয়োগ করেছি।

 

ভাইভা প্রস্তুতি

৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলের পরই ভাইভা প্রস্তুতি শুরু করি। হাতে যথেষ্ট সময় থাকায় জ্ঞানভিত্তিক পড়াশোনার বাইরে আত্মোন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিই। উপস্থাপনা, ইংরেজিতে সাবলীল হওয়া, অঙ্গভঙ্গি, মূলকথা দিয়ে উত্তর শুরু করা ইত্যাদিতে গুরুত্ব দিই। এর আগে কখনো ভাইভায় অংশ নিইনি। মনে মনে ঠিক করেছি, পারলে উত্তর দেব, না পারলে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরেরবার আরো ভালোভাবে দেব। এই ইতিবাচক চিন্তা আমাকে সাবলীল রেখেছে। ইংরেজি ভাষাগত দক্ষতা অর্জনে বেশ কয়েক মাস গ্রুপ করে স্পিকিং সেশন করেছি। ফলে উপস্থাপনার দক্ষতা তৈরি হয়েছে। ভাইভা রুমে ডাক পড়ার আগে অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে গল্পগুজব করে মানসিক চাপ কাটিয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেছি। নিজের বিভাগ, ক্যাডার পছন্দক্রমের পেছনে কারণ কী, বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাপ বা বোঝাপড়া, এসডিজি, রিমোট সেন্সিং, ইটিপি, হাইড্রো পাওয়ার প্লান্ট, পরিবেশ ইত্যাদি নিয়ে ভাইভায় প্রশ্ন করা হয়েছিল। প্রায় সব প্রশ্নই ইংরেজিতে দিতে হয়েছে। সাবলীলভাবে উত্তর দিয়েছি। যে প্রশ্ন পারিনি, সেখানে ‘দুঃখিত স্যার, আমি জেনে নেব’ বলেছি। ভাইভায় ভালো করার পেছনে প্রস্তুতির ভূমিকা আছে। তবে ভাইভায় আপনি কতটা আত্মবিশ্বাস, সাবলীল ও ইতিবাচক, সেটা আরো গুরুত্বপূর্ণ নম্বর তুলতে।

 

 

মন্তব্য

এসএসসি পাসে সিপাহি নেবে আনসার-ভিডিপি

    আনসার ব্যাটালিয়নে সিপাহি পদে চাকরির সুযোগ পাবেন এসএসসি বা সমমানের সনদধারীরা (পুরুষ)। অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ ২০ আগস্ট ২০২৫। পরীক্ষার পদ্ধতি, শিক্ষাগত ও শারীরিক যোগ্যতাসহ দরকারি তথ্য জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
এসএসসি পাসে সিপাহি নেবে আনসার-ভিডিপি

প্রার্থী বাছাইয়ে মেডিক্যাল ও লিখিত পরীক্ষা

বাছাই পরীক্ষা হবে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে (সফিপুর, গাজীপুর)। বাছাই পরীক্ষার সময়সূচি প্রার্থীর মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। প্রার্থী নির্বাচনে পর্যায়ক্রমে প্রাক-প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শারীরিক সক্ষমতা যাচাই, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, কাগজপত্র যাচাই, লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা নেওয়া হবে। বাছাই পরীক্ষার দিন প্রার্থীর প্রয়োজনীয় সনদ ও কাজগপত্র সঙ্গে আনতে হবে।

 

সিপাহিদের দায়িত্ব

পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে অপারেশন এবং সমতল এলাকায় অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করতে হয় সিপাহিদের। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায়ও নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করতে হয়। তা ছাড়া আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারি কাজে সহায়তা, দুর্যোগ মোকাবেলা, নির্বাচনে সহায়তা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহায়তাসহ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হয়।

 

প্রশিক্ষণ ও বেতন-ভাতা

বাছাই পরীক্ষায় নির্বাচিত প্রার্থীদের ট্রেইনি রিক্রুট সিপাহি হিসেবে ছয় মাসের প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হবে।

প্রশিক্ষণকালে বিধি মোতাবেক পোশাক, থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হবে। সাফল্যের সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষে আনসার ব্যাটালিয়নে সিপাহি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়োগপ্রাপ্তরা জাতীয় বেতন স্কেল (২০১৫) অনুযায়ী ১৭তম গ্রেডে ৯০০০-২১,৮০০ টাকা বেতন ও প্রাপ্য ভাতা পাবেন। ব্যাটালিয়নে যোগ দেওয়ার তারিখ থেকে প্রথম দুই বছর শিক্ষানবিশকাল ধরা হবে।
শিক্ষানবিশকাল সন্তোষজনক হলে চাকরি স্থায়ী করা হবে। স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্তরা বিনামূল্যে পোশাক সামগ্রী, ঝুঁকিভাতা, চিকিৎসা সুবিধা, রেশন ও নির্ধারিত সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

 

শিক্ষাগত ও শারীরিক যোগ্যতা

ন্যূনতম এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে। সাধারণ প্রার্থীর বেলায় উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীর বেলায় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। ওজন সাধারণ প্রার্থীর ক্ষেত্রে কমপক্ষে প্রায় ৫০ কেজি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রার্থীর ৪৭ কেজি।

সাধারণ প্রার্থীর বুকের মাপ কমপক্ষে ৩২ থেকে ৩৪ ইঞ্চি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রার্থীর ৩০ থেকে ৩২ ইঞ্চি। দৃষ্টিশক্তি ৬/৬। অবশ্যই অবিবাহিত (পুরুষ) হতে হবে। ২০ আগস্ট ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২২ বছর। বাংলাদেশি নাগরিক এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (আবেদন কপি বা স্লিপ থাকলেও হবে) থাকতে হবে। তালিকাভুক্ত আনসার-ভিডিপি সদস্য ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে কৃতিত্বের অধিকারী প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন।

 

আবেদন যেভাবে

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওয়েবসাইটের (www.ansarvdp.gov.bd) মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ওয়েবসাইটে সিপাহি পদের আবেদনের লিংক পাওয়া যাবে। সেখানে ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরম যথাযথ পূরণ করে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার পর আবেদনের কপি প্রিন্ট ও ডাউনলোড করে রাখুন। পরবর্তী প্রক্রিয়ায় এটি কাজে লাগবে।

 

 

মন্তব্য

নিখরচায় প্রশিক্ষণ নিয়ে চামড়াশিল্পে ক্যারিয়ার

    চামড়াজাত পণ্য ও ফুটওয়্যারের ওপর বিনা খরচায় প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন ৬ হাজার প্রার্থী। প্রশিক্ষণকালীন দেওয়া হবে ভাতা। চাকরি পেতেও সহায়তা পাবেন প্রশিক্ষণার্থীরা। ট্রেডভেদে ন্যূনতম যোগ্যতা এসএসসি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দেশের ১০টি কেন্দ্রে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। বিস্তারিত জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
নিখরচায় প্রশিক্ষণ নিয়ে চামড়াশিল্পে ক্যারিয়ার
ছবি : সংগৃহীত

প্রশিক্ষণ শেষে চাকরির সুযোগ

স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটেটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) অধীনে প্রশিক্ষণ দেবে লেদার গুডস ও ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি)। এলএফএমইএবি-এর প্রধান সমন্বয়কারী মো. আরিফুর রহমান ভূইয়া বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশনে সদস্য প্রতিষ্ঠান প্রায় আড়াই শ। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে লেদার গুডস, ফুটওয়্যার ও চামড়াজাত অন্যান্য পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক। প্রশিক্ষণার্থীরা এসব প্রতিষ্ঠানেই সাধারণত কাজ বা চাকরির সুযোগ পান।

এ ছাড়া সদস্য নয় এমন মাঝারি ও ছোট পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানেও কাজের সুযোগ রয়েছে। দেশের চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রারম্ভিক পর্যায় থেকে শীর্ষ পর্যায়ের পদগুলোতে দক্ষ কর্মীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চাহিদার তুলনায় দক্ষ লোকবল কম। তাই প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা অর্জন করলে চাকরি পেতে অপেক্ষা করতে হবে না।
টেকসই কর্মসংস্থানের পাশাপাশি পণ্যের গুণগত মান বাড়াতেই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্যোক্তাও হতে পারেন। প্রশিক্ষণার্থীরা বিদেশেও ভালো বেতনে কাজের সুযোগ পাবেন।’

 

প্রশিক্ষণের মেয়াদ ও ভর্তির যোগ্যতা

তিন মাস মেয়াদি মোট আটটি ট্রেডে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইথ ক্যাড ক্যাম ট্রেডে ভর্তির যোগ্যতা ডিপ্লোমা ইন ফুটওয়্যার/লেদার প্রোডাক্ট/স্নাতক অথবা বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং। বয়স ২০ থেকে ৪৫ বছর। কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফর ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস সেক্টর, সাপ্লাইচেইন ম্যানেজমেন্ট ফর ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস সেক্টর, মার্চেন্ডাইজিং ফর ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস সেক্টর, সুপারভাইজরি, ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লিডারশিপ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাক্টিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট—এ পাঁচটি ট্রেডে ভর্তির যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান পাস।

মাল্টিটাস্কিং অপারেশন ফর ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং এবং মাল্টিটাস্কিং অপারেশন ফর লেদার গুডস ম্যানুফ্যাকচারিং—এই দুই ট্রেডে ভর্তি হতে কমপক্ষে এসএসসি বা সমমানের পাস হতে হবে। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী যেকোনো পুরুষ ও নারী এই প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবেন।

উপজাতি, দরিদ্র জনগোষ্ঠী, নৃগোষ্ঠী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন। এই শিল্পে কাজ করছেন এমন অদক্ষ শ্রমিকরাও পেশাগত সনদ অর্জন ও কাজের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।

 

বাছাই পরীক্ষা

পিকার্ড বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রশিক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানান, প্রতি তিন মাস পর পর নতুন ব্যাচ শুরু হয়। প্রতি ব্যাচে ট্রেডভিত্তিক সুযোগ পান ২৫ জন করে। ভর্তির জন্য এলএফএমইএবির নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি জমা দিতে হবে।

নির্ধারিত পছন্দের বিষয়ে ভর্তির জন্য প্রার্থীকে ভর্তি পরীক্ষা বা মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। পছন্দের ট্রেড কোনটি, কেন প্রশিক্ষণ নিতে চান, প্রশিক্ষণের আগ্রহ কেমন—এ ধরনের প্রশ্ন করা হতে পারে মৌখিক পরীক্ষায়।

বাছাই পরীক্ষায় নির্বাচিত হলে ভর্তির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বলা হবে প্রার্থীদের।

 

ভাতা ও চাকরির সহায়তা

ভর্তি বা প্রশিক্ষণে কোনো ফি দিতে হবে না। প্রশিক্ষণের দিনগুলোতে ক্লাসে উপস্থিতির ভিত্তিতে ভাতা দেওয়া হবে। যাতায়াত ও নাশতা ভাতা বাবদ দিনে ১৫০ টাকা করে দেওয়া হবে। ৭২ কর্মদিবসের প্রশিক্ষণে ১০ হাজার ৮০০ টাকা ভাতা পাবেন প্রশিক্ষণার্থীরা। তিন মাস মেয়াদের প্রশিক্ষণে ব্যাবহারিক ও তাত্ত্বিক ক্লাস নেওয়া হয়। সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা ক্লাস। এক ঘণ্টা তাত্ত্বিক ও বাকি চার ঘণ্টা ব্যাবহারিক। হাতে-কলমে কাজের পদ্ধতি দেখানো বা শেখানো হয়। তিন ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের মূল্যায়ন করে দেওয়া হবে সনদ। প্রশিক্ষণ শেষে জব কাউন্সেলিং, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিভি সরবরাহ, যোগাযোগসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করবে এলএফএমইএবি।

 

আয়-রোজগার যেমন

প্রশিক্ষণ শেষে বা দক্ষতা অর্জন করে কোনো লেদার গুডস ও ফুটওয়্যার প্রতিষ্ঠানে সাধারণ অপারেটর হিসেবে নিয়োগ পেলে মাসিক বেতন হতে পারে প্রতিষ্ঠানভেদে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা। কাজের দক্ষতা দেখাতে পারলে কম সময়ে পদোন্নতি ও বেতন বাড়ে। সহকারী সুপারভাইজার বা সুপারভাইজার পর্যায়ে নিয়োগ পেলে প্রতিষ্ঠানভেদে বেতন হতে পারে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। যাঁরা দক্ষ শ্রমিক হিসেবে দেশের বাইরে কাজে যেতে চান, তাঁদের মাসিক আয় উন্নত দেশগুলোতে হতে পারে লাখ টাকার ওপরে। উদ্যোক্তা হয়েও ভালো আয় করতে পারেন।

 

প্রশিক্ষণকেন্দ্র

১. এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড, কালিয়াকৈর, গাজীপুর। ২. ব্লিং লেদার প্রোডাক্টস, তারাগঞ্জ, রংপুর। ৩. সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর লেদার স্কিল বাংলাদেশ লিমিটেড, কালিয়াকৈর, গাজীপুর। ৪. এফবি ফুটওয়্যার লিমিটেড, কালিয়াকৈর, গাজীপুর। ৫. এলএফইএবি ক্যাড-ক্যাম সেল, কালিয়াকৈর, গাজীপুর। ৬. ম্যাফ ফুটওয়্যার লিমিটেড, নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম। ৭. ম্যাফ সুজ লিমিটেড, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম। ৮. মাল্টিলাইন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, পলাশ, নরসিংদী। ৯. ওএমসি ফুটওয়্যার লিমিটেড, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। ১০. পিকার্ড বাংলাদেশ লিমিটেড সাভার, ঢাকা। প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

 

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ